Robbar

যে মহাকাশচারী মহাকাশেই এক যুগ থেকে আর একযুগে এসে যাত্রা শেষ করেছিলেন

Published by: Robbar Digital
  • Posted:June 9, 2025 8:56 pm
  • Updated:June 24, 2025 5:39 pm  
65th episode of Rushkotha by arun som

দীর্ঘ দশ মাস, মোট তিনশো তেরো দিন মহাকাশের ভারসাম্যহীন অবস্থার মধ্যে কাটিয়ে যখন তিনি কাজাখস্তানের তুষারাচ্ছন্ন স্তেপের বুকে নামলেন তখন তিনি পায়ের তলায় মাটি পাচ্ছিলেন না– মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল তাঁর। তাই তাঁকে শোঁকাতে হয়েছিল স্মেলিং সল্ট‌। তবে তিনি বাড়ি ছাড়ার পর থেকে তাঁর দেখা সোভিয়েত ইউনিয়নে যে বিরাট রাজনৈতিক ওলট-পালট হয়ে গেছে সে-কথা চিন্তা করেও মাথা ঘুরে যাওয়া বিচিত্র নয়। আসলে ক্রিকালিয়োভের ফেরার কথা ছিল গত অক্টোবরে– সেটা হলে তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নেই ফিরে আসতে পারতেন। কিন্তু রাজনৈতিক ডামাডোলের ফলে অতিরিক্ত চারমাস তাঁকে মহাকাশে কাটিয়ে দিতে হয়।

অরুণ সোম

৬৫.

অতীত ও বর্তমানের বিরোধ ও বিভ্রান্তি

মস্কো, ২৫ অক্টোবর, ১৯৯৩
গত ৭৫ বছর হল, ৭ নভেম্বর এদেশের ক্যালেন্ডারে হেমন্ত কালের একটি স্মরণীয় দিন হয়েছিল– নববর্ষের আগে এটিই ছিল একমাত্র সরকারি ছুটির দিন। ছুটি কখনও মার যেত না– ছুটির দিনটা শনি বা রবিবারে পড়লে কর্মীরা সোমবার ছাড় পেতেন। এ বছর পড়েছে রবিবারে। গত বছর পড়েছিল শনিবার– সেও ছুটির দিন। সেবারও যথারীতি দেওয়া হয়েছিল বাড়তি ছুটি। তখনও পার্লামেন্ট ছিল, তাই দিনটা যে সরকারি ক্যালেন্ডার থেকে বাতিল– এমন ঘোষণা সরকার সাহস করে করতে পারেনি।

সোভিয়েত আমলে উৎসবের প্রধান আকর্ষণ ছিল রেড স্কোয়ারের শোভাযাত্রা। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা লেনিন স্মৃতিসৌধের ওপর দাঁড়িয়ে গ্রহণ করতেন অভিবাদন। গ্লাস্‌নস্তের আমলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় শোভাযাত্রা ও জনসমাবেশ ঘটত। রেড স্কোয়ারেও ঘটত সমাবেশ। কিন্তু কোনওটাই আর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নয়। গত কয়েক বছর হল; বিশেষত ১৯৯১-এর আগস্টের ঘটনার পর কমিউনিস্ট ও সংস্কারপন্থীদের শোভাযাত্রা ও পাল্টা‌ শোভাযাত্রায় ডামাডোলে পরিণত হয় উৎসবের এই দিনটি।

এ-বছর দিনটি সম্পর্কে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পেয়েছিল আরও বেশি। লেনিন মিউজিয়াম বন্ধ হয়ে গেছে, লেনিন স্মৃতিসৌধ থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে সম্মানজনক প্রহরা। লেনিনের মরদেহ নিয়ে কী করা হবে ইয়েলৎসিনের প্রশাসন দপ্তরের আজও জানা নেই। তবে এসব নিয়ে মাথা তেমন ঘামাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। তাদের উৎকণ্ঠিত প্রশ্ন একটাই– ছুটির দিনটা কি মার গেল?

প্রেসিডেন্টের প্রেস অফিসের কথা– স্থির করবে স্থানীয় প্রশাসন বিভাগ। মেয়রের প্রেস দপ্তর দিতে পারল না কোনও সদুত্তর। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর? সেখানেও এ-ব্যাপারে কিছু জানা নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য: ‘আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিই না।’ পুলিশ দপ্তর বলতে পারে না। কিন্তু সকলেরই মনোগত ইচ্ছা ছুটি হলেই হল– তা নাম পাল্টে‌ শোক দিবস– বা ‘স্মরণ দিবস’ করলেও আপত্তি নেই।

অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও উদ্বেগের অবসান ঘটল। ২৫ অক্টোবর প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি ঘোষণা করলেন ৮ নভেম্বর ছুটি থাকছে, যদিও আমরা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব দিবস পালন করছি না। তাহলে কীসের ছুটি– এ প্রশ্ন কেউ করল না– কমিউনিস্টরাও না।

কল্পবিজ্ঞান কাহিনি
মস্কো, ২৫ মার্চ, ১৯৯২

মহাকাশে এক সপ্তাহের অনুসন্ধানকার্য সেরে ‘মির’ মহাকাশ স্টেশনের দশম অভিযাত্রীদলের দু’জন মহাকাশচারী সের্গেই ক্রিকালিয়োভ ও আলেক্সান্দ্র ভোল্‌কভের সঙ্গে ‘সইয়ুজ’-১৩ স্পেস ক্যাপসুল চেপে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করলেন জার্মান টেস্ট পাইলট ক্লাউস ডিয়েত্রিচ ফ্লেড।

This astronaut's home country vanished while he was in space: All about Sergei Krikalev
সের্গেই ক্রিকালিয়োভ্‌

সোভিয়েত ইউনিয়নে যেটা ছিল সাধারণ ঘটনা, আজকের পরিস্থিতিতে সাবেক সোভিয়েত ভূখণ্ডে নবগঠিত স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের কমনওয়েলথে তা হয়ে উঠেছে অসাধারণ তাৎপর্যপূর্ণ।

দুই সোভিয়েত মহাকাশচারীর একজন– সের্গেই ক্রিকালিয়োভ্‌ আক্ষরিক অর্থে কল্পবিজ্ঞানের কাহিনির নায়কের মতো সময় পাড়ি দিয়ে ঘুরে এসে পৃথিবীতে নামলেন।

দীর্ঘ দশ মাস, মোট তিনশো তেরো দিন মহাকাশের ভারসাম্যহীন অবস্থার মধ্যে কাটিয়ে যখন তিনি কাজাখস্তানের তুষারাচ্ছন্ন স্তেপের বুকে নামলেন তখন তিনি পায়ের তলায় মাটি পাচ্ছিলেন না– মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল তাঁর। তাই তাঁকে শোঁকাতে হয়েছিল স্মেলিং সল্ট‌। তবে তিনি বাড়ি ছাড়ার পর থেকে তাঁর দেখা সোভিয়েত ইউনিয়নে যে বিরাট রাজনৈতিক ওলট-পালট হয়ে গেছে সে-কথা চিন্তা করেও মাথা ঘুরে যাওয়া বিচিত্র নয়।

আসলে ক্রিকালিয়োভের ফেরার কথা ছিল গত অক্টোবরে– সেটা হলে তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নেই ফিরে আসতে পারতেন। কিন্তু রাজনৈতিক ডামাডোলের ফলে অতিরিক্ত চারমাস তাঁকে মহাকাশে কাটিয়ে দিতে হয়। বাইকানুর মহাকাশ কেন্দ্র ইতিমধ্যে পড়ে গেছে রাশিয়ার বাইরে– স্বাধীন কাজাখস্থানে। কেন্দ্রটি ব্যবহার করার অনুমতি পাওয়ার জন্য রাশিয়াকে সে-দেশের সরকারের সঙ্গে একটা রফায় আসতে হয়। রাশিয়া গত অক্টোবরে নামমাত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে একজন অনভিজ্ঞ কাজাখ্ মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠাতে রাজি হয়– তারই ফলে মার্চের আগে পর্যন্ত ক্রিকালিয়োভকে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।

 

সেই অক্টোবরে ভোল্‌কভ্‌ গিয়েছিলেন মির স্টেশন চালু রাখতে। ক্রিকালিয়োভ্‌ এবং তার রুশি সঙ্গী ভোল্‌কভ্‌ ছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ মহাকাশচারী। কক্ষপরিক্রমাকারী মির মহাকাশ স্টেশনে তাঁদের স্থান এখন যাঁরা নিতে চলেছেন, তাঁরা রাশিয়ার মহাকাশচারী।

১৯৯১ সালের ১৪ মে ক্রিকালিয়োভ্‌ যখন মহাকাশ-যাত্রা করেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন তখনও ভাঙেনি। মিখাইল গর্বাচ্যোভ তখনও প্রেসিডেন্ট, তখনও ক্রেমলিনের মাথার উপর সগর্বে উড়ছে কাস্তে-হাতুড়ি লাঞ্ছিত লাল পতাকা, তখনও কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতাসীন।

কিন্তু ব্যর্থ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিনের ক্ষমতায় অধিষ্ঠান, গর্বাচ্যোভের পদত্যাগ এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের কমনওয়েলথের উদ্ভবের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর মানচিত্রেরই পরিবর্তন ঘটে গেল। ক্রিকালিয়োভ্‌ যে-মাটিতে নামলেন, সেটা আর তাঁর নিজের দেশের মাটি নয়। এমনকী তাঁর নিজের জন্মস্থান লেনিনগ্রাদ শহরও আর নেই– নাম পাল্টে‌ হয়েছে সাংক্‌ত পেতের্বুর্গ।

সেদিন সন্ধ্যায় রাশিয়ার দূরদর্শন সংবাদপাঠিকা মহাকাশযাত্রীর পৃথিবীতে প্রত‌্যাবর্তনের বিবরণী দিতে গিয়ে মন্তব‌্য করেন– মহাকাশচারী এক দেশ থেকে আর এক দেশে, ইতিহাসের এক যুগ থেকে আর একযুগে যাত্রা শেষ করে ফিরে এলেন। ক্রিকালিয়োভ্‌-এর প্রত্যাবর্তন সোভিয়েত কল্পবিজ্ঞান কাহিনির রোমাঞ্চকর ঘটনার মতো স্বল্প কিছুকাল মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর মহাকাশচারী দেখতে পেলেন সেখানে কয়েক যুগ কেটে গেছে– কিছুই চেনার উপায় নেই।

…পড়ুন রুশকথা-র অন্যান্য পর্ব…

পর্ব ৬৪। লেনিনের স্থান কোথায় হবে– তা নিয়ে আজও রাশিয়ায় তর্ক চলছে

পর্ব ৬৩। উত্তরের আশায় লেনিনকে সমাধির ঠিকানায় চিঠি পাঠাত সাধারণ মানুষ

পর্ব ৬২। মিখাইল নিল ভোদকা কেড়ে, বরিস দিল ভাত মেরে

পর্ব ৬১। প্রকাশের স্বাধীনতার আমলে সোভিয়েত থেকে হারিয়ে গেল চুটকি বা হাস্যরস

পর্ব ৬০। রুশ দেশের হাস্যরস যেন লোকসাহিত্যের এক অফুরান ভাণ্ডার

পর্ব ৫৯। আজকাল রাষ্ট্রনেতাদের টেনিস খেলার কৃতিত্বের কাহিনি বেশি প্রচার হচ্ছে, রাষ্ট্র পরিচালনার কৃতিত্বের থেকে

পর্ব ৫৮। অন্যত্র যা অস্বাভাবিক, রাশিয়ায় তা স্বাভাবিক, রাশিয়াতেও যা অস্বাভাবিক, ইয়েল্‌ৎসিনের কাছে তা আরও স্বাভাবিক

পর্ব ৫৭। গুরুগম্ভীর থেকে হাস্যকরের তফাত মাত্র একটি পদক্ষেপের

পর্ব ৫৬। রুশ দেশের অনেক খবরই আজকাল গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ঠাঁই পাওয়া শুরু করেছে

পর্ব ৫৫। মার্কিন দেশে ব্যাঙ্ক ডাকাতি করতে এসেছিল একজন গর্বাচ্যোভের মুখোশ পরে, অন্যজন মাইকেল জ্যাকসনের

পর্ব ৫৪। হাজার হাজার কৌতূহলী জনতার সঙ্গে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম সেই মহাদৃশ্য

পর্ব ৫৩। নাম বদলের গোলকধাঁধায় অসঙ্গতি বেড়েছে, ঐতিহ্যকে রক্ষা করা যায়নি

পর্ব ৫২। মস্কোর আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের মিছিলে ভারতের পতাকা থাকবে না-ই বা কেন?

পর্ব ৫১। পত্র-পত্রিকায় ঘোষণা করা হল কাস্ত্রো আসছেন, তবে ইনি মেক্সিকোর সোপ অপেরা স্টার

পর্ব ৫০। খোলা হাওয়ায় মানুষের আর কোনও কিছু নিয়েই চিন্তা নেই, অন্ন চিন্তা ছাড়া

পর্ব ৪৯। সোভিয়েত-মুক্ত রাশিয়াকে কে রক্ষা করবে?

পর্ব ৪৮। বর্ষশেষে মানুষ পেল দারিদ্র, এখন লোকে ধার-দেনা করে চা-কফি খাওয়া শুরু করেছে

পর্ব ৪৭। মুক্ত দিনে ব্যালের দেশ রাশিয়ায় ‘আধুনিক ব্যালে’ শেখাতে আসছে ক্যালিফোর্নিয়ার ট্রুপ

পর্ব ৪৬। অক্টোবর বিপ্লবের উচ্ছ্বাস কোনও দেশে কমলে, অন্য দেশে বাড়তে থাকে

পর্ব ৪৫। ‘অক্টোবর বিপ্লব দিবস’ আর পালিত হবে না, পালিত হবে বড়দিন– চোখের সামনে বদলে যাচ্ছিল সোভিয়েত

পর্ব ৪৪। রাজনীতিতে অদূরদর্শিতার ফল যে কত সুদূরপ্রসারী, তার প্রমাণ আফগানিস্তান

পর্ব ৪৩। জানলা দিয়ে পূর্ব জার্মানি দেখতে দেখতে গর্বাচ্যোভ বলেছিলেন, তাহলে এখানেই শেষ!

পর্ব ৪২। পেরেস্ত্রৈকা শুরু হলে বুঝেছিলাম ‘প্রগতি’ ‘রাদুগা’– এসব কিছুই থাকবে না

পর্ব ৪১। কল্পনা যোশীর তুলনায় ইলা মিত্রকে অনেক বেশি মাটির কাছাকাছি বলে মনে হয়েছে

পর্ব ৪০। বেসরকারিকরণের শুরু দিকে রাস্তাঘাটে ছিনতাই বেড়ে গেছিল, কারণ সব লেনদেন নগদে হত

পর্ব ৩৯। হাওয়া বদলের আঁচ অনেকেই আগে টের পেয়েছিল, বদলে ফেলেছিল জীবনযাত্রা

পর্ব ৩৮। শুধু বিদেশে থাকার জন্য উচ্চশিক্ষা লাভ করেও ছোটখাটো কাজ করে কাটিয়ে দিয়েছেন বহু ভারতীয়

পর্ব ৩৭। একটা বিদেশি সাবানের বিনিময়েও নাকি মস্কোয় নারীসঙ্গ উপভোগ করা যায়– এমনটা প্রচার করেছে ভারতীয়রা

পর্ব ৩৬। মস্কোর ঠান্ডায় লঙ্কা গাছ দেখে পি.সি. সরকার বলেছিলেন, ‘এর চেয়ে বড় ম্যাজিক হয় নাকি?’

পর্ব ৩৫। রুশদের কাছে ভারত ছিল রবীন্দ্রনাথের দেশ, হিমালয়ের দেশ

পর্ব ৩৪। সোভিয়েত শিক্ষায় নতুন মানুষ গড়ে তোলার ব্যাপারে একটা খামতি থেকে গিয়েছিল

পর্ব ৩৩। দিব্যি ছিলাম হাসপাতালে

পর্ব ৩২। মস্কোর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সাধারণ ডাক্তাররা অধিকাংশই মহিলা ছিলেন

পর্ব ৩১। আমার স্ত্রী ও দুই কন্যা নিজভূমে পরবাসী হয়ে গিয়েছিল শুধু আমার জন্য

পর্ব ৩০। শান্তিদা কান্ত রায়ের প্রিয় কাজ ছিল মস্কোয় ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের কমিউনিজম পড়ানো

পর্ব ২৯। পেরেস্ত্রৈকার শুরু থেকেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন গোপেনদা

পর্ব ২৮। দেশে ফেরার সময় সুরার ছবি সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পাননি গোপেনদা

পর্ব ২৭। বিপ্লবের ভাঙা হাট ও একজন ভগ্নহৃদয় বিপ্লবী

পর্ব ২৬। ননী ভৌমিকের মস্কোর জীবনযাত্রা যেন দস্তইয়েভস্কির কোনও উপন্যাস

পর্ব ২৫। ননীদা বলেছিলেন, ডাল চচ্চড়ি না খেলে ‘ধুলোমাটি’র মতো উপন্যাস লেখা যায় না

পর্ব ২৪। মস্কোয় শেষের বছর দশেক ননীদা ছিলেন একেবারে নিঃসঙ্গ

পর্ব ২৩। শেষমেশ মস্কো রওনা দিলাম একটি মাত্র সুটকেস সম্বল করে

পর্ব ২২। ‘প্রগতি’-তে বইপুথি নির্বাচনের ব্যাপারে আমার সঙ্গে প্রায়ই খিটিমিটি বেধে যেত

পর্ব ২১। সোভিয়েতে অনুবাদকরা যে পরিমাণ অর্থ উপার্জন করত, সে দেশের কম মানুষই তা পারত

পর্ব ২০। প্রগতি-র বাংলা বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে ননীদাই শেষ কথা ছিলেন

পর্ব ১৯। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি খুব ভালো রুশভাষা জানতেন, প্রমথনাথ বিশী সাক্ষী

পর্ব ১৮। লেডি রাণু মুখার্জিকে বাড়ি গিয়ে রুশ ভাষা শেখানোর দায়িত্ব পড়েছিল আমার ওপর

পর্ব ১৭। একদিন হঠাৎ সুভাষদা আমাদের বাড়ি এসে উপস্থিত ফয়েজ আহমেদ ফয়েজকে নিয়ে

পর্ব ১৬। মুখের সেই পরিচিত হাসিটা না থাকলে কীসের সুভাষ মুখোপাধ্যায়!

পর্ব ১৫। রুশ ভাষা থেকেই সকলে অনুবাদ করতেন, এটা মিথ

পর্ব ১৪। মস্কোয় ননীদাকে দেখে মনে হয়েছিল কোনও বিদেশি, ভারতীয় নয়

পর্ব ১৩। যিনি কিংবদন্তি লেখক হতে পারতেন, তিনি হয়ে গেলেন কিংবদন্তি অনুবাদক

পর্ব ১২। ‘প্রগতি’ ও ‘রাদুগা’র অধঃপতনের বীজ কি গঠনপ্রকৃতির মধ্যেই নিহিত ছিল?

পর্ব ১১। সমর সেনকে দিয়ে কি রুশ কাব্যসংকলন অনুবাদ করানো যেত না?

পর্ব ১০। সমর সেনের মহুয়ার দেশ থেকে সোভিয়েত দেশে যাত্রা

পর্ব ৯। মস্কোয় অনুবাদচর্চার যখন রমরমা, ঠিক তখনই ঘটে গেল আকস্মিক অঘটন

পর্ব ৮: একজন কথা রেখেছিলেন, কিন্তু অনেকেই রাখেননি

পর্ব ৭: লেনিনকে তাঁর নিজের দেশের অনেকে ‘জার্মান চর’ বলেও অভিহিত করত

পর্ব ৬: যে-পতাকা বিজয়গর্বে রাইখস্টাগের মাথায় উড়েছিল, তা আজ ক্রেমলিনের মাথা থেকে নামানো হবে

পর্ব ৫: কোনটা বিপ্লব, কোনটা অভ্যুত্থান– দেশের মানুষ আজও তা স্থির করতে পারছে না

পর্ব ৪: আমার সাদা-কালোর স্বপ্নের মধ্যে ছিল সোভিয়েত দেশ

পর্ব ৩: ক্রেমলিনে যে বছর লেনিনের মূর্তি স্থাপিত হয়, সে বছরই ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার সূচনাকাল

পর্ব ২: যে দেশে সূর্য অস্ত যায় না– আজও যায় না

পর্ব ১: এক প্রত্যক্ষদর্শীর চোখে রাশিয়ার খণ্ডচিত্র ও অতীতে উঁকিঝুঁকি