রবীন্দ্রনাথের ছবির ফুল বেশিরভাগ সময়ে সাজানো থাকে ফুলদানিতে, ডালা বা ফুলের সাজিতে। কখনও তারা চিত্রপটের ভূমি থেকে সতেজ শিরদাঁড়ার মতো জেগে ওঠে। কোথাও তার উপস্থিতি একটা কোণ থেকে সরাসরি চিত্রপটের মাঝখানে। সেখানে দৃঢ়ভাবে ঘোষিত তার অবস্থান। ফুলের রাশি যেমন অজস্র রঙে হিল্লোলিত, তেমনই আছে গুটিকয় বর্ণহীন সাদা ফুল। তবে বর্ণময় বা বর্ণহীন যাই হোক, সে আকার বিশেষ, রঙের প্রতিমা, কালার-ইমেজমাত্র। তবে কয়েকটি ফুল চিনে নিতে অসুবিধা হয় না। যেমন পুষ্পিত রজনীগন্ধা ফুলটিকে সুস্পষ্ট চেনা যায়। কালিকলমে অসংখ্য রেখার জালে আচ্ছন্ন সাদাকালো এই ছবি দেখে চকিতে মনে পড়বে, রবীন্দ্রনাথের ‘যোগাযোগ’ উপন্যাসের নায়িকা কুমুদিনীর সৌন্দর্য বর্ণনা।
২৭.
‘রবীন্দ্রকাব্যে ফুল’। বিষয়টা খুবই সাদামাটা। এ নিয়ে যথেষ্ট লেখালিখিও হয়েছে। সত্যি কথা বলতে, এখানে তেমন কিছু প্রখর চিন্তাভাবনার সুযোগ নেই। খুঁজলে একাধিক ক্ষীণতনু বই বা পুস্তিকার দেখা মিলবে এ জাতীয় শিরোনামে। হয়তো বা সাহিত্যের ছাত্রছাত্রীরা অনেকে এ বিষয়ে ‘ডিসারটেসন পেপার’ তৈরি করেছে তাদের পাঠ্যসূচির আওতায়। এমন একটা সমীক্ষা সহজে সেরে ফেলা যায়। রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যগ্রন্থের কোথায় কী ফুলের উপস্থিতি, কোন ফুল কোন কবিতায় কতবার উল্লেখিত– এইসব নিয়ে একখানা তালিকা সাজিয়ে দেওয়া আদপে কঠিন নয়, প্রায় লাইব্রেরি-ওয়ার্কের শামিল। পাশাপাশি ফুলের নামের সঙ্গে তাদের বোটানিক্যাল নাম সাজিয়ে দেওয়ার সুযোগ যথেষ্ট। সেখানে আরেকটু বৈচিত্র আসতে পারে। এই কাজ একেবারে হয়নি তা নয়। একটা আভাস দেওয়া যেতে পারে।
রবীন্দ্রনাথের লেখায় গুটিকয় ফুল বার বার ফিরে আসতে দেখি। সেগুলোর প্রতি যেন রবি ঠাকুরের বিশেষ টান। আবার লক্ষ করলে, প্রিয় ফুলেরা বেশিরভাগই সাদা বা তার কোল-ঘেঁষা। শিউলি, বকুল, শিরীষ, যূথী, জাতি, বেলি, জুঁই, চামেলি, কামিনী, সেজুঁতি, কুন্দ, মাধবী, মালতী, চাঁপা, করবী, রজনীগন্ধা, দোলনচাঁপা, নাগকেশর, শালমঞ্জরী, মুচকুন্দ, গুলঞ্চ, মল্লিকার ভিড়ে খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে রঙিন ফুলের সারি। অশোক, পলাশ, শিমুল, গোলাপ, জবা, ঝুমকো-লতা, মন্দার, কৃষ্ণচূড়া, গুলমোহরের দল। তবে কি রঙিন ফুলের চেয়ে শুভ্র সুরভিত ফুলের প্রতি রবি ঠাকুরের আকর্ষণ বেশি? তাঁর কাছে রঙের চেয়ে সৌরভের অগ্রাধিকার অধিক! হবেও বা। আবার দেখতে পাই, বিদেশে বসে কবিতা বা গান রচনাকালেও দেখা দিয়েছে এইসব চেনা ফুলের গুচ্ছ। সেই চাঁপা, যূথী, জাতি, শিরীষ, মালতি, মল্লিকা, আকন্দ, কদম্ব, কুরুবক, কাঞ্চন, করবী, পারিজাতেরাই প্রবাসের দিনে কবির কলমের ডগায় দল বেঁধে ফিরে এসেছে। আর্জেন্টিনায় ওকাম্পোর আতিথ্যে থাকার সময় কোনও বিদেশি ফুল তাঁর দিকে মাথা দুলিয়ে হেসে উঠলে সেই অচেনা ফুলের দিকে চেয়ে কবির মন বলেছে, ‘নামেতে কী হবে।/ আর কিছু নয়,/ হাসিতে তোমার পরিচয়’। সেই বিদেশি ফুলের নাম আর জানা হয়নি কবির, আগ্রহ জাগেনি হয়তো। আবার দেশের মাটিতেও কখনও চমক লাগিয়ে তাঁর কলমে জেগে উঠেছে বিদেশি ফুলের দল– ক্যামেলিয়া, রডোডেনড্রনগুচ্ছ– এরা তাঁর কবিতায় এসেছে দেশে মাটিতে। কখনো তার পাশে অকস্মাৎ ঝলসে উঠেছে নীলমণিলতা, অপরাজিতা বা সরষে ফুলের সোনালি আলোর মশাল।
তবে এসবই কবি ঠাকুরের সাহিত্যের ফুল। তাহলে তাঁর চিত্রপটে রং-তুলিতে সাজিয়ে তোলা ফুলেরা কেমন, কী-ই বা নাম তাদের? রঙের দিক থেকেও কি তারা সাহিত্যে দেখা সাদাফুলের মতো বর্ণবিরল? না। রবি ঠাকুরের ফুলের ছবি সে কথা বলে না। তাঁর ছবির পটে যে-সব ফুলের আনাগোনা তারা অধিকাংশেই রঙিন, ঝলমলে, উজ্জ্বল। সেই শিরোনামহীন ফুলের দল অনায়াসে কবির ভাষায় বলতে পারে, ‘নামেতে কী হবে,/ আর কিছু নয়’। বলতে পারে ‘রঙেতে আমার পরিচয়’। ঠিক তাই, রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রায় শ’খানেক ফুলের ছবির ছবির দিকে তাকালে মনে হয়, কবিতার ছত্রের মতো এদের নাম দিয়ে গোত্র মিলিয়ে চিনে নেওয়া যায় না। এরা কেবল রঙের ফুল, রেখা আর আকারের ফুল। পটে কোথাও তাদের দেখি তোড়ার মতো একত্রে বাঁধা, কোথাও বা সে নিঃসঙ্গ একাকী। তবে আগেই বলেছি, বিন্যাস যেমনই হোক, চিত্রকলার আধুনিক সংজ্ঞা অনুসারে তারা রং রেখা আকারের দাবিতে কেবল ফুল হিসেবেই চিহ্নিত। আর কিছু নয়, তাদের এই শেষ পরিচয়। মনে পড়বে, পরিচিতজনের প্রতিকৃতি আঁকতে গিয়ে কবির নিজস্ব শৈলীতে তাঁদের ব্যক্তিপরিচয় ঢাকা পড়ে যায়। সেখানে কেবল ফুটে ওঠে নারী বা পুরুষের অবয়ব। ফুলের ছবিতেও ঠিক তাই। দর্শকের কাছে সে কেবল রঙের ঝলকানি, তুলির আঁচড়ে ফুটে ওঠা ফুলের ছবিমাত্র।
রবীন্দ্রনাথের ছবির ফুল বেশিরভাগ সময়ে সাজানো থাকে ফুলদানিতে, ডালা বা ফুলের সাজিতে। কখনও তারা চিত্রপটের ভূমি থেকে সতেজ শিরদাঁড়ার মতো জেগে ওঠে। কোথাও তার উপস্থিতি একটা কোণ থেকে সরাসরি চিত্রপটের মাঝখানে। সেখানে দৃঢ়ভাবে ঘোষিত তার অবস্থান। ফুলের রাশি যেমন অজস্র রঙে হিল্লোলিত, তেমনই আছে গুটিকয় বর্ণহীন সাদা ফুল। তবে বর্ণময় বা বর্ণহীন যাই হোক, সে আকার বিশেষ, রঙের প্রতিমা, কালার-ইমেজমাত্র। তবে কয়েকটি ফুল চিনে নিতে অসুবিধা হয় না। যেমন পুষ্পিত রজনীগন্ধা ফুলটিকে সুস্পষ্ট চেনা যায়। কালিকলমে অসংখ্য রেখার জালে আচ্ছন্ন সাদাকালো এই ছবি দেখে চকিতে মনে পড়বে, রবীন্দ্রনাথের ‘যোগাযোগ’ উপন্যাসের নায়িকা কুমুদিনীর সৌন্দর্য বর্ণনা।
কুমুদিনীর রূপের বর্ণনায় তিনি লিখেছেন, ‘দেখতে সে সুন্দরী, লম্বা ছিপছিপে, যেন রজনীগন্ধার পুষ্পদণ্ড; চোখ বড় না হোক, একেবারে নিবিড় কালো, আর নাকটি নিখুঁত রেখায় যেন ফুলের পাপড়ি দিয়ে তৈরি। রং শাঁখের মতো চিকন গৌর; নিটোল দু’খানি হাত; সে হাতের সেবা কমলার বরদান, কৃতজ্ঞ হয়ে গ্রহণ করতে হয়। সমস্ত মুখে একটি বেদনায় সকরুণ ধৈর্যের ভাব’। রবীন্দ্রনাথের আঁকা পুষ্পিত রজনীগন্ধার ছবি বুঝি এক লহমায় সেই বিষণ্ণ ‘কুমুদিনী’র প্রতীকী প্রতিমা নির্মাণ করে।
আবার এ-ও দেখি, যে রবিঠাকুর ছবির গা থেকে সাহিত্যের মোড়ক খসিয়ে দিতে ব্যগ্র, কখনও তিনিই ফুলের ছবিতে নাম দিয়ে বসেছেন। সাধারণভাবে শিরোনাম দেওয়া নয়, একটু যেন সেন্টিমেন্ট-মিশ্রণে জারিত। এমন এক ফুলের ছবির নাম ‘সুয়োরানী দুয়োরানী’। কেমন সে ছবি? সেখানে দেখি, একটি বৃন্তে দু’টি ফুল। একটি সদ্য ফোটা– সতেজ, প্রাণবান। আর অন্যটি অন্ধকারে মলিন হয়ে এসেছে। কী মনে করে অমন নাম দিয়েছেন জানি না। ফুলের প্রসঙ্গে মনে পড়বে, ‘চিত্রাঙ্গদা’ রচনার নেপথ্য কাহিনি।
রবীন্দ্রনাথ নিজেই বলেছেন সে কথা, ‘অনেক বছর আগে রেলগাড়িতে যাচ্ছিলুম শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতার দিকে। তখন বোধহয় চৈত্রমাস হবে। রেল লাইনের ধারে আগাছার জঙ্গল। হলদে-বেগনি সাদা রঙের ফুল ফুটেছে অজস্র। দেখতে দেখতে এই ভাবনা এল মনে যে, আর কিছুকাল পরেই রৌদ্র হবে প্রখর, ফুলগুলি তার রঙের মরীচিকা নিয়ে যাবে মিলিয়ে, … সেইসঙ্গে কেন জানি হঠাৎ আমার মনে হল সুন্দরী যুবতী যদি অনুভব করে সে তার যৌবনের মায়া দিয়ে প্রেমিকের হৃদয় ভুলিয়েছে তা হলে সে তার সুরূপকেই আপন সৌভাগ্যের মুখ্য অংশে ভাগ বসানোর অভিযোগে ‘সতীন’ বলে ধিক্কার দিতে পারে। এ যে তার বাইরের জিনিস, এ যেন ঋতুরাজ বসন্তের কাছে পাওয়া বর, ক্ষণিক মোহ-বিস্তারের দ্বারা জৈব উদ্দেশ্য সিদ্ধ করবার জন্যে যদি তার অন্তরের মধ্যে যথার্থ চারিত্রশক্তি থাকে তবে সেই মোহমুক্ত শক্তির দানই তার প্রেমিকের পক্ষে মহৎ লাভ, যুগল জীবনের জয়যাত্রার সহায়। … এই ভাবটাকে নাট্য-আকারে প্রকাশ-ইচ্ছা তখনই মনে এল, সেইসঙ্গেই মনে পড়ল মহাভারতের চিত্রাঙ্গদার কাহিনী।’ আমরা জানি, কাব্যনাট্য চিত্রাঙ্গদা থেকে অনেক পরে গীতিনাট্য তথা নৃত্যনাট্য চিত্রাঙ্গদার নির্মাণ। এর আড়ালে কি রয়ে গেল নবীনা ও প্রবীণার সেই চিরকালীন দ্বন্দ!
‘সুয়োরানী দুয়োরানী’। রবীন্দ্রনাথ তাঁর কোনও ছবির এমন কাব্যিক নাম দিয়েছেন বলে জানা নেই। এই নামের আড়ালেও তাঁর মনে কোনও কাহিনির বীজ বোনা চলেছিল? কে আজ বলবে সে কথা? রবি ঠাকুরের ফুলের ছবির দিকে এক নজর তাকালে বোঝা যায় ইম্প্রেশনিস্ট শৈলীর তুলির আঁচড়ে আঁকা হয়েছে সেসব ছবি। ঘন অন্ধকারে পটে আলোকিত ফুলের উজ্জ্বল উপস্থিতি। নাম না থাকলেও সেখানে আছে পুষ্পপত্রে শোভিত গোলাপের ডাল বা গভীর বাদামি চিত্রপট জুড়ে থাকা পোড়া লাল রঙের শিমুল। আছে বৃষ্টির জলে নুয়ে পড়া পপি ফুলের বৃন্ত। স্মরণীয় কবিপুত্র রথী ঠাকুরও অজস্র ফুলের ছবি এঁকেছিলেন। বিজ্ঞানী আর শিল্পীর দক্ষতায় ফুটে ওঠা সে ফুলের প্রত্যেকটিকে প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া যায়। তবে রবীন্দ্রনাথের ছবির উষ্ণতা সেখানে নেই। আরেকটা কথা। ভারতীয় ছবিতে পশ্চিমি ভাবনায় স্টিল-লাইফের ছবি দেখা যায় না। কলস বা নানারকম পাত্র সেখানে ছবির টুকরো অংশ হিসেবে উপস্থিত। তাই নিশ্চিতভাবে বলা চলে, সমস্ত পট জুড়ে ফুলদানিতে রাখা রবীন্দ্রনাথের ফুলের ছবি এক অর্থে প্রথম স্টিল-লাইফ হিসেবে আমাদের ছবিতে দেখা দিল।
…পড়ুন ছবিঠাকুর-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ২৬: রবীন্দ্রনাথের আঁকা শেষ ছবি
পর্ব ২৫: রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি সংরক্ষণ করা সহজ নয়
পর্ব ২৪: জাল ছবি ও রবীন্দ্র-ব্যবসা
পর্ব ২৩: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথের বিদ্রোহের ছবি
পর্ব ২২: চিত্রকলার বোধ যত গাঢ়তর হচ্ছে, ততই রবীন্দ্রনাথ চোখের দেখার ওপরে ভরসা করছেন
পর্ব ২১: কলাভবনে নন্দলালের শিল্পচিন্তার প্রতি কি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছিলেন না রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ২০: ছবি বুঝতে হলে ‘দেখবার চোখ’-এর সঙ্গে তাকে বোঝার ‘অনেক দিনের অভ্যেস’
পর্ব ১৯: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথ কোন রংকে প্রাধান্য দিয়েছেন?
পর্ব ১৮: ছবি আঁকিয়ে রবিঠাকুরও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন
পর্ব ১৭: রবীন্দ্রনাথের নারী মুখমণ্ডলের সিরিজ কি কাদম্বরী দেবীর স্মৃতিজাত?
পর্ব ১৬: ট্যাক্স না দেওয়ায় রবীন্দ্রনাথের ছবি আটক করেছিল কাস্টমস হাউস
পর্ব ১৫: বাইরে সংযত রবীন্দ্রনাথ, ক্যানভাসে যন্ত্রণাদগ্ধ ছবিঠাকুর
পর্ব ১৪: অমৃতা শেরগিলের আঁকা মেয়েদের বিষণ্ণ অভিব্যক্তি কি ছবিঠাকুরের প্রভাব?
পর্ব ১৩: আত্মপ্রতিকৃতির মধ্য দিয়ে নতুন করে জন্ম নিচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ১২: আমেরিকায় কে এগিয়ে ছিলেন? ছবিঠাকুর না কবিঠাকুর?
পর্ব ১১: নন্দলাল ভেবেছিলেন, হাত-পায়ের দুয়েকটা ড্রয়িং এঁকে দিলে গুরুদেবের হয়তো সুবিধে হবে
পর্ব ১০: ১০টি নগ্ন পুরুষ স্থান পেয়েছিল রবীন্দ্র-ক্যানভাসে
পর্ব ৯: নিরাবরণ নারী অবয়ব আঁকায় রবিঠাকুরের সংকোচ ছিল না
পর্ব ৮: ওকাম্পোর উদ্যোগে প্যারিসে আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে যাচাই করেছিলেন রবি ঠাকুর
পর্ব ৭: শেষ পর্যন্ত কি মনের মতো স্টুডিও গড়ে তুলতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ৬: রবীন্দ্র চিত্রকলার নেপথ্য কারিগর কি রানী চন্দ?
পর্ব ৫: ছবি আঁকার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরলোকগত প্রিয়জনদের মতামত চেয়েছেন
পর্ব ৪: প্রথম ছবি পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ামাত্র শুরু হয়েছিল বিদ্রুপ
পর্ব ৩: ঠাকুরবাড়ির ‘হেঁয়ালি খাতা’য় রয়েছে রবিঠাকুরের প্রথম দিকের ছবির সম্ভাব্য হদিশ
পর্ব ২: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম ছবিটি আমরা কি পেয়েছি?
পর্ব ১: অতি সাধারণ কাগজ আর লেখার কলমের ধাক্কাধাক্কিতে গড়ে উঠতে লাগল রবিঠাকুরের ছবি
প্রথম সংখ্যাটি প্রকাশের সময় সম্পাদকের বক্তব্য ছিল কিঞ্চিৎ দ্বিধাজড়িত। একটি পৃথক গ্রন্থ হিসাবেই সংখ্যাটিকে ভাবছিলেন তাঁরা। সম্পাদকের নিবেদনে সেই সংশয় স্পষ্ট– ‘আগামীবারে এই বই আরও বিরাট আকারে বাহির করিবার ইচ্ছা রহিল।... তবে এর সাফল্যের সবটাই নির্ভর করিতেছে চিত্র-প্রিয়দের সহানুভূতির উপর।...’