পামুকের এই সদ্য প্রকাশিত সুদূর পর্বতমালার স্মৃতি আত্মখনন ও সন্ধানের এক আশ্চর্য নোটবুক। ‘পেঙ্গুইন’ প্রকাশিত এই বইয়ের প্রতিটি পাতায় টার্কিশ ভাষায় পামুকের হাতের লেখায় তাঁর মূল নোটবইটির ছবি। প্রতিটি পাতা ধারণ করছে তাঁর আঁকা একটি রঙিন স্মৃতিপট। কোনওটি হোটেলের জানলা থেকে দেখা দৃশ্য। কোনওটি তাঁর ঘুমিয়ে পড়ার সোফা। কোনওটি তাঁর সাঁতারের সমুদ্র। কোনও ছবিতে তাঁর দুঃস্বপ্নের হাঙর। কোনও ছবিতে তাঁর বন্ধুনির অন্তর্বাস। আর কোনও ছবিতে তাঁর লেখার টেবিল। তবে কোনও নির্দিষ্ট লেখার টেবিল নেই পামুকের।
৩১.
আমার মার্জার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল। সন্ধেবেলায় বাইকবাহনে শুঁড়িখানায় এসে আমার মতো কলকাতার আরও অনেকের বইবন্ধু তরুণ হাতে দিয়ে গেল টার্কিশ থেকে একিন ওকল্যাপের সাবলীল ইংরেজি অনুবাদে ২০০৬-এ সাহিত্যে নোবেলজয়ী ওরহান পামুকের সদ্য প্রকাশিত ‘মেমোরিজ অফ ডিস্ট্যান্ট মাউন্টেনস’। এক কথায়, প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না। এই বইয়ের শেষের দিকে একটি জায়গায় অমৃত আচ্ছন্নতায় লিখেছেন পামুক, ‘I wish I could write a book on landscape painting. A book of both essays and reproductions. And a novel. I can only truly feel the certainty of landscape, of the world, when I am on a plane and looking out at distant mountains, rugged rocks and dark ridges. I took photographs of the rugged mountains, the sea, and the clouds all bleeding into one another. In truth I am a hopeless romantic.’
আমিও তাই। আমরা অনেকেই হয়তো তাই। অচিকিৎস্য রোম্যান্টিক। নিরন্তর সুদূরের পিয়াসী। পামুকের এই বই, সুদূর পর্বতমালার স্মৃতি, আমাদের বিপজ্জনক ভাবে আঁকড়ে ধরে। নেশা ধরায়। সৃজনের নেশা। দূরত্বের নেশা। আবছামির নেশা। চেনা বোধবুদ্ধির বাইরে যাওয়ার নেশা। বুকারবিজয়িনী সুদর্শনা লেখিকা যিনি তাঁর মননের গর্ভে ধারণ করেছেন ‘The Inheritance of Loss’-এর মতো উপন্যাস তেমন বন্ধুনির সঙ্গে পৃথিবীর সব সাগরে ঝাঁপিয়ে সাঁতার কাটার নেশা। আর তারপর বলা, আমি এখনও পড়িনি মুরাকামির ‘Kafka on the Shore’, জানি না লেখাটার বিষয় কী, ‘but I would like to write a novel like that.’
পামুক বললেন বটে, তিনি পড়েননি মুরাকামির ‘কাফকা অন দ্য শোর’ উপন্যাসটি। এবং জানেন না এই উপন্যাসের বিষয়। তাঁর এই বর্ণময় চাতুর্যই তাঁর ভাবনার দুর্লভ রত্ন। তিনি অবশ্যই পড়েছেন মুরাকামির ‘সমুদ্রসৈকতে কাফকা’। তিনি অবশ্যই জানেন এই উপন্যাসের কোনও সম্পর্ক নেই বিশ্ববিখ্যাত অস্ট্রিয়ান সাহিত্যিকের। তিনি জানেন এই উপন্যাসের কিশোর নায়ক এই যুগের এক ইডিপাস, যে পালাচ্ছে এক দৈব অভিশাপ থেকে। এবং ক্রমাগত জড়িয়ে পড়ছে জীবন সমুদ্র ও সৈকতের জটিল আবর্তে, যার মধ্যে নিরন্তর নিয়তি নির্ধারিত অন্তরস্রোতে প্রবাহিত সংগীত, কাব্য, দর্শন, দুঃস্বপ্ন, বিপন্নতা, আর এমন এক অশুভ শক্তি যার ছায়াপাত ঘটবেই আমাদের অর্থহীন দিশাহীন যাপনে।
এই সব কিছুর প্রতীক তো ‘From the plane the distant mountains.’ যার ডাইনি ডাক অপ্রতিরোধ্য। যার সুদূর রহস্য কোনও দিন ধরা দেবে না মানব নাগালে। তবু পামুক বলছেন, ‘I would like, I would want a feeling of solitude and emptiness, of anxiety and fear.’ না হলে তিনি লিখবেন কী করে? বলছেন তিনি, ‘আমি তো লেখক হতে চাইনি। হতে চেয়েছি পেন্টার। রং তুলি আমার প্রকাশের মাধ্যম, এমনই এক সময়ে মনে হয়েছিল আমার। কিন্তু তারপর আঁকা, লেখা, সংগীত, সমুদ্রে সাঁতার, প্রথম বিয়ে থেকে বেরিয়ে আসা, বন্ধুনি কিরণকে ভাবনা, লেখা, বিশ্বভ্রমণের সাথী, সমুদ্র সাঁতারের সঙ্গিনী, রাত্রিযাপনের পার্শ্ববর্তিনী করে পাওয়া এবং লেখাকেই করে তোলা আমার একমাত্র অবসেশন– এই তোলপাড় ঘটে গেল আমার জীবনে কার অলীক অঙ্গুলি ইশারায়, জানবার উপায় নেই।’
পামুকের এই সদ্য প্রকাশিত সুদূর পর্বতমালার স্মৃতি আত্মখনন ও সন্ধানের এক আশ্চর্য নোটবুক। ‘পেঙ্গুইন’ প্রকাশিত এই বইয়ের প্রতিটি পাতায় টার্কিশ ভাষায় পামুকের হাতের লেখায় তাঁর মূল নোটবইটির ছবি। প্রতিটি পাতা ধারণ করছে তাঁর আঁকা একটি রঙিন স্মৃতিপট। কোনওটি হোটেলের জানলা থেকে দেখা দৃশ্য। কোনওটি তাঁর ঘুমিয়ে পড়ার সোফা। কোনওটি তাঁর সাঁতারের সমুদ্র। কোনও ছবিতে তাঁর দুঃস্বপ্নের হাঙর। কোনও ছবিতে তাঁর বন্ধুনির অন্তর্বাস। আর কোনও ছবিতে তাঁর লেখার টেবিল। তবে কোনও নির্দিষ্ট লেখার টেবিল নেই পামুকের। তিনি ‘নাইট অফ প্লেগ’-এর মতো উপন্যাস লিখেছেন অনিশ্চিত ভবঘুরে অবস্থায়। কখনও লিখছেন ক্যাফেতে। কখনও পার্কের বেঞ্চিতে। হোটেলরুমের টেবিলে। কখনও উড়ানে। ‘আ স্ট্রেঞ্জনেস ইন মাই মাইন্ড’ থেকে ‘দ্য মিউজিয়াম অফ ইনোসেন্স’, ‘স্নো’ থেকে ‘মাই নেম ইজ রেড’– তাঁর বেশির ভাগ বই তিনি লিখেছেন ক্লান্তিহীন ঘুরেমির মধ্যে, ছন্নছাড়া টেবিলে। আর লিখতে লিখতে পাণ্ডুলিপির মধ্যে এঁকেছেন রঙিন ছবি। রবীন্দ্রনাথের মতো কলমের কাটাকুটি থেকে জন্মানো ছবি নয়। লেখার বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত ছবি। বলা যেতে পারে, পিক্টোরিয়াল এক্সটেনশন। এই বই তাই হয়ে উঠেছে পামুকপ্রেমীদের সংগ্রহের বস্তুও। বিশ্বাস করবেন কি না জানি না, বইয়ের পাতা উল্টোতে উল্টোতে, এবং প্রতি পাতার রত্ন ভাণ্ডারে আটকে যেতে যেতে আমি সন্ধের শুঁড়িখানাতেও চুমুক দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। এমন চুমুক ভোলানো ঘটনা একমাত্র ঘটাতে পেরেছে রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্রাবলি।
এই বই পড়তে পড়তে একটি প্রশ্ন জাগে মনে। অন্তত আমার মনে জেগেছে। প্রশ্নটি হল, ১৯ বছর আগে, নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পরে এই যে বিশ্বজোড়া খ্যাতি পামুকের, সারাক্ষণ এক প্লেন থেকে অন্য প্লেনে, এক এয়ারপোর্ট থেকে অন্য এয়ারপোর্টে, এক হোটেল থেকে অন্য হোটেল, কখনও সঙ্গে কিরণ, কখনও কিরণহীন, মন কেমনের একলা সাঁতার সমুদ্রে, পামুক কি সত্যি হতে পেরেছেন বিশ্বনাগরিক? আক্ষরিক অর্থে ‘আন্তর্জাতিক’? কিংবা প্রথম পৃথিবীর একজন? তিনি কি আরাম বোধ করেন ইউরোপিয়ান বা আমেরিকানদের মধ্যে? পার্টিতে? সমারোহে? অনুষ্ঠানে? এখানে অমর্ত্য সেনকে একটি আচমকা বলিষ্ঠ প্রশ্ন করতে ব্যাকুল বোধ করছি। আপনি কি নিজেকে আক্ষরিক অর্থে আন্তর্জাতিক ভেবে প্রথম বিশ্বের একজন ভাবতে পারেন? আপনি আমেরিকান? আপনি ব্রিটিশ? আপনি ফরাসি? নাকি, আপনি গরিব তুচ্ছ ভারতীয়? কিংবা ‘বিন্দুতর’ বাঙালি? আপনি এতদিন আছেন আমেরিকায়। কিন্তু আমেরিকান ইন্টেলেকচুয়াল হিসেবে আপনার মতামত এই মুহূর্তে আমেরিকায় কেউ নিচ্ছে কি? একটি মারাত্মক স্বীকারোক্তি এবং গহন সত্যিকথার সাহস দেখিয়েছেন পামুক, এই বইয়ের এক অনবদ্য উচ্চারণে:
সারাদিন তাঁকে নিয়ে সমারোহ, পার্টি, রাতে ডিনার ফ্রান্সের লিয়ন শহরে। ক্লান্ত তিনি, হোটেলে ফিরতে বেশ দেরি হল। মনের মধ্যে একটা অস্বস্তি কাজ করছে। তিনি বড্ড একা। নিঃসঙ্গ। যাঁদের মধ্যে এতক্ষণ ছিলেন তাঁদের কেউ নন তিনি। কোথাও অনেক গভীরে বইছে শ্লেষের অন্তরস্রোত। সুসভ্য তাচ্ছিল্য। হোটেলের টেবিলে বসে লিখলেন তিনি: ‘The loneliness of being talented, bright, educated, confident in your success, and yet still a Turk…’ আমি ইউরোপ আমেরিকার চোখে আমার সমস্ত প্রতিভা, উজ্জ্বলতা, স্বীকৃতি নিয়েও অকিঞ্চিৎকর তুর্কি। তার বেশি কিছু নই। তাঁর মনকেমন করে ইস্তানবুলের জন্য। কিন্তু সেখানেও থাকতে পারেন না। শান্তি পান না। সেখানকার রাজনৈতিক অবস্থা, সরকারের নিয়মকানুন, সমাজের আচরণবিধি, ধর্মীয় সংস্কার আর প্রসারিত অশিক্ষা তাঁকে কষ্ট দেয়। দেশে তাঁর লেখা ক’জন বোঝে? ক’জন বুঝতে চায় তার স্বপ্ন, দর্শন, যাপন, নারীর ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রতি তাঁর টান? তাঁর প্রণয়ভাবনা? তাঁর যৌন খোয়াব? তুরস্কে কোথায় পাবেন তিনি কিরণের মতো মনের আর শরীরের কোনও সুন্দরী, যার সঙ্গে সমুদ্রে সাঁতার দিতে দিতে তিনি আলোচনা করবেন ‘এ স্ট্রেঞ্জনেস ইন মাই মাইন্ড’ উপন্যাসে বিদ্যুৎ-চুরির সমস্যা নিয়ে। এমনকী, ইংরেজিতে লিখে নামকরা অমিতাভ ঘোষের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলেন ডিনার টেবিলে এই বিষয়টি নিয়ে ফ্রায়েড সারডিন খেতে খেতে। এবং অমিতাভ কীভাবে থামিয়ে দিলেন সেই দরকারি আলোচনা পড়ুন। লিখছেন পামুক: “I thought I’d like to have a more heartfelt conversation with Amitav, maybe talk more about literature, but we never quite got there. He interrupted me straightaway, saying what difference does it make, the money from electricity theft remains within the ‘local community’ anyway. I like Amitav and I wouldn’t want to start an argument.”
এই মানস একাকিত্বের কিছুদূরে এই অসামান্য ভালোবাসার ছোট্ট কথা: Swimming with Kiran : this is how I see her among the waves : Kiran’s head, her hair, beside me… We, Kiran and I, drank so much at the restaurant, so so much. It was wonderful! The fascists in Turkey keep making trouble. So Kiran and I drank and made merry. In Florence… nighttime.
নরনারী, পাশাপাশি সাঁতার কাটছে মহাসমুদ্রে। দু’জনেই লেখক। ভাবুক। রোম্যান্টিক। মাতাল ও মরমী হয় দু’জনেই একসঙ্গে। ২০১০ সাল পর্যন্ত এরা পরস্পরের। আমরা এইভাবে পৌঁছে যাই ২৫৫ পৃষ্টায়। ২০১০ থাকে এক লাফে ২০১৮ সাল। নোটবুকের বুক জুড়ে ধূসর পাহাড়ের ছবি এঁকেছেন পামুক। দূরে নীল পাহাড়ের মাথা। মাথার ওপরে লেখা: In autumn 2011, during a trip to Latin America, Kiran and I broke up and did not see each other again. It was a very difficult time for me. Until I met Ash again’.
কে এই অ্যাশ? পুরো নাম অ্যাশ অ্যাকিয়াভাস। তুরস্কের মেয়ে। ২০১২-র বসন্তে অ্যাশের প্রেমে পড়লেন পামুক। বয়সের অনেক তফাত। তবু প্রেম। অ্যাশ অসাধারণ সুন্দরী। বিদুষী। এবং কানায় কানায় তার সাহিত্যবোধ। দশ বছর ধরে চলল প্রেমপর্ব। তারপর ২০২২-এর বসন্তে ৬৯ বছরের পামুক বিয়ে করলেন অ্যাশকে!
সাল ২০১৪: তিন বছর আগে পামুক আর কিরণ বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। তখনও পামুক লিখছিলেন, ‘এ স্ট্রেঞ্জনেস ইন মাই মাইন্ড’ উপন্যাস। ২০১৪-র রাত ২.৩০। পামুকের মনে হল, তাঁর এই উপন্যাসটি দীর্ঘ অনিশ্চিত পথ পেরিয়ে শেষ হল। এবং তখুনি ঘটল এক আশ্চর্য ঘটনা। লেখার টেবিলের গায়ে ফুটে উঠল পামুকের হৃদয়কথা: If it hadn’t been for Ash, A Strangeness in My Mind would not have taken the shape it has, nor would I have been able to finish the novel.
.……………………………….
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
………………………………..
‘মেমোরিজ অফ ডিস্ট্যান্ট মাউন্টেনস’ নতুন স্ত্রী অ্যাশকেই উৎসর্গ করেছেন পামুক একটিও বাড়তি কথা না লিখে: ‘To Ash.’
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে
পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর খুব সঠিকভাবেই ভারতের বিদেশনীতির ব্যাখ্যা করে আগাম বলে রেখেছিলেন, ‘হোয়াইট হাউস ডেমোক্র্যাট প্রার্থী না রিপাবলিকান প্রার্থীর দখলে গেল তা নিয়ে নয়াদিল্লি মোটেও চিন্তিত নয়। কারণ, ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কের এতে কোনও পরিবর্তন ঘটবে না। গত পাঁচটি প্রেসিডেন্টের আমলেই ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছে।’