আমি হাতজোড় করে সকলকে রিকোয়েস্ট করি, একটু ধৈর্য্য ধরতে, এরপরই গান শুরু করবে চন্দ্রবিন্দু। ঋতুদা একটু অবাক হয়েছিল আমার স্টেজে ওঠার পর হাততালির বহর দেখে। পরে বলেছিল, ‘খুব খুশি হয়েছি তোদের এরম জনপ্রিয়তা দেখে।’ ঋতুদাকে যেটা বলতে পারিনি, ‘সেলিব্রিটি’ যদি কেউ থেকে থাকে সেটা এক ও অভিন্ন স্বয়ং ঋতুপর্ণ। গোটা দেশ যার নাম শুনলে চিনতে পারে।
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়
৪৮.
‘ব্ল্যাকম্যাজিক’-এ সে সময় হইহই কাণ্ড! ‘পাতালঘর’ রিলিজ করবে। ব্ল্যাকম্যাজিকের প্রথম প্রোডাকশন। শীর্ষেন্দুদার লেখা, অভিজিৎ চৌধুরির পরিচালনা। ‘ব্ল্যাকম্যাজিক’ কোম্পানির তিন ডিরেক্টরের একজন অভিজিৎ, যাকে সবাই ‘দাদু’ বলে ডাকে। এমনকী, আমরাও। শুটিংয়ের গল্প ছিল আমাদের অফিসের ফেভারিট পাসটাইম। ‘চিঙ্কুদা’ মানে ইন্দ্রনীল ঘোষ এই ছবিতে একটা মহাকাশযান বানিয়েছিল, রঙ্গনদা দুর্দান্ত গান লিখেছিল। প্রাথমিক চিত্রনাট্যটিও শোনা কথা… তারই লেখা, কিন্তু ফাইনাল স্ক্রিপ্টটা লেখে চিঙ্কুদার স্ত্রী, ঋতুদার সহপাঠী দীপান্বিতাদি। এমন ছবি বাংলায় এর আগে হয়নি। ঋতুদার বাড়ির আড্ডাতেও সে গল্প হয়েছে বহুবার। ঋতুদার পুরো টিমটাই ওই ছবিতে ছিল। ক্যামেরায় অভীকদা, সংগীতে দেবজ্যোতি মিশ্র, আর্টে ইন্দ্রনীল ঘোষ। সে সময় অর্ঘ্যদা মারুতি এস্টিম নামের একটা গাড়ি চাপত। আমার রুটিন ছিল ফেরার সময় অর্ঘ্যদার সঙ্গে ঝুলে পড়া। আমায় উপলের বাড়ি নিয়মিত নামিয়ে বাড়ি চলে যেত। ফেরার রাস্তায় সিনেমা নিয়েই কথা হত।কখনও ঋতুদা, কখনও পাতালঘর– সময় কেটে যেত হুস করে। বিনা ভাড়ায় এমন সমৃদ্ধ যাত্রা অভাবনীয়! তখন অর্ঘ্যদা আবার গাড়ি চালানো শিখছে। সল্টলেক ঢোকার পর থেকে গপ্প বন্ধ, স্টিয়ারিংয়ে সিরিয়াস তখন অর্ঘ্যদা।
‘পাতালঘর’ রিলিজের আগে হঠাৎ অর্জুন আমার সঙ্গে একটা মিটিং করল। বলল, দ্যাখ ছবিটা দেখাতে হবে সবাইকে যে করে হোক! তুই তো মিডিয়ায় ছিলি এতগুলো বছর– চেনেও তোকে সবাই। তুই একটু বল।পাতালঘরের পুরো মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ছিল আমার। কে না দেখেছে ছবি! ‘ক্যাল টাইমস’-এর অভিজিৎ দাশগুপ্ত , আজকালের সম্পাদক অশোক দাশগুপ্ত, টেলিগ্রাফের সুমিতদা– রোজ একবার করে ব্ল্যাকম্যাজিকের স্টুডিওয় চলত পাতালঘর। ছবি রিলিজের আগে বার সাতেক দেখে ফেলেছিলাম ছবিটা। ঋতুদাও একদিন দেখতে এল। বলল, ‘‘দ্যাখ, আমার ছবি তো খুব সম্পর্কের মধ্যে আবর্তিত, অন্দরের কথা অনেক বেশি বলে। এই ছবিটা সেদিক থেকে নতুন ধারার হবে। ফ্যান্টাসি নিয়ে আর ক’টাই বা ছবি হয়েছে বাংলাভাষায়?’’ এমনই প্রত্যাশার বুদ্বুদ জুড়ে ছিল পাতালঘর। ছবিটার এগজিকিউটিভ প্রোডিউসার ছিল বৌদ্ধায়ন। পরবর্তীতে নামজাদা প্রযোজক হওয়ার প্রথম সিঁড়ি। অ্যাসিস্ট করেছিল সুদীপা। তার কাছ থেকে শুনতাম সেই রাজকীয় শুটিংয়ের বেত্তান্ত। কত বাজেট ছিল সিনেমার? অর্জুন পরিষ্কার করে কিছু বলেনি কখনও। কিন্তু আন্দাজ করতে পারি, সর্বস্ব দিয়ে করেছিল। সামান্য অপছন্দের শট থাকলেও সেটকে রি-শুট করা হত।
যে ছবিকে ঘিরে এমন প্রত্যাশার পারদ, সে ছবি যে দারুণ পথভাঙা কিছু করে দেখাবে সবাই জানত তা। কাগজ-কলমে লেখাও হয়েছিল তাই।কিন্তু খুব আশ্চর্যের ব্যাপার, ছবিটি চলেনি সের’ম। লোকে এসে দেখেনি উপচে পড়ে। কোনও যুক্তি দিয়ে এর ব্যাখ্যা চলে না। পাতালঘর পাতালবন্দি রইল। দাদু, নীতি, অর্জুন আবার যে-যার মতো বম্বের বিজ্ঞাপনী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল একরাশ মনখারাপ নিয়ে। আমিও খুব ভেঙে পড়েছিলাম একভাবে। মনে মনে যে ছবি বানানোর ইচ্ছে, তার ধরন তো এই পাতালঘরের মতোই হবে। তাহলে কি নতুন কিছু করার অর্থই প্রত্যাখ্যান!
অথচ গানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্যরকম হচ্ছিল। দিনে দিনে আমাদের গানের শ্রোতার সংখ্যা বাড়ছিল। কাগজে ছবি, লেখালেখি– বাংলা ব্যান্ড হইহই করে উঠে আসছে ফ্রন্ট পেজে। ঋতুদা ভালোবাসত আমাদের গান। সে ভালোবাসার মধ্যে ভালো কাজের একটা প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয় ছিল সবসময়। কিন্তু সত্যি কত মানুষ শোনে– সে বিষয়ে জানত না একেবারেই। বেহালার কাছে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখি, সেখানে চিফ গেস্ট ঋতুদা। সঙ্গে মন্টুদাও এসেছে। ঋতুপর্ণ ঘোষের বক্তৃতার পর চন্দ্রবিন্দু শুরু হবে। একঝাঁক ইয়ং ব্রিগেড এসেছে আমাদের জন্য। তাদের আবার শুরুতে এমন ভাষণ ভারি অপছন্দ ছিল। ঋতুদার বক্তৃতার মাঝে তারা বিরক্ত করতে শুরু করল। যিনি অ্যাঙ্কর ছিলেন তিনি তখন ঋতুদাকে ‘উনিশে এপ্রিল’-এর সঙ্গে বার্গম্যানের ‘অটাম সোনাটা’র মিল নিয়ে প্রবল বৌদ্ধিক এক আলোচনায় মেতেছেন। অটাম সোনাটার চেয়ে গান শোনাটা বেশি জরুরি মনে করে দর্শক আওয়াজ ছুড়তে লাগল। পরিস্থিতি খারাপ দেখে আয়োজকরা আমায় অনুরোধ করে, একবার মঞ্চে ওঠার জন্য। খুবই লজ্জাজনক কিন্তু ঋতুদা স্টেজে রয়েছে, আমায় উঠতেই হত। আমি হাতজোড় করে সকলকে রিকোয়েস্ট করি, একটু ধৈর্য্য ধরতে, এরপরই গান শুরু করবে চন্দ্রবিন্দু। ঋতুদা একটু অবাক হয়েছিল আমার স্টেজে ওঠার পর হাততালির বহর দেখে। পরে বলেছিল, ‘খুব খুশি হয়েছি তোদের এরম জনপ্রিয়তা দেখে।’ ঋতুদাকে যেটা বলতে পারিনি, ‘সেলিব্রিটি’ যদি কেউ থেকে থাকে সেটা এক ও অভিন্ন স্বয়ং ঋতুপর্ণ। গোটা দেশ যার নাম শুনলে চিনতে পারে।
…………….
যে ছবিকে ঘিরে এমন প্রত্যাশার পারদ, সে ছবি যে দারুণ পথভাঙা কিছু করে দেখাবে সবাই জানত তা। কাগজ-কলমে লেখাও হয়েছিল তাই।কিন্তু খুব আশ্চর্যের ব্যাপার, ছবিটি চলেনি সের’ম। লোকে এসে দেখেনি উপচে পড়ে। কোনও যুক্তি দিয়ে এর ব্যাখ্যা চলে না। পাতালঘর পাতালবন্দি রইল। দাদু, নীতি, অর্জুন আবার যে-যার মতো বম্বের বিজ্ঞাপনী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল একরাশ মনখারাপ নিয়ে। আমিও খুব ভেঙে পড়েছিলাম একভাবে। মনে মনে যে ছবি বানানোর ইচ্ছে, তার ধরন তো এই পাতালঘরের মতোই হবে। তাহলে কি নতুন কিছু করার অর্থই প্রত্যাখ্যান!
…………….
অনেক দিন পর আবার একদিন ঋতুদার বাড়িতে আড্ডা হচ্ছে। ‘মধুরেণ’ থেকে শিঙারা এসেছে। ওই বাড়ির আড্ডার ওটা একটা বড় আকর্ষণ। ঋতুদা বলল, ‘তুই কি স্টোরিব্যাঙ্কের কাজ একটু করবি আমার সঙ্গে? কাজের চাপ আসছে প্রবল। আমার একার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না আর।
টাকাও পাবি।’
লোভনীয় প্রস্তাব তো বটেই। কিন্তু চন্দ্রবিন্দু তখন বেগবান এক হাওয়াগাড়ি। শোয়ের চাপ বাড়ছে। ব্ল্যাকম্যাজিক নতুন ছবি প্রযোজনা করছে। নীতি চায়, আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ রোল এ অভিনয় করি। ঋতুদাকে বললাম, ‘কিছু মনে কোরো না। একটু দেখে নিই কী অবস্থা, তারপর জানাচ্ছি তোমায়।’ এখন মনে হয়, ঋতুদা নিশ্চয়ই খুব অবাক হয়েছিল আমার উত্তর শুনে। যতই বড় হই বা বড় হওয়ার ভাব দেখাই ঋতুদার মধুর প্রশ্রয় ছিল সবসসময়।
ব্ল্যাকম্যাজিকের দ্বিতীয় ছবি পরিচালনা করবেন আর এক ম্যাভেরিক ডিরেক্টর মলয় ভট্টাচার্য। যাঁর প্রথম ছবি কাহিনি তোলপাড় ফেলেছে সিরিয়াস ফিল্ম বাফদের কাছে। পরের ছবির নাম ‘তিন এক্কে তিন’। সিরিও কমিক সিনেমার হিরো তিন নারী। শ্রীলেখা মিত্র আগেই পরিচিত, নতুন দুই মুখ কাজ করবে– টিভির জগৎ থেকে কনীনিকা আর বম্বে থেকে অডিশন দিয়ে গিয়েছে, অঞ্জনা ভৌমিকের কন্যা নীলাঞ্জনা।কনীনিকার বিপরীতে একজন ‘ন্যাকা’ গায়কের রোলে আমার অভিনয় করার কথা, ছবির শেষে যে রক সিঙ্গার হয়ে যাবে। মলয়দা অডিশন নিয়েছেন আমার।
শেষ মুহূর্তে বাতিল হই আমি। আমার জায়গায় মলয়দা সিলেক্ট করেন বাদশা নামের এক নবাগতকে। বাদশাকে আমি চিনি। এসআরএফটিআই এ সৌগত’র ‘বন্ধু তোমায়’-এর মিউজিক ভিডিওতে আগে দেখেছি ওকে। বাদ পড়ে গিয়ে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম। অভিনয় চিরকালই আমার কাছে বিষম চাপ! রোল পেলে উত্তেজিত লাগে, আবার নার্ভাসও লাগে খুব।
…………………………………..
ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: রোববার ডিজিটাল
…………………………………..
ঋতুদাকে ফোন করলাম। রোলটা পাইনি, ফলে করা হচ্ছে না মলয়দার ছবি।
ঋতুদা একটা আলগা সান্ত্বনা দিল। যেমন বলতে হয়। আশা করেছিলাম একবার বলবে, ওই স্টোরিব্যাঙ্কের কাজটার কথা।
বলল না।
…ঋইউনিয়ন-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৪৭:
পর্ব ৪৬: কোনও টক শো’য় অতিথি অনুষ্ঠান শেষ করছে– এমন ঘটনা শুধু ‘এবং ঋতুপর্ণ’তেই ঘটেছিল
পর্ব ৪৫: চিত্রনাট্যের বাইরের এক সংলাপ আমাদের নগ্ন করে দিয়ে গেল
পর্ব ৪৪: একবারও মনে হয়নি, ‘চোখের বালি’তে অ্যাসিস্ট না করে কিছু মিস করছি
পর্ব ৪৩: শুভ মহরৎ-এ আমার ভদ্রতা আর প্রেমে দাগা, বন্ধুরা মেনে নিতে পারেনি
পর্ব ৪২: ‘অসুখ’-এ গৌরী ঘোষের চরিত্রে গলা দিয়েছিল ঋতুদা নিজে
পর্ব ৪১: ঋতুদার ভেলকিতে খুনের থেকেও প্রেমের জখম বড় হয়ে দাঁড়াল
পর্ব ৪০: আমার ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিল সইফ আলি খান
পর্ব ৩৯: নন্দিতার জন্য নার্ভাস ছিলাম না, রবীন্দ্রনাথের জন্য ছিলাম
পর্ব ৩৮: টোটার দেওয়া ডায়েট চার্ট পেয়ে নিজেকে হঠাৎ খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছিল
পর্ব ৩৭: ফিরে এল কলেজবেলার কমপ্লেক্স– নন্দিতা দাস আমার চেয়ে লম্বা নয়তো?
পর্ব ৩৬: আমার ডিটেকটিভ একজন মহিলা, বলেছিল ঋতুদা
পর্ব ৩৫: চন্দ্রবিন্দুর কোনও কাজ কি নির্বিঘ্নে হবে না!
পর্ব ৩৪: বিলক্ষণ বুঝতে পারছি, চ অ্যালবামটা মাথা খাচ্ছে ঋতুদার
পর্ব ৩৩: হাতে মাইক আর হাতে বন্দুক– দুটোই সমান বিপজ্জনক!
পর্ব ৩২: ‘চ’ রিলিজের সময় শঙ্খবাবু আমাকে দু’টি কড়া শর্ত দিয়েছিলেন
পর্ব ৩১: ত্বকের যত্ন নিন সেক্সিস্ট গান, বলেছিল ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ৩০: বাতিল হওয়া গান শোনাতে কার ভালো লাগে?
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৯: সামান্য দরকার থাকলেই মাথাখারাপ করে দিত ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৮: পত্রিকার ক্যাচলাইনের মতোই এডিটরের মুডও ক্ষণে ক্ষণে পাল্টায়
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৭: জয়দেব বসু ছাড়া আর কেই বা ছিল কলকাতার সঙ্গে মানানসই?
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৬: পাহাড় থেকে নেমে আসার আগে মিঠুনদা একদিন রান্না করে খাওয়াবেন– খবরটা চাউর হয়ে গেল
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৫: মেঘে ডুবে গেল শুটিং ইউনিট, শুরু হল গোধূলি সন্ধির গীতিনাট্য
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৪: মিঠুনদার উত্তাল সত্তরের গল্পে আমাদের অলিগলি মুখস্ত হয়ে যেত
ঋইউনিয়ন পর্ব ২৩: প্রথম টেকে মিঠুনদা ফলস খেলেন!
ঋইউনিয়ন পর্ব ২২: মানুষ কালীভক্ত হয়, ঋতুদা শুধু লি ভক্ত
ঋইউনিয়ন পর্ব ২১: শুনলাম কঙ্কনা না কি খুবই নার্ভাস, ‘ঋতুমামা’র ছবি করবে বলে
ঋইউনিয়ন পর্ব ২০: ইউনিটে একটা চাপা উত্তেজনা, কারণ মিঠুন চক্রবর্তীর আসার সময় হয়ে গিয়েছে
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৯: যে সময় ‘তিতলি’র শুটিংকাল, তখন পাহাড়ে ঘোর বর্ষা
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৮: চিত্রনাট্য পড়ে শোনাল ঋতুদা, কিন্তু ‘চোখের বালি’র নয়
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৭: তুই কি অ্যাসিস্ট করতে পারবি আমায় ‘চোখের বালি‘তে?
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৬: লিরিক নিয়ে ভয়ংকর বাতিক ছিল ঋতুদার
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৫: জীবনের প্রথম চাকরি খোয়ানোর দিনটি দগদগে হয়ে রয়েছে
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৪: উত্তমের অন্ধকার দিকগুলো প্রকট হচ্ছিল আমাদের কাটাছেঁড়ায়
ঋইউনিয়ন পর্ব ১৩: সুপ্রিয়া-উত্তমের কন্যাসন্তান হলে নাম ভাবা হয়েছিল: ভ্রমর
ঋইউনিয়ন পর্ব ১২: ধর্মতলায় ঢিল ছুড়লে যে মানুষটার গায়ে লাগবে, সে-ই উত্তম ফ্যান
ঋইউনিয়ন পর্ব ১১: পার্ক স্ট্রিট ছিল আমার বিকেলের সান্ত্বনা, একলা হাঁটার রাজপথ
ঋইউনিয়ন পর্ব ১০: পরিচালক হলে খিস্তি দিতে হয় নাকি!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৯: সেই প্রথম কেউ আমায় ‘ডিরেক্টর’ বলল
ঋইউনিয়ন পর্ব ৮: শুটিং চলাকালীনই বিগড়ে বসলেন ঋতুদা!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৭: ঋতুদা আর মুনদির উত্তেজিত কথোপকথনে আমরা নিশ্চুপ গ্যালারি
ঋইউনিয়ন পর্ব ৬: মুনমুন সেনের নামটা শুনলেই ছ্যাঁকা খেতাম
ঋইউনিয়ন পর্ব ৫: আমার পেশার জায়গায় লেখা হল: পেশা পরিবর্তন
ঋইউনিয়ন পর্ব ৪: লাইট, ক্যামেরা, ফিকশন, সব জ্যান্ত হয়ে ওঠার মুহূর্তে ঋতুদার চিৎকার!
ঋইউনিয়ন পর্ব ৩: রবীন্দ্রনাথকে পার করলে দেখা মিলত ঋতুদার
ঋইউনিয়ন পর্ব ২: ‘চন্দ্রবিন্দু’র অ্যালবামের এরকম সব নাম কেন, জানতে চেয়েছিলেন ঋতুদা
ঋইউনিয়ন পর্ব ১: নজরুল মঞ্চের ভিড়ে কোথায় লুকিয়ে ছিলেন ঋতুপর্ণ?
মূর্তি বানাবেন বলে বাড়ি ছেড়েছিলেন। গিয়ে পড়েছিলেন প্রদোষ দাশগুপ্তের হাতে। আর্ট কলেজ থেকে বরোদা, ফ্লোরেন্স থেকে কলাভবন– ঘুরে বেরিয়েছেন সুরের সন্ধানে। বন্ধু হিসেবে পেয়েছেন মল্লিকার্জুন মনসুর থেকে আলি আকবর খান কিংবা পি এল দেশপান্ডের মতো ব্যক্তিত্বকে। সুর, তাঁর শিল্প ও জীবন দু’য়ের সঙ্গেই জড়িয়ে গেছে ওতপ্রোতভাবে। শর্বরী রায়চৌধুরীর জীবন ও ভাস্কর্য নিয়ে তাঁর স্ত্রী অজন্তা রায়চৌধুরী এবং জ্যেষ্ঠ পুত্র সৌগত রায়চৌধুরীর সঙ্গে কথোপকথন।