ঐতিহ্যরক্ষার প্রশ্ন বাদ দিলেও এরকম নাম পরিবর্তনের ঘটনা রাশিয়ার ইতিহাসে নতুন নয়। এর প্রাথমিক দৃষ্টান্ত আজকের সাংক্ত পেতের্বুর্গ। ১৭০৩ সালে জার মহামতি পিয়োতর যখন এই শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তার নাম সাংক্ত পেতের্বুর্গই ছিল। সম্রাট শহরটিকে তাঁর সমনামী সেন্ট পিটারের নামে উৎসর্গ করেন– তাই তার এই নাম। ১৯১৪ সাল পর্যন্ত এই নামই ছিল, কিন্তু ১৯১৪ সালে পিয়োতরের নামে পেত্রোগ্রাদ (পিয়োতর + গ্রাদ– শহর) বা পিয়োতরের শহর নামে আখ্যাত হয়। লেনিনের মৃত্যুর পর ১৯২৪ সালে তাঁর সম্মানে লেনিনগ্রাদ বা লেনিনের শহর নামে অভিহিত হয়। নয়া জমানায় তার আদি নাম সাংক্ত পেতের্বুর্গ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
৫৩.
নামান্তরের গোলকধাঁধায়
পিতৃভূমির মহাযুদ্ধে ফ্যাসিস্ট জার্মানির বিরুদ্ধে বিজয়ের (১৯৪৫-এর ৯ মে) ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপনের প্রাক্কালে, ১৯৯৫-এর মে মাসে রাশিয়ার পার্লামেন্ট তথা রাষ্ট্রীয় দুমার কমিউনিস্ট সদস্যরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চূড়ান্ত ভাগ্যনির্ধারণকারী অন্যতম যুদ্ধক্ষেত্র স্তালিনগ্রাদের নাম ফিরেয়ে দেওয়ার একটা প্রস্তাব পার্লামেন্টে এনেছিল। প্রস্তাবটি ৬৬-৪৪ ভোটে অগ্রাহ্য হয়। কমিউনিস্ট পার্টির জনৈক সদস্য ও সাংসদের কথায়: ‘শহরটি এমন একজন ব্যক্তির নামে নামাঙ্কিত যিনি সেই জয় সুনিশ্চিত করেছিলেন।’
স্মরণ করা যেতে পারে, ১৯৫৬ সালে খ্রুশশ্যোভ যখন স্তালিনের অবদমন নীতিকে ধিক্কার জানান তার অব্যবহিত পরেই সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ ‘স্তালিনগ্রাদ’-এর নাম ‘ভোল্গগ্রাদ’-এ রূপান্তরিত করেন। ভোল্গগ্রাদের আদিনাম অবশ্য ছিল ত্সারিৎসিন। কিন্তু স্তালিন ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর ১৯২৫ সালে তাঁর সম্মানে শহরের নাম স্তালিনগ্রাদ রাখা হয়েছিল।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ঐতিহ্যরক্ষার খাতিরে দেশের বিভিন্ন স্থানের পুরনো নাম ফিরিয়ে দেওয়ার যে নীতি গৃহীত হয় সেই অনুসারে এখন ওই শহরের নাম ভোল্গগ্রাদও নয়– ত্সারিৎসিন। এর ফলে অদ্ভুত অদ্ভুত সব পরিস্থিতির এবং অসংগতির সৃষ্টি হয়েছে। শহরের নাম এখন যাই হোক না কেন, ইতিহাসের পাতায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সেই মোড় বদলকারী ঘটনাকে ‘স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধ’ বলেই উল্লেখ করতে হয়েছে।
মস্কো শহরেই ‘লেনিন লাইব্রেরি’ নামে একটা মেট্রো স্টেশন আছে, কিন্তু যে ‘লেনিন লাইব্রেরি’-র নামে ওই মেট্রো স্টেশন সেই ‘লেনিন লাইব্রেরি’ আর নেই, অর্থাৎ আছে কিন্তু সেটা আর লেনিন নামাঙ্কিত নয়– স্রেফ ‘জাতীয় গ্রন্থাগার’, যা ছিল তার আদিনাম। অথচ ওই ইতিহাসেরই খাতিরে মেট্রো স্টেশনের নাম পালটানো গেল না, কেন না স্টেশনটি তৈরিই হয়েছিল সোভিয়েত আমলে এবং তার ওই নামও তখনই দেওয়া হয়েছিল।
অবশ্য ঐতিহ্যরক্ষার প্রশ্ন বাদ দিলেও এরকম নাম পরিবর্তনের ঘটনা রাশিয়ার ইতিহাসে নতুন নয়। এর প্রাথমিক দৃষ্টান্ত আজকের সাংক্ত পেতের্বুর্গ। ১৭০৩ সালে জার মহামতি পিয়োতর যখন এই শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তার নাম সাংক্ত পেতের্বুর্গই ছিল। সম্রাট শহরটিকে তাঁর সমনামী সেন্ট পিটারের নামে উৎসর্গ করেন– তাই তার এই নাম। ১৯১৪ সাল পর্যন্ত এই নামই ছিল, কিন্তু ১৯১৪ সালে পিয়োতরের নামে পেত্রোগ্রাদ (পিয়োতর + গ্রাদ– শহর) বা পিয়োতরের শহর নামে আখ্যাত হয়। লেনিনের মৃত্যুর পর ১৯২৪ সালে তাঁর সম্মানে লেনিনগ্রাদ বা লেনিনের শহর নামে অভিহিত হয়। নয়া জমানায় তার আদি নাম সাংক্ত পেতের্বুর্গ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এখানেও একটি অসংগতি রয়ে গেছে। লেনিনগ্রাদ নেই ঠিকই, কিন্তু বৃহত্তর পেতের্বুর্গ নিয়ে এককালের যে লেনিনগ্রাদ তার নাম লেনিনগ্রাদ প্রদেশেই রয়ে গেছে, যেহেতু ওই নামে প্রদেশটি গঠিতই হয়েছিল সোভিয়েত আমলে।
কিন্তু রাশিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে বহু দূরবর্তী এবং বিচ্ছিন্ন, পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার দ্বারা পরিবেষ্টিত ১৫,০০০ বর্গমিটার আয়তন বিশিষ্ট বাল্টিক তীরবর্তী ছিটমহল কালিনিনগ্রাদের ইতিহাস আরও জটিল। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এই শহরের নাম ছিল ক্যোনিসবের্গ। জার্মান দার্শনিক কান্টের জন্মস্থান ও কর্মক্ষেত্র। তিনি ক্যোনিসবের্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। এখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর সমাধিস্থলও এখানে। তিনি পেতের্বুর্গ বিজ্ঞান আকাদেমির সদস্যও ছিলেন। ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত পূর্ব রাশিয়ার বন্দর ছিল এই শহর। ১৯৪৬ সালে সোভিয়েত রাষ্ট্রের অন্যতম কর্ণধার কালিনিনের মৃত্যুর পর তাঁর সম্মানে এই শহরের নাম কালিনিনগ্রাদ রাখা হয়। কিন্তু এখন আর পুরনো জার্মান নাম ফিরিয়ে দেওয়ার উপায় নেই। তাই কালিনিনগ্রাদই রয়ে গেছে। এখানে ইতিহাস অসহায়।
মস্কো, ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৯২। চারপাশের রাস্তাঘাট আর মহল্লার নাম ইদানীং এত পালটাচ্ছে যে, আমার নিজের বাসায় যাবার সঠিক পথ কাউকে বাতলাতে গেলে নিজেকেই বেশ থতমত খেতে হবে, আবার যাকে বলব সেও বুঝতে পারবে কি না ভেবে দেখতে হবে। রাস্তাঘাট বা মহল্লা এমনকী শহরেরও ঘন ঘন নাম পরিবর্তন এদেশে অবশ্য একেবারে নতুন নয়। আমি যে এলাকায় বাস করি ব্রেজনেভের মৃত্যুর পর তার নাম হয়ে গেল ব্রেজেনেভ-পল্লি। আবার বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হল তার পুরানো নাম।
কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে নাম বদলের যেন হিড়িক পড়ে গেছে! ইতিহাসের প্রতি সুবিচার চাই– এই রব তুলে মস্কো শহরের রাস্তাঘাট-অলিগলি-পার্ক স্কোয়ার– এমনকী পাতালরেলের স্টেশনেরও নাম বদল করা চলছে– তাদের পুরানো নাম ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন শুধু বাইরের লোক নয়, মস্কোর মূল বাসিন্দারা পর্যন্ত ধাঁধায় পড়ে যায়।
ইতিহাসের মর্যাদা-দানের প্রসঙ্গ পেরেস্ত্রৈকার প্রথম পর্বেই উঠেছিল। তখন দু’-চারটি নাম বদল হয়েছিল। গত আগস্ট মাসে ওই একই অজুহাতে পাল্টানো হল গোর্কি স্ট্রিটের নাম– হল তভেরস্কায়া। পথটা চলে গেছে প্রাচীন ত্ভের শহরের দিকে, তার নাম হয়েছিল কালিনিন স্ট্রিট। ইদানীং আবার হয়েছে ত্ভের। ভোল্গা তীরের শহর গোর্কি ফিরে পেয়েছে তার পুরানো নাম নিঝনি নোভগোরদ। কুইবিশেভ-সামারা। কিন্তু খোদ মস্কো শহরের সবচেয়ে বড় রাস্তা লেনিন এভিনিউ, তার নাম কিন্তু বদলানো সম্ভব হয়নি, কেন-না ওই নামের সড়কটি তৈরি হয়েছিল সোভিয়েত আমলে।
লেনিনাবাদ, লেনিনাকান, লেনিনগ্রাদ– আর মানচিত্রে দেখতে পাওয়া যাবে না এসব শহর। লেনিনগ্রাদের নাম পরিবর্তন করা হয় গণভোটের মাধ্যমে। তার আগে বছর খানেক ধরে লেনিনগ্রাদ নামটাকে এখানকার পত্রপত্রিকায় ও অন্যান্য গণমাধ্যমের উল্লেখ করা হত পিটারের শহর নামে। ট্রানজিশন–এর সময় একবার তো দূরদর্শনের জনৈক ভাষ্যকার শহরটাকে কী নামে উল্লেখ করবে বুঝে না পেরে থতমত খেয়ে তাকে অবরুদ্ধ শহর নামে উল্লেখ করে বসলেন– অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ৯০০ দিন অবরোধের সময় যে নামে অনেক সময় উল্লেখ করা হত!
………………………………………
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
………………………………………
কিন্তু এইভাবে ইতিহাসের অজুহাত দিয়ে আর কতদূর পার হওয়া যায়? ২৩ ফেব্রুয়ারি লাল ফৌজের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ঘটা করে সোভিয়েত ইউনিয়নে উদযাপিত হত। কিন্তু এখন? এখনও উদযাপিত হয়, তবে তার নাম এখন অন্য: ‘রেড আর্মি ডে নয়– পিতৃভূমির রক্ষীবাহিনী দিবস’– লাল পতাকা থাকলে চলবে না। কবে সেই বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হল, তার কোনও জবাব নেই।
…পড়ুন রুশকথা-র অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৫২। মস্কোর আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের মিছিলে ভারতের পতাকা থাকবে না-ই বা কেন?
পর্ব ৫১। পত্র-পত্রিকায় ঘোষণা করা হল কাস্ত্রো আসছেন, তবে ইনি মেক্সিকোর সোপ অপেরা স্টার
পর্ব ৫০। খোলা হাওয়ায় মানুষের আর কোনও কিছু নিয়েই চিন্তা নেই, অন্ন চিন্তা ছাড়া
পর্ব ৪৯। সোভিয়েত-মুক্ত রাশিয়াকে কে রক্ষা করবে?
পর্ব ৪৮। বর্ষশেষে মানুষ পেল দারিদ্র, এখন লোকে ধার-দেনা করে চা-কফি খাওয়া শুরু করেছে
পর্ব ৪৭। মুক্ত দিনে ব্যালের দেশ রাশিয়ায় ‘আধুনিক ব্যালে’ শেখাতে আসছে ক্যালিফোর্নিয়ার ট্রুপ
পর্ব ৪৬। অক্টোবর বিপ্লবের উচ্ছ্বাস কোনও দেশে কমলে, অন্য দেশে বাড়তে থাকে
পর্ব ৪৫। ‘অক্টোবর বিপ্লব দিবস’ আর পালিত হবে না, পালিত হবে বড়দিন– চোখের সামনে বদলে যাচ্ছিল সোভিয়েত
পর্ব ৪৪। রাজনীতিতে অদূরদর্শিতার ফল যে কত সুদূরপ্রসারী, তার প্রমাণ আফগানিস্তান
পর্ব ৪৩। জানলা দিয়ে পূর্ব জার্মানি দেখতে দেখতে গর্বাচ্যোভ বলেছিলেন, তাহলে এখানেই শেষ!
পর্ব ৪২। পেরেস্ত্রৈকা শুরু হলে বুঝেছিলাম ‘প্রগতি’ ‘রাদুগা’– এসব কিছুই থাকবে না
পর্ব ৪১। কল্পনা যোশীর তুলনায় ইলা মিত্রকে অনেক বেশি মাটির কাছাকাছি বলে মনে হয়েছে
পর্ব ৪০। বেসরকারিকরণের শুরু দিকে রাস্তাঘাটে ছিনতাই বেড়ে গেছিল, কারণ সব লেনদেন নগদে হত
পর্ব ৩৯। হাওয়া বদলের আঁচ অনেকেই আগে টের পেয়েছিল, বদলে ফেলেছিল জীবনযাত্রা
পর্ব ৩৮। শুধু বিদেশে থাকার জন্য উচ্চশিক্ষা লাভ করেও ছোটখাটো কাজ করে কাটিয়ে দিয়েছেন বহু ভারতীয়
পর্ব ৩৭। একটা বিদেশি সাবানের বিনিময়েও নাকি মস্কোয় নারীসঙ্গ উপভোগ করা যায়– এমনটা প্রচার করেছে ভারতীয়রা
পর্ব ৩৬। মস্কোর ঠান্ডায় লঙ্কা গাছ দেখে পি.সি. সরকার বলেছিলেন, ‘এর চেয়ে বড় ম্যাজিক হয় নাকি?’
পর্ব ৩৫। রুশদের কাছে ভারত ছিল রবীন্দ্রনাথের দেশ, হিমালয়ের দেশ
পর্ব ৩৪। সোভিয়েত শিক্ষায় নতুন মানুষ গড়ে তোলার ব্যাপারে একটা খামতি থেকে গিয়েছিল
পর্ব ৩৩। দিব্যি ছিলাম হাসপাতালে
পর্ব ৩২। মস্কোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সাধারণ ডাক্তাররা অধিকাংশই মহিলা ছিলেন
পর্ব ৩১। আমার স্ত্রী ও দুই কন্যা নিজভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছিল শুধু আমার জন্য
পর্ব ৩০। শান্তিদা কান্ত রায়ের প্রিয় কাজ ছিল মস্কোয় ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের কমিউনিজম পড়ানো
পর্ব ২৯। পেরেস্ত্রৈকার শুরু থেকেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন গোপেনদা
পর্ব ২৮। দেশে ফেরার সময় সুরার ছবি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাননি গোপেনদা
পর্ব ২৭। বিপ্লবের ভাঙা হাট ও একজন ভগ্নহৃদয় বিপ্লবী
পর্ব ২৬। ননী ভৌমিকের মস্কোর জীবনযাত্রা যেন দস্তইয়েভস্কির কোনও উপন্যাস
পর্ব ২৫। ননীদা বলেছিলেন, ডাল চচ্চড়ি না খেলে ‘ধুলোমাটি’র মতো উপন্যাস লেখা যায় না
পর্ব ২৪। মস্কোয় শেষের বছর দশেক ননীদা ছিলেন একেবারে নিঃসঙ্গ
পর্ব ২৩। শেষমেশ মস্কো রওনা দিলাম একটি মাত্র সুটকেস সম্বল করে
পর্ব ২২। ‘প্রগতি’-তে বইপুথি নির্বাচনের ব্যাপারে আমার সঙ্গে প্রায়ই খিটিমিটি বেধে যেত
পর্ব ২১। সোভিয়েতে অনুবাদকরা যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করত, সে দেশের কম মানুষই তা পারত
পর্ব ২০। প্রগতি-র বাংলা বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে ননীদাই শেষ কথা ছিলেন
পর্ব ১৯। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি খুব ভালো রুশভাষা জানতেন, প্রমথনাথ বিশী সাক্ষী
পর্ব ১৮। লেডি রাণু মুখার্জিকে বাড়ি গিয়ে রুশ ভাষা শেখানোর দায়িত্ব পড়েছিল আমার ওপর
পর্ব ১৭। একদিন হঠাৎ সুভাষদা আমাদের বাড়ি এসে উপস্থিত ফয়েজ আহমেদ ফয়েজকে নিয়ে
পর্ব ১৬। মুখের সেই পরিচিত হাসিটা না থাকলে কীসের সুভাষ মুখোপাধ্যায়!
পর্ব ১৫। রুশ ভাষা থেকেই সকলে অনুবাদ করতেন, এটা মিথ
পর্ব ১৪। মস্কোয় ননীদাকে দেখে মনে হয়েছিল কোনও বিদেশি, ভারতীয় নয়
পর্ব ১৩। যিনি কিংবদন্তি লেখক হতে পারতেন, তিনি হয়ে গেলেন কিংবদন্তি অনুবাদক
পর্ব ১২। ‘প্রগতি’ ও ‘রাদুগা’র অধঃপতনের বীজ কি গঠনপ্রকৃতির মধ্যেই নিহিত ছিল?
পর্ব ১১। সমর সেনকে দিয়ে কি রুশ কাব্যসংকলন অনুবাদ করানো যেত না?
পর্ব ১০। সমর সেনের মহুয়ার দেশ থেকে সোভিয়েত দেশে যাত্রা
পর্ব ৯। মস্কোয় অনুবাদচর্চার যখন রমরমা, ঠিক তখনই ঘটে গেল আকস্মিক অঘটন
পর্ব ৮: একজন কথা রেখেছিলেন, কিন্তু অনেকেই রাখেননি
পর্ব ৭: লেনিনকে তাঁর নিজের দেশের অনেকে ‘জার্মান চর’ বলেও অভিহিত করত
পর্ব ৬: যে-পতাকা বিজয়গর্বে রাইখস্টাগের মাথায় উড়েছিল, তা আজ ক্রেমলিনের মাথা থেকে নামানো হবে
পর্ব ৫: কোনটা বিপ্লব, কোনটা অভ্যুত্থান– দেশের মানুষ আজও তা স্থির করতে পারছে না
পর্ব ৪: আমার সাদা-কালোর স্বপ্নের মধ্যে ছিল সোভিয়েত দেশ
পর্ব ৩: ক্রেমলিনে যে বছর লেনিনের মূর্তি স্থাপিত হয়, সে বছরই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার সূচনাকাল
পর্ব ২: যে দেশে সূর্য অস্ত যায় না– আজও যায় না
পর্ব ১: এক প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে রাশিয়ার খণ্ডচিত্র ও অতীতে উঁকিঝুঁকি