ঋতুদার ইচ্ছে ওই অনুষ্ঠানে থাকার। কাঁকনের থেকে জেনেছে দিনক্ষণ। আর খুব আশা করছে একটা ফোন আসবে আমাদের তরফ থেকে। শেষমেশ ঠিক হল, মিউজিক ভিডিওটা রিলিজ করবে ঋতুদা। ক্যাসেট লঞ্চ করছে না বলে একটু মনক্ষুণ্ণ হয়েছিল।
যেদিন বললাম, ‘শোনো, তুমি এসে ভিডিও রিলিজ করবে…’ আমায় পাল্টা প্রশ্ন করল, ‘মিউজিক ভিডিও ঠিক কীভাবে রিলিজ করতে হয়?’
প্রশ্নের বাঁকা রাগ শুনে হেসে ফেললাম। বললাম, ‘রিমোট টিপে করতে হয়।’
বলল, ‘আচ্ছা, চন্দ্রবিন্দু এখন এত বড় হয়ে গেছে যে তাদের হাতে অদৃশ্য রিমোটও আছে?’
৪৯.
‘চন্দ্রবিন্দু’র ‘চ’ অ্যালবামটা মানুষের কাছে এতটাই পৌঁছেছিল, তার পরের ক্যাসেট নিয়ে বিস্তর আগ্রহ ছিল। ঋতুদা, যে-ঋতুদার রবীন্দ্রসংগীতের বাইরে গান নিয়ে তেমন মাথাব্যথা ছিল না কোনওকালেই– এমনকী, সে-ও তাগাদা দিয়েছে অনেকবার। পরপর তিনটে ক্যাসেটের চুক্তি ছিল আমাদের ‘আশা অডিও’র সঙ্গে। রয়্যালটি নিয়ে কিছু মনোমালিন্য হচ্ছিল, ফলে আমরাও চাইছিলাম একটা নতুন কোনও কোম্পানি। কলকাতায় সেসময় এল ‘সোনি মিউজিক’। ‘সোনি’ নামটার একটা ম্যাজিক আছে। ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটে যাদের হাতে তাবড় তাবড় শিল্পীর গান। খুব ইচ্ছে ছিল যদি সোনি আমাদের অ্যালবাম করে। সোনির প্রথম বাংলা অ্যালবাম করল প্রতীক চৌধুরি। সেই সময় ওখানে কাজ করত আমার কলেজের জুনিয়র সমীরণ। এখন যে জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী নামজাদা প্রোডিউসার। সমীরণই প্রথম মিটিং করায় সোনিতে। পার্থদা তখন স্টেশন-হেড কলকাতার। চন্দ্রবিন্দুর গান ভীষণ পছন্দ করত পার্থদা। তখনই ঠিক হয়ে গেল পরবর্তী ক্যাসেট করবে সোনি। সময়কাল বদলাচ্ছে হু হু করে।
ক্যাসেটের জায়গা দ্রুত নিয়ে নিচ্ছে সিডি। সোনি জানাল, একসঙ্গে ক্যাসেট ও সিডি বের করবে তারা। ঋতুদা খুব অবাক হয়েছিল শুনে, খুশিও হয়েছিল। একটা আন্তর্জাতিক কোম্পানি চন্দ্রবিন্দুর অ্যালবামে রাজি– এই নিয়ে আমিও উত্তেজিত ছিলাম।
ঋতুদা কিন্তু একটা অন্য কথা বলেছিল। ‘মনে রাখিস, ওরাও কিন্তু তোদের পাচ্ছে। বেশি করে টাকা চাইবি, কাজে লাগবে।’ সঠিক পারিশ্রমিক চাওয়ার ব্যাপারটা ঋতুদা সত্যিই বুঝত। বুঝত বলেই ‘তারা’-র ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর পদে অমন একটা পে-প্যাকেট হাঁকাতে পেরেছিল। ওই সময় তিনলাখি রেট আচ্ছা আচ্ছা কর্পোরেটেরও ছিল না। ঋতুদার পরামর্শে আমি পাংশুমুখে মাথা নাড়লেও কাজের জায়গায় কিছুই করতে পারিনি। বরং উত্তেজনা ছিল ‘সোনি মিউজিক’ বলে। এদিকে ‘আশা অডিও’ আমাদের ছাড়বে না কিছুতেই। কেন সোনিতে যাবে? বলো না কী লাগবে? মহুয়ার এতবার বলায় মনে হল, এতদিনের সম্পর্ক যখন একটা কিছু করা উচিত। ফলে একদিকে আমরা তৈরি করতে লাগলাম পঞ্চম অ্যালবাম ‘ডাকনাম’– অন্যদিকে শুরু করলাম প্রথম অ্যালবামের রি-অ্যারেঞ্জড ভার্সন– ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’। সেই পুজোয় আমাদের দু’টো ক্যাসেট বেরিয়েছিল এবং দু’টোই ভালো চলেছিল। সুরজিতের পরিশ্রম গিয়েছিল প্রবল, কিন্তু দারুণ একটা সময় কাটিয়েছিলাম সবাই। ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’ অ্যালবামের পুরোটা রেকর্ড করা হয়েছিল ‘ব্ল্যাকম্যাজিক’ স্টুডিওতে। দিনের বেলা ওখানে ডাবিং থাকত বলে সবটা করা হয়েছিল রাতে। তখন দেদার রাত জাগতে পারতাম। মনে আছে, টানা তিনরাত জেগেছিলাম সেই সেশনে।
‘ডাকনাম’ পুরোটা রেকর্ড হওয়ার পর সোনি উঠে-পড়ে লাগল। বড় একটা প্রোমোশনের জন্য চেষ্টার কসুর করেনি। সেই প্রথম মিউজিক ভিডিও আলাদা করে তৈরি করা হচ্ছে। পার্থদা বলেছিল, তোমরা মন দিয়ে কাজটা করো। বাকিটা সামলে নেব। ঠিক হল ‘ব্রহ্মা জানেন’ গানটার ভিডিও হবে। দায়িত্ব দেওয়া হল ব্ল্যাকম্যাজিককে। সেই প্রথম অভীকদা মানে অভীক মুখোপাধ্যায় পরিচালনায় নামল। ব্রহ্মার ভূমিকায় একবাক্যে সবাই খরাজদাকে বেছে নিল। ‘পাতালঘর’-এর পর থেকেই খরাজদাকে নিয়ে একটা অবাক হুল্লোড় ছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। নতুন জুটির খোঁজ চলতে থাকল। ব্ল্যাকম্যাজিকের টিম একটা বড় স্ক্রিনিং ডাকল। সারাদিন ধরে অডিশন নেওয়া চলল। একটা ফরসা রোগা কটা চোখের বাচ্চা ছেলেকে পছন্দ হল সবার। একটু সাহেব সাহেব দেখতে। ‘কী নাম রে তোর?’ সাহেব। খুব হাসাহাসি হয়েছিল এটা শোনার পর। আগে অভিনয় করেছিস? না, গান গেয়েছি, সন্দীপ রায়ের ‘গুপি বাঘা ফিরে এল’ ছবিতে। ‘কেমন বাঁশি বাজায় শোনো মাঠেতে রাখাল’। আমরা স্তম্ভিত– কী কাণ্ড!
মিউজিক ভিডিওর হিরো মুহূর্তে সেট। মেয়েটাকে পরে পাওয়া গেল। মডেলিং করত– নাম নিবেদিতা। ভিডিওয় আমরা তো ছিলামই। অত মেজর স্কেলে টালিগঞ্জে এর আগে এমন ভিডিও হয়নি। ঋতুদার ভাই– ইন্দ্রনীল ঘোষ মানে চিঙ্কুদা আর্ট সামলেছিল। সেদিক থেকে দেখতে গেলে পাতালঘরের টিমের পরের কাজই চন্দ্রবিন্দুর মিউজিক ভিডিও। ঋতুদার প্রবল কৌতূহল ছিল ভিডিওটা নিয়ে। ওই সময় থেকেই ঋতুদার ইচ্ছে আমাদের কোনও একটা গানের ভিডিও করার। পছন্দ ছিল, ‘ভেসে যায় আদরের নৌকো’। হওয়ার থেকে না-হওয়া প্রোজেক্টগুলোর কথা এখন একটু বেশিই মনে পড়ে। সে যাক গে…। ভিডিওর প্রথম কাটটা করেছিল দেবাশিস। তারপর অর্ঘ্যদা আসরে নামে। মনে আছে, সেই এডিটও সারারাত জেগে হওয়া। ঘুমঘুম চোখে আমরা পর্দায় তাকিয়ে, অর্ঘ্যদা একমনে শট কেটে যাচ্ছে। এডিট অবশ্য শট কেটেই হয়, শর্টকাটে হওয়ার কোনও যো নেই।
‘ডাকনাম’ রিলিজ বাংলা ব্যান্ডের ইতিহাসে খুব স্পেশাল। সেই প্রথম তাজ বেঙ্গলের ক্রিস্টাল রুমে কোনও ব্যান্ডের অ্যালবাম বেরচ্ছে। কারা রিলিজ করছেন? মৃণাল সেন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও কঙ্কনা সেনশর্মা। প্রত্যেকেরই আমাদের গানের সঙ্গে যোগ ছিল খানিক। এত মেগা একটা রিলিজে ঋতুদা থাকবে না? পার্থদা, সমীরণ, অরবিন্দ– সোনির সকলের দাবি ছিল ঋতুদা আসুক। আমিই আপত্তি করছিলাম। কারণ ‘চ’ অ্যালবামটা ঋতুদার হাতেই তো বেরিয়েছে। পরপর দু’বার হয় না কী! এদিকে ঋতুদারও ইচ্ছে ওই অনুষ্ঠানে থাকার। কাঁকনের থেকে জেনেছে দিনক্ষণ। আর খুব আশা করছে একটা ফোন আসবে আমাদের তরফ থেকে। শেষমেশ ঠিক হল, মিউজিক ভিডিওটা রিলিজ করবে ঋতুদা। ক্যাসেট লঞ্চ করছে না বলে একটু মনক্ষুণ্ণ হয়েছিল। যেদিন বললাম, ‘শোনো, তুমি এসে ভিডিও রিলিজ করবে…’ আমায় পাল্টা প্রশ্ন করল, ‘মিউজিক ভিডিও ঠিক কীভাবে রিলিজ করতে হয়?’
………………………………
‘পাতালঘর’-এর পর থেকেই খরাজদাকে নিয়ে একটা অবাক হুল্লোড় ছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। নতুন জুটির খোঁজ চলতে থাকল। ব্ল্যাকম্যাজিকের টিম একটা বড় স্ক্রিনিং ডাকল। সারাদিন ধরে অডিশন নেওয়া চলল। একটা ফরসা রোগা কটা চোখের বাচ্চা ছেলেকে পছন্দ হল সবার। একটু সাহেব সাহেব দেখতে। কী নাম রে তোর? সাহেব। খুব হাসাহাসি হয়েছিল এটা শোনার পর। আগে অভিনয় করেছিস? হ্যাঁ, সন্দীপ রায়ের ছবিতে। ‘গুপি বাঘা ফিরে এল’। গানও গেয়েছি… ‘কেমন বাঁশি বাজায় শোনো মাঠেতে রাখাল’। আমরা স্তম্ভিত– কী কাণ্ড !
………………………………
প্রশ্নের বাঁকা রাগ শুনে হেসে ফেললাম। বললাম, ‘রিমোট টিপে করতে হয়।’
বলল, ‘আচ্ছা, চন্দ্রবিন্দু এখন এত বড় হয়ে গেছে যে তাদের হাতে অদৃশ্য রিমোটও আছে?’
আমিও বিরক্ত হয়ে বললাম, ‘হ্যাঁ আছে, দেরি না করে তাজ বেঙ্গলে চলে এসো টাইমমতো।’
আমাদের হাতে রিমোট যেমনই থাক, ঋতুদার হাতে একটা অদৃশ্য জাদুলাঠি ছিল হিটের। অ্যালবাম হিট হওয়ার আগে ভিডিওটা হিট হল বাম্পার! ব্ল্যাকম্যাজিক বা জাদুটোনার গুণে। একটা জবরদস্ত পার্টি হয়েছিল সে-রাতে!
মৃণাল সেন অনেক গল্প বলেছিলেন আর সুনীলদা প্রবল নেশা করেছিলেন। ঋতুদা, ‘আমার খুব তাড়া আছে’ বলেও ঘণ্টাদুয়েক আড্ডা দিয়েছিল জমিয়ে।
…ঋইউনিয়ন-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৪৮: মঞ্চে চিফ গেস্ট ঋতুদা অটাম সোনাটা নিয়ে কথা বলছে, অথচ দর্শক গান শোনাটাই মনে করছিল জরুরি
পর্ব ৪৭: কথায় কথায় আরব সাগরের রেফারেন্স টানা দেখে বিলক্ষণ বুঝতে পারছিলাম, ঋতুদাকে বম্বে টানছিল
পর্ব ৪৬: কোনও টক শো’য় অতিথি অনুষ্ঠান শেষ করছে– এমন ঘটনা শুধু ‘এবং ঋতুপর্ণ’তেই ঘটেছিল
পর্ব ৪৫: চিত্রনাট্যের বাইরের এক সংলাপ আমাদের নগ্ন করে দিয়ে গেল
পর্ব ৪৪: একবারও মনে হয়নি, ‘চোখের বালি’তে অ্যাসিস্ট না করে কিছু মিস করছি
পর্ব ৪৩: শুভ মহরৎ-এ আমার ভদ্রতা আর প্রেমে দাগা, বন্ধুরা মেনে নিতে পারেনি
পর্ব ৪২: ‘অসুখ’-এ গৌরী ঘোষের চরিত্রে গলা দিয়েছিল ঋতুদা নিজে
পর্ব ৪১: ঋতুদার ভেলকিতে খুনের থেকেও প্রেমের জখম বড় হয়ে দাঁড়াল
পর্ব ৪০: আমার ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিল সইফ আলি খান
পর্ব ৩৯: নন্দিতার জন্য নার্ভাস ছিলাম না, রবীন্দ্রনাথের জন্য ছিলাম
পর্ব ৩৮: টোটার দেওয়া ডায়েট চার্ট পেয়ে নিজেকে হঠাৎ খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছিল
পর্ব ৩৭: ফিরে এল কলেজবেলার কমপ্লেক্স– নন্দিতা দাস আমার চেয়ে লম্বা নয়তো?
পর্ব ৩৬: আমার ডিটেকটিভ একজন মহিলা, বলেছিল ঋতুদা
পর্ব ৩৫: চন্দ্রবিন্দুর কোনও কাজ কি নির্বিঘ্নে হবে না!
পর্ব ৩৪: বিলক্ষণ বুঝতে পারছি, চ অ্যালবামটা মাথা খাচ্ছে ঋতুদার
পর্ব ৩৩: হাতে মাইক আর হাতে বন্দুক– দুটোই সমান বিপজ্জনক!
পর্ব ৩২: ‘চ’ রিলিজের সময় শঙ্খবাবু আমাকে দু’টি কড়া শর্ত দিয়েছিলেন
পর্ব ৩১: ত্বকের যত্ন নিন সেক্সিস্ট গান, বলেছিল ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ৩০: বাতিল হওয়া গান শোনাতে কার ভালো লাগে?
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৯: সামান্য দরকার থাকলেই মাথাখারাপ করে দিত ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৮: পত্রিকার ক্যাচলাইনের মতোই এডিটরের মুডও ক্ষণে ক্ষণে পাল্টায়
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৭: জয়দেব বসু ছাড়া আর কেই বা ছিল কলকাতার সঙ্গে মানানসই?
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৬: পাহাড় থেকে নেমে আসার আগে মিঠুনদা একদিন রান্না করে খাওয়াবেন– খবরটা চাউর হয়ে গেল
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৫: মেঘে ডুবে গেল শুটিং ইউনিট, শুরু হল গোধূলি সন্ধির গীতিনাট্য
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৪: মিঠুনদার উত্তাল সত্তরের গল্পে আমাদের অলিগলি মুখস্ত হয়ে যেত
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৩: প্রথম টেকে মিঠুনদা ফলস খেলেন!
ঋইউনিয়ন পর্ব ২২: মানুষ কালীভক্ত হয়, ঋতুদা শুধু লি ভক্ত
ঋইউনিয়ন পর্ব ২১: শুনলাম কঙ্কনা না কি খুবই নার্ভাস, ‘ঋতুমামা’র ছবি করবে বলে
ঋইউনিয়ন পর্ব ২০: ইউনিটে একটা চাপা উত্তেজনা, কারণ মিঠুন চক্রবর্তীর আসার সময় হয়ে গিয়েছে
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৯: যে সময় ‘তিতলি’র শুটিংকাল, তখন পাহাড়ে ঘোর বর্ষা
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৮: চিত্রনাট্য পড়ে শোনাল ঋতুদা, কিন্তু ‘চোখের বালি’র নয়
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৭: তুই কি অ্যাসিস্ট করতে পারবি আমায় ‘চোখের বালি‘তে?
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৬: লিরিক নিয়ে ভয়ংকর বাতিক ছিল ঋতুদার
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৫: জীবনের প্রথম চাকরি খোয়ানোর দিনটি দগদগে হয়ে রয়েছে
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৪: উত্তমের অন্ধকার দিকগুলো প্রকট হচ্ছিল আমাদের কাটাছেঁড়ায়
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৩: সুপ্রিয়া-উত্তমের কন্যাসন্তান হলে নাম ভাবা হয়েছিল: ভ্রমর
ঋইউনিয়ন পর্ব ১২: ধর্মতলায় ঢিল ছুড়লে যে মানুষটার গায়ে লাগবে, সে-ই উত্তম ফ্যান
ঋইউনিয়ন পর্ব ১১: পার্ক স্ট্রিট ছিল আমার বিকেলের সান্ত্বনা, একলা হাঁটার রাজপথ
ঋইউনিয়ন পর্ব ১০: পরিচালক হলে খিস্তি দিতে হয় নাকি!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৯: সেই প্রথম কেউ আমায় ‘ডিরেক্টর’ বলল
ঋইউনিয়ন পর্ব ৮: শুটিং চলাকালীনই বিগড়ে বসলেন ঋতুদা!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৭: ঋতুদা আর মুনদির উত্তেজিত কথোপকথনে আমরা নিশ্চুপ গ্যালারি
ঋইউনিয়ন পর্ব ৬: মুনমুন সেনের নামটা শুনলেই ছ্যাঁকা খেতাম
ঋইউনিয়ন পর্ব ৫: আমার পেশার জায়গায় লেখা হল: পেশা পরিবর্তন
ঋইউনিয়ন পর্ব ৪: লাইট, ক্যামেরা, ফিকশন, সব জ্যান্ত হয়ে ওঠার মুহূর্তে ঋতুদার চিৎকার!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৩: রবীন্দ্রনাথকে পার করলে দেখা মিলত ঋতুদার
ঋইউনিয়ন পর্ব ২: ‘চন্দ্রবিন্দু’র অ্যালবামের এরকম সব নাম কেন, জানতে চেয়েছিলেন ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ১: নজরুল মঞ্চের ভিড়ে কোথায় লুকিয়ে ছিলেন ঋতুপর্ণ?