এই পৃথিবীতে এমন লিখতে পারার লেখক, এমন ভাবনার ধারক, এমন আপাত সহজ ভাষার ম্যাজিশিয়ান শুধু একজন। অবিকল্প মুরাকামি। আমি ভাবতে চেষ্টা করি, কেমন তাঁর লেখার টেবিল? কেমন তাঁর লেখার ঘর? তিনি কি লেখেন মৃদু আলোর বিষণ্ণ কোণে? আর ভাবি, যদি তাঁর লেখার টেবিল, যে টেবিলে তিনি লিখেছেন– ‘ব্লাইন্ড উইলো’, ‘স্লিপিং ওম্যান’, ‘কাফকা অন দ্য শোর’, ‘নরওয়েজিয়ান উড’, ‘ফার্স্ট পারসন সিঙ্গুলার’, ‘দ্য সিটি অ্যান্ড ইটস আনসার্টেন ওয়ালস’-এর মতো উপন্যাস, সেই টেবিল কোনওদিন যদি নিলাম হয়, আমি ডাকব আমার সকল ধনী বন্ধুদের সেই নিলামে, একটিই বায়না নিয়ে, টেবিলটাকে একটি সারস্বত মন্দিরে রাখতে চাই, সেই মন্দিরে বসে ভাবতে শিখব।
৬৩.
হারুকি মুরাকামি। বিশ্বসাহিত্যে ম্যাজিক নাম। নোবেল কিংবা না-নোবেল– তাঁর নাম থেকে বিন্দুমাত্র ঝরে যায় না মহিমা। এক ফোঁটা বাতাস কমে না তাঁর বৈজয়ন্তির উড়ানে। তাঁর গদ্যের দুর্বার আবর্তে ডুবতেই হয় আমাদের। আমাদের উত্তর-আধুনিক আবেগ বর্জন বেপরোয়া যুদ্ধে হেরে যায় তাঁর স্বপ্নময় মায়াবী রোমান্টিকতার অক্টোপাস আকর্ষণের কাছে। আমরা প্রত্যেকে হয়ে উঠি তাঁর ‘হাত-পুতুল’ কাফকা অন্তহীন জীবন সৈকতে! নতুন ভাবে চিনতে শিখি যন্ত্রণাকে। নতুন ভাবে ভাবতে শিখি হতাশাকে। নতুন ভাবে দেখতে শিখি মৃত্যুকে। মুরাকামির সদ্য প্রকাশিত উপন্যাস ‘দ্য সিটি অ্যান্ড ইটস আনসার্টেন ওয়ালস’– শহর এবং তার অনিশ্চিত দেওয়াল, আমাদের নতুন জীবন সংহিতা। এই বছর পুজোর ছুটিতে পড়া সেরা সাহিত্য। নোবেল। কিংবা না-নোবেল!
এবার দেখুন নিজেকে চিনতে পারেন কি না:
The town has provided me with shoes (and all of my clothes and everything else), and I’d worn those as I walked every day down the snowy roads. The snow didn’t accumulate much but the road surface did freeze over and become slippery.
কিন্তু আপনি তো জীবন সৈকতে নতুন কাফকা। নতুনভাবে দেখতে শিখছেন জীবন-যুদ্ধকে: But I never had a problem walking on it. I must have been given shoes that were made for walking on snowy roads.
কিন্তু কে দিল আমার পায়ে পরিয়ে এমন জুতো? স্বপ্ন? না শহর? নাকি শহর কখনও কখনও হয়ে ওঠে স্বপ্ন? কিংবা স্বপ্নই শহর? স্বপ্ন ও শহরের মাঝখানে আর কোনও দেওয়াল নেই। মুছে গেছে বিভেদ। আপনি তো নিজেই বলছেন:
But I couldn’t recall anything about their shape and colour. I wore them every day, so why was it that I couldn’t remember them?
এইবার এক জটিল ঘূর্ণির মধ্যে পড়ছেন আপনি। ঠিক পড়ছেন না। আপনাকে সেই মায়াময় আবর্তে ফেলে দিচ্ছেন মুরাকামি। এবং একমাত্র তিনিই পারেন এইভাবে আমাদের তাঁর গদ্যের অক্টপাস আকর্ষণে অতল সমুদ্রে নিয়ে যেতে। সেই অতলে স্মৃতি-বিস্মৃতি মিলে মিশে তৈরি করেছে অস্পষ্ট আতঙ্কের এক অমোঘ তারল্য। অদ্ভুত সেই তরলতা। কিছু স্মৃতি স্পষ্ট। বেশি রকম স্পষ্ট। আর কিছু স্মৃতি এতদূর অস্পষ্ট, মনে পড়েও পড়ছে না। তবু সেই সব ঘটেছিল। আর যা ঘটেনি, অন্তত আপনার মনে হচ্ছে ঘটেনি, তার স্মৃতি স্পষ্ট।
‘স্নো বুটস’-এর স্মৃতিও তেমন। অস্পষ্ট। অথচ রোজ তাদের পায়ে পরে তুষার ঢাকা পথে হেঁটেছেন। এইবার আপনার মনে জাগছে প্রশ্ন, ঠিক যেভাবে জেগেছিল কাফকার মনে! আপনি বোধহয় পাগল হয়ে যাচ্ছেন। কী অনবদ্য গদ্যে এক অপার ভয়ের পানে আপনাকে হুড়মুড়িয়ে ঠেলে দিলেন মুরাকামি:
Several things I could vividly remember, too vividly, yet as hard as I tried, some things had faded. And my snow boots were one of those. This spotty memory had me flustered and confused. Did I lose the memories over time, or did they not exist from the first?
কী ভয়ংকর প্রশ্ন? কোন মানসিক নরক আপনার অপেক্ষায়, বুঝতে পারছেন? এবং কী তঞ্চক মসৃণতায় আপনাকে সেই খাদের সামনে নিয়ে এলেন মুরাকামি, তাও বুঝতে নিশ্চয় বাকি নেই আপনার! এবার পিছন থেকে দিলেন এই আলতো ঠেলা! কোনও উপনিষদ বাঁচাতে পারবে না আপনাকে, যখন যে পাপ আপনি করেননি, সেই পাপের স্মৃতি আপনাকে কুরেকুরে খাবে। যে অন্যায় আপনি করেননি, সেই অন্যায়ের স্মৃতি আপনার ঘুম কেড়ে নেবে: How much what I remembered was the truth, and how much was fiction? How much has really happened, and how much was made up?
এই পৃথিবীতে এমন লিখতে পারার লেখক, এমন ভাবনার ধারক, এমন আপাত সহজ ভাষার ম্যাজিশিয়ান শুধু একজন। অবিকল্প মুরাকামি। আমি ভাবতে চেষ্টা করি, কেমন তাঁর লেখার টেবিল? কেমন তাঁর লেখার ঘর? তিনি কি লেখেন মৃদু আলোর বিষণ্ণ কোণে? তিনি কি লেখেন জাপানি সুরার মায়াবী প্রাণনে? আর ভাবি, যদি তাঁর লেখার টেবিল, যে টেবিলে তিনি লিখেছেন– ‘ব্লাইন্ড উইলো’, ‘স্লিপিং ওম্যান’, ‘কাফকা অন দ্য শোর’, ‘নরওয়েজিয়ান উড’, ‘ফার্স্ট পারসন সিঙ্গুলার’, ‘দ্য সিটি অ্যান্ড ইটস আনসার্টেন ওয়ালস’-এর মতো উপন্যাস, সেই টেবিল কোনওদিন যদি নিলাম হয়, আমি ডাকব আমার সকল ধনী বন্ধুদের সেই নিলামে, একটিই বায়না নিয়ে, টেবিলটাকে একটি সারস্বত মন্দিরে রাখতে চাই, সেই মন্দিরে বসে ভাবতে শিখব।
এবার আসি ‘দ্য সিটি অ্যান্ড ইটস আনসার্টেন ওয়ালস’ এবং অন্য সব উপন্যাসের ভাবনায়। সব ক’টি উপন্যাসের নায়ক যে আমি! হয়তো আপনারও তাই মনে হবে। মনে হবে, আপনিই তাঁর সব উপন্যাসের সেন্ট্রাল চরিত্র!
আমি মুরাকামির নায়ক। আমি প্রেমে পড়া নিঃসঙ্গ ডাক্তার। হাজার অসুখের মধ্যে আমি একা। আমি বারটেন্ডার। পানশালায় কাজ করি, একা মানুষ, ভাবি জীবন আর যন্ত্রণা নিয়ে। আমি অভিনেতা। আমার স্ত্রী সুপারস্টার অভিনেত্রী। যে যখন তার নায়ক, তখন সে তার বিছানায় যায়। আমি তাকে বলি না কিছুই। সেও জানতে দেয় না আমাকে। আমার স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে আমি তার শেষ প্রেমিকের বন্ধু। একটি সত্য জানতে চাই তার কাছে: এতগুলি পুরুষের কাছে কী সে চেয়েছিল, কী সে পেয়েছিল? আমার ড্রাইভার এক যুবতী। ওই যুবতীর হাতে স্টিয়ারিং দিয়ে আমি গাড়িতে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়তে পারি। ভারি ভালো গাড়ি চালায়। আমি সমুদ্র সৈকতে একা কাফকা। হেঁটে চলেছি অজানা অনন্তের দিকে। এবং অন্যভাবে চিনতে শিখছি জীবন।
আমার বেশি বয়েস নয়। বছর ৪০। আমার একটি মেয়ের সঙ্গে গভীর প্রণয়। ওকে না পেলে আমি বাঁচব না! সে হারিয়ে গেছে। তন্ন তন্ন করে খুঁজেছি। পাইনি কোথাও। কত যুগ কেটে গেছে বোধহয়। হঠাৎ বুঝতে পারি আমাকে বাস্তব পেরিয়ে যেতে হবে সেই কাল্পনিক শহরে, যে শহরের সঙ্গে আমার সেই ভালোবাসার মেয়ের আত্মার সংযোগ। আমি ঘুরতে ঘুরতে সেই শহরে এসে পৌঁছেছি। সেই শহরে এসে খুঁজে পেয়েছি সেই রহস্যময় পাঠাগার। আর সেই লাইব্রেরিতে কাজ করছে আমার ভালোবাসার মেয়ে। কিন্তু তার তো কোনও কিছু মনে নেই। আমাদের অতীত তার কাছে শূন্য। আমরা অতীতে ফিরে যাই। কিন্তু অতীত স্মৃতিভ্রষ্ট। আমাদের মনে রাখেনি।
এই গল্প আমাকে নিয়ে আগেও মুরাকামি লিখেছেন। আবার লিখলেন। অন্যভাবে। এই উপন্যাসে মুরাকামি আমাকে ফেলেছেন একটি জটিল প্রশ্নের সামনে:
যে অতীত আমাকে সম্পুর্ণ ভুলে গেছে তাকে ফিরে পেতে, ফিরে পেতে তার প্রেম, আমার আজকের বাস্তবকে আমি কি সম্পূর্ণ ত্যাগ করতে পারব? ওই রহস্যময় পাঠাগারের সুদূর অতীতের মধ্যে প্রবিষ্ট হয়ে সম্পূর্ণ ছিন্ন হতে পারব আমি এই মুহূর্তের পৃথিবী থেকে? এই প্রশ্নের কোনও ফাইনাল উত্তর নেই।
তাই বারবার আমি ফিরে আসি একমাত্র মুরাকামির গল্পেই, হয়তো বারবার অন্যভাবে লেখা একই গল্পে, ভিন্ন ভিন্ন ভাবে। এবং একই প্রশ্নের উত্তর প্রতি মূহূর্তে বদলে যাবে চিরকাল। ‘দ্য সিটি অ্যান্ড ইটস আনসার্টেন ওয়ালস’-এর অন্তিম লাইনটি আমাদের সকলের জীবন সংহিতার শেষ লাইন:
Truth is not found in fixed stillness, but in ceaseless change and movement. At least that’s how I see it.
Haruki Murakami.
উপন্যাসের অন্তিমে তাঁর হিরণ্ময় স্বাক্ষর।
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৬২: জীবন তিক্ত এবং আশা করা ভুল, এই দর্শনই বিশ্বাস করেন ক্রাজনাহরকাই
পর্ব ৬১: লন্ডনে ফিরে এলেন অস্কার ওয়াইল্ড!
পর্ব ৬০: পাপ ও পুণ্যের যৌথ মাস্টারপিস
পর্ব ৫৯: মাতৃভক্তির দেশে, মাকে ছেড়ে যাওয়ার আত্মকথন
পর্ব ৫৮: চিঠিহীন এই যুগের শ্রেষ্ঠ প্রণয়লিপি
পর্ব ৫৭: লেখার টেবিল কি জানে, কবিতা কার দান– শয়তান না ঈশ্বরের?
পর্ব ৫৬: প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে, বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখার টেবিল জানে সেই নির্মম সত্য
পর্ব ৫৫: জুলিয়া রবার্টসকে হিন্দুধর্মে দীক্ষা দিয়েছিল একটি বই, একটি সিনেমা
পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?
পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে
পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!
পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?
পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি
পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল
পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর
পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?
পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান
পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী
পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন
পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক
পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন
পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে
পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা
পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে
পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?
পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী
পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!
পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি
পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা
পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই
পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved