২০২৫ সালের সাহিত্যে নোবেল পেলেন লাজলো ক্রাজনাহরকাই। মুরাকামি, রুশদি কিংবা বাঙালির সাধের অমিতাভ ঘোষ নন– সে অর্থে ‘জনপ্রিয়তা’র বর্ণময় আলো থেকে দূরে এক দার্শনিক বর্ম পরে আড়ালে ছিলেন লাজলো। লাজলোর সঙ্গে কথোপকথন– নোবেল কমিটির তরফে তাঁকে পুরস্কারের খবরটি জানানোর সময় যে সংলাপ, তাতে লাজলোর মন, লেখকের দর্শন খোদাই করা রয়েছে। কী দিয়ে খোদাই? লাজলোর ভাষা, যা তাঁর অস্ত্র। তাঁর জীবনের সবথেকে বড় প্রার্থনা, সেই ভাষা, সেই অস্ত্র যেন হারিয়ে না যায়।
৬২.
লেখার টেবিল। নারীর চেয়ে বেশি রহস্যময়। কোথায় যে লুকিয়ে, তার হেঁয়ালি কোন অগম গোপন গহন মায়ায়– কে বলবে? কোন লেখকের লেখার টেবিল আকস্মিক অবদানে উৎসবায়িত করবে তার জীবন, ক্রমশ আন্দাজ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে!
২০২৫-এর নোবেল পুরস্কারের লাইভ কাউন্টডাউন। টিভি স্ক্রিনে। বৃহস্পতিবার। ৯ অক্টোবর। কলকাতায় তখন মেঘলা বিকেল। কে পাবেন নোবেল? এবার, আমি প্রায় নিশ্চিত, হারুকি মুরাকামি। জাপানের সারস্বত ঈশ্বর। সেই কবে ১৯৮৭ সালে ‘নরওয়েজিয়ান উড’ লিখে তিনি আমাদের উপড়ে নিয়ে গিয়ে ফেলেছিলেন সাহিত্য চেতনা ও সংজ্ঞার অচেনা মাত্রায়! তারপর একের পর এক তোলপাড় তাঁর কলমে। এবং সবে পড়তে শুরু করেছি তাঁর এই বছরে প্রকাশিত উপন্যাস ‘দ্য সিটি অ্যান্ড ইটস আনসারটেন ওয়ালস’ এবং ডুবে যাচ্ছি বিপন্ন বিস্ময়ে। এবং আরও নিশ্চিত হচ্ছি, এবার নোবেল মুরাকামির।
আর তা না হলে, জানব, মুরাকামি কখনও পাবেন না নোবেল! কারণ, তাঁর জনপ্রিয়তাই তাঁর কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাহলে, এবার নিশ্চয়ই সলমন রুশদি! কিন্তু তিনি তো ধর্মীয় রাজনীতির শিকার। সেই ভীতি কি টপকাতে পারবে নোবেল কমিটি? হঠাৎ কাউন্টডাউনের মধ্যে ছবি ভেসে উঠল অমিতাভ ঘোষের। তিনি এগিয়ে আছেন নোবেল প্রতিযোগিতায়। উঃ! তিনি নোবেল পেলে তো বাঙালির জয়। সেই ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথের কণ্ঠে এই মণিহার। তারপর ২০২৫ এ আবার সাহিত্যে বাঙালির নোবেল জয়। ইংরেজিতে লিখলেই বা কি? বাঙালি তো!
কিন্তু অপ্রত্যাশিত ধাক্কা। যেমন ঘটে নিপুণ থ্রিলারে। ২০২৫-এ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন ৭১ বছরের হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাজলো ক্রাজনাহরকাই!
এই বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ১০ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। নোবেল কমিটি যে তিনটি মূল কারণে তাঁকে সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ দেওয়ার কথা ভেবেছে: তাঁর লেখা ‘অনন্য’। তিনি ‘দূরদর্শী’। এবং এই সময়ের বিচিত্র বিপর্যয়ের মধ্যে তিনি শিল্পের মহত্ত্বকে জানিয়েছেন অন্তর ও প্রত্যয়ের আরাত্রিক তাঁর শিল্পিত ভাষায় এবং তাঁর ভাবনা বিন্যাসের মৌলিক শৈলীতে।
লাজলো ধর্মে ইহুদি। মধ্যবিত্ত হাঙ্গেরিয়ান পরিবারে তাঁর জন্ম। এবং বড় হয়েছেন কমিউনিস্ট হাঙ্গেরিতে। এবং মিলান কুন্দেরা যেমন ছেড়েছিলেন কমিউনিস্ট চেকোস্লোভাকিয়া, তাঁর মাতৃভাষা চেক, লিখলেন ফরাসি ভাষায়, এবং চিরকালের প্রবাসী হলেন প্যারিসে– লাজলো তেমনই নিজেকে নিঃসঙ্গ নিভৃত অরণ্যবাসী করলেন পশ্চিম বার্লিনে। হাঙ্গেরিয়ান ভাষা ছেড়ে লিখলেন জার্মান ভাষায় উপন্যাস ‘হার্স্ট ০৭৭৬৯ ’। তবে তাঁর সাম্প্রতিক উপন্যাসের বিষয়ে লাজলো যেন ফিরে গেলেন, হয়তো কিছুটা নিজের জীবনের গল্প বলার ভঙ্গিতে, হাঙ্গেরিতেই। ‘সমলে ওডাভান’ নামের এই উপন্যাসের বৃদ্ধ নায়ক জানে, তাকে যেসব দিতে হবে, তার যত বিত্ত আর বাণী।
লাজলোর সাম্প্রতিক উপন্যাসের কথা যখন বললাম, তখন তাঁর প্রথম উপন্যাসের কথাও বলি। সম্ভবত ১৯৮৭ সাল-টাল হবে। মনে আছে, শুড়িখানার পাংশু আলোয় আমার বইবন্ধু তরুণ আমাকে পৌঁছে দিয়েছিল লাজলোর প্রথম উপন্যাস ‘সেটানট্যাঙ্গো’।এবং আমি নামটার দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। আর আমার মনের কথা চিনতে পেরে তরুণের সে কী হাসি!
এইবার এই লেখার দ্বিতীয় পর্যায়ে। সরাসরি টেলিফোনে লাজলোকে জানানো হচ্ছে নারীকণ্ঠে নোবেল কমিটির এই সিদ্ধান্ত, সাহিত্যে এই বছর নোবেল প্রাইজ আপনাকে দেওয়া হল:
নারী (ভারি সুমিষ্ট আদুরে কণ্ঠ) আমি নোবেল কমিটির অফিস থেকে বলছি। আপনার জন্যে একটি সুখবর আছে। আপনি এই বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন।
পুরুষ (আকস্মিক আবেগে দমবন্ধ উচ্চারণে) থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ।
নারী ঠিক কেমন ফিলিংস হচ্ছে?
পুরুষ ক্যাটাসট্রফিক। সর্বনাশ! সামলানো দায় হবে। তবে অত্যন্ত ভালো খবর। এক পরম প্রাপ্তি। আমি গৌরব বোধ করছি।
নারী ঠিক এই মুহূর্তে আপনি কোথায়? কী করছেন?
পুরুষ আমি এসেছি ফ্রাঙ্কফুর্ট-এ। বন্ধুর বাড়িতে। বন্ধু অসুস্থ। দেখতে এসেছি।
নারী এমন একটা খবর। সেলিব্রেট করবেন না?
পুরুষ হ্যাঁ হ্যাঁ! আসলে আমি তো খুব অবাক হয়ে গিয়েছি। একটু সামলেনি। আজ রাতেই ফ্রাঙ্কফুর্টে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে শ্যাম্পেন খাব। তারপর ডিনার।
নারী জানতে ইচ্ছে করছে, আপনার বেশিরভাগ লেখার বিষয় বা প্রেরণা কোথা থেকে আসে?
পুরুষ আমার জীবনের তিক্ততা, অনিশ্চয়তা, ভয় থেকে।
নারী জীবনের তিক্ততা, অনিশ্চয়তা, এই সব থেকে প্রেরণা? সম্ভব?
পুরুষ বিটারনেস অ্যান্ড বিটারনেস। আমরা যাচ্ছি একটা অন্ধকার সময়ের মধ্যে দিয়ে। ডার্কনেসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।যত অন্ধকার হচ্ছে জীবন, ততই লড়াই চালিয়ে যাবার প্রেরণা অনুভব করছি।
নারী কখনও হতাশ লাগে না?
পুরুষ এইখানেই কাফকার সঙ্গে আমার পার্থক্য। আমি কাফকার দ্বারা প্রভাবিত। কিন্তু আমার লেখার মধ্যে একটা উগ্র চাহিদা আছে। এই অন্ধকার থেকে আমাদের বেরোতে হবে। এবং সেই চেষ্টাই জীবন।
নারী এটাই কি আপনার লেখার মূল বিষয়?
পুরুষ আমার সমস্ত লেখার এটাই বিষয়। এটা ঠিক, কাফকার বিটারনেস আমার লেখার মধ্যে আছে। সেই সঙ্গে আছে এই প্রত্যয়, অন্ধকার থেকে মুক্তি আসবেই।
নারী আপনার আল্টিমেট বিশ্বাস কীসে?
পুরুষ মানুষের শক্তিতে। যে শক্তি আমাদের অন্ধকারের কাছে নতজানু হতে দেবে না।
নারী শুনেছি আপনার অনেকগুলো বাড়ি। আপনি এক জায়গায় বেশিদিন থাকতে পারেন না। সত্যি?
পুরুষ বার্লিনে থাকি। কখনও ফ্রাঙ্কফুর্ট। ভিয়েনাতেও থাকি। হাঙ্গেরিতে কিছুদিন। এইভাবে। এক ঠিকানায় বেশিদিন পারিনা।
নারী আরও একটা প্রশ্ন। জীবনের সব থেকে বড় প্রার্থনা কী?
পুরুষ ভাষা। ভাষা যেন হারিয়ে না যায়। ভাষাই আমার অস্ত্র । যেন রোজ নতুন করে শান দিতে পারি। আর মনে রাখতে পারি জীবনের একটাই বাস্তব। বিটারনেস।
এইখানেই শেষ হল টেলিফোনে লাজ্লোর নোবেল ইন্টারভিউ। আমার মনে পড়ে গেল তাঁর ‘হার্স্ট’ উপন্যাসের উৎসর্গের পাতায় শুধু একটি লাইন।
হোপ ইজ আ মিসটেক…
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৬১: লন্ডনে ফিরে এলেন অস্কার ওয়াইল্ড!
পর্ব ৬০: পাপ ও পুণ্যের যৌথ মাস্টারপিস
পর্ব ৫৯: মাতৃভক্তির দেশে, মাকে ছেড়ে যাওয়ার আত্মকথন
পর্ব ৫৮: চিঠিহীন এই যুগের শ্রেষ্ঠ প্রণয়লিপি
পর্ব ৫৭: লেখার টেবিল কি জানে, কবিতা কার দান– শয়তান না ঈশ্বরের?
পর্ব ৫৬: প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে, বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখার টেবিল জানে সেই নির্মম সত্য
পর্ব ৫৫: জুলিয়া রবার্টসকে হিন্দুধর্মে দীক্ষা দিয়েছিল একটি বই, একটি সিনেমা
পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?
পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে
পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!
পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?
পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি
পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল
পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর
পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?
পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান
পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী
পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন
পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক
পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন
পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে
পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা
পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে
পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?
পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী
পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!
পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি
পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা
পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই
পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved