‘মল ফ্ল্যান্ডারস্’ উপন্যাসের নায়িকা মলির মতো একটা মেয়ে, সাহিত্যে না পাই, জীবনে কি পাইনি? পেয়েছি তার ড্রেসিং টেবিলের সৌজন্যে। সেই ড্রেসিং টেবিলে ছিল তিনটে আরশি। তিন মুকুর মায়ার মধুপুর, বলেছিলুম সেই সাজুগুজুর টেবিলকে। কলকাতার এই বাঙালি মেয়েকে ‘মলি’ নামে ডাকলে দোষ কী? ‘মলি’ নামটা কিন্তু আন্তর্জাতিক। ‘মল ফ্লান্ডারস্’-এর মলি থেকে জেমস জয়সের মলি পেরিয়ে সত্যজিৎ রায়ের নায়কের মলি এবং সব মলিরই আছে ড্রেসিং টেবিলের মায়ামুকুর। একেই বলে বোধহয় কম্প্যারিটিভ লিটারেচার!
৫৩.
আমি ছুকরি। চটকদার ছুকরি। এবং গরিব নই। দু’-পয়সা আছে। সুতরাং বাবুর অভাব নেই। তবে বাবুরা দুম করে আদর করার আগে দু’বার ভাবে। যেহেতু আমার দু’-পয়সা আছে।
আমি বেছে বাবু করি। আমার মতে, বেঁটে দোকানদাররা, মানে ছোট বাণিজ্য করে যারা, তারা ভালো বাবু হয়। যেমন ধরুন, যে শুধু গেঞ্জি, প্যান্টি, আন্ডারপ্যান্ট, ব্রা– এই সব বিক্রি করে কিছু কামিয়েছে, তাকে, সেই টাকলু ভুঁড়িদাস তোতলা লোকটাকে, আমি বাবু হিসেবে প্রেফার করব। তাকে ছেড়ে আমি হোমরাচোমরা ধনী যারা, যারা রাজনীতি এবং দেশ চালাচ্ছে, তাদের দিকে ছুটব না। আমি দেখেছি, যারা ছোটখাটো জামাকাপড়ের ব্যবসা করে, তারা জম্পেশ আদর করে। আর যারা বড় বড় কোম্পানি চালায়, তারা বিছানায় নিয়ে গিয়ে নেতিয়ে পড়ে। তখন অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাকে আমাকে সামলাতে।
একটা কথা, খুব জরুরি কথা আপনাদের বলতে ভুলেছি। মরণ আমার। জরুরি কথাটা হল, আমি সম্প্রতি বিধবা হয়েছি। ছুকরি, হাতে সদ্যমৃত বুড়ো বরের অর্থ, আর আমি প্রেফার করি মাঝারি ব্যবসায়ী।
সুতরাং, আমি ঠিক পথে আছি। কিন্তু পথ দেখাল কে?
আমার ড্রেসিং টেবিল! বিশ্বাস করুন, আমার বাড়িওলার বোন প্রায়ই আমার ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে সাজুগুজু করে। ওর মতো আমুদে মেয়ে আমি দেখিনি। ওকে মনে মনে খুব ঈর্ষা করতুম। কিন্তু ওর মতো হতে পারতুম না। কিন্তু, আমার ছুকরি বুক, কোমর, নাভি, নিতম্ব, ঊরু, পিঠ এবং দুটো অন্তহীন পা, একবারে সুপারহিট! আমার সামনে আমার বাড়িওলার আমুদে মেয়ে বাজিমাত করছে। আর আমি বসে বসে আঙুল চুষছি। ছিঃ! নিজের প্রতি ঘেন্না হল। একদিন চুপ করে বসে কাঁদছি, বিধবা আমি আমার ড্রেসিং টেবিলের সামনে, ড্রেসিং টেবিল আমার মন্ত্র দিল! ড্রেসিং টেবিল বলল, ‘তুই সব পাবি, যদি একটা জিনিস হারাতে পারিস।’
কী হারাতে হবে আমাকে? আমি জানতে চাই আমার তিন আয়নার ড্রেসিং টেবিলের কাছে, যেটা আমার ঠাকুমার। আমার ঠাকুমা এই ড্রেসিং টেবিলে বসে এই তিন আরশির সামনে খোলা শরীরের খোলামকুচি সাজিয়ে গুছিয়ে তাতিয়ে তুলত। তবে তো ঠাকুমার নামডাক, অর্থ, জমিজমা, বাড়ি, গয়নাগাটি হল। সেই ঠাকুমার নাতনি, আমার নাম মলি, আমি সবে বিধবা হয়েছি এবং আমার সামনে আমার বাড়িঅলার বোন রোজ রোজ বড়লোক হচ্ছে আমার চোখের সামনে। আমার ড্রেসিং টেবিল এতদিন পরে আমাকে জানাচ্ছে, একটা জিনিস হারাতে পারলে আমিও তরতর করে বড়লোক হতে পারব।
কী হারাতে হবে?
টেবিলটা বেশ কিছুক্ষণ চুপ। তারপর বলল, ‘চরিত্তির!’
আমি ড্রেসিং টেবিলের কথা শুনলাম। অক্ষরে অক্ষরে ড্রেসিং টেবিলের উপদেশ পালন করলাম। এবং কয়েকদিনের মধ্যেই আমার চরিত্রের বালাই রইল না। সব কিছু হারানোর মধ্যে কষ্ট আছে। বিশ্বাস করুন, চরিত্র হারানোর মধ্যে কোনও বেদনা নেই। শুধু আমোদ। সেই থেকে আমার ড্রেসিং টেবিল আমার গুরু। আমাকে সমাজ-সংসারে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে আমার ড্রেসিং টেবিলের অবদান অনস্বীকার্য। একদিন আসবে, ড্রেসিং টেবিল দেখাবে নারীমুক্তির পথ, মনে হল আমার।
এবার শুনুন, আমি সেই অসহায় করুণ বিধবা, আমার ড্রেসিং টেবিলের উপদেশ শুনে চরিত্র খুইয়ে কী পেয়েছি: ‘I was wonderfully caressed, had abundance of admirers, and such as called themselves lovers.’ শরীরের সর্বত্র কী যে আদর পেয়েছি, অবাক করা সোহাগ! জীবনে উপচে পড়েছে মুগ্ধ বাবুর দল। ওরা অবশ্য আমাকে বলে, সবাই আমার প্রেমিক। আমি কিন্তু জানি, সব কিছু ঘটাচ্ছে ওই ড্রেসিং টেবিল।
এবার শুনুন, এই যারা আমার প্রেমিক হয়ে আসছে, এই সব বাবুরা যারা আমাকে চক্ষে হারায় আর আমার বিভাজিকায় গুঁজে দেয় পাউন্ডের বান্ডিল, ‘these men are too wicked, even for me.’
এইবার একটা ক্লাসিক টাচ দিচ্ছি। এই বাবুরা, যারা আমার বিছানার আগুন ও ছাই, তাদের পাপের ব্যাপারটা একটু জানতে হবে, এই লাইনে আসার আগে। এবার আর আমার ভাষা নয়। বিখ্যাত ইংরেজ লেখক, বণিক গুপ্তচর ও পাপী ড্যানিয়েল ডেফো (১৬৬০-১৭৩১), যিনি লিখেছেন ‘রবিনসন ক্রুসো’ এবং ‘মল ফ্ল্যান্ডার্স’, তাঁর ধ্রুপদী ইংরেজিতেই বলছি: কেমন আমার বিছানায় আসা পাপী প্রেমিকের দল, ‘there is something horrid and absurd in their way of sinning– they did not only act against conscience, but against nature.’
এবার আমার ওই প্রেমিকদের বিকৃত আনন্দের একটু পরিচয় দিই: সারা রাত ওরা যা করার তা তো করল আমার সঙ্গে। আমাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলল। আমার শরীরের কোনও ভাঁজ, কোনও খাঁজ, কোনও গর্ত বাকি রাখল না। পরের দিন সকালে ওই বিকৃত বাবুরা আমার উলঙ্গ ক্লান্ত শরীরে আদরের অর্থ রেখে দিয়ে বিদায় নিতেই তাদের বউগুলো সব আসে রোজ তাদের দুঃখের কথা বলতে। আমি তাদের দুঃখের কাহিনি সমবেদনার সঙ্গে শুনি। রাত্রে আবার আমার কাছে আসে ওই মেয়েদের স্বামীরা!
এরপর ডেফোর ভাষায় শুনুন কেন আসে, কী করে আমার সঙ্গে। আমার সঙ্গে উত্তেজনায় ওদের জীবন যন্ত্রণা থেকে কিছুক্ষণের মুক্তি, ‘the same relief again to drink, to debauch it away. To debauch it away.’ একেবারে প্রথম যৌবনে ড্যানিয়েল ডেফোর এই চমক-লাগানো ইংরেজি বাক্যটি আমাকে কলার ধরে থামিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করেছিল, ‘পারবি এই বাক্যের বাংলা করতে?’ আজও পারিনি। ‘নষ্টামি করে জীবন যাতনা দূর করতে চাই’ কেমন যেন মিমি করে ‘ডিবচ’ শব্দের রাজকীয় হুংকারের কাছে।
‘মল ফ্ল্যান্ডারস্’ উপন্যাসের নায়িকা মলির মতো একটা মেয়ে, সাহিত্যে না পাই, জীবনে কি পাইনি? পেয়েছি তার ড্রেসিং টেবিলের সৌজন্যে। সেই ড্রেসিং টেবিলেও ছিল তিনটে আরশি। তিন মুকুর মায়ার মধুপুর, বলেছিলুম সেই সাজুগুজুর টেবিলকে।
কলকাতার এই বাঙালি মেয়েকে ‘মলি’ নামে ডাকলে দোষ কী? ‘মলি’ নামটা কিন্তু আন্তর্জাতিক। ‘মল ফ্লান্ডারস্’-এর মলি থেকে জেমস জয়েসের মলি পেরিয়ে সত্যজিৎ রায়ের নায়কের মলি এবং সব মলিরই আছে ড্রেসিং টেবিলের মায়ামুকুর। একেই বলে বোধহয় কম্প্যারিটিভ লিটারেচার! অত পণ্ডিতির মধ্যে গিয়ে কাজ নেই। মলিতে ফিরি।
মলির সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ কলকাতার গলিতে। মলি তখন হাঁপাচ্ছে। মলির মতো পাকধরা বুকের মেয়েরা, যাকে ইংরেজ কবি জন কিটস ২২ বছর বয়সে বললেন ‘রায়িপনিং ব্রেস্টস’, হাঁপাতে হাঁপাতে আমাকে, সম্পূর্ণ অপরিচিত আমাকে, হেসে বলল, একেবারে ‘মল ফ্ল্যান্ডারস্’-এর মলির ভাষায়, ‘I saw a tempting bait indeed and the shop has nobody in it. I went boldly in and was just going to lay my hand upon a piece of silver plate’, তখুনি রাস্তা থেকে একটা হারামি দৌড়ে এসে আমাকে জাপটে ধরে চোর চোর বলে চ্যাঁচাতে লাগল! আমি মুখ ফিরিয়ে তার দিকে তাকিয়ে এইভাবে হাসলাম। আর লোকটা অমনি আলগা হয়ে গেল। আর আমি এক দৌড়ে এখানে। বলেই সে আমার হাত ধরে বলল, ‘মিঠে বিকেল, চলো একটু বেড়াই। আর কেউ চোর বলে সন্দেহ করবে না।’ আমার মুখ দিয়ে হঠাৎ বেরিয়ে গেল এই প্রশ্ন, তোমার নাম কি মলি? সে তো অবাক, ‘কী করে জানলে!’
এবার চলতে চলতে সে বলল, ‘নীরদ চৌধুরীর নাম শুনেছ? ১০০ বছর বয়সে অক্সফোর্ডের বাড়িতে বসে দারুণ চাল বাছতে পারতেন। আমি তেমনি পুরুষ বাছতে পারি।’ আমি অবাক আনন্দে আটখানা। এ মেয়ে তো হঠাৎ আলোর ঝলকানি।
মেয়েটা বলতে লাগল, একটা লোক আমার জানলার কাছে লিখল, তুমি তোমার ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে তোমাকে খুলেখালে দেখছিলে। আর আমি দেখছিলাম তোমাকে জানলা দিয়ে। আমি পাগল হয়ে গেছি। আমি জানলায় লিখলাম, ওই রকম সবাই বলে। টাকা এবং সোনা নির্ধারিত করে ভাগ্য। পুরুষটা লিখল, ‘Be mine with all your poverty.’ (আবার হুবহু ড্যানিয়েল ডেফো!)
তারপর?
তারপর আর কী? সে এখন ক্ষত-বিক্ষত দরিদ্র, কলকাতার রাস্তায় ফ্যা-ফ্যা করছে! যা হয় আর কী!
তোমার ড্রেসিং টেবিলে ক’টা আরশি?
‘তিনটে’, বলে মেয়েটা। তারপর বলে, “ওটা তো আমার ঠাকুমার ড্রেসিং টেবিল গো! ওই ড্রেসিং টেবিলের কথা শুনে ঠাকুমা খুব বড়লোক হয়েছিল। আমাকে ঠাকুমা একদিন বলল, ‘মলি, ড্রেসিং টেবিলের নবজাগরণের যুগ আসছে রে। পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে। সেই দিন এল বলে মলি!”
১৭২২-এ প্রকাশিত ‘মল ফ্ল্যান্ডারস্’ এখনও টগবগ করছে। মলি তো এই মুহূর্তে জ্বাল-দেওয়া উথলে পড়া দুধ! কলকাতার মলে। মেলায়। পানশালায়। নাইট ক্লাবে।
ক’দিন আগে কলকাতার এক নিলামে পুরনো একটা তিন আয়নার ড্রেসিং টেবিল চড়া দামে বিক্রি হল। কিনলেন এক গৃহবধূ।
অভিজাত। মধ্যবয়সি। অ্যাট্র্যাকটিভ।
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!
পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?
পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি
পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল
পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর
পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?
পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান
পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী
পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন
পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক
পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন
পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে
পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা
পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে
পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?
পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী
পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!
পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি
পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা
পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই
পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে
পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল