উডি অ্যালেন ৮৯ এবং এই বছর উডি অ্যালেন লিখলেন তাঁর প্রথম উপন্যাস– “What’s with Baum?”। উপন্যাসের কেন্দ্রে এই ইহুদি সাংবাদিক, যিনি মধ্য বয়সে ক্রমশ সাংবাদিক থেকে সাহিত্যিক হওয়ার চেষ্টা করছেন। এই বিষয়ে আক্রান্ত হয়ে জীবনের প্রথম উপন্যাস লিখলেন স্বয়ং উডি অ্যালেন? তাও আবার ৮৯ বছর বয়সে! তিনি অবশ্য বলেছেন, আমি আমার কাজের মাধ্যমে অমরত্ব অর্জনের সামান্য কাজটি করতে চাই না। আমি সত্যি সত্যি না মরে অমরত্ব অর্জন করতে চাই।
৬০.
জন্ম ১৯৩৫-এর ৩০ নভেম্বর। এই বছর উডি অ্যালেন ৮৯ এবং এই বছর উডি অ্যালেন লিখলেন তাঁর প্রথম উপন্যাস– “What’s with Baum?”, আশের বম (Asher Baum)– হিব্রু নামের সঙ্গে জার্মান পদবি। হিব্রু ভাষায় ‘আশের’ মানে আনন্দ। উপন্যাসের কেন্দ্রে এই ইহুদি সাংবাদিক, যিনি মধ্য বয়সে ক্রমশ সাংবাদিক থেকে সাহিত্যিক হওয়ার চেষ্টা করছেন। তা করুন। তাতে আমাদের তেমন কোনও ইন্টারেস্ট নেই। কিন্তু এই বিষয়ে আক্রান্ত হয়ে জীবনের প্রথম উপন্যাস লিখলেন স্বয়ং উডি অ্যালেন? তাও আবার ৮৯ বছর বয়সে! তিনি অবশ্য বলেছেন, আমি আমার কাজের মাধ্যমে অমরত্ব অর্জনের সামান্য কাজটি করতে চাই না। আমি সত্যি সত্যি না মরে অমরত্ব অর্জন করতে চাই।
‘I want to achieve immortality through not dying.’
এই কথা তিনি লিখেছেন তাঁর লেখার টেবিলে বসেই। এবং ওই লেখার টেবিলই তাঁকে জড়িয়ে দিয়েছে তাঁর এই প্রথম উপন্যাসের বিষয়ের সঙ্গে। এই লেখার টেবিল তাঁকে উৎসাহিত করেছিল অনেক বছর আগে ‘জিরো গ্র্যাভিটি’ লেখার জন্য। সেটাকে অনেকে উপন্যাস বলে চালানোর চেষ্টা করেছে। উডি অ্যালেনের চোখে ওটা মোটেই ‘উপন্যাস’ নয়। এক মলাটে কয়েকটি ছোটগল্প, সেটা বলা যায়। স্মৃতিকথা, অ্যাপ্রপোজ নাথিং (Apropos Nothing), সেটাও এই টেবিলের পরামর্শ নিতে নিতে, কতটা পাপের কথা লিখব আর কতটা চেপে যাব, পাশ কাটাতে কাটাতে লিখে ফেলেছিলেন উডি। এমনকী, স্মৃতিকথার ব্রিলিয়ান্ট নামকরণ– ‘Apropos Nothing’, অর্থাৎ ‘কনসার্নিং নাথিং’, সেটাও লজ্জার মাথা খেয়ে উডি নিজের কাছে স্বীকার করেছেন, টেবিলের কাজ। উডি অনেক ভেবেচিন্তে স্মৃতিকথার নাম দিয়েছিলেন ‘About Nothing’। অমনি কলম গেল ছিটকে তাঁর হাত থেকে। ভালো কথা, উডি প্রথমে হাতে লেখেন। তারপর বুড়ো হয়ে যাওয়া পোর্টেবল টাইপ রাইটারে টাইপ করেন।
যাই হোক, উডির বুঝতে একটু দেরি হল টেবিলের ঝাঁকুনিতে কলম গেছে ঠিকরে। পরক্ষণেই টেবিলটা যেন হাতুড়ি মেরে ‘Apropos’ শব্দটা ভাবনার গায়ে গেঁথে দিল। এবং হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন উডি। ৮৯ বছর বয়সের দোরগোড়ায় পৌঁছনো মাত্র উডি অ্যালেন এই টেবিলের দৈববাণী শুনতে পেলেন: উডি, এতদিনে তুই উপন্যাস লেখার বয়সে পৌঁছলি। এবার যে ক’টা বছর বাঁচবি, চেষ্টা করে দ্যাখ, দু’-একটা উপন্যাস হয়তো লিখেও ফেলতে পারিস। তবে ধামসা মাল, পাতার পর পাতা চলছে তো চলছেই– ওই রকম কিছু লিখবি না। উপন্যাস যেন হয় ছিপছিপে। কিন্তু ভাবনার কোমরে যেন ত্রিবলি থাকে। মননের নাভিতে যেন থাকে গভীরতা। আর আবেগের নিতম্বটি যেন ঢেউ তোলে। তোকে আর ফিরে দেখতে হবে না উডি। উপন্যাস এক ছিপছিপে সুন্দরী। অথচ কোমরে তিনধাপ সিঁড়ির মতো ত্রিবলি, যেখান দিয়ে নামা যায় আদিম অরণ্যে, গুহায়, আগ্নেয় অন্দরে। গহীন নাভিটি ভাবনার, স্বপ্নের, কামনার। আর নিতম্বের তরঙ্গ, রূপের খোলতাই তো সেখানে। নব্বুই বছরের কাছাকাছি না এলে উপন্যাসের এই নিহিত সত্য বোঝা কার সাধ্য?
শোন উডি, আশের বম-কে তোর উপন্যাসের নায়ক কর। তুই তোর মনের মধ্যে খোঁজ। তাঁকে পাবি। সে ইহুদি। সে সাংবাদিক। বয়স ৫০-এর মতো। দুটো বিয়ে সামলাতে পারেনি। তিন নম্বর বিয়ে করেছে। এবং তিন নম্বর বিয়ের ধস নামছে। সে সামলানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে না। টাকাপয়সার অবস্থাও বেশ খারাপ। সব দিক থেকেই বেচারা বানচাল। কিন্তু নাম আশের। হিব্রু ভাষায় আশের মানে আনন্দ। তো আশের একটা ক্রনিক ব্যামোতে আক্রান্ত। এই অসুখের নাম প্যাথলজিক্যাল উৎকণ্ঠা। সর্বদা সে সর্বনাশের চিন্তা করে। তোর সঙ্গে অনেক মিল আছে লোকটার। আর একটু গভীরে গিয়ে খোঁজ, তাকে পেয়ে যাবি। ওই লোকটার সঙ্গে তোর একটা সাদৃশ্যের কথা তোকে বলছি। লজ্জা পাবি না কিন্তু। এই রকম হয়েই থাকে জীবনে। তাই তো জীবন এমন ইন্টারেস্টিং। পাপ জীবনকে মধুর করেছে। আর পুণ্য সেই সাজানো বাগানকে মরুভূমি করে দিয়েছে। তুই তো পাপ-পুণ্য নিয়ে দুর্ধর্ষ দু’-তিন লাইনের মাস্টারপিস লিখেছিলি। মনে আছে তোর?
এতক্ষণ টেবিলের ডায়ালগ শুনছিলেন উডি অ্যালেন। এবার থতমত খেয়ে বললেন, দাঁড়াও দাঁড়াও, মনে করছি। হ্যাঁ, মনে পড়ছে, ‘It seemed the world was divided into good and bad people. The good ones slept better while the bad ones seemed to enjoy the waking hours much more.’
টেবিলের কণ্ঠে ফিরে আসে আনন্দ। ঠিক ঠিক। একেবারে লাইনের কথা। এটাই তোর সেন্ট্রাল থিম। তুই মিয়া ফারোর সঙ্গে এতদিনের সম্পর্কটা ম্যানেজ করে ঠিক রাখতে পারিসনি। তুই তার মেয়ের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়ে ধরাও পড়ে গেলি। বিশাল কেচ্ছা হল। তারপর তুই একটা লেখায় লিখলি এক লাইন। সেটাও মাস্টারপিস। সব কাগজে প্রকাশিত হল।
উডি মনে মনে টেবিলটাকে বললেন, সেই লাইনটা তুমি আমার কানে কানে বলে দিয়েছিলে। উডি একলা ঘরে মৃদু উচ্চারণে স্মরণ করলেন সেই বাণী: ‘An accusation once made is as good as a conviction.’
উডি অ্যালেন শেষ পর্যন্ত লিখে ফেলেছেন সেই উপন্যাস: “What’s with Baum?” তা প্রকাশিত হয়েছে। ক্লান্ত উডি লেখার ঘরে একা। হুইস্কি খাচ্ছেন। সিঙ্গেল মল্ট। সোডা নয়। জল নয়। বরফ নয়। নিট। সিঙ্গেল মল্ট হুইস্কির গর্ভে কোনও মিশ্ররাগ সহ্য করতে পারেন না উডি অ্যালেন। টেবিলের পরামর্শ যত শুনেছেন তত নিজের জীবন, স্মৃতি ও মননের গভীরে প্রবিষ্ট হয়েছেন উডি তাঁর নায়কের খোঁজে। সে নায়কের গল্পটা এই রকম।
আশের সর্বদা ভুগছে উৎকণ্ঠায়। তার এই তৃতীয় বউ, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া বিদুষী বউ, কী অন্য কোথাও খেপ খাটে। বিছানায় গরম হতে এত দেরি হয় কেন? কেমন যেন অন্যমনস্ক! আমার বউয়ের জীবনে অন্য পুরুষটা কে? আমার ভাই? নাকি তার আগের স্বামীর সঙ্গে দত্তক নেওয়া ওই সুন্দর শরীরের ছেলেটা? দেখলে মনে হয় না মা-ছেলে! পরস্পরকে জড়িয়ে লাভার্স। যেটা ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন উডি সেটা হল, সত্যি কী কঠিন সমস্যা ধস নামা বিয়েকে বাঁচিয়ে রাখা। অথচ ঘরে ঘরে এই মিথ্যের বেসাতি চলছে। এবং এরই নাম বিয়ে!
উডি ভাবতে চেষ্টা করেন, তিনি তাঁর রসবোধ, সেন্স অফ হিউমার, উইট, শব্দের তৎপরতা, ভাষার দ্যুতি, বুদ্ধির ঝলক, এইসব ঠিক ঠিক নেভিগেট করতে পেরেছেন তো?
আশেরের বিয়ে অন্তরে ধারণ করছে একটা গোপন দুর্বলতা। এটা বউ কোনও দিন জানতে পারলে কিন্তু বাঁচনোর উপায় নেই। এই যেমন সেদিন ঘটল, এক যুবতী, কিশোরীও বলা যায়, এতটাই ডাঁশা, এল আশেরকে ইন্টারভিউ করতে। আর অমনি মনের মধ্যে থেকে (ওটাকে কি মন বলে?), একটা তীব্র বাসনা উঠে এল ঠোঁটে, আর জোর করে মেয়েটাকে চুমু খেয়েছে বিবাহিত মধ্যবয়সি সাংবাদিক আশের। কোথাকার জল কোথায় গড়াবে কে জানে? কিন্তু তার স্ত্রী যে বাইরে কিছু একটা কারও সঙ্গে করে বেড়াচ্ছে! কিন্তু কোথায়? কার সঙ্গে? কখন? সন্দেহের মতো দহন আর বোধহয় নেই।
উডি অ্যালেনের হঠাৎ মনে আসে একটা লাইন। কেন এল? কী করে এল? কোথা থেকে আকস্মিক হাজির এমন একটা লাইন মনের মধ্যে? উডি লিখে রাখেন, পাছে ভুলে যান: My one regret in life that I am not someone else.
তারপর উডির মনে ছোট্ট কিন্তু বিশ্বব্যাপী একটা প্রশ্ন জাগে: যদি সময় সৃষ্টি না হত তাহলে কী হত?
এত বড় একটা প্রশ্ন, কিন্তু উডিকে বাঁচিয়ে দেয় উইট, আলোকগতি ক্ষিপ্র উত্তরে: Time is nature’s way of keeping everything from happening at once.
ওই দীর্ঘ, জবরদস্ত চুমুটা শেষ হওয়ার সম্ভবত তিন সেকেন্ড পরেই আশেরের স্ত্রী ঘরে ঢুকে ছিল। উডির মনে হয়, ভাগ্যিস সময়ের সৃষ্টি হয়ে ছিল। না-হলে তো কিছু কিছু পাপের ঘাড়ের ওপর আমার বউও হুড়মুড় করে এসে পড়ত!
আচ্ছা, সময়ের কথা ভাবলেই আজকাল মৃত্যুর কথা মনে হয় কেন? কেন মনে হয় হু হু করে ফুরিয়ে যাচ্ছে সময়?
টেবিলটার কাছে কিছুক্ষণ চুপকরে বসে থাকেন উডি অ্যালেন। তারপর লেখেন এক টুকরো কাগজে: I am not afraid of death. I just don’t want to be there when it happens.
মৃদু হাসি ঝিলিক দেয় উডি অ্যালেনের মুখে। এখনও ছেড়ে যায়নি নাছোড় কৌতুক। কলিং বেল বাজে। উডি অ্যালেন দরজা খোলেন। মেয়েটি কিশোরী না যুবতী। তার হাতে “What’s with Baum?” আমি আপনার পাবলিশার ‘সুইফ্ট প্রেস’ থেকে আসছি। এক্ষুনি আপনার বইটা বেরিয়েছে। ফার্স্ট কপি!
উডি অ্যালেনের ঠোঁটে ঘনিয়ে আসে চুমু। তিনি হাত পেতে বইটি নেন। তাঁর ঠোঁটে চুমুর বাসনা। চোখে ছলছলে ঝাপসামি। তিনি হাত বাড়িয়ে দেন মেয়েটির দিকে। মেয়েটি ব্যগ্রভাবে তাঁর হাত ধরে। তার হৃদয়ের সমস্ত উষ্ণতা দিয়ে। উডি অনুভব করেন সেই কিশোরী উতল হওয়া…
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৫৯: মাতৃভক্তির দেশে, মাকে ছেড়ে যাওয়ার আত্মকথন
পর্ব ৫৮: চিঠিহীন এই যুগের শ্রেষ্ঠ প্রণয়লিপি
পর্ব ৫৭: লেখার টেবিল কি জানে, কবিতা কার দান– শয়তান না ঈশ্বরের?
পর্ব ৫৬: প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে, বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখার টেবিল জানে সেই নির্মম সত্য
পর্ব ৫৫: জুলিয়া রবার্টসকে হিন্দুধর্মে দীক্ষা দিয়েছিল একটি বই, একটি সিনেমা
পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?
পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে
পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!
পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?
পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি
পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল
পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর
পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?
পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান
পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী
পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন
পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক
পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন
পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে
পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা
পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে
পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?
পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী
পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!
পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি
পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা
পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই
পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved