মেঘলা সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথের সেই দীর্ঘ অচেতন অবস্থা, ডাক্তারি ভাষায় কোমায় চলে যাওয়া। সেদিনের সেই অচৈতন্য অবস্থা থেকে স্বাভাবিক জ্ঞান ফিরে আসতে প্রায় দিন চার-পাঁচ লেগে যায়। অসুস্থ অবস্থায় রবীন্দ্রনাথের হাতে রচিত হয়েছে এক আলোকিত নিসর্গের ছবি। ভোরের আলোর গানে পূর্ণ করে দেওয়া এক আশ্চর্য সকালের চিত্রিত প্রতিমা। গভীর অচেতন থেকে জেগে উঠে আশপাশের সবাইকে অবাক করে তিনি হাতে তুলে নিলেন রং-তুলি।
৩৬.
সময়টা ১৯৩৭-এর সেপ্টেম্বর, বর্ষা ফুরিয়ে এলেও পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। সেদিন বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নেমেছে, উদয়নের বারান্দায় বসে আছেন রবীন্দ্রনাথ। হঠাৎ আকাশে মেঘ করে এল। তাঁকে ঘিরে আছেন সুনন্দা, সুধাকান্ত ও ক্ষিতিমোহন সেনের স্ত্রী কিরণবালা দেবী। মুখে মুখে বানিয়ে গল্প বলা কবির বহুদিনের অভ্যেস, সেদিনও তাই চলেছে। একটা দীর্ঘ গল্প অনেকটা বলার পর ভেজা বাতাসে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে বলে ঘরে গিয়ে বসেছেন। তারপর আর কিছুই মনে নেই তাঁর। কিছুদিন বাদে হেমন্তবালা দেবীকে লিখছেন, ‘…একটা দীর্ঘ গল্প শুনিয়ে তার পরে বাদলা বাতাস ঠান্ডা বোধ হওয়াতে ঘরে গিয়ে কেদারাতে বসেছিলুম, শরীরে কোনো প্রকার কষ্ট বোধ করি নি, অন্তত মনে নেই; কখন মূর্ছা এসে আক্রমণ করল কিছুই জানি নে’। পরে ঘটনাটির বিবরণ দিয়ে কিরণবালা দেবী পুলিনবিহারী সেনকে জানিয়েছেন, ‘কথা হচ্ছিল, তিনি আগে কারো কারো অনুরোধে তখন তখনই বানিয়ে মুখে গল্প বলেছেন কত। এখন আর সে শক্তি নাই। মুখে মুখে তৈরি করে তখনই গল্প বলতে পারেন না এখন। বলেছিলাম কেন পারবেন না। একটা গল্প বলুন। আমরা শুনতে চাই। তারপর একটা গল্প আরম্ভ করলেন। বেশ খানিকটা বলে শেষের দিকে বললেন আজ এই পর্যন্ত থাক। গল্পের শেষ দিকটা কাল আবার বলব। তারপর তিনি শুতে যাবার জন্য ঘরে গেলেন।… অল্প পরেই খবর এল যে গুরুদেব অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন’।
সেদিনের সেই বলতে বলতে অসুস্থ হয়ে যাওয়া রবীন্দ্রনাথের মুখের গল্প পরে ‘গল্পসল্প’ বইতে ‘চন্দনী’ নামে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেও রয়েছে সেদিনের বর্ণনা, ‘গল্পসল্প’-এর লেখা শুরু হয়েছে এমনি ভাবে, ‘জানোই তো সেদিন কী কাণ্ড। একেবারে তলিয়ে গিয়েছিলুম আর-কি, কিন্তু তলায় যে ফুটো হয়েছে তার কোনো খবর পাওয়া যায় নি। না মাথা ধরা, না মাথা ঘোরা, না গায়ে কোথাও ব্যথা, না পেটের মধ্যে একটুও খোঁচাখুঁচির তাগিদ। যমরাজার চরগুলি খবর আসার সব দরজাগুলো বন্ধ করে ফিস ফিস করে মন্ত্রণা করছিল। এমন সুবিধে আর হয় না। ডাক্তারেরা কলকাতায় নব্বই মাইল দূরে। সেদিনকার এই অবস্থা।… মনে মনে তখন রাজপুতনা থেকে গল্প তলপ করতে আরম্ভ করেছি। খানিকটা কাশলুম। একবার বললুম, রোসো, একবার একটুখানি দেখে আসি কে যেন এল। কেউ আসে নি। শেষলে বসতে হল। যমদূতগুলো মোটের উপরে হাঁদা। একটু নড়তে গেলেই ধুপধাপ করে শব্দ করে, আর তাদের শেলশূল-ছুরিছোরাগুলো ঝনঝনিয়ে ওঠে। সেদিন কিন্তু একেবারে নিঃশব্দ।’
মেঘলা সন্ধ্যায় তাঁর সেই দীর্ঘ অচেতন অবস্থা, ডাক্তারি ভাষায় কোমায় চলে যাওয়ার পূর্বাভাসকে রবীন্দ্রনাথ এমন রূপকথার মতো করে বর্ণনা করলেও সেদিনের সেই অচৈতন্য অবস্থা থেকে স্বাভাবিক জ্ঞান ফিরে আসতে প্রায় দিন চার-পাঁচ লেগে যায়। ‘চন্দনী’ গল্পের শেষে তাকেও বেশ রসিয়ে বলতে ছাড়েন নি তিনি। ‘…তার পরে বরাবরকার অভ্যাসমতো শোবার ঘরের কেদারায় গিয়ে বসলুম। বাদলার হাওয়া বইছিল। বৃষ্টি হবে হবে করছে। সুধাকান্ত দেখতে এলেন, দরজা জানালা ঠিকমত বন্ধ আছে কি না। এসে দেখলেন, আমি কেদারায় বসে আছি। ডাকলেন, কোনো উত্তর নেই। স্পর্শ করে বললেন, ঠাণ্ডা হাওয়া দিচ্ছে, চলুন বিছানায়। কোনো সাড়া নেই। তার পরে চৌষট্টি ঘণ্টা কাটল অচেতনে।’ সে এক হুলস্থুল অবস্থা, রাত্রের দিকে বোলপুর থেকে কলকাতায় যাবার তখন কোনও ট্রেন নেই। রাতদুপুরে পায়ে হেঁটে বহুদূর গিয়ে গাড়ির ব্যবস্থা করতে হল। অবশেষে কলকাতা পৌঁছে সেখান থেকে প্রখ্যাত চিকিৎসক নীলরতন সরকারকে নিয়ে এলে তিনি সেবারের মতো কবির অবস্থা সামলে দিলেন। লক্ষ করলে দেখা যাবে, তখনকার কাব্যগ্রন্থ ‘প্রান্তিক’-এর কবিতায় বারে বারে ছায়া পড়েছে সেই সময়ের, সে বইয়ের প্রায় সমস্ত কবিতা ওই সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে ফিরে আসার অব্যবহিত পরে লেখা। ছাপার অক্ষরে মুদ্রিত কবিতার শব্দমালার আড়ালে ধরা থাকল সে আশ্চর্য অনুভব। সাধারণ পাঠক হয়তো জানবে না ‘প্রান্তিক’-এর এই নেপথ্যনির্মাণ। প্রথম কবিতাতেই তার স্পষ্ট ছায়া ভেসে উঠেছে, ‘বিশ্বের আলোকদৃপ্ত তিমিরের অন্তরালে এল/ মৃত্যুদূত চুপে চুপে’ অথবা ‘দেখিলাম– অবসন্ন চেতনার গোধূলিবেলায় / দেহ মোর ভেসে যায় কালো কালিন্দীর স্রোত বাহি / নিয়ে অনুভূতিপুঞ্জ, নিয়ে তার বিচিত্র বেদনা, / চিত্র-করা আচ্ছাদনে আজন্মের স্মৃতির সঞ্চয় / নিয়ে তার বাঁশিখানি’। আবার কোথাও, ‘মৃত্যুদূত এসেছিল হে প্রলয়ংকর, অকস্মাৎ / তব সভা হতে। নিয়ে গেল বিরাট প্রাঙ্গণে তব; / চক্ষে দেখিলাম অন্ধকার; দেখি নি অদৃশ্য আলো / আঁধারের স্তরে স্তরে অন্তরে অন্তরে, যে আলোক / নিখিল জ্যোতির জ্যোতি; দৃষ্টি মোর ছিল আচ্ছাদিয়া’…। ‘প্রান্তিক’-এর পরে ‘সেঁজুতি’র কবিতাতেও কোথাও রয়ে গেল তার রেশ। আর ‘সেঁজুতি’র উৎসর্গপত্রে রইলো চিকিৎসকের প্রতি কবির সকৃতজ্ঞ উল্লেখ, সেখানে লিখলেন– ‘ডাক্তার স্যর নীলরতন সরকার বন্ধুবরেষু / অন্ধতামসগহ্বর হতে / ফিরিনু সূর্যালোকে। / বিস্মিত হয়ে আপনার পানে / হেরিনু নূতন চোখে’…।
তবে কি সেদিন মৃত্যুগুহা থেকে ফিরে রবিঠাকুরের গহন অনুভব প্রকাশ পেয়েছে কেবল কবিতার মধ্যে দিয়েই? কবিতাগুচ্ছের আগে, অসুস্থ অবস্থায় রচিত হয়েছে এক আলোকিত নিসর্গের ছবি। ভোরের আলোর গানে পূর্ণ করে দেওয়া এক আশ্চর্য সকালের চিত্রিত প্রতিমা। সে ঘটনা অনেকটা এইরকম, গভীর অচেতন থেকে জেগে উঠে আশপাশের সবাইকে অবাক করে তিনি হাতে তুলে নিলেন রং-তুলি। আশপাশের সকলে ইতস্তত দ্বিধান্বিত হয়ে উঠলেও তাঁকে নিরস্ত করা যায়নি। তবে ছবির জন্য সেই মুহূর্তে বরাবরের মতো চিত্রপট হিসেবে কোনও কাগজ বা বোর্ডকে ব্যবহার করতে চাইলেন না রবীন্দ্রনাথ। অস্থির হাতে টেনে নিলেন শয্যার পাশে রাখা টেবিল-টপ, তার আকার নেহাত কম বড় নয়। একটা সাধারণ টি-টেবিলের সাইজ যেমনটা হয়ে থাকে, তেমনই– লম্বায় প্রায় আড়াই ফুট, চওড়ায় তিন ফুটের কিছু বেশি। এই প্রশস্ত চিত্রপটের উপরে রোগদীর্ণ ছবি ঠাকুরের প্রাণচঞ্চল তুলির আঁচড়ে ধীরে ধীরে ফুটে উঠেছে ঘন অন্ধকারের জাল সরিয়ে ঊষালোকের আনন্দিত বন্দনা। চাপ চাপ অন্ধকারের মতো গাছের এক সার সিলুয়েটের পিছন থেকে সকালের নতুন আলোর মৃদু উদ্ভাস। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, সে ছবি আমাদের ডেকে নিয়ে যায় ‘নবপ্রভাতের উদয়সীমায় / অরূপলোকের দ্বারে’। তাঁর অন্যান্য ল্যান্ডস্কেপের সোনালি আলোর আকাশ এ ছবিতে নেই, সেই কবিতার ছত্রের মতোই ‘অন্ধতামসগহ্বর’ থেকে সূর্যালোকে ফেরার আকুল আকুতি যেন। এই ছবি কি ‘প্রান্তিক’-এর সমান্তরাল টেক্সট নয়? এ কি শুধুই রবীন্দ্রনাথের আঁকা একখানা দৃশ্যচিত্র? জীবনের প্রান্তে রবীন্দ্রচিত্তের এক আশ্চর্য অনুভব কি এখানে নীরবে গাঁথা হয়ে রইল না– শব্দ আর অক্ষরের পাশাপাশি রংতুলির বেদনার্ত ইশারায়? সৃষ্টির এই নিবিড় মুহূর্তমালা উজ্জ্বল আলোর নীচে প্রদর্শকক্ষে সাজিয়ে রাখা ছবি থেকে একেবারে বোঝা যাবে না। সাধারণ দর্শকের অজানা থেকে যাবে রবীন্দ্রচিত্তের সেই বেদনার্ত অস্থিরতা। দক্ষ শিল্পসমালোচক হয়তো ছবির বিন্যাস ব্যকরণ আর আঙ্গিক নিয়ে অজস্র শব্দের বিপুল বন্যায় আমাদের ভাসিয়ে দিয়ে যাবেন– কিন্তু ছবি কি কেবল চতুষ্কোণ ফ্রেমের মধ্যা সীমাবদ্ধ? আমাদের মনে হয়, এক অন্যতম বায়োগ্রাফিকাল রিসার্চের নিতান্ত অভাবে অধরা রয়ে যাবে রবি ঠাকুরের ছবি আঁকার সেই বিরল মুহূর্তেরা। এ কি আমাদের অন্তরে বড় বেদনার মতো বেজে ওঠে না?
…পড়ুন ছবিঠাকুর-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩৫: শতবর্ষ আগে রবীন্দ্রনাথ খুঁজে পেলেন ছবি আঁকার সেই পথ, যে পথে তিনি একা
পর্ব ৩৪: ছবির অ্যালবাম ও তিতিবিরক্ত রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ৩৩: রবীন্দ্রনাথ কি সত্যিই সরকারি আর্টস্কুলের এগজিবিশনে ছবির নাম দিয়েছিলেন?
পর্ব ৩২: জীবৎকালে রবীন্দ্রনাথের ছবির প্রদর্শনীতে ছবি বিক্রির মূল্য গড়ে মাত্র ২০০ টাকা
পর্ব ৩১: অন্ধের সূর্যবন্দনায় বহুকাল আবিষ্ট ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ৩০: সেরামিক পাত্রের গায়ে রবীন্দ্রনাথের আশ্চর্য সব নকশা
পর্ব ২৯: ছিমছাম গ্রন্থসজ্জাই কি বেশি পছন্দ ছিল রবিঠাকুরের?
পর্ব ২৮: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম প্রচ্ছদ
পর্ব ২৭: রবীন্দ্রনাথের চিত্রপটে রং-তুলিতে সাজিয়ে তোলা ফুলেরা কেমন? কী নাম তাদের?
পর্ব ২৬: রবীন্দ্রনাথের আঁকা শেষ ছবি
পর্ব ২৫: রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি সংরক্ষণ করা সহজ নয়
পর্ব ২৪: জাল ছবি ও রবীন্দ্র-ব্যবসা
পর্ব ২৩: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথের বিদ্রোহের ছবি
পর্ব ২২: চিত্রকলার বোধ যত গাঢ়তর হচ্ছে, ততই রবীন্দ্রনাথ চোখের দেখার ওপরে ভরসা করছেন
পর্ব ২১: কলাভবনে নন্দলালের শিল্পচিন্তার প্রতি কি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছিলেন না রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ২০: ছবি বুঝতে হলে ‘দেখবার চোখ’-এর সঙ্গে তাকে বোঝার ‘অনেক দিনের অভ্যেস’
পর্ব ১৯: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথ কোন রংকে প্রাধান্য দিয়েছেন?
পর্ব ১৮: ছবি আঁকিয়ে রবিঠাকুরও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন
পর্ব ১৭: রবীন্দ্রনাথের নারী মুখমণ্ডলের সিরিজ কি কাদম্বরী দেবীর স্মৃতিজাত?
পর্ব ১৬: ট্যাক্স না দেওয়ায় রবীন্দ্রনাথের ছবি আটক করেছিল কাস্টমস হাউস
পর্ব ১৫: বাইরে সংযত রবীন্দ্রনাথ, ক্যানভাসে যন্ত্রণাদগ্ধ ছবিঠাকুর
পর্ব ১৪: অমৃতা শেরগিলের আঁকা মেয়েদের বিষণ্ণ অভিব্যক্তি কি ছবিঠাকুরের প্রভাব?
পর্ব ১৩: আত্মপ্রতিকৃতির মধ্য দিয়ে নতুন করে জন্ম নিচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ১২: আমেরিকায় কে এগিয়ে ছিলেন? ছবিঠাকুর না কবিঠাকুর?
পর্ব ১১: নন্দলাল ভেবেছিলেন, হাত-পায়ের দুয়েকটা ড্রয়িং এঁকে দিলে গুরুদেবের হয়তো সুবিধে হবে
পর্ব ১০: ১০টি নগ্ন পুরুষ স্থান পেয়েছিল রবীন্দ্র-ক্যানভাসে
পর্ব ৯: নিরাবরণ নারী অবয়ব আঁকায় রবিঠাকুরের সংকোচ ছিল না
পর্ব ৮: ওকাম্পোর উদ্যোগে প্যারিসে আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে যাচাই করেছিলেন রবি ঠাকুর
পর্ব ৭: শেষ পর্যন্ত কি মনের মতো স্টুডিও গড়ে তুলতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ৬: রবীন্দ্র চিত্রকলার নেপথ্য কারিগর কি রানী চন্দ?
পর্ব ৫: ছবি আঁকার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরলোকগত প্রিয়জনদের মতামত চেয়েছেন
পর্ব ৪: প্রথম ছবি পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ামাত্র শুরু হয়েছিল বিদ্রুপ
পর্ব ৩: ঠাকুরবাড়ির ‘হেঁয়ালি খাতা’য় রয়েছে রবিঠাকুরের প্রথম দিকের ছবির সম্ভাব্য হদিশ
পর্ব ২: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম ছবিটি আমরা কি পেয়েছি?
পর্ব ১: অতি সাধারণ কাগজ আর লেখার কলমের ধাক্কাধাক্কিতে গড়ে উঠতে লাগল রবিঠাকুরের ছবি
‘মহুয়া’র প্রচ্ছদের নেপথ্যে নন্দলালের আঁকা সহজ পাঠের ছবি রবীন্দ্রনাথকে নিশ্চয়ই প্রাণিত করেছিল। সহজ পাঠের আগে আমরা দেখেছি, ১৯২২ সালের শেষে আন্দ্রে কারপেলেস প্যারিস থেকে এনেছিলেন একগুচ্ছ কাঠখোদাই। এমনকী, বিশের দশকে রবীন্দ্রনাথ যে কয়েকবার বিদেশ সফরে গিয়েছেন, সেখানে জার্মানিতে ও ফ্রান্সে তাঁর রীতিমত চেনাজানা ঘটেছিল কাঠখোদাই মাধ্যমটির সঙ্গে।