Robbar

নাস্তিক-আস্তিকের মতোই এক এবং দুই-এরও অন্যকে ছাড়া চলে না

আমরা বহুদিন ধরে বুঝি এবং মানি, ঈশ্বরের থাকা-না-থাকা নিয়ে যে দু’টি তরফ আছে দেশে, তারাই যথাক্রমে ‘আস্তিক’ ও ‘নাস্তিক’। তাঁর অস্তিত্ব মানে যে সে আস্তিক, যে তাঁর না-থাকায় ভরসা রাখে সে নাস্তিক। তিনি ছাড়া কিছুই আর নেই, এই যা কিছু দেখছি কিংবা দেখছি না– এই সবই তিনি কিংবা তাঁরই বিচ্ছুরণ, এমনকী, আমিও তাই, তাঁরই অন্তর্গত, তাঁরই ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, বাসনা। এই অর্থে সবচেয়ে বেশি আস্তিক আসলে চরম না-পন্থী।

বাঙালদের কাছে ডালের খাতির বেশি, ঘটিদের কাছে মাছটাই প্রিয়

এখনও লক্ষ্য করে দেখবেন, তিন প্রজন্ম পরেও বাঙালরা আগে মাছ, পরে ডাল খায়। কলকাতায় এসে এই উলটো কারবার দেখে বাঙালরা বেশ হকচকিয়ে ছিল। মাছের চেয়ে ডালের দাম কম বলে টানাটানির সংসারে ডালের ব্যবহার বেড়ে গেল বটে, কিন্তু ডালকে বাঙালরা অসম্মান করল না। জলসায় আগে মানবেন্দ্র, ধনঞ্জয়, পিন্টু কিন্তু শেষে হেমন্ত। তেমন শেষে ডাল।