প্রশাসকরা যেমন পড়ুয়াদের আবেগকে অমর্যাদা করে তাদের বিরুদ্ধে দমননীতিকে সার্বিক করে তুলবেন না তেমনই ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনেরও দায়িত্ব আছে। আন্দোলন মানে তো কেবল উত্তেজনার আগুন নয়। পড়ুয়াদের গঠনমূলক স্বদেশি মন্ত্রে দীক্ষিত করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ব্রতী বালকদের দল তৈরি করলেন। তারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে গরিব সাধারণের প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে পরিচিত হল। ‘ঘরে-বাইরে’ উপন্যাসে সন্দীপের চেলারা যা করেনি রবীন্দ্রনাথ সে কাজই তাঁর পল্লি পুনর্গঠন পর্বে ছাত্রদের দিয়ে করিয়েছেন। তাঁর শিক্ষালয়ে অসহযোগের নির্বিচার রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেননি তিনি।
৪৯.
সুভাষচন্দ্রের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশেষ দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে সরকার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছিলেন। প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক ওটেনের (দুঃ)-ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদের আচরণ খতিয়ে দেখবেন এই তদন্ত কমিশন। কমিশনের রায় অনুযায়ী, সুভাষচন্দ্র বসু, আনন্দমোহন দাস আর সতীশচন্দ্র দে কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হলেন। ক্রুদ্ধ, বিরক্ত রবীন্দ্রনাথ লিখলেন, ‘ছাত্রশাসনতন্ত্র’ নামের প্রবন্ধ– প্রকাশিত হল প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত ‘সবুজ পত্র’ সাময়িকীতে। যাতে ইংরেজ প্রশাসকদের কাছে লেখাটি পৌঁছয় সেজন্য ইংরেজি অনুবাদ করা হল, ‘মডার্ন রিভিউ’-এর জন্য। প্রমথ চৌধুরীকে রবীন্দ্রনাথ চিঠিতে ( ৬ মার্চ ১৯১৬) লিখলেন, ‘Lord Carmaichael কে পাঠিয়েছিলুম– তাতে কিছু ফল হয়েচে বলে খবর পেয়েচি।’ ফল অবশ্য খুব বেশি কিছু হল না, তবে ছাত্রদের পক্ষে রবীন্দ্রনাথ সাধারণভাবে যে কথাগুলি লিখলেন তা প্রায় ক্ষমতাতন্ত্র বিরোধী ইস্তাহারের শ্লোগান হয়ে উঠল।
কী লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ? গুরুত্বপূর্ণ দু’টি অংশ উদ্ধার করা যেতে পারে।
ক. ‘কিন্তু ছাত্রকে জেলের কয়েদি বা ফৌজের সিপাই বলিয়া আমরা তো মনে ভাবিতে পারি না। আমরা জানি, তাহাদিগকে মানুষ করিয়া তুলিতে হইবে। মানুষের প্রকৃতি সূক্ষ্ম এবং সজীব তন্তুজালে বড়ো বিচিত্র করিয়া গড়া। এইজন্যই মানুষের মাথা ধরিলে মাথায় মুগুর মারিয়া সেটা সারানো যায় না; অনেক দিক বাঁচাইয়া প্রকৃতির সাধ্যসাধনা করিয়া তার চিকিৎসা করিতে হয়।’
খ.‘অতএব যাদের উচিত ছিল জেলের দারোগা ড্রিল বা সার্জেণ্ট্ বা ভূতের ওঝা হওয়া তাদের কোনোমতেই উচিত হয় না ছাত্রদিগকে মানুষ করিবার ভার লওয়া। ছাত্রদের ভার তাঁরাই লইবার অধিকারী যাঁরা নিজের চেয়ে বয়সে অল্প, জ্ঞানে অপ্রবীণ ও ক্ষমতায় দুর্বলকেও সহজেই শ্রদ্ধা করিতে পারেন; যাঁরা জানেন, শক্তস্য ভূষণং ক্ষমা; যাঁরা ছাত্রকেও মিত্র বলিয়া গ্রহণ করিতে কুণ্ঠিত হন না।’
রবীন্দ্রনাথ একথা লিখলেন বটে কিন্তু পৃথিবীতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছাত্রদের স্বাধীন দাবিকে ‘অবিবেচনা’ মনে করে ‘বিবেচক’ শাসক পড়ুয়াদের জেলের কয়েদি কিংবা ফৌজের সিপাই বলেই মনে করেছে। ফলে ছাত্রদের ক্ষমা তো দূর অস্ত, ছাত্রদের বিরুদ্ধে গুলি চলেছে। স্বাধীনকণ্ঠ ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে মুগুর– রাষ্ট্র ছাত্রদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে গুলি চালিয়েছে। এদেশের অন্যান্য দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেগুলির সাক্ষ্য বহন করছে।
রবীন্দ্রনাথ অবশ্য এটাও জানতেন কোথাও কোথাও বয়সোচিত উত্তেজনায় অবিবেচনার বশবর্তী হয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা অহেতুক আঘাতের পথ বেছে নেয়। ‘ছাত্রশাসনতন্ত্র’ প্রবন্ধ আর ‘ঘরে-বাইরে’ উপন্যাস প্রায় সমকালে রচিত। সে উপন্যাসে সন্দীপ ছাত্রদের নিখিলেশের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে তুলেছিল। তলিয়ে বিচার না-করেই তারা স্বদেশির উত্তেজনা পোহাতে উদ্যত। বয়কট ও বিলাতি বর্জনের নামে আগুন জ্বালাতে তারা এতই তৎপর যে দেশের গরিব মানুষদের কথা ভাবার অবকাশ তাদের নেই। জমিদার নিখিলেশ যাতে হাটে বিলিতি বর্জনের আদেশ দেয় তারই তদ্বির করতে এসেছে তারা। নিখিলেশ তাঁর আত্মকথায় লিখেছেন, ‘এমন সময়ে স্বদেশীর বান খুব প্রবল হয়ে এসে পড়ল। আমাদের এবং আশপাশের গ্রাম থেকে যে-সব ছেলে কলকাতার স্কুলে কালেজে পড়ত তারা ছুটির সময় বাড়ি ফিরে এল, তাদের অনেকে স্কুল কালেজ ছেড়ে দিলে। তারা সবাই সন্দীপকে দলপতি করে স্বদেশী-প্রচারে মেতে উঠল। এদের অনেকেই আমার অবৈতনিক স্কুল থেকে এন্ট্রেন্স্ পাস করে গেছে, অনেককেই আমি কলকাতায় পড়বার বৃত্তি দিয়েছি। এরা একদিন দল বেঁধে আমার কাছে এসে উপস্থিত। বললে, আমাদের শুকসায়রের হাট থেকে বিলিতি সুতো র্যাপার প্রভৃতি একেবারে উঠিয়ে দিতে হবে।’
…………………………………………………………………………………..
ছাত্র-ছাত্রীদের মন পাকা রাজনীতিবিদরা অনেক সময় দখল করে নেন। রবীন্দ্রনাথের সন্দীপের মতো তাঁরা। পড়ুয়াদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। নিজেদের স্বার্থে পড়ুয়াদের ব্যবহার করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না। এখানেই চাই ছাত্র-ছাত্রীদের বিবেচনা, উত্তেজনার ছোট স্বার্থের বাইরে আসা চাই। এ-দায়িত্ব যেমন পড়ুয়াদের তেমনই সেই বাইরে আসার কাজে যদি ব্যর্থও হয় তারা তবু তাদের বিরুদ্ধে বড়রা চূড়ান্ত দমনমূলক নীতি গ্রহণ করবেন না, যদি চূড়ান্ত দমনমূলক নীতি গ্রহণ করতে হয় তাহলে বুঝতে হবে প্রশাসক আত্মবিশ্বাসী নন।
…………………………………………………………………………………..
নিখিলেশ রাজি হলেন না। প্রতিযুক্তি হিসেবে নিখিলেশের মনের কথা নিখিলেশের মাস্টারমশাই বললেন, ‘দেশ বলতে মাটি তো নয়, এইসমস্ত মানুষই তো। তা, তোমরা কোনোদিন একবার চোখের কোণে এদের দিকে তাকিয়ে দেখেছ? আর, আজ হঠাৎ মাঝখানে পড়ে এরা কী নুন খাবে আর কী কাপড় পরবে তাই নিয়ে অত্যাচার করতে এসেছ, এরা সইবে কেন, আর এদের সইতে দেব কেন?’ আরও জানালেন, ‘তোমাদের মনে রাগ হয়েছে, জেদ হয়েছে, সেই নেশায় তোমরা যা করছ খুশি হয়ে করছ। তোমাদের পয়সা আছে, তোমরা দু পয়সা বেশি দিয়ে দিশি জিনিস কিনছ, তোমাদের সেই খুশিতে ওরা তো বাধা দিচ্ছে না। কিন্তু ওদের তোমরা যা করাতে চাচ্ছ সেটা কেবল জোরের উপরে। ওরা প্রতিদিনই মরণ-বাঁচনের টানাটানিতে পড়ে ওদের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত লড়ছে কেবলমাত্র কোনোমতে টিঁকে থাকবার জন্যে– ওদের কাছে দুটো পয়সার দাম কত সে তোমরা কল্পনাও করতে পার না— ওদের সঙ্গে তোমাদের তুলনা কোথায়?’
রাগ আর উত্তেজনা বিবেচনাকে বধির করে দেয়। তখন ভাঙাকেই কেবল দেশের কাজ বলে মনে হয়। তারই বিপরীতে রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষদের জন্য গড়ার কাজের কথা বলেছিলেন। ইতিহাসবিদেরা রবীন্দ্রনাথের এই স্বদেশব্রতকে গঠনমূলক স্বদেশি বলে চিহ্নিত করেছেন। প্রশাসকরা যেমন পড়ুয়াদের আবেগকে অমর্যাদা করে তাদের বিরুদ্ধে দমননীতিকে সার্বিক করে তুলবেন না তেমনই ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনেরও দায়িত্ব আছে। আন্দোলন মানে তো কেবল উত্তেজনার আগুন নয়। পড়ুয়াদের গঠনমূলক স্বদেশি মন্ত্রে দীক্ষিত করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ব্রতী বালকদের দল তৈরি করলেন। তারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে গরিব সাধারণের প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে পরিচিত হল। ‘ঘরে-বাইরে’ উপন্যাসে সন্দীপের চেলারা যা করেনি রবীন্দ্রনাথ সে কাজই তাঁর পল্লি পুনর্গঠন পর্বে ছাত্রদের দিয়ে করিয়েছেন। তাঁর শিক্ষালয়ে অসহযোগের নির্বিচার রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেননি তিনি। জীবনের শেষ পর্বে সূর্য সেনের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে অন্যতম ব্রতী-বিপ্লবী কল্পনা দত্তকে কারামুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। কল্পনাকে ব্যক্তিগত পত্রে জানিয়েছেন উত্তেজনা প্রশমিত করে দেশের বৃহত্তর কাজে যেন যোগ দেয় সে।
………………………………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
………………………………………………………
ছাত্র-ছাত্রীদের মন পাকা রাজনীতিবিদরা অনেক সময় দখল করে নেন। রবীন্দ্রনাথের সন্দীপের মতো তাঁরা। পড়ুয়াদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। নিজেদের স্বার্থে পড়ুয়াদের ব্যবহার করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না। এখানেই চাই ছাত্র-ছাত্রীদের বিবেচনা, উত্তেজনার ছোট স্বার্থের বাইরে আসা চাই। এ-দায়িত্ব যেমন পড়ুয়াদের তেমনই সেই বাইরে আসার কাজে যদি ব্যর্থও হয় তারা তবু তাদের বিরুদ্ধে বড়োরা চূড়ান্ত দমনমূলক নীতি গ্রহণ করবেন না, যদি চূড়ান্ত দমনমূলক নীতি গ্রহণ করতে হয় তাহলে বুঝতে হবে প্রশাসক আত্মবিশ্বাসী নন। সুপ্রশাসক, হিতবাদী রাষ্ট্র পড়ুয়াদের প্রতিপক্ষ বলে মনে করে না। অথচ বুলেট চলছে, রবীন্দ্রনাথের গান জাতীয় সংগীত তবুও হনন চলেছে।
…ছাতিমতলা-র অন্যান্য পর্ব…
ছাতিমতলা পর্ব ৪৬: রবীন্দ্রনাথ পরোপকারের জন্য ‘ব্যবসাদার’ হয়ে ওঠেননি
ছাতিমতলা পর্ব ৪৫: ‘লেখা পড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে’ প্রবাদের উদাহরণ হয়ে উঠতে চাননি রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৪৪: ‘গরম’ শব্দটিকে কতরকমভাবে ব্যবহার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৪৩: খেটে খাওয়া মানুষের সহজ পাঠ, রাজনৈতিক দল যদিও সেদিন বোঝেনি
ছাতিমতলা পর্ব ৪২: ‘রবি ঠাকুর’ ডাকটি রবীন্দ্রনাথ নিজেই তির্যকভাবেই ব্যবহার করতেন
ছাতিমতলা পর্ব ৪১: রবীন্দ্রনাথ ফেসবুকে থাকলে যে ভাষায় ট্রোলড হতেন
ছাতিমতলা পর্ব ৪০: রবীন্দ্র-দেবেন্দ্র সম্পর্ক বাংলা ছবির উত্তমকুমার-কমল মিত্র সম্পর্ক নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৯: তেমন মাতৃসাহচর্য পাননি বলেই নৈর্ব্যক্তিকভাবে মা-সন্তানের সম্পর্ককে দেখতে পেরেছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ৩৮: রবি ঠাকুরের জন্মদিনের সাংস্কৃতিক ‘ফ্যাশন’ নিয়ে ফুট কাটা যাবে না কেন!
ছাতিমতলা পর্ব ৩৭: রবীন্দ্রনাথের মতে, ভোট সামাজিক মঙ্গলের নিঃশর্ত উপায় নয়
ছাতিমতলা পর্ব ৩৬: টক্সিক রিলেশনশিপ কি রবীন্দ্রনাথের লেখায় আসেনি?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৫: রবীন্দ্রনাথ কি আড্ডা মারতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ৩৪: চিনের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের সভ্যতা-ভাবনা ছিল কল্পনা বিলাস
ছাতিমতলা পর্ব ৩৩: পুরস্কার মূল্যকে হেলায় ফেরাতে জানে কবিই, জানতেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩২: তরুণ রবির তীক্ষ্ণ সমালোচক পরিণত রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৩১: ভোটের মঞ্চে উড়ছে টাকা, এসব দেখে কী বলতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ৩০: শিক্ষিত ভদ্রলোকের ‘নাগরিকত্ব’ বিষয়ক ভাবনার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের যোগ তৈরি হচ্ছে না, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ২৯: কলকাতার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের অপ্রেম রয়েছে যেমন, তেমনই রয়েছে আবছায়া ভালোবাসা
ছাতিমতলা পর্ব ২৮: মনের ভাঙাগড়া আর ফিরে-চাওয়া নিয়েই মধুসূদনের ভাষা-জগৎ– রবীন্দ্রনাথেরও
ছাতিমতলা পর্ব ২৭: বাংলা ভাষা কীভাবে শেখাতে চাইতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ২৬: ‘খানিক-রবীন্দ্রনাথ-পড়া’ প্রৌঢ়ের কথায় রবীন্দ্রনাথের প্রেম চেনা যাবে না
ছাতিমতলা পর্ব ২৫: সুকুমার রায় যে অর্থে শিশু-কিশোরদের মনোরঞ্জন করতে পারতেন, রবীন্দ্রনাথ তা পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২৪: বিশ্বভারতীর ছাপাখানাকে বই প্রকাশের কারখানা শুধু নয়, রবীন্দ্রনাথ দেশগঠনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ২৩: ধর্মবোধের স্বাধিকার অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ দেশের মানুষের সাম্প্রদায়িক মনকে মুক্ত করতে পারেননি
ছাতিমতলা পর্ব ২২: রামায়ণে রাম-রাবণের যুদ্ধ রবীন্দ্রনাথের কাছে ছিল গৌণ বিষয়
ছাতিমতলা পর্ব ২১: রবীন্দ্রনাথ পড়ুয়াদের সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজতেন, চাঁদের আলোয় গান গাইতেন
ছাতিমতলা পর্ব ২০: সুভাষচন্দ্র বসুকে তীব্র তিরস্কার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ!
ছাতিমতলা পর্ব ১৯: আবেগসর্বস্ব ধর্ম ও রাজনীতির বিরোধিতা করে অপ্রিয় হয়েছিলেন
ছাতিমতলা পর্ব ১৮: রবীন্দ্রনাথ কখনও গীতাকে যুদ্ধের প্রচারগ্রন্থ হিসেবে বিচার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১৭: ক্রিকেটের রাজনীতি ও সমাজনীতি, দু’টি বিষয়েই তৎপর ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৬: রবীন্দ্রনাথ কি ক্রিয়েটিভ রাইটিং শেখানোর কিংবা কপি এডিটিং করার চাকরি পেতেন?
ছাতিমতলা পর্ব ১৫: কবি রবীন্দ্রনাথের ছেলে হয়ে কবিতা লেখা যায় না, বুঝেছিলেন রথীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ১৪: ছোট-বড় দুঃখ ও অপমান কীভাবে সামলাতেন রবীন্দ্রনাথ?
ছাতিমতলা পর্ব ১৩: পিতা রবীন্দ্রনাথ তাঁর কন্যা রেণুকার স্বাধীন মনের দাম দেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১২: এদেশে ধর্ম যে চমৎকার অস্ত্রাগার, রবীন্দ্রনাথ তা অস্বীকার করেননি
ছাতিমতলা পর্ব ১১: কাদম্বরীকে বঙ্গজ লেখকরা মুখরোচক করে তুলেছেন বলেই মৃণালিনীকে বাঙালি জানতে চায়নি
ছাতিমতলা পর্ব ১০: পাশ্চাত্যের ‘ফ্যাসিবাদ’ এদেশেরই সমাজপ্রচলিত নিষেধনীতির প্রতিরূপ, বুঝেছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ছাতিমতলা পর্ব ৯: দেশপ্রেম শেখানোর ভয়ংকর স্কুলের কথা লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ, এমন স্কুল এখনও কেউ কেউ গড়তে চান
ছাতিমতলা পর্ব ৮: অসমিয়া আর ওড়িয়া ভাষা বাংলা ভাষার আধিপত্য স্বীকার করে নিক, এই অনুচিত দাবি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথও
ছাতিমতলা পর্ব ৭: বাঙালি লেখকের পাল্লায় পড়ে রবীন্দ্রনাথ ভগবান কিংবা ভূত হচ্ছেন, রক্তমাংসের হয়ে উঠছেন না
ছাতিমতলা পর্ব ৬: যে ভূমিকায় দেখা পাওয়া যায় কঠোর রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৫: চানঘরে রবীন্দ্রসংগীত গাইলেও আপত্তি ছিল না রবীন্দ্রনাথের
ছাতিমতলা পর্ব ৪: যে রবীন্দ্র-উপন্যাস ম্যারিটাল রেপের ইঙ্গিতবাহী
ছাতিমতলা পর্ব ৩: ‘রক্তকরবী’র চশমার দূরদৃষ্টি কিংবা সিসিটিভি
ছাতিমতলা পর্ব ২: ‘পলিটিকাল কারেক্টনেস’ বনাম ‘রবীন্দ্র-কৌতুক’
ছাতিমতলা পর্ব ১: ‘ডাকঘর’-এর অমলের মতো শেষশয্যা রবীন্দ্রনাথের কাঙ্ক্ষিত, কিন্তু পাননি