Robbar

চিত্রনাট্যের বাইরের এক সংলাপ আমাদের নগ্ন করে দিয়ে গেল

Published by: Robbar Digital
  • Posted:December 6, 2024 8:25 pm
  • Updated:December 6, 2024 11:43 pm  

যাবতীয় শিল্প, নগ্নতা, শৈলী, মগ্নতা ছাপিয়ে মেয়েটির বলা কথাগুলো গোটা সেটজুড়ে উড়ে বেড়াতে লাগল। ওঁর এক বাচ্চা মেয়ে আছে, তাকে স্কুল থেকে তুলতে হয়। সেই মুহূর্তে ওই ২৫-৩০ কিলো মায়াবী আলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে, নিজেরই নিজের পিছনে এক কষিয়ে লাথি মারতে ইচ্ছে করছিল। শালা ন্যাংটামো দেখতে এয়েচ? ন্যাংটামো! চিত্রনাট্যের বাইরের এক সংলাপে আমাদেরকে নগ্ন করে দিয়ে গেল মেয়েটি।

অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

৪৫.

‘চোখের বালি’র শুটিংয়ে এর আগে একদিন গিয়েছিলাম ঋতুদার ডাকাডাকিতেই। প্রকাণ্ড সেট, বিরাট ইউনিট– এককোণে দাঁড়িয়ে অস্বস্তি হচ্ছিল। রাইমার শট চলছিল তখন। একটা ব্রেক হল। রাইমা ‘ঋতুমামা’ বলে ঋতুদাকে জড়িয়ে ধরল, তার দু’-চোখে প্রবল ভয় শট নিয়ে। ঋতুদা ইয়ার্কি করছিল রাইমার সঙ্গে। পছন্দের পাত্র পেলেই একটা বিয়ে দিয়ে দেবে– এইসব। এই সমস্ত খুনসুটির মাঝে হঠাৎ সবার চোখমুখ ঘুরে গেল। একটা কোরা কাপড়ের থান পরে ঐশ্বর্য সেটে ঢুকল, সবার দৃষ্টি সেইদিকে। ঋতুদাও ব্যস্ত হয়ে পড়ল ঐশ্বর্যকে কী একটা বোঝাতে। আমি চুপ করে দেখতে লাগলাম বম্বের হিরোইনকে। শৌভিকদা জিজ্ঞেস করল, ‘কীরকম লাগছে ঐশ্বর্যকে?’ যতটা ফরসা ঐশ্বর্য, সেদিন যেন তার চেয়েও বেশি ফ্যাটফ্যাটে ফরসা লাগছিল তাকে। আমি মুখ বেঁকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘বিনোদিনীর কি অ্যানিমিয়া ধরা পড়েছে?’

‘চোখের বালি’ সিনেমার একটি দৃশ্য

‘চোখের বালি’র ঐশ্বর্য-দর্শন আমার হয়েই ছিল। নতুন করে আবার যেতে হবে, একেবারেই ভাবিনি। কিন্তু ঋতুদার প্রস্তাবে আমাদের কৌতূহল বাড়ছিল। বাংলা ছবিতে একজন সম্পূর্ণ নগ্ন অভিনেত্রী– প্রায় স্ট্রিপ ক্লাব যাওয়ার অছিলায় আমরা দুই মক্কেল মজা মারতে হাজির হয়ে গেলাম স্টুডিওতে। মেক-আপ-এর পর্ব চলল বহুক্ষণ। যেহেতু পিরিয়ড, আমাদের চোগাচাপকান পরিয়ে ভোল পাল্টে‌ দিল পুরো। উপলের মাথায় বসানো হল রামমোহনী বিড়ে, আমার চুলগুলো জেল মেরে পেতে বসিয়ে দেওয়া হল, একটা চশমাও জুটেছিল, প্রায় মধুসূদনের লুক। দৃশ্যটা বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছে একজন এডি। ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজের ডিসেকশন কক্ষ। সাহেব ডাক্তার শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বোঝানোর জন্যে সদ্যমৃত এক বেওয়ারিশ মহিলার লাশ শুইয়ে রেখেছেন, একটি স্টিক দিয়ে তিনি শরীরের অংশগুলো পড়াবেন, জীবনে প্রথম নগ্ন নারী শরীর দেখে বিহারী, মানে টোটা মূর্চ্ছা যাবে! আমি আর উপল দাঁড়াব প্রসেনজিৎ ও টোটার মাঝখানে। বিহারী অজ্ঞান হওয়ার সময় ঘাড়ে পড়বে আমার, তখন সাহেবকে চিৎকার করে আমি বলব, ‘স্যর, স্যর, বিহারী হ্যাজ ফেইন্টেড’।

এই হল গিয়ে গল্প। তেমন হাতিঘোড়া কিছু নেই। কিন্তু একটি অমোঘ আকর্ষণ আছে। নগ্ন নারী শরীর পাঁক মেখে পড়ে আছে। ‘চোখের বালি’ ছবিটির শুরুতে এক বিধবার জলে ডোবার দৃশ্যায়ণ আছে। সেই হতভাগিনীরই লাশ হয়তো বা এসে পৌঁছেছে লাশকাটা ঘরে।

………………………………………

শট চালু হল, মহিলা আমাদের সামনে নগ্ন হয়ে শুয়ে পড়লেন। যত উৎসাহ নিয়ে দৌড়েছিলাম, ভেবেছিলাম, দারুণ একটা ব্যাপার, দেখলাম তেমনটা ঠিক নয়। আড়চোখে দু’-একবার তাকালেও, পরের দিকে আর দেখতেই ইচ্ছে করছিল না শরীরটা। ঋতুদার কাছে আমরা ফার্নিচার বিশেষ। ফলে কে ডানদিকে যাবে, কে বাঁদিক, কার মুখটা কোনদিকে ঘুরবে, মৃতা মহিলা শরীরটা কীভাবে ক্যামেরা প্রেফারেন্স-এ রাখবেন– এসবই মুখ্য হয়ে উঠল। একই দৃশ্যে বারবার টেক হতে থাকল।

………………………………………

সকাল থেকে ডেকে এনে অনন্ত অপেক্ষা করিয়ে, লাঞ্চ খাইয়ে তবে শুরু হল শুটিং। যেহেতু সেটআপটা বড়, সময় লেগে গিয়েছে। দেখলাম সেটে বুকের কাছে একদলা কাপড় জড়ো করে করুণ মুখে বসে আছেন এক রুগ্ন মহিলা, তিনিই এ দৃশ্যের কাণ্ডারী। শট চালু হল, মহিলা আমাদের সামনে নগ্ন হয়ে শুয়ে পড়লেন। যত উৎসাহ নিয়ে দৌড়েছিলাম, ভেবেছিলাম, দারুণ একটা ব্যাপার, দেখলাম তেমনটা ঠিক নয়। আড়চোখে দু’-একবার তাকালেও, পরের দিকে আর দেখতেই ইচ্ছে করছিল না শরীরটা। ঋতুদার কাছে আমরা ফার্নিচার বিশেষ। ফলে কে ডানদিকে যাবে, কে বাঁদিক, কার মুখটা কোনদিকে ঘুরবে, মৃতা মহিলা শরীরটা কীভাবে ক্যামেরা প্রেফারেন্স-এ রাখবেন– এসবই মুখ্য হয়ে উঠল। একই দৃশ্যে বারবার টেক হতে থাকল। অ্যাক্সিস বদলের সময়, মহিলাকে টেবিল ছেড়ে উঠতে হচ্ছিল। শুরুতে মনে হয়েছিল, যার উপস্থিতির জন্যই আমাদের সোৎসাহ আগমন, বেলা গড়ালেই তাকেই বড় শীর্ণ এক মুখ মনে হতে লাগল।

Protima Bedi. Woman. Fearless. | Protima bedi, Women, Pooja bedi
প্রতিমা বেদী

আমাদের প্রজন্মের কাছে নগ্নতা মানে প্রতিমা বেদী, যিনি মুম্বইয়ের সমুদ্রসৈকতে নগ্ন হয়ে হেঁটেছিলেন। কিংবা পদ্মিনী কোলাপুরে, যিনি ‘গেহরাই’ নামের এক ছবিতে সম্পূর্ণ ন্যুড হয়ে ‌অ্যাক্টিং করেছিলেন, বা মধু সাপ্রে– বিজ্ঞাপনে সাপ জড়িয়ে ফোটো শুট করেছিলেন। সেসব ন্যুডিটিয়ানার মধ্যে একটা প্রতিবাদী সাহসী অবস্থান ছিল, কিন্তু ওই মহিলাকে দেখে উত্তেজনা দূরস্থান বরং মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে, ‘আহা রে।’ দূর মফস্সল থেকে রোজ কলকাতা আসেন রোজগারের তাগিদে। আর্ট কলেজগুলোতে ন্যুড মডেল হয়ে দিনাতিপাত। সেখান থেকেই প্রোডাকশন ম্যানেজার খোঁজ পেয়েছে তাঁর। ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবিতে অভিনয় করবেন– কত বড় ব্যাপার, হলই বা সে চরিত্র মৃত।

23 Years Ago Milind Soman Controversial Advertisement With Girlfriend Madhu Sapre Made Headlines - Entertainment News: Amar Ujala - 23 साल पहले गर्लफ्रेंड के साथ मिलिंद सोमन ने कराया था न्यूड फोटोशूट,
মধু সাপ্রে-মিলিন্দ সুমন

আমি অবাক হয়ে দেখছিলাম মহিলাকে। সব মিলিয়ে প্রায় দেড়শো লোকের ভিড় এই ইউনিটে। ওই অতজন মানুষের সামনে ক্রমাগত ওঠা-নামা– খুব সুখের কথা নয়। ফলে মজাটজা সংক্রান্ত বুলি কপচানো বহুক্ষণই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। একটা পর্যায়ে দমঠাস নগ্নতাকে আর সহ্যই করতে পারছিলাম না, মনে হচ্ছিল নিজের দেশের পোর্ট্রেট দেখাচ্ছি যেন, চূড়ান্ত অস্বস্তি কাটিয়ে মনে মনে চাইছিলাম– এইবার শেষ হোক এই সিনটা। যেন আর না চেয়ে থাকতে হয় এই মলিন নগ্নিকার দিকে। শটের ক্লাইম্যাক্সে বিহারীর মূর্চ্ছা ও পতন হবে হয়তো, কিন্তু সেই দিনকার শুটিং ক্লাইম্যাক্স চালু হল, যখন মেয়েটি বাড়ি ফিরে যাবেন বললেন। জানালেন, চারটের পর আর থাকতে পারবেন না। ঋতুদা প্রচণ্ড রেগে গেল, প্রোডাকশন ম্যানেজারকে ডেকে খুব ঝাড়ল। এরপর সে ম্যানেজার তো মেয়েটির ওপর নির্দয় চেঁচাতে লাগল। সকাল থেকে যাঁকে বিবস্ত্র অবস্থায় নিশ্চুপ পড়ে থাকতে দেখেছি, এক পাহাড় অপমানে এই প্রথম তাঁর ঠোঁটটা কেঁপে উঠতে দেখলাম। বিড়বিড় করে তিনি বললেন, ‘কিন্তু আমি তো বলে রেখেছিলাম, আমার তো মেয়েকে তুলতে হবে স্কুল থেকে।’

যাবতীয় শিল্প, নগ্নতা, শৈলী, মগ্নতা ছাপিয়ে ওঁর বলা কথাগুলো গোটা সেটজুড়ে উড়ে বেড়াতে লাগল। ওঁর এক বাচ্চা মেয়ে আছে, তাকে স্কুল থেকে তুলতে হয়। সেই মুহূর্তে ওই ২৫-৩০ কিলো মায়াবী আলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে, নিজেরই নিজের পিছনে এক কষিয়ে লাথি মারতে ইচ্ছে করছিল। শালা ন্যাংটামো দেখতে এয়েচ? ন্যাংটামো! চিত্রনাট্যের বাইরের এক সংলাপে আমাদের সকলকে নগ্ন করে দিয়ে গেল মেয়েটি। নগ্নতা যৌনতার উৎসব নয়, অসহায়তার আয়না।

মুখের চামড়া থেকে মেক-আপ তুলতে তুলতে চোখ কড়কড় করছিল। নিশ্চয়ই চোখের বালিই হবে। আসার সময় ঋতুদাকে বলে আসিনি সেদিন। আরামের ট্যাক্সি চেপে পালাতে পালাতে জানলার বাইরে স্কুলফেরতা কোনও মা ও মেয়েকে দেখলেই চোখ সরিয়ে নিচ্ছিলাম তক্ষুনি।

 

ঋইউনিয়ন-এর অন্যান্য পর্ব…

পর্ব ৪৪: একবারও মনে হয়নি, ‘চোখের বালি’তে অ্যাসিস্ট না করে কিছু মিস করছি

পর্ব ৪৩: শুভ মহরৎ-এ আমার ভদ্রতা আর প্রেমে দাগা, বন্ধুরা মেনে নিতে পারেনি

 পর্ব ৪২: ‘অসুখ’-এ গৌরী ঘোষের চরিত্রে গলা দিয়েছিল ঋতুদা নিজে

পর্ব ৪১: ঋতুদার ভেলকিতে খুনের থেকেও প্রেমের জখম বড় হয়ে দাঁড়াল

পর্ব ৪০: আমার ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিল সইফ আলি খান

পর্ব ৩৯: নন্দিতার জন্য নার্ভাস ছিলাম না, রবীন্দ্রনাথের জন্য ছিলাম

পর্ব ৩৮: টোটার দেওয়া ডায়েট চার্ট পেয়ে নিজেকে হঠাৎ খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছিল

পর্ব ৩৭: ফিরে এল কলেজবেলার কমপ্লেক্স– নন্দিতা দাস আমার চেয়ে লম্বা নয়তো?

পর্ব ৩৬: আমার ডিটেকটিভ একজন মহিলা, বলেছিল ঋতুদা

পর্ব ৩৫: চন্দ্রবিন্দুর কোনও কাজ কি নির্বিঘ্নে হবে না!

পর্ব ৩৪: বিলক্ষণ বুঝতে পারছি, চ অ্যালবামটা মাথা খাচ্ছে ঋতুদার

পর্ব ৩৩: হাতে মাইক আর হাতে বন্দুক– দুটোই সমান বিপজ্জনক!

পর্ব ৩২: ‘চ’ রিলিজের সময় শঙ্খবাবু আমাকে দু’টি কড়া শর্ত দিয়েছিলেন

পর্ব ৩১: ত্বকের যত্ন নিন সেক্সিস্ট গান, বলেছিল ঋতুদা

ঋইউনিয়ন পর্ব ৩০: বাতিল হওয়া গান শোনাতে কার ভালো লাগে?

ঋইউনিয়ন পর্ব ২৯: সামান্য দরকার থাকলেই মাথাখারাপ করে দিত ঋতুদা

ঋইউনিয়ন পর্ব ২৮: পত্রিকার ক্যাচলাইনের মতোই এডিটরের মুডও ক্ষণে ক্ষণে পাল্টায়

ঋইউনিয়ন পর্ব ২৭: জয়দেব বসু ছাড়া আর কেই বা ছিল কলকাতার সঙ্গে মানানসই?

ঋইউনিয়ন পর্ব ২৬: পাহাড় থেকে নেমে আসার আগে মিঠুনদা একদিন রান্না করে খাওয়াবেন– খবরটা চাউর হয়ে গেল

ঋইউনিয়ন পর্ব ২৫: মেঘে ডুবে গেল শুটিং ইউনিট, শুরু হল গোধূলি সন্ধির গীতিনাট্য

ঋইউনিয়ন পর্ব ২৪: মিঠুনদার উত্তাল সত্তরের গল্পে আমাদের অলিগলি মুখস্ত হয়ে যেত

ঋইউনিয়ন পর্ব ২৩: প্রথম টেকে মিঠুনদা ফলস খেলেন!

ঋইউনিয়ন পর্ব ২২: মানুষ কালীভক্ত হয়, ঋতুদা শুধু লি ভক্ত

ঋইউনিয়ন পর্ব ২১: শুনলাম কঙ্কনা না কি খুবই নার্ভাস, ‘ঋতুমামা’র ছবি করবে বলে

ঋইউনিয়ন পর্ব ২০: ইউনিটে একটা চাপা উত্তেজনা, কারণ মিঠুন চক্রবর্তীর আসার সময় হয়ে গিয়েছে

ঋইউনিয়ন পর্ব ১৯: যে সময় ‘তিতলি’র শুটিংকাল, তখন পাহাড়ে ঘোর বর্ষা

ঋইউনিয়ন পর্ব ১৮: চিত্রনাট্য পড়ে শোনাল ঋতুদা, কিন্তু ‘চোখের বালি’র নয়

ঋইউনিয়ন পর্ব ১৭: তুই কি অ্যাসিস্ট করতে পারবি আমায় ‘চোখের বালি‘তে?

ঋইউনিয়ন পর্ব ১৬: লিরিক নিয়ে ভয়ংকর বাতিক ছিল ঋতুদার

ঋইউনিয়ন পর্ব ১৫: জীবনের প্রথম চাকরি খোয়ানোর দিনটি দগদগে হয়ে রয়েছে

ঋইউনিয়ন পর্ব ১৪: উত্তমের অন্ধকার দিকগুলো প্রকট হচ্ছিল আমাদের কাটাছেঁড়ায়

ঋইউনিয়ন পর্ব ১৩: সুপ্রিয়া-উত্তমের কন্যাসন্তান হলে নাম ভাবা হয়েছিল: ভ্রমর

ঋইউনিয়ন পর্ব ১২: ধর্মতলায় ঢিল ছুড়লে যে মানুষটার গায়ে লাগবে, সে-ই উত্তম ফ্যান

ঋইউনিয়ন পর্ব ১১: পার্ক স্ট্রিট ছিল আমার বিকেলের সান্ত্বনা, একলা হাঁটার রাজপথ

ঋইউনিয়ন পর্ব ১০: পরিচালক হলে খিস্তি দিতে হয় নাকি!  

ঋইউনিয়ন পর্ব ৯: সেই প্রথম কেউ আমায় ‘ডিরেক্টর’ বলল 

ঋইউনিয়ন পর্ব ৮: শুটিং চলাকালীনই বিগড়ে বসলেন ঋতুদা!

ঋইউনিয়ন পর্ব ৭: ঋতুদা আর মুনদির উত্তেজিত কথোপকথনে আমরা নিশ্চুপ গ‌্যালারি

ঋইউনিয়ন পর্ব ৬: মুনমুন সেনের নামটা শুনলেই ছ্যাঁকা খেতাম

ঋইউনিয়ন পর্ব ৫: আমার পেশার জায়গায় লেখা হল: পেশা পরিবর্তন

ঋইউনিয়ন পর্ব ৪: লাইট, ক‌্যামেরা, ফিকশন, সব জ‌্যান্ত হয়ে ওঠার মুহূর্তে ঋতুদার চিৎকার!

ঋইউনিয়ন পর্ব ৩: রবীন্দ্রনাথকে পার করলে দেখা মিলত ঋতুদার

ঋইউনিয়ন পর্ব ২: ‘চন্দ্রবিন্দু’র অ্যালবামের এরকম সব নাম কেন, জানতে চেয়েছিলেন ঋতুদা

ঋইউনিয়ন পর্ব ১: নজরুল মঞ্চের ভিড়ে কোথায় লুকিয়ে ছিলেন ঋতুপর্ণ?