জীবনের শেষবেলায় ১৯৪০ সালে ‘বিশ্বভারতী’ থেকে বেরিয়েছিল তাঁর ছবির প্রথম অ্যালবাম, ‘চিত্রলিপি’ নামে। প্রস্তুতি অবশ্য অনেক আগে থেকেই ছিল, নানা সমস্যায় তা হয়ে ওঠেনি। ‘প্রবাসী’র সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শে পুত্র কেদারনাথ এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৯৩২ এর গোড়ায় ‘প্রবাসী’ এবং ‘মডার্ন রিভিউ’তে চারটে ছবি প্রকাশের পরে অ্যালবাম তৈরির প্রস্তাব আসে রবিঠাকুরের কাছে। আনন্দের সঙ্গে তিনি সম্মতি দেন। কিছু আগেই মুকুল দে আয়োজিত রবীন্দ্রচিত্র প্রদর্শনীর ক্যাটালগে রঙিন প্রচ্ছদ ও ভিতরে সাদাকালো ছবি মিলিয়ে মোট ২০টি ছবি ছাপা হয়েছিল। হয়তো সেখান থেকেই উঠে এসেছে স্বতন্ত্র অ্যালবামের ভাবনা।
৩৪.
রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি প্রথম কবে কোন পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল, সে আমরা দেখেছি। তবে বিদেশে তাঁর প্রদর্শনী উপলক্ষে কাগজপত্রে যে ছবি প্রকাশ পেয়েছে, তার কথা এখানে ধরছি না। সেগুলো এগজিবিশন সংক্রান্ত খবরাখবরের অংশ হিসেবে মুদ্রিত– সাংবাদিকতার নিরিখে। বলতে চাইছি, আলাদা অ্যালবামে তাঁর ছবি ছাপানোর কথা। সেদিক থেকে দেখলে, জীবনের শেষবেলায় ১৯৪০ সালে ‘বিশ্বভারতী’ থেকে বেরিয়েছিল তাঁর ছবির প্রথম অ্যালবাম, ‘চিত্রলিপি’ নামে। প্রস্তুতি অবশ্য অনেক আগে থেকেই ছিল, নানা সমস্যায় তা হয়ে ওঠেনি। ‘প্রবাসী’র সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শে পুত্র কেদারনাথ এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৯৩২ এর গোড়ায় ‘প্রবাসী’ এবং ‘মডার্ন রিভিউ’তে চারটে ছবি প্রকাশের পরে অ্যালবাম তৈরির প্রস্তাব আসে রবিঠাকুরের কাছে। আনন্দের সঙ্গে তিনি সম্মতি দেন। কিছু আগেই মুকুল দে আয়োজিত রবীন্দ্রচিত্র প্রদর্শনীর ক্যাটালগে রঙিন প্রচ্ছদ ও ভিতরে সাদাকালো ছবি মিলিয়ে মোট ২০টি ছবি ছাপা হয়েছিল। হয়তো সেখান থেকেই উঠে এসেছে স্বতন্ত্র অ্যালবামের ভাবনা। তবে কেদারের পরিকল্পনা মতো প্রাথমিক কাজ এগোলেও নানা রকমের টালবাহানায় তা বিলম্বিত হতে থাকে। ক্রমে দীর্ঘ সাত-আট বছর কেটে গেলে রবীন্দ্রনাথ বেশ বিরক্ত হয়ে পড়েন, সে গল্পই রইল এখানে।
সন-তারিখের নিরিখে রবীন্দ্রনাথের পক্ষ থেকে অ্যালবাম বিষয়ক প্রথম চিঠি দেখা যায় ১৯৩২, জুনের মাঝামাঝি। সে চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ ‘বিশ্বভারতী’ এবং তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের আর্থিক সংকটের কথা স্মরণ করিয়ে কেদারকে বলছেন– ‘আশা করি, তোমরা ভালো আছো। দার্জিলিং [ থেকে] যখন নামবে একবার যেন দেখা হয়– কেন না ছবিগুলোর একটা গতি করতে হবে। দার্জিলিঙে রথীর ঘরে আমার যে ছবি ঝোলানো আছে সেগুলো তো দেখেচ’? চিঠিতে উল্লিখিত ‘ছবিগুলোর একটা গতি’ অর্থে এ্যালবামের কথাই বলা হচ্ছে। মনে রাখা দরকার, বিশের দশকের শেষে কবির সঙ্গে রামানন্দের সম্পর্ক কিছু জটিলতা দেখা দেয়। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, রামানন্দের কাগজে লেখা প্রকাশ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বেশ কঠিন স্বরে বলেন, ‘প্রবাসী ও মডার্ন রিভিয়ুর দরোয়াজা বন্ধ’– যা রামানন্দবাবুকে আঘাত দিয়ে থাকবে। যদিও উভয়ের সম্পর্ক পরে অনেকটা সহজ হয়ে আসে। তা সত্তেও রবীন্দ্রনাথ তাঁর পারস্য ভ্রমণের প্রথম পরিচ্ছেদ ‘পারস্যযাত্রা’ নামে ‘প্রবাসী’কে দিয়েও পরের অধ্যায় থেকে তাকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। লেখাটির শিরোনাম সামান্য বদলে তা ‘পারস্যভ্রমণ’ নামে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকায় দেওয়া মনস্থির করেন। কারণ হিসেবে বলেন, ‘বিচিত্রা’ ‘হাজার টাকা দিয়ে কিনতে চাচ্ছে’। তখন তাঁর অর্থের বড় টানাটানি, ফলে সে লেখা ‘প্রবাসী’র হাতছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি কেদারকে তিনি এও বলছেন,– ‘তোমার বাবার জন্যে দেনা পাওনার সম্পর্ক রাখতে চাই নে সে কথা তাঁকে বারবার বলেচি– প্রবাসীতে মাঝে মাঝে কবিতা প্রবন্ধ প্রভৃতি যদি পাঠাই সেজন্যে আমাকে কিছু দেবার প্রস্তাব করো না’। অবশ্য ছবির অ্যালবাম ছাপানো প্রসঙ্গে তাঁদের মধ্যে আর্থিক দেয়ানেয়ার কথা হয়ে থাকবে। যাইহোক, সেবারে দার্জিলিঙে যাবার পথে ধ্বসে আটকে দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজে কেদার জ্বরে পড়েছিলেন। এ্যালবাম প্রসঙ্গে কবির চিঠির উত্তরে দার্জিলিং থেকে তিনি লেখেন, ‘ছবির এ্যালবাম আমি ফিরে গিয়েই ব্যবস্থা করব। তবে যে কটা ছবি ছাপা হয়নি সেগুলি আরও একটু পরে ছাপতে পারলে ভালো হয়। এখন কলকাতায় গরম ও humidity খুব বেশি আছে, তাতে ছাপা ভালো হওয়া অসম্ভব। রথীবাবুর ঘরে যে ছবিগুলি আছে, বাড়ী থেকে বেরোবার অনুমতি পেলেই সেগুলি দেখে আসব। যদি তার মধ্যে landscape শ্রেণীর আপনার characteristic কিছু থাকে তাহলে সেটি কি কলকাতায় নিয়ে যেতে পারি? আপনার অন্যধরনের প্রায় সব ছবিই আমি পেয়েছি কেবলমাত্র ঐ রকম colourful landscape বাদে।’
কেদারের চিঠি থেকে মনে হয়, ‘প্রবাসী’তে ছাপার জন্য সেই সময় চারটের বেশি ছবি নির্বাচিত হয়েছিল। চিঠির বয়ানে তেমনটাই অনুমান করি,– ‘যে কটা ছবি ছাপা হয়নি সেগুলি একটু পরে ছাপতে পারলে ভালো হয়’ বলতে সে কথাই বোঝাচ্ছে। ভালো ছাপার জন্য কেদার অপেক্ষা করতে রাজি, বোঝাই যাচ্ছে নিখুঁত মুদ্রণের দিকে তাঁর তীক্ষ্ণ নজর ছিল। ‘প্রবাসী’তে ছাপানোর আগে নন্দলালকে দিয়ে ছবির প্রুফ দেখানোর বিষয়টিও রামানন্দের চিঠিতে জানতে পারি, ‘আপনার ছবি চারিখানির ব্লকের প্রুফ দেখিয়া নন্দলালবাবু অনুমোদন করিয়াছেন। সংশোধন যাহা করিতে বলিয়াছেন, তাহা করা হইয়াছে।’ অর্থাৎ ছবির ব্যাপারে রামানন্দ ছিলেন রীতিমতো পারফেকশনিস্ট। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সব কথা বলা যায় না, তাই সচিব অমিয় চক্রবর্তীকে একই দিনে কেদার জানাচ্ছেন, ‘কবির চিঠিতে তাঁর ছবির portfolio-র উল্লেখ রয়েছে সেজন্যে গিয়ে ওঁর সঙ্গে দেখা করতে হবে। সে সময় আপনার সঙ্গেও কথাবার্তা হবে।’ অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথও রামানন্দকে লিখছেন, ‘কেদার এলে তার সঙ্গে ছবির বই ছাপানোর পরামর্শ করতে হবে।’ তবে সেই ‘কথাবার্তা’ বা পরামর্শের পরবর্তী অধ্যায়ে সকলেই যখন নীরব, তখন রবীন্দ্রনাথ আবার অ্যালবামের বিষয়টা রামানন্দকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। ১৯৩২, অক্টোবরের শেষে বলছেন ‘সেই ছবির বইয়ের সম্বন্ধে বুবা (কেদারনাথের ডাকনাম) কি কিছু চিন্তা করছে?’ কাজ যে কিছুটা এগিয়েছিল তা জানা যায় মাসছয়েক পরের চিঠিতে। রথী ঠাকুরকে কেদার লিখছেন– ‘Album[-এর] প্রায় সমস্ত ছবিই ছাপা হয়ে আছে, ব্লক সমস্তই হয়ে গেছে, কেবলমাত্র যদি একখানি landscape পাওয়া যায় সেই জন্যে অপেক্ষা করে আছি।’
চিঠির পরের অংশ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, টাকাপয়সা দরদাম সংক্রান্ত। কেদার লিখছেন, ‘Album-এর শর্ত বা term সম্বন্ধে আপনার বাবামশায়ের সঙ্গে কোন কথা হয়নি, অমিয়বাবুর সঙ্গেও না। কেবলমাত্র গত বৎসর বোলপুরে আপনার সঙ্গে কিছু কথা হয়েছিল বলে আমার ধারণা। তাতে এই বিষয় স্থির হয় যে ওখানি Royalty basis-এ আমি প্রকাশ করব এবং মূল্য ৫-৭।। টাকার মধ্যে হবে। Royalty কত হওয়া উচিত সে বিসয়ে কোন কথা হয়নি। সেটা নির্ধারিত হয়ে থাকা ভাল। এ বিষয়ে আপনার মতামত যদি জানান তো ভাল হয়, এবং landscape-এর জন্যে অপেক্ষা করব কিনা তাও জানাবেন।’ এখানে রথী ঠাকুর আর কেদারের কথাবার্তা একটু যেন ঠান্ডা আর প্রফেশনাল ঠেকে। একটা চাপা টেনশনের আবহ গড়ে ওঠে বলে মনে হয়। ক্রমে অ্যালবাম প্রকাশে বিলম্ব হতে থাকে এবং কোনও অজ্ঞাত কারণে কেদার সেই প্রোজেক্ট থেকে সরে দাঁড়ান। প্রোজেক্ট প্রলম্বিত হলেও রবীন্দ্রনাথের কলম থেমে থাকেনি। অ্যালবামের ছবির জন্যে তিনি একগুচ্ছ কবিতা রচনা করেন, ইংরেজি অনুবাদ সমেত। সে অনেকটা ‘স্ফুলিঙ্গ’ সিরিজের কবিতার মতো, অথবা জাপানি হাইকুও বলা চলে। এদিকে ক্রমশ বিলম্ব হতে থাকায় অধৈর্য রবীন্দ্রনাথ ছবি-সহ সেই কবিতাগুচ্ছকে দ্রুত ছাপিয়ে দেওয়ার তাগাদা দিয়ে চলেন। ‘বিচিত্রা’য় ছাপিয়ে দেওয়ার কথাও মনে হয়। ইতিমধ্যে অ্যালবাম প্রকাশের সামগ্রিক পরিকল্পনায় পরিবর্তন ঘটে। ঠিক হয়, তা ছাপা হবে ‘বিশ্বভারতী’ থেকেই। সেই মতো কাজ শুরু, এবারে অ্যালবামের যাবতীয় দায়িত্ব বর্তায় অত্যন্ত বিচক্ষণ ও সুদক্ষ কর্মী কিশোরীমোহন সাঁতরার ওপরে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় অন্যপথে। প্রকাশিতব্য ছবির বান্ডিল তার ব্লকসহ রয়ে যায় ইউ রায় এন্ড সন্স-এর করুণাবিন্দু বিশ্বাসের ছাপাখানায় বা ভারত ফোট টাইপ-সেটিঙের দপ্তরে। সেখান থেকে ছবি উদ্ধার করাটাই হয়ে ওঠে এক বিশাল পর্ব। রবীন্দ্রনাথের তরফ থেকে কিশোরীর কাছে বারবার তাগাদা যাওয়া সত্তেও অসহায় কিশোরী তা উদ্ধার করতে পারেন না।
এইভাবে গড়িয়ে যায় আরও দুটো বছর, ছবি উদ্ধার তখনও দূর অস্ত। ১৯৩৫ সালের মাঝামাঝি উদ্বিগ্ন রবীন্দ্রনাথ এক রাশ কাজের পাশাপাশি কিশোরীকে লিখেছেন, ‘দ্বিতীয় দফা হচ্চে করুণাবিন্দুর হাতের থেকে ছবিগুলো উদ্ধার করা আমি বর্তমান থাকতেই। আমি অনুপস্থিতকালে কী ঘটবে সে কথা চিন্তা করলে আনন্দ বোধ হয় না। চিন্তা করা ছেড়ে দিয়েছি’। অর্থাৎ ছবি তখনো হাতে আসেনি। ক’দিন বাদেই কিশোরীকে আবার লিখেছেন, ‘কিছুদিন থেকে রোজই তোমার আসার জনশ্রুতি চলচে। …তোমার হাতে সময় অনেক আছে, আমার সময় সঙ্কীর্ণ– এই জন্যেই তুমি আসবে নিশ্চিত জানবার জন্যে উৎসুক আছি। …যদি আসা সম্ভবপর হয় চিত্রলার ( সম্ভবত এ্যালবামের প্রাথমিক নাম) ছবি ও কবিতাগুলো সঙ্গে এনো। বহুকাল থেকে ওর ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আমার অত্যন্ত অস্পষ্ট ধারণা আছে। ওর একটা সদগতি করে তবে বিদায় নিতে চাই– ঘটবে কিনা জানিনে, আমি পঁচাত্তরে পড়েছি– যখন ওটা লেখা হয়েছিল তখন ছিলাম সত্তর। কুষ্ঠির পরে কত ভরসা রাখব? ছায়াছবির সঙ্গে ঐ কবিতাগুলো একসঙ্গে জড়িয়ে যদি পার করতে পারি তাহলে আমার কন্যাদায় মোচন হয়।’ কিন্তু এরপরেও কাজ উদ্ধার হয়নি, রবীন্দ্রনাথও জড়িয়ে পড়েছেন অন্যান্য বইপত্র নিয়ে। সেই পর্বে ‘বীথিকা’, ‘সে’, খাপছাড়া’, ‘ছড়ার ছবি’ ইত্যাদি নিয়ে মহাব্যস্ত থেকেছেন, ফলে চাপা পড়েছে ছবির অ্যালবামের কাজ। আবার তাকে নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে ১৯৩৭-এর গোড়ায়। জট তবু কাটেনি, এতদিন পরেও কেদারের কাছে থেকে ছবির ব্লক ব্যবহারের সম্মতি এসে পৌঁছোয়নি। অসহায় অস্থির রবি ঠাকুর কিশোরীর কাছেই নালিশ জানাচ্ছেন, ‘নিজেরই কৃতকর্মের জালে জড়িয়ে পড়েছি। বুবার (কেদারনাথ) কাছ থেকে সম্মতি পেয়েছ কি? না যদি পাও প্রবাসীর জন্যে বিনা বেতনে আর বেগার খাটব না। আমার ছবি ওরা অনন্তকাল আটক করে রাখবে এমন কোন প্রতিশ্রুতিতে আমি বদ্ধ তা তো জানি নে।’ অবশেষে ধৈর্যের একেবারে চূড়ান্ত সীমায় এসে কবির মনে হয়েছে, ‘ছবিগুলি বুবা লুকিয়ে রেখেছে এই সন্দেহ বরাবর আমার মনে আছে। সে আমার মৃত্যুর অপেক্ষা করবে’ ইত্যাদি ইত্যাদি। তারও বছর তিনেক বাদে কিশোরীমোহনের প্রবল পরিশ্রমে ১৯৪০-এর পুজোর মুখে সেই ছবির অ্যালবাম ‘চিত্রলিপি’ প্রকাশ পেয়েছে। নিশ্চিন্ত হয়েছেন রবি ঠাকুর। তবে বড়ই পরিতাপের কথা, সেইটিই রোগদীর্ণ কিশোরীর শেষ রবীন্দ্রপূজা।
…পড়ুন ছবিঠাকুর-এর অন্যান্য পর্ব…
পর্ব ৩৩: রবীন্দ্রনাথ কি সত্যিই সরকারি আর্টস্কুলের এগজিবিশনে ছবির নাম দিয়েছিলেন?
পর্ব ৩২: জীবৎকালে রবীন্দ্রনাথের ছবির প্রদর্শনীতে ছবি বিক্রির মূল্য গড়ে মাত্র ২০০ টাকা
পর্ব ৩১: অন্ধের সূর্যবন্দনায় বহুকাল আবিষ্ট ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ৩০: সেরামিক পাত্রের গায়ে রবীন্দ্রনাথের আশ্চর্য সব নকশা
পর্ব ২৯: ছিমছাম গ্রন্থসজ্জাই কি বেশি পছন্দ ছিল রবিঠাকুরের?
পর্ব ২৮: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম প্রচ্ছদ
পর্ব ২৭: রবীন্দ্রনাথের চিত্রপটে রং-তুলিতে সাজিয়ে তোলা ফুলেরা কেমন? কী নাম তাদের?
পর্ব ২৬: রবীন্দ্রনাথের আঁকা শেষ ছবি
পর্ব ২৫: রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি সংরক্ষণ করা সহজ নয়
পর্ব ২৪: জাল ছবি ও রবীন্দ্র-ব্যবসা
পর্ব ২৩: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথের বিদ্রোহের ছবি
পর্ব ২২: চিত্রকলার বোধ যত গাঢ়তর হচ্ছে, ততই রবীন্দ্রনাথ চোখের দেখার ওপরে ভরসা করছেন
পর্ব ২১: কলাভবনে নন্দলালের শিল্পচিন্তার প্রতি কি সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারছিলেন না রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ২০: ছবি বুঝতে হলে ‘দেখবার চোখ’-এর সঙ্গে তাকে বোঝার ‘অনেক দিনের অভ্যেস’
পর্ব ১৯: ছবি-আঁকিয়ে রবীন্দ্রনাথ কোন রংকে প্রাধান্য দিয়েছেন?
পর্ব ১৮: ছবি আঁকিয়ে রবিঠাকুরও সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন
পর্ব ১৭: রবীন্দ্রনাথের নারী মুখমণ্ডলের সিরিজ কি কাদম্বরী দেবীর স্মৃতিজাত?
পর্ব ১৬: ট্যাক্স না দেওয়ায় রবীন্দ্রনাথের ছবি আটক করেছিল কাস্টমস হাউস
পর্ব ১৫: বাইরে সংযত রবীন্দ্রনাথ, ক্যানভাসে যন্ত্রণাদগ্ধ ছবিঠাকুর
পর্ব ১৪: অমৃতা শেরগিলের আঁকা মেয়েদের বিষণ্ণ অভিব্যক্তি কি ছবিঠাকুরের প্রভাব?
পর্ব ১৩: আত্মপ্রতিকৃতির মধ্য দিয়ে নতুন করে জন্ম নিচ্ছিলেন রবীন্দ্রনাথ
পর্ব ১২: আমেরিকায় কে এগিয়ে ছিলেন? ছবিঠাকুর না কবিঠাকুর?
পর্ব ১১: নন্দলাল ভেবেছিলেন, হাত-পায়ের দুয়েকটা ড্রয়িং এঁকে দিলে গুরুদেবের হয়তো সুবিধে হবে
পর্ব ১০: ১০টি নগ্ন পুরুষ স্থান পেয়েছিল রবীন্দ্র-ক্যানভাসে
পর্ব ৯: নিরাবরণ নারী অবয়ব আঁকায় রবিঠাকুরের সংকোচ ছিল না
পর্ব ৮: ওকাম্পোর উদ্যোগে প্যারিসে আর্টিস্ট হিসেবে নিজেকে যাচাই করেছিলেন রবি ঠাকুর
পর্ব ৭: শেষ পর্যন্ত কি মনের মতো স্টুডিও গড়ে তুলতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
পর্ব ৬: রবীন্দ্র চিত্রকলার নেপথ্য কারিগর কি রানী চন্দ?
পর্ব ৫: ছবি আঁকার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ পরলোকগত প্রিয়জনদের মতামত চেয়েছেন
পর্ব ৪: প্রথম ছবি পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়ামাত্র শুরু হয়েছিল বিদ্রুপ
পর্ব ৩: ঠাকুরবাড়ির ‘হেঁয়ালি খাতা’য় রয়েছে রবিঠাকুরের প্রথম দিকের ছবির সম্ভাব্য হদিশ
পর্ব ২: রবীন্দ্রনাথের আঁকা প্রথম ছবিটি আমরা কি পেয়েছি?
পর্ব ১: অতি সাধারণ কাগজ আর লেখার কলমের ধাক্কাধাক্কিতে গড়ে উঠতে লাগল রবিঠাকুরের ছবি
খেলিফের প্রতি নেটিজেনের বিরুদ্ধতার কারণ তাই, আর যাই হোক, তা ‘মেয়েদের সমানাধিকারের’ দাবিতে নয়। সমস্যা অবশ্যই খেলিফের লম্বা, পেটানো পেশিবহুল চেহারা– যা বহু মানুষের মতে ‘নারীসুলভ’ নয়। অর্থাৎ, অলিম্পিক খেলার যোগ্যতা অর্জন করা ক্রীড়াবিদ পাশ করতে পারেননি আমাদের বিউটি প্যাজেন্টে। দুইক্ষেত্রেই লজ্জা আমাদের। তবুও খেলিফ জিতলেন, সোনা ছাড়া আর কীই বা পেতে পারতেন তিনি?