মানুষ একনাগাড়ে ভূমি ও আকাশের দিকে চেয়ে থাকলে চেতনালব্ধ হয়। আমারও ভেতর থেকে কে যেন বলে উঠল, শরীরও একটা পোশাক মাত্র, অবয়ব ছাড়া আর মহৎ কিছু দান করেনি সে। নন্দিতা জয় করতে পেরেছে এই ছুৎমার্গ। কাজের জায়গায় যে সম্পূর্ণ নিবেদিত, একজন পারফর্মার তার ভঙ্গিটুকু নিয়ে মগ্ন থাকে, বাদবাকি কিছু নিয়ে সে চিন্তিত নয়। নন্দিতা যদি আমার সামনে এতগুলো চেঞ্জ করতে পারে, তাহলে আমিই বা ওর সামনে তোয়ালে পরে দাঁড়াতে পারব না কেন?
৩৭.
‘– অনিন্দ্য তুই শুভঙ্করের চরিত্রটা করবি প্লিজ?’
প্রশ্নটা শুনে হাতে চাঁদ নয় বরং সামনে খাদের প্রতিক্রিয়া মুখে। বলে কী! অ্যাক্টিং করব? পটলবাবু ফিল্মস্টার? ওহ্! ঋতুদার বলার ভঙ্গিতে অনেকটাই অনুনয়। আমি বিব্রত ভঙ্গিতে বললাম, ‘‘দ্যাখো ঋতুদা, আমি জানি তোমার ছবি মানে কতবড় একটা ব্যাপার, কিন্তু আমি তো একজন নন-অ্যাক্টর, যদি ঝুলিয়ে দি’, একটা কেলেঙ্কারি হবে!’ ঋতুদার গলায় পুরনো সুর, ‘সেটা তুই আমার ওপর ছাড়।’
কী যে আতান্তরে পড়লাম! আর তিন-চারদিন পরই ব্ল্যাকম্যাজিকে জয়েনিং, সদ্য পাওয়া একটা লোভনীয় চাকরি ছেড়ে সিনেমা করতে চলে যাব! ঋতুদা মনের ভাব বোঝার চেষ্টা করছিল। ‘তুমি একটা ব্যাপার বোঝো, আমি তো আর সারাজীবন অ্যাক্টিং করব না, বরং ডিরেকশনটা অনেক বেশি পছন্দের কাজ। একটা রোলের জন্য ব্ল্যাকম্যাজিকের চাকরিটা ছেড়ে দেব?’ ঋতুদা সিচুয়েশনটা বোঝার চেষ্টা করল। খানিক চুপ থেকে তারপর বলল, ‘তোকে চাকরি ছাড়তে হবে না, কেবল তিন মাস পরে জয়েন করবি, আমি অর্ঘ্যকে বলে দেব, ব্যস।’
………………………………………………………………………………..
নন্দিতা নামটা ব্রেনের ভেতর ঝিলমিল খেলে গেল। ‘ফায়ার’, ‘আর্থ’-এর নন্দিতা! তার তো ‘চোখের বালি’-তে বিনোদিনী করার কথা? তবে আগে ‘শুভ মহরৎ’ করবে। ‘রাঙাপিসিমা’ নামটা চেঞ্জ হয়ে গেছে। এইটা নতুন নাম। এতকিছু চেঞ্জের মাঝখানে মনে হচ্ছে যেন নাগরদোলা ঘুরছে। প্রচণ্ড টেনশন হচ্ছে, সিনেমা করব ভাবলেই। আবার মনের ভেতর একরাশ ফুরফুরে হাওয়া দিচ্ছে, নন্দিতার সঙ্গে আলাপ হবে ভেবে।
…………………………………………………………………………………
ব্যস মানে ব্যস! ভদ্র, সৌম্যদর্শন চরিত্র শুভঙ্করের ঘাড়ে, সেই মুহূর্ত থেকে একজন বেতাল অভিনেতা চেপে গেল। এসবের পরও আমি গাঁইগুঁই করছিলাম খানিক, ঋতুদা একটি অব্যর্থ টোপ ফেলল। ‘তোর এগেনস্ট-এ কে অভিনয় করবে জানিস?’, ‘বললে তো, জুন মালিয়া।’ ‘না, কাস্টিং বদলে গেছে। এখন করবে নন্দিতা দাশ।’
নন্দিতা নামটায় ব্রেনের ভেতর ঝিলমিল খেলে গেল। ‘ফায়ার’, ‘আর্থ’-এর নন্দিতা! তার তো ‘চোখের বালি’-তে বিনোদিনী করার কথা? তার আগে ‘শুভ মহরৎ’ করবে। ‘রাঙাপিসিমা’ নামটা চেঞ্জ হয়ে গেছে। এইটা নতুন নাম। এত কিছু চেঞ্জের মাঝখানে মনে হচ্ছে যেন নাগরদোলা ঘুরছে। প্রচণ্ড টেনশন হচ্ছে, সিনেমা করব ভাবলেই। আবার মনের ভেতর একরাশ ফুরফুরে হাওয়া দিচ্ছে, নন্দিতার সঙ্গে আলাপ হবে ভেবে। আমাদের বন্ধুবান্ধবরা সেসময় ঝাড়েবংশে প্রেমে পড়েছিল নন্দিতার। ওই চোখ, হাসি আর কমপ্লেকশন– না পড়ে কোনও উপায়ও ছিল না। সেই মেয়ের সঙ্গে অ্যাক্টিং করব কি না এই আমি? গর্বে বুক ফুলে ওঠার মুখেই কলেজজীবনের কমপ্লেক্স ফিরে এল। নন্দিতা আমার চেয়ে লম্বা নয়তো? পাশাপাশি পর্দায় দাঁড়ালে যদি বিচ্ছিরি লাগে, সবাই হাসে? খুশি আর দুশ্চিন্তা একসঙ্গে হলে যা হয়, একমাথা বোঝাই খুশ্চিন্তা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। এ-ও ভাবছিলাম, যদি অসম্ভব ধ্যাড়াই, তাহলে প্রথম দিনের শুটিং-এর পর ঋতুদা বদলে দেবে না তো? ব্ল্যাকম্যাজিক শিকেয় উঠল, আমার নিজের লাইফেই তখন কালাজাদু!
স্ক্রিপ্ট রিডিং-এর দিন পৌঁছলাম। রাজেশ শর্মার রোলটাও বদলে গিয়েছে, এখন ওই রোলটা করবে টোটা রায়চৌধুরি। সিনেমায় টোটা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও এমনিতে দারুণ বন্ধুত্ব হয়ে গেল চট করে। অসম্ভব ভদ্র, বিনীত একটি ছেলে, বড়পর্দায় হিরোদের যের’ম ইগো থাকে, এ মানুষ তার সম্পূর্ণ বিপরীত। চিত্রনাট্য শুনে খুবই ভালো লেগেছে সবার। এই হইচই-এর মধ্যে আমার প্রধান চিন্তা একটা সিন নিয়ে। তোয়ালে পরার দৃশ্যটিই মাথার ভেতর কুটকুট করছে। ঋতুদাকে আলাদা করে বলতে হবে, যদি ওটা বাদ দেয়। লজ্জার মাথা খেয়ে একসময় বলেই ফেললাম। ঋতুদা শুনে তো হাঁ! ‘আরে, ওটা তো অ্যাক্টিং! কী সুন্দর এমব্যারাসমেন্টটা বল তো!’ মানুষের বিড়ম্বনা সুন্দর তো হবেই। এমনিই আমার হাড়গিলে চেহারা নিয়ে একটু লজ্জা আছে, তায় আবার খালি গা-এর শট! আমি মন খুঁত খুঁত নিয়ে বসে রইলাম। ঋতুদা বলল, ‘তুই একটা কাজ কর, শুটিং শুরু হতে তো মাস তিনেক দেরি আছে, ততদিনে টোটার জিমে জয়েন কর।’ আমি যাব জিম! ক’দিন আগে আমিই ব্যঙ্গ করে লিখেছি, ‘জিমে না গেলে, হবে না ভালো ছেলে’– সেই আমি কি না…। আমার সংশয় কাটাতে সাহায্য করল ঋতুদা, নিজের প্রয়োজনে যাস না, শুভঙ্করের প্রয়োজনে যা। মাথাটা রাগে গনগন করছে। খেলাটায় নাম না লেখালেই ভালো ছিল। তাহলে বাইকটাও শিখতে হবে না কি? শিখে নিলে ভালো, তোরই সুবিধে। একডুব ঘোলাজলে দাঁড় করিয়ে ঋতুদা গটগট করে হেঁটে বেরিয়ে গেল। টোটা কানের সামনে মুখ এনে বলল, ‘‘কোনও চিন্তা কোরো না অনিন্দ্য, আমি হেল্প করব তোমায়। তুমি সকালটার দু’ঘণ্টা আমায় দাও। হয়ে যাবে।’’ আজ ফিরে তাকালে টোটার কথাগুলো আশ্চর্য মনে হয়। যে নিজে প্রথম ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি করতে চলেছে, সে অচেনা এক সহ-অভিনেতার তৈরি হওয়া নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। টোটার জিমে যাওয়া বা বাইক না-শেখার গল্প পরে হবে। একটু নন্দিতায় ফিরি।
ঋতুদা জানত, নন্দিতার কীর’ম ফ্যান আমি। ফলে আমায় বলে রেখেছিল, যেদিন কলকাতা আসবে, সেদিনই আলাপ করিয়ে দেবে। ফলে সত্যি যেদিন পালে বাঘ পড়ল, একটুও দেরি না করে পৌঁছে গিয়েছিলাম তাসের ঘর। নন্দিতা আসার আগে পৌঁছে গিয়েছিলাম বলে একটু হাসাহাসিও হয়েছিল। প্রথম দেখি মেরুন টি-শার্ট, জিন্সে। এত সহজ, স্মার্ট, স্বাভাবিক, মাথা-ফাতা ঘুরে যাওয়ার মতো ব্যাপার! আমি অভিনয় করছি শুনে, জিজ্ঞেস করল আগের অভিজ্ঞতা। আমি বললাম, ‘শুধু তোমারই নই তোমার বাবার (শিল্পী যতীন দাস) কাজেরও বড় ভক্ত আমি।’ খোশগল্প জমে ওঠায় বিরক্ত হয়ে উঠল ঋতুদা। ‘যে কাজের জন্য আসা, সেটা আগে কর।’ এই রে, আমার তো পুরোটাই অকাজ। বোঝা গেল, নন্দিতা এসেছে কস্টিউম ট্রায়াল দিতে। পোশাকগুলো রয়েছে ঋতুদার ম্যাজেনাইন ঘরে, একে একে সেগুলো পরে নন্দিতা দেখাবে ঋতুদাকে। পরিচালক দেখে নেবে নায়িকাকে কাট বা রংগুলোয় মানাচ্ছে কি না! নন্দিতা চলে গেল প্রথম পোশাক পাল্টাতে। নেমে এল একটা হলুদ টপ আর জিন্স পরে। ঋতুদা মুগ্ধ হয়ে একদৃষ্টে তাকিয়ে বলল, ‘বাহ্, এই তো আমার মল্লিকা।’ আমার দিকে ফিরে বলল, ‘দারুণ লাগছে না?’ মুখের ভাব, মনের উচ্ছ্বাস যতটা সম্ভব সংযত রেখে বললাম, তা তো বটেই। এই পর্বটা এবার টানা চলতে লাগল। নন্দিতা নিজেই গিয়ে চেঞ্জ করে আসে, ঋতুদা ছেলেমানুষের ভঙ্গি নিয়ে খুশি প্রকাশ করে, বোকার মতো ‘তা তো বটেই’ হাসি। ঝঞ্ঝাটটা পাকল বেশ কিছুক্ষণ পর।
নন্দিতা বলল, ‘ঋতুদা, জিন্সটা তো একই থাকছে, শুধু টপটা– তাহলে বারবার ওপরে যাব কেন?’ হক কথা। ঋতুদাও মাথা নাড়ল। ‘তোর অসুবিধে না থাকলে এখানেই ছেড়ে নে।’ ‘অ্যাম ফাইন’, জানাল নন্দিতা। দেখলাম, তৃতীয় কোনও ব্যক্তির মত-অমত নিয়ে ওদের দু’জনেরই কোনও চিন্তা নেই। আমি তড়িঘড়ি উঠে দাঁড়াতে গেলাম, ঋতুদা ইশারায় বসতে বলল। ভাবখানা এমন, ক্যাবলামি করিস না। কী আর করা? আমি যথাসম্ভব দৃষ্টি মাটির দিকে রেখে, উবু দশ কুড়ি তিরিশ চল্লিশ গুনতে লাগলাম, নন্দিতাও কাছাকাছি স্পিডে আরও ২৪-২৫টা পোশাক ক্রমান্বয়ে ছাড়তে ও পরতে লাগল। ঋতুদার প্রশংসাসূচক উচ্ছ্বাস লাগাতার চলল, দু’-একটা কঠিন পাস আমার দিকে ‘দারুণ লাগছে না?’ আমি বেশি বেশি করে মাথা নেড়ে নিদারুণ পরিস্থিতিকে লাঘব করতে চাইছিলাম। মানুষ একনাগাড়ে ভূমি ও আকাশের দিকে চেয়ে থাকলে চেতনালব্ধ হয়। আমারও ভেতর থেকে কে যেন বলে উঠল, শরীরও একটা পোশাক মাত্র, অবয়ব ছাড়া আর মহৎ কিছু দান করেনি সে। নন্দিতা জয় করতে পেরেছে এই ছুৎমার্গ। কাজের জায়গায় যে সম্পূর্ণ নিবেদিত, একজন পারফর্মার তার ভঙ্গিটুকু নিয়ে মগ্ন থাকে, বাদবাকি কিছু নিয়ে সে চিন্তিত নয়। নন্দিতা যদি আমার সামনে এতগুলো চেঞ্জ করতে পারে, তাহলে আমিই বা ওর সামনে তোয়ালে পরে দাঁড়াতে পারব না কেন? ওকে, চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে শরীর দেখাতে আমি অরাজি নই আর।
…ঋইউনিয়ন-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩৬। আমার ডিটেকটিভ একজন মহিলা, বলেছিল ঋতুদা
পর্ব ৩৫: চন্দ্রবিন্দুর কোনও কাজ কি নির্বিঘ্নে হবে না!
পর্ব ৩৪: বিলক্ষণ বুঝতে পারছি, চ অ্যালবামটা মাথা খাচ্ছে ঋতুদার
পর্ব ৩৩: হাতে মাইক আর হাতে বন্দুক– দুটোই সমান বিপজ্জনক!
পর্ব ৩২: ‘চ’ রিলিজের সময় শঙ্খবাবু আমাকে দু’টি কড়া শর্ত দিয়েছিলেন
পর্ব ৩১: ত্বকের যত্ন নিন সেক্সিস্ট গান, বলেছিল ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ৩০: বাতিল হওয়া গান শোনাতে কার ভালো লাগে?
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৯: সামান্য দরকার থাকলেই মাথাখারাপ করে দিত ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৮: পত্রিকার ক্যাচলাইনের মতোই এডিটরের মুডও ক্ষণে ক্ষণে পাল্টায়
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৭: জয়দেব বসু ছাড়া আর কেই বা ছিল কলকাতার সঙ্গে মানানসই?
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৬: পাহাড় থেকে নেমে আসার আগে মিঠুনদা একদিন রান্না করে খাওয়াবেন– খবরটা চাউর হয়ে গেল
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৫: মেঘে ডুবে গেল শুটিং ইউনিট, শুরু হল গোধূলি সন্ধির গীতিনাট্য
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৪: মিঠুনদার উত্তাল সত্তরের গল্পে আমাদের অলিগলি মুখস্ত হয়ে যেত
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৩: প্রথম টেকে মিঠুনদা ফলস খেলেন!
ঋইউনিয়ন পর্ব ২২: মানুষ কালীভক্ত হয়, ঋতুদা শুধু লি ভক্ত
ঋইউনিয়ন পর্ব ২১: শুনলাম কঙ্কনা না কি খুবই নার্ভাস, ‘ঋতুমামা’র ছবি করবে বলে
ঋইউনিয়ন পর্ব ২০: ইউনিটে একটা চাপা উত্তেজনা, কারণ মিঠুন চক্রবর্তীর আসার সময় হয়ে গিয়েছে
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৯: যে সময় ‘তিতলি’র শুটিংকাল, তখন পাহাড়ে ঘোর বর্ষা
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৮: চিত্রনাট্য পড়ে শোনাল ঋতুদা, কিন্তু ‘চোখের বালি’র নয়
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৭: তুই কি অ্যাসিস্ট করতে পারবি আমায় ‘চোখের বালি‘তে?
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৬: লিরিক নিয়ে ভয়ংকর বাতিক ছিল ঋতুদার
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৫: জীবনের প্রথম চাকরি খোয়ানোর দিনটি দগদগে হয়ে রয়েছে
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৪: উত্তমের অন্ধকার দিকগুলো প্রকট হচ্ছিল আমাদের কাটাছেঁড়ায়
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৩: সুপ্রিয়া-উত্তমের কন্যাসন্তান হলে নাম ভাবা হয়েছিল: ভ্রমর
ঋইউনিয়ন পর্ব ১২: ধর্মতলায় ঢিল ছুড়লে যে মানুষটার গায়ে লাগবে, সে-ই উত্তম ফ্যান
ঋইউনিয়ন পর্ব ১১: পার্ক স্ট্রিট ছিল আমার বিকেলের সান্ত্বনা, একলা হাঁটার রাজপথ
ঋইউনিয়ন পর্ব ১০: পরিচালক হলে খিস্তি দিতে হয় নাকি!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৯: সেই প্রথম কেউ আমায় ‘ডিরেক্টর’ বলল
ঋইউনিয়ন পর্ব ৮: শুটিং চলাকালীনই বিগড়ে বসলেন ঋতুদা!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৭: ঋতুদা আর মুনদির উত্তেজিত কথোপকথনে আমরা নিশ্চুপ গ্যালারি
ঋইউনিয়ন পর্ব ৬: মুনমুন সেনের নামটা শুনলেই ছ্যাঁকা খেতাম
ঋইউনিয়ন পর্ব ৫: আমার পেশার জায়গায় লেখা হল: পেশা পরিবর্তন
ঋইউনিয়ন পর্ব ৪: লাইট, ক্যামেরা, ফিকশন, সব জ্যান্ত হয়ে ওঠার মুহূর্তে ঋতুদার চিৎকার!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৩: রবীন্দ্রনাথকে পার করলে দেখা মিলত ঋতুদার
ঋইউনিয়ন পর্ব ২: ‘চন্দ্রবিন্দু’র অ্যালবামের এরকম সব নাম কেন, জানতে চেয়েছিলেন ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ১: নজরুল মঞ্চের ভিড়ে কোথায় লুকিয়ে ছিলেন ঋতুপর্ণ?