লিজ তো আসলে লেখিকা এলিজাবেথ গিলবার্ট। সেই চরিত্রে অভিনয় করতে করতে আমি জার্নাল লিখতে শুরু করি। আমার মধ্যে একজন রাইটারকে খুঁজে পেয়েছি আমি। যেমন রোজ আমি আমার ধ্যানের, ভাবনার, প্রার্থনার চেয়ারে বসি, তেমনি বসি লেখার টেবিলে। সব সময় যে খুব হাই থট্স আসে, তা নয়। নটি থট্স আসে।
৫৫.
আমি কে? এই যে আমার শরীর, আমার রূপ, আমার প্রায় পড়ন্ত যৌবন, যার জন্যে সমস্ত বিশ্ব পাগল, সেটাই কি আমি? নাকি, আমি আমার হাসি? যে হাসির জন্যে ১৫ মিলিয়ন ডলার দিতে প্রস্তুত আমার প্রোডিউসার? আমি আমার আমিকে কোথায় খুঁজে পাব? যে আমি আমার মধ্যে আছে? অথচ যে আমিকে আমি চিনি না! আমি সেই আমিকে চিনতে চাই, জানতে চাই। তাকে না জানা পর্যন্ত আমার শান্তি নেই!
হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত জুলিয়া রবার্টস, প্র্যাক্টিসিং হিন্দু জুলিয়া রবার্টস, আত্মসন্ধানী জুলিয়া রবার্টস প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও তাঁর ধ্যানের চেয়ার এবং টেবিলটি পাতলেন বাড়ির উদ্যানের বৃক্ষছায়ায়। যে ছায়া তাঁর অন্তর অন্বেষ, মনন ও লেখার আশ্রয়।
লেখক হবেন, কোনওদিন ভাবেননি ভুবনবিখ্যাত অভিনেত্রী জুলিয়া। কিন্তু তাঁর নিজেকে খোঁজার তাড়না থেকে লিখে চলেছেন অন্তরকথা তাঁর জার্নালে:
আমার শিরায় বইছে ইংলিশ, স্কটিশ, আইরিশ, ওয়েলশ, জার্মান এবং সুইডিশ রক্ত। আমার জন্ম ১৯৬৭-র ২৮ অক্টোবর। আমার বয়স ৫৮। আমি AI-এর সাহায্যে দেখে নিয়েছি আরও ১০ বছর পরে আমার ছবিটা কী হবে। শিউরে উঠছি। আমি তিন ছেলেমেয়ের মা। আমার প্রথম স্বামী, লিলে লাভেট। ১৯৯৩ থেকে ’৯৫। মাত্র দু’ বছরেই বুঝে গেলাম বিয়ে কী নরক! পরের সাত বছর ধরে তো শুধু নিজের কেরিয়ার, নিজের আনন্দ, নিজের সাফল্য এবং পৃথিবী কাঁপানো সেলিব্রিটি হয়ে তার টেনশন ভোগ! শান্তি পাইনি।
একটা কথা, ১৯৯০ সালে মুক্তি পেল আমার ‘প্রিটি উওম্যান’। ব্যস, রাতারাতি আমি সারা জগতের নায়িকা। তখনও কিন্তু আমি বিয়ে করিনি। এবার জাস্ট ভেবে দেখুন ব্যাপারটা কী হল। পৃথিবীর সব পুরুষ আমার প্রেমে পড়ল। এবং আমাকে পাবার জন্যে পাগল তারা। সেই অবস্থায় কারও বিয়ে টিকতে পারে? দু’ বছরের মধ্যে বিয়েটাকে মেরে ফেলে খালি হলাম।
১৯৯৭-এ “মাই বেস্ট ফ্রেন্ড’স ওয়েডিং, ১৯৯৯-তে ‘নটিং হিল’, পরপর দুটো সুপার হিট। সমস্ত পৃথিবীটা তখন আমার। কিছুদিনের মধ্যে ২০০২ সালে ড্যানিয়েলের সঙ্গে আমার বিয়ে। ওর আর আমার বিয়ের ফসল তিন ছেলেমেয়ে। প্রথম ছেলেমেয়ে Phinnaeus এবং Hazel, যমজ। তারপর জন্মাল Henry। আমার স্বামী আর আমি হিন্দু হওয়ার পরে হেজেলের নাম রেখেছি লক্ষ্মী, প্রথম ছেলে গণেশ আর হেনরি এখন কৃষ্ণবলরাম। আর আমাদের নিজস্ব ফিল্ম কোম্পানির নাম দিয়েছি, ‘রেড ওম ফিল্মস’।
‘ওম’ শব্দটা আমার জীবনে সবথেকে সিগনিফিকেন্ট শব্দ। আমি বিশ্বাস করি, সমস্ত মহাকাশ জুড়ে ওই শব্দ শোনা যায়। ‘ওম’ ইউনিভার্সের আদি শব্দ। আমি পতৌদির হরি মন্দিরে স্বামী ধর্মদেবের কাছে ২০১০ সালে দীক্ষা নিয়েছি। এবং হিন্দু ধর্মে কনভার্টেড হয়েছি। তিনি আমার কানে ওম মন্ত্র দেন। রুদ্রাক্ষের মালা পরিয়ে দেন গলায়। আমি হরিনাম জপ করি। হরিনাম চ্যান্ট করি। ফ্যামিলির সবাই ‘হরি হরি’ গান করতে করতে মেতে উঠি। আর প্রতি সপ্তায় আমি মন্দিরে যাই। যে শান্তি আমি ২০১০ সাল পর্যন্ত জীবনে পাইনি, এখন ধীরে ধীরে আমার জীবনে শান্তি আসছে। আমি হিন্দুদের মতো পরের জন্মে বিশ্বাস করি। আমার পরের জন্মে আমি বিখ্যাত হতে চাই না। এত অর্থও চাই না। এই সবের মধ্যে কোনও শান্তি নেই। শান্তি আছে ত্যাগ এবং ভালোবাসার মধ্যে।
এবার বলি একটা মিরাকলের গল্প, যে গল্প আমার জীবনে সত্যি।
২০১০ সালে এক লেখিকার ভূত চাপে আমার ওপর। আমি একটা ঘোরের মধ্যে চলে যাই। এই আমেরিকান লেখিকা এবং সাংবাদিক আমাকে এমনভাবে গ্রাস করে ফেলে যে তার জীবনের ঘটনা আমার জীবনে ঘটতে থাকে। এই লেখিকার নাম এলিজাবেথ গিলবার্ট। তার জন্ম ১৯৬৯-এ। আমার থেকে দুই বছরের ছোট। তার একটা বই ‘ইট প্রে লাভ’ দারুণ বেস্টসেলার হয়ে যায়। সেই বইয়ের গল্প নিয়ে হলিউডে ছবিও তৈরি হয়। এবং সেই ছবির নায়িকা লিজ-এর ভূমিকায় আমি অভিনয় করি।
এই ছবির নায়িকা এক লেখিকা। ওই সাংবাদিক এবং লেখিকা এলিজাবেথ আর তার গল্পের নায়িকা লিজ একই মানুষ। আসলে, ‘খাও, প্রার্থনা করো, ভালোবাসো’ উপন্যাস তো লেখিকা এলিজাবেথ গিলবার্টের নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা। আমি যেহেতু লিজ নামে ওই লেখিকার চরিত্রেই পার্ট করছি, তার জীবনের ঘটনা আমার জীবনে ঘটছে। তার মতো কথা বলছি। তার মতো ভাবছি। তার ভাষা আমার ভাষা এক হয়ে যাচ্ছে। আমি আগে কখনও এই ভাবে জীবনকে দেখেছি কি? এই নতুনভাবে জীবনকে দেখার মধ্যে একটা নতুন ভাবনা গজিয়ে উঠছে আমার মধ্যে। আমার মনের নতুন ভাবনাগুলোকে লিখে ফেলতে ইচ্ছে করছে।
একদিন লেখার টেবিলে বসে আছি। অদ্ভুত একটা কাণ্ড ঘটল। লেখার টেবিলের ভিতর থেকে ফুটে উঠল একটা আলো। ইচ্ছের আলো, মনে হলো আমার। লেখার প্যাডে ওই ইচ্ছের আলোটা যা বলল, লিখে ফেললাম:
“It’s unfortunate that in such a dysmorphic society where women don’t even give themselves a chance to see what they will look like as older persons, I want to have some idea of what I will look like before I start cleaning the slate.”
আমার লেখা! নাকি অন্য কারওর? কথাটা, ভাবটা, ইচ্ছেটা, সব হয়তো আমার। কিন্তু প্রকাশের ভাষা। টেবিলটার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি। তারপর আবার টেবিলের গায়ে সেই আলো এবং লেখার প্যাডে না লিখে পারি না:
‘Who am I in the new movie Eat, Prey, Love? I am a divorced woman, a lonely woman, hoping to find myself through spirituality. I visit Italy for food. I visit Bali for love. I visit India to realize who I am.’
তারপর এই বাক্যটি আমাকে কলমের ডগায় স্তব্ধ করে দেয়। আমি জুলিয়া রবার্টস, নিজে যা লিখি সেটা আমারই চোখের জলে ঝাপসা হয়ে যায়:
“I have come to believe in something I call the physics of quest– a force in nature governed the laws of gravity. I now know what I want: Next life I don’t want to be famous and rich. I want to be just something quiet and supporting.”
‘খাও, প্রার্থনা করো, ভালোবাসো’– এই ছবিতে আমি যখন সই করলাম, তখন আমি হলিউডের সুপারস্টার। পিছন ফিরে একবার তাকালেই বুঝবেন, বাড়িয়ে বলছি না। ১৯৯৯-এ ‘রান অ্যাওয়ে ব্রাইড’-এর নায়িকা আমি। ২০০০-তে ‘এরিন ব্রোকোভিচ’-এর নায়িকা আমি, যে ছবির জন্যে আমি অস্কার পেলাম। “চার্লি উইলসন’স ওয়ার”-এর কেন্দ্রে সেই আমি। এবং সবকটা দুর্ধর্ষ বাণিজ্য করেছে। এরপর ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’। এবং একই বছরে, ২০১০-এ এই ‘ইট প্রে লাভ’।
তখন আমি ৩০-৩৫ মিলিয়ন ডলারের নিচে কোনও ছবিতে সই করি না। সেইসময় অর্থ এবং খ্যাতি আমাকে যন্ত্রণা দিতে লাগল। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি হয়ে যাওয়া যে কী ভয়াবহ, তা ক্রমশ বুঝতে পারছিলাম। ব্যক্তিগত জীবন বলে কিচ্ছু থাকে না। এবং শেষপর্যন্ত মানসিক বিপর্যয় দেখা দেয়। সেই বিপর্যয় সামলানো যায় না। ঠিক এই সময়, যখন আমার ভিতরে শুধু অশান্তি, আমি কিছুতেই কোথাও মানসিক আশ্রয় পাচ্ছি না, তখনই আমার ডাক এল এমন এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করতে, যার বিয়ে ভেঙে গেছে, বিশ্বাস ভেঙে গেছে, যে নিজেকে সন্ধান করছে, জানতে চাইছে সে আসলে কে। এবং এই মেয়েটি একজন সৃজনশীল লেখিকা, যার বিষয় একাকিত্ব, মানসিক অশান্তি, প্রেমের তৃষ্ণা এবং স্পিরিচুয়াল সন্ধান।
এই ছবিটা করতে করতে আমার মধ্যে একটা পরিবর্তন শুরু হয়। আমি জুলিয়া রবার্টস ‘ইট প্রে লাভ’-এর নায়িকা লিজ হয়ে উঠলাম। এবং লিজ আমার মধ্যে থেকে গেল। আমি লিজ-কে ছেড়ে যেতে পারব না। লিজ কি পারবে আমাকে ছেড়ে চলে যেতে? ১৫ বছর আগের ছবি ‘ইট প্রে লাভ’। সেই থেকে লিজ আমার সঙ্গেই আছে। আমি যে হিন্দু হয়েছি, সেটা লিজের প্রভাবে। হিন্দু ধর্মের আমার সব থেকে যা ভালো লাগে, সেটা রি-ইনকারনেশন, পুনর্জন্মে বিশ্বাস। এই যে পরের জন্মে ফিরে এসে এই জন্মের কাজকে আরও ভালো ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ, কিংবা এই জন্মে যা পেলাম না, পরের জন্মে যেন পাই– সেই প্রার্থনা, এটাই আমার মনের জোর বাড়িয়েছে। এছাড়া হিন্দু ধর্ম মানুষকে অনেক স্পেস দেয়। সংশয়ের, তর্কের, আলোচনার অনেক জায়গা পাওয়া যায়। তাছাড়া হিন্দু ধর্মের ভগবান আমাদের সংসারের একজন। কৃষ্ণ বা গোপাল। গোপালকে খুব ভালবাসি। পার্ট অফ আওয়ার লাইফ।
এ ছাড়া লিজ তো আসলে লেখিকা এলিজাবেথ গিলবার্ট। সেই চরিত্রে অভিনয় করতে করতে আমি জার্নাল লিখতে শুরু করি। আমার মধ্যে একজন রাইটারকে খুঁজে পেয়েছি আমি। যেমন রোজ আমি আমার ধ্যানের, ভাবনার, প্রার্থনার চেয়ারে বসি, তেমনি বসি লেখার টেবিলে। সব সময় যে খুব হাই থটস আসে, তা নয়। নটি থটস আসে। ‘নটিং হিল’ ছবির সেই দৃশ্যটা মনে আছে? ভুলে যাওয়ার তো কথা নয়।
…………………….
ফলো করুন আমাদের ওয়েবসাইট: রোববার.ইন
…………………….
তখন একেবারে তরুণী নায়িকা আমি। শুয়ে আছি আমার তরুণ ইংরেজ নায়ক হিউ গ্রান্ট-এর সঙ্গে। হঠাৎ তাকে আমি জিজ্ঞেস করি, ‘আচ্ছা, তোমরা, পুরুষরা, আমাদের ব্রেস্টস নিয়ে এমন পাগলামি কেন করো? কী এমন আছে ওই দুটোর মধ্যে? তাছাড়া ওটা তো সবার আছে? নতুন কী পাও?’ আমার ইংরেজ নায়ক কোনও জুতসই উত্তর দিতে না পেরে বলে, ‘আর একবার দেখাও, তাহলে বলতে পারব।’ আমি দেখালাম। সে বলল, ‘ফুরোয় না, বুঝলে?’ আমি তখন খুব হাসলাম।
‘নটিং হিল’ করেছিলাম ২৬ বছর আগে। ওই দৃশ্যটা মনে পড়ল ক’দিন আগে। লিখে রাখলাম আমার একান্ত ব্যক্তিগত জার্নালে। মনে হল, আমার লেখার টেবিলটা বিশেষ পছন্দ করে আমার ‘নটি থটস’! আপনারা?
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?
পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে
পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!
পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?
পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি
পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল
পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর
পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?
পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান
পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী
পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন
পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক
পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন
পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে
পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা
পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে
পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?
পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী
পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!
পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি
পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা
পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই
পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved