সাহিত্যের সঙ্গে সদা লিপ্ত পাপ, এবং পাপ প্রসূত অন্যায়, এবং সাফারিং। আমাদের রবীন্দ্রনাথকে ধরো । ‘নষ্টনীড়’ কি মঙ্গলের গল্প? ইবসেনের “ডল’স হাউস” থেকে রবীন্দ্রনাথের ‘স্ত্রীর পত্র’, পুণ্যের কাহিনি? তলস্তয়ের ‘আনা কারেনিনা’ থেকে দস্তয়েভস্কির ‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট’, এই সব মহৎ সাহিত্য কি উথলে উঠছে পুণ্যে, মঙ্গলে, সততায়, মহিমায়? আর শার্ল বোদলেয়ার, তিনি তো তাঁর কাব্যে সরাসরি পাপকে সেলিব্রেট করেছেন! পুণ্যের মুখে থুথু ফেলে বলেছেন শিল্পের পদ্ম ফোটে পাপে, অন্যায়ে, যন্ত্রণায়।
৫২.
আজ লিখতে বসতেই আমার লেখার টেবিলে যে এক চিলতে জায়গাটা এখনও বইয়ের গাদার মধ্যে কোনও রকমে বেঁচে আছে সে সজোরে আমার ভাবনার গায়ে দিল ধাক্কা। এবং এক বদ্ধ উন্মাদ প্রশ্ন তুলল: উইলিয়াম শেক্সপিয়রকে আদৌ সাহিত্যিক বলা যায় কি? তিনি মহৎ সাহিত্যিক কি না, এ প্রশ্ন তো অনেক পরের ব্যাপার!
আমার লেখার টেবিলের এই বেয়াদপ প্রশ্নে আমি বিস্মিত, আমি বিব্রত, আমি বিপুল বিঘ্নিত! শেক্সপিয়র সাহিত্যিক নন তো সাহিত্যিক কে?
আমার টেবিল আমার মনের ভাব বুঝল। এবং আমার মনের ভাব বুঝতে পেরে লেখার টেবিলটা বরাবর যা করে তাই করল। কিছুক্ষণ রামছাগলের মতো হাসল। সুকুমার রায় কিংবা লীলা মজুমদার বেঁচে থাকলে সেই হাসির কাছাকাছি কিছু একটা বর্ণনা খাড়া করতে পারতেন। আমার পক্ষে আপনাদের রামছাগলের হাসি ঠিক কেমন শুনতে হয়, বলে বোঝানো সম্ভব নয়। সেই তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে নেওয়ার পরে লেখার টেবিল আমাকে বলল, শেক্সপিয়র আদৌ সাহিত্যিক কি না জানতে আগে সাহিত্যের সংজ্ঞা জানতে হবে। তারপর আমার লেখার টেবিল গম্ভীর গলায় বলল, সেই লেখাই ‘সাহিত্য’ যার মধ্যে একটা সহিতভাব প্রকাশ পায়।
‘সহিতভাব’ শব্দটি জীবনে প্রথম শুনলাম। এবং শব্দটার বেদম অভিঘাত বেশ লাগল। প্রশ্ন করলাম, কীসের সঙ্গে বা কার সঙ্গে এই ‘সহিতভাব’? টেবিলটা আমার এই অপগণ্ড প্রশ্নের উত্তরে বলল– মূর্খ! ‘সাহিত্য’ শব্দের মধ্যে ধৃত ওই ‘হিত’ শব্দটাকে ভুলে গেছ? ওটাই তো চাবিশব্দ। এরপর আরও বলল– যে লেখা, বা রচনা শুধু মঙ্গলের সঙ্গে, হিতের সঙ্গে, পুণ্যের সঙ্গে, ধর্মের সঙ্গে ‘সহিতভাব’ প্রকাশ করে, রক্ষা করে, ধারণ করে– সেই লেখাই সাহিত্য। আমি কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বললাম, যেমন? বেয়াড়া বজ্রপাতের শব্দে সে বলল, যেমন আয়ুর্বেদ, ধনুর্বেদ, গন্ধর্ববেদ– এই সব মাঙ্গলিক বা হিতকর মহৎ রচনার, কিংবা বিদ্যার, কিংবা কাব্য কিংবা গদ্যময় সন্দর্ভের একায়তনকে সাহিত্য বলা যেতে পারে। যে লেখকের লেখা পাপ-পুণ্যের সূক্ষ্ম বিচার করে মানবসমাজকে পুণ্যের পথ, উচ্চাদর্শের পথ, মঙ্গলের পথ দেখায় না, তিনি লেখক মাত্র, কিন্তু সাহিত্যিক নন।
লেখার টেবিলের কথায় আমার হাত-পা কাঁপছে। আমি স্রেফ ফ্যালফেলে হয়ে গেছি। কী বলব বুঝতে পারছি না। লেখার টেবিল বলল, তুই ভেবে দেখেছিস কখনও ‘সাহিত্য’ শব্দটার কোনও ইংরেজি নেই? আমি এবার তেড়ে বললাম, কেন? সাহিত্যের ইংরেজি তো ‘লিটারেচার’। টেবিলটা আমাকে ধমকে বলল, ওটা লাতিন আর ফরাসি থেকে মেরে দেওয়া ইংরেজি শব্দ, যার মানে– ‘those written works whose value lies in beauty or in emotional effect.’ কিন্তু মানবের মঙ্গল কোথায়, কীসে সমাজ সংসারের ভালো হবে সেই ভাবনা কোথায়? শুধু আবেগ আর সৌন্দর্য, পাপের জয়গান, ভোগের ইচ্ছা, এসব নিয়ে লিটারেচার হতে পারে, কিন্তু সাহিত্যের উচ্চস্তরে পৌঁছনো যায় না।
আমি তখন মরিয়া হয়ে বলি, কিন্তু শেক্সপিয়রের একটার পর একটা কালজয়ী কাহিনি– ‘হ্যামলেট’, ‘ম্যাকবেথ’, ‘ওথেলো’, ‘কিং লিয়ার’, ‘অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা’, ‘জুলিয়াস সিজার’, ‘উইন্টার্স টেল’, ‘টেম্পেস্ট’– কীসব গল্প! কত বড় সাহিত্যিক হলে এমন সব গল্প লেখা যায়! আমার লেখার টেবিলের মুখের ওপর আমার এই ভাবনাটাকে ঠাস করে মারি। আর অমনি আসে টেবিলের উত্তর: একটা গল্পও শেক্সপিয়র নিজে লেখেননি! সব কুড়িয়ে-বাড়িয়ে এখান-ওখান থেকে জোগাড় করেছেন। ভালো জোগাড়-করিয়ে ছিলেন এই লেখক, সেটা বলতে পারো। যেমন ‘হ্যামলেট’-এর গল্পটা নিয়েছেন রাজকুমার ‘হ্যামলেট’-এর বহু পুরনো রূপকথা থেকে। ‘ম্যাকবেথ’-এর কাহিনি তো স্কটল্যান্ডে বহু প্রাচীন ইতিহাসে পাওয়া যায়। আজ থেকে প্রায় হাজার বছর আগে ম্যাকবেথ ছিলেন ‘কিং অফ স্কটল্যান্ড’। এবার এসো ‘ওথেলো’-তে। ইতালিয়ান লেখক সিনথিয়ার ছোট্ট একটা উপন্যাস আছে ওথেলোর গল্প নিয়ে। শেক্সপিয়র সেখান থেকে লুঠ করেছেন। ‘অ্যান্টনি অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা’র সোর্স জানলে লজ্জা পাবে। প্লুটার্কের লেখা অ্যান্টনির জীবনী, সেটা ছাড়া শেক্সপিয়রের পক্ষে এই নাটক লেখা সম্ভব ছিল না। এমনকী প্লুটার্ক-এর ভাষা পর্যন্ত নিয়েছেন শেক্সপিয়র।
কিন্তু ‘কিং লিয়ার’? আমার মরিয়া প্রশ্ন। হা হা করে হেসে ওঠে লেখার টেবিল। সেই হাসিতে চাপা বিদ্রুপ। তারপর চুপিচুপি বলে, ‘কিং লিয়ার’-এর গল্পটা তো ব্রিটেনের পৌরাণিক কাহিনি, হলিনশেডের ‘ক্রনিকলস’-এ সবটা পেয়ে যাবে।
শেক্সপিয়রের মধ্যে কোনও অরিজিনাল গল্প খুঁজতে যেও না। একটাও পাবে না।
একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র? আমার প্রশ্নের গায়ে গভীর সংশয় মিশ্রিত বেদনা, বেদনা মিশ্রিত হতাশা, হতাশা মিশ্রিত রাগ।
শেক্সপিয়র ছিলেন তাড়িত মানুষ। লন্ডনের গ্লোব থিয়েটারের জন্যে নাটক লিখতেন। যত নাটক তত টাকা। যাকে বলে পশ্চাতে নাটকের গুঁতো। অরিজিনাল গল্প ভাববার সময় তাঁর ছিল না। তাছাড়া তিনি কোনও মহৎ উদ্দেশ্যে নাটক লেখেননি। মানুষ হিসেবেও সুবিধের লোক ছিলেন না। নানা ঝামেলায় জড়িয়ে ছিলেন। থিয়েটার পাড়ার বেশ্যাদের পাল্লায় পড়েছিলেন। তাদের থেকে সিফিলিস হয়েছিল। তখন তো এই রোগের কোনও চিকিৎসা ছিল না। কুষ্ঠ রোগের মতো সিফিলিস তাঁর শরীর বিকৃত করেছিল। তাঁর বিকৃত শরীরের বর্ণনা তিনি দিয়েছেন তাঁর ‘টিমন্ অফ অ্যাথেন্স’ নাটকে। তারপর তাঁর সাংসারিক জীবনে তো ছারখার। লন্ডন থেকে অনেক দূরে, স্ট্র্যাটফোর্ড আপন্ এভন্ গ্রামে থাকত তাঁর বয়েসে অনেক বড় বউ। সেই বউ গরম করত তার দেওরের বিছানা। শেক্সপিয়র জানতেন ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর বউয়ের সম্পর্ক। তাঁর ‘রিচার্ড দি থার্ড’ নাটকে পড়নি বৌদি ফুসলানোর কায়দা, কবিতা, কাহিনি? তারপর শেক্সপিয়রের ছেলে হ্যামনেট মারা গেল বিনা চিকিৎসায় ১২ বছর বয়েসে। ছেলেকে অমর করে রাখলেন রাজকুমার হ্যামলেটের গল্প চুরি করে। ক্রিস্টোফার মার্লোর মার্ডার কেসেও শেক্সপিয়র জড়িত ছিলেন। বড্ড অশান্ত জীবন। এবং নানা পাপকর্মে লিপ্ত জীবন। একেবারে নিজস্ব গল্প ভাবার সময় কোথায় তাঁর? সুতরাং ধর তক্তা মার পেরেক। যেখানেই নাটক-উপযুক্ত গল্প পেয়েছেন, সেখানেই মেরেছেন পেরেক।
সোনার পেরেক। নিজের কাব্য আর চিন্তন মহিমার সোনায় মোড়া পেরেক মেরেছেন শেক্সপিয়র যেখানেই পেয়েছেন মোটা কাঠের গল্পের জব্বর তক্তা– এই কথাটা টেবিলকে না বলে পারি না আমি। তারপর আরও দু’-চার কথা শুনিয়ে দিই আমার লেখার টেবিলকে এই মর্মে:
চুলোয় দাও তোমার সাহিত্যে হিতবোধের অলীক রোম্যান্টিক স্বপ্ন। নরকে পচুক তোমার সাহিত্যে ‘সহিতদর্শন’, যা নাকি বলে, সাহিত্যকে সদা থাকতে হবে মঙ্গল ও পুণ্যের সঙ্গে! বোগাস! সাহিত্যের সঙ্গে সদা লিপ্ত পাপ, এবং পাপ প্রসূত অন্যায়, এবং সাফারিং। আমাদের রবীন্দ্রনাথকে ধরো। ‘নষ্টনীড়’ কি মঙ্গলের গল্প? ইবসেনের “ডল’স হাউস” থেকে রবীন্দ্রনাথের ‘স্ত্রীর পত্র’, পুণ্যের কাহিনি? তলস্তয়ের ‘আনা কারেনিনা’ থেকে দস্তয়েভ্স্কির ‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট’, এই সব মহৎ সাহিত্য কি উথলে উঠছে পুণ্যে, মঙ্গলে, সততায়, মহিমায়? আর শার্ল বোদলেয়ার, তিনি তো তাঁর কাব্যে সরাসরি পাপকে সেলিব্রেট করেছেন! পুণ্যের মুখে থুথু ফেলে বলেছেন শিল্পের পদ্ম ফোটে পাপে, অন্যায়ে, যন্ত্রণায়। আর সালভাদর দালি কি বলছেন জানো?
আমার লেখার টেবিল কোনও সাড়া দেয় না। বোধহয় ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি ঘুমন্ত টেবিলটাকে বলি, সালভাদর দালি বলেছেন, মঙ্গল আর পুণ্য থেকে শিল্পের জন্ম ডিমের কুসুমের ওপর স্বাক্ষর রাখার মতো অসম্ভব। আমি সারাজীবন নানাভাবে চেষ্টা করেছি ডিমের কুসুমে সই করতে। পারিনি।
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?
পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি
পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল
পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর
পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?
পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান
পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী
পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন
পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক
পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন
পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে
পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা
পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে
পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?
পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী
পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!
পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি
পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা
পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই
পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে
পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল
জীবনের ১০টা বছর কারাগারে থাকার পর কেউ যখন বাইরে আসে তখন এই ১০ বছরে পালটে যাওয়া পৃথিবীর সঙ্গে সমঝোতা কীভাবে করে? এর দায় রাষ্ট্র নেয় না। যেমন কোনও দায় নেয় না জেলে থাকা রাজবন্দিদের জীবন-জীবিকার। চলতে থাকে ফেলে আসা সময়, হারিয়ে যাওয়া সময় ও বর্তমান সময়ের সঙ্গে জোর লড়াই।