এক আশ্চর্য সম্ভাবনা মনে আসে হোমারের। ঈশ্বর আর শয়তান আলাদা নয়। তারা রাত আর দিনের মতো। একটা আছে বলেই অন্যটা কে চেনা যায় আলাদা করে। তারপর সে ভাবে এমন একটা কথা, যা আগে কখনও ভাবেনি। কবিতার ভাষা নিজেই রূপান্তরিত হচ্ছে। কোনও কবিতাই লেখা যায় না। কবিতা নিজেই নিজেকে লেখে! কবি নিমিত্ত মাত্র। কবিতা শেষ পর্যন্ত ব্যাখ্যার অতীত। এমনকী, কবি এই মাত্র যে কবিতা লিখল, সেই কবিতার সব সংকেত, সমস্ত ইঙ্গিত, সব প্রসার কিংবা গহনতা কি তার নাগালের মধ্যে? কবি কোনওদিন জানবে না এই প্রশ্নের উত্তর।
৫৭.
ফাঁপরে পড়েছেন। আমাদের জানা-চেনা এক মানুষ। যদিও জগতে কেউ জানে না তার পুরো নাম। তবে ভাঙা চাঁদের মতো ওই আধখানা নামই গুড এনাফ। পুরো নামের যে টুকরোটা খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীর গ্রিসের আকাশ, তারপর ধীরে ধীরে সারা পৃথিবীর আকাশ আলো করে জ্বলছে, সেই অনির্বাণ টুকরোটা ‘হোমার’! যে মানুষ ‘ইলিয়াড’ আর ‘ওডিসি’ নামের দুটো মহাকাব্য লিখেছেন, সেই মহাকবি ভাঙা নামেও চিরকালের। কিন্তু হোমারের ফাঁপরটা কী?
হোমারের মনে একটা ভয়ংকর প্রশ্ন: কবিতা শয়তানের? নাকি ঈশ্বরের? কে তাঁকে অনর্গল জুগিয়ে যাচ্ছে কাব্যের ভাষা? পাপ না পুণ্য? মঙ্গল না অমঙ্গল? আলো না অন্ধকার? স্বর্গ থেকে নেমে আসা আশীর্বাদ? নাকি নরক থেকে উঠে আসা দহন?
হোমার কি ক্রমশ এই বিশ্বাসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, কবিতা শয়তানের দান? তার দুই মহাকাব্যে তো পাপের ছড়াছড়ি। অবৈধ প্রেম। শরীরের লালসা। মেয়েদের ব্যভিচার। পুরুষের অনাচার। বর্বর নির্মমতা। জান্তব যৌনতা। বিকৃত সম্পর্কের উত্তেজনা। মানুষের সঙ্গে অন্য প্রাণীর সেক্স। কোন অন্যায়, অনাচার, অমঙ্গল নেই তাঁর দুই মহাকাব্যের অন্তর বুননে? এবং যত জটিল ও গভীর হয়েছে পাপ, ততই উৎকৃষ্ট হয়েছে কাব্য ও কবিতা! পাপ যখন কথা বলে সংকেতে, তখনই জন্ম নেয় কবিতা। পাপ আর সংকেতের সঙ্গমের ফসল কাব্য ও কবিতা। প্রায় নিশ্চিত হোমার। তবু তার মন বলে, ফাঁপর কাটেনি।
হোমার এগিয়ে যান তাঁর লেখার টেবিলটার দিকে। সন্ধ্যা লগ্ন। আকাশে বাঁকা চাঁদ। বসন্তকাল। মিঠে বাতাস বয়ে আনছে ডাইওনিসাসের মন্দির থেকে যুবক-যুবতীদের উদ্দাম সঙ্গম নৃত্যের গান-বাজনা শীৎকার, যৌনমিলনে নারীর সুখের ধ্বনি। হোমারের মনে পড়ে তাঁর যৌবনকাল ও বসন্ত ঋতু। মনের মধ্যে দপ করে জ্বলে ওঠে ঈর্ষার আগুন। লেখার টেবিলটার সামনে গিয়ে দাঁড়ান হোমার। তাঁর সুদর্শন কিশোর ভৃত্য ইতিমধ্যে টেবিলে রেখে গেছে বাছুরের ঝলসানো কচি ঠ্যাং আর পাথরের পানপাত্রে বাড়িতে তৈরি ঝাঁঝালো মদ, যা জীবনের মতো জ্বলে, পোড়ায়, মাথায় বাড়ায় পাপের ইচ্ছে। যে ইচ্ছে তৃপ্ত করে কিশোর ভৃত্য। নারীতে আর তৃপ্তি নেই হোমারের। হোমার ঝলসানো বাছুরের কচি ঠ্যাংয়ে কামড় বসান। তারপর গলায় ঢালেন তরল আগুন। তারপর টেবিলের সামনে বসে জানলার পাশে পাহাড়ের দিকে তাকান। ওই পাহাড়ের পাথর কেটে হোমার তাঁর বলিষ্ঠ যৌবনকালে তৈরি করেছিলেন নিজের লেখার টেবিল। লেখার টেবিল কি জানে, কবিতা কার দান? শয়তানের না ঈশ্বরের?
‘কবিতা শয়তানের দান’, লেখার টেবিলের স্পষ্ট উচ্চারণ শুনতে পান হোমার। তারপর লেখার টেবিলের এই চাপা তিরস্কার কানে আসে হোমারের:
তোমার মহাভারত পাঠ বৃথা হয়েছে হোমার। মহাভারতের মতো মহাকাব্য তুমি কোনও দিন লিখতে পারবে না। কেননা অমন পাপের, অমঙ্গলের, ব্যভিচারের, অনাচারের, নির্মমতার আর বিকৃতির মহাসমুদ্র তুমি ভাবতেই পারবে না হোমার। এমন পাপ নেই, যা মহাভারত জানে না। বেদব্যাস পাপের অনন্ত সাগর থেকে তুলে এনেছে তার কাব্যের রত্নভাণ্ডার। তোমার মধ্যে যতদিন শয়তান থাকবে ততদিন কবিতার সংকেত হয়ে উঠবে তোমার সর্বনাশের কাব্য। যেদিন শয়তান সরিয়ে ঈশ্বরকে বসাবে সিংহাসন, মঙ্গলের প্রভাবে তোমার কবিতা মরে যাবে। এটাই শেষ সত্য। মনে রেখো হোমার– পুণ্য কবিতার মারণ রোগ। পাপ কবিতার প্রাণরস।
আরও মদ গলায় ঢালেন হোমার। আর ক্রমাগত চিবিয়ে যান বাছুরের ঠ্যাং। আর কিশোর ভৃত্য তার হাতের সেবায় জাগিয়ে তুলছে প্রৌঢ় হোমারের শরীরের তলানি। হোমারের হঠাৎ মনে হয়, তাঁর কাব্যের সব ইঙ্গিত, সংকেত, ভাষা, সে বোঝে না। যেমন সে কোনওদিন বোঝেনি নারীকে। সে লেখে একটা ঘোরের মধ্যে। সেই ঘরের কতটা শয়তান, কতখানি ঈশ্বর, সে কেমন করে বুঝবে। ‘ইলিয়াড’ এবং ‘ওডিসি’, কোনওটার সবটা সে নিজে লেখেনি। পৃথিবীর কোনও কবি কোনও দিন তার সব কবিতা নিজে লেখে কি? হোমার তো বারবার চমকে ওঠে নিজের লেখা পড়ে? আমি লিখেছি? যে লিখেছে সে এক অন্য আমি? কে তার ঘাড়ে চাপে লেখার সময়? হয়তো কখনও ঈশ্বর। কখনও শয়তান।
তারপর এক আশ্চর্য সম্ভাবনা মনে আসে হোমারের। ঈশ্বর আর শয়তান আলাদা নয়। তারা রাত আর দিনের মতো। একটা আছে বলেই অন্যটাকে চেনা যায় আলাদা করে। তারপর সে ভাবে এমন একটা কথা, যা আগে কখনও ভাবেনি। কবিতার ভাষা নিজেই রূপান্তরিত হচ্ছে। কোনও কবিতাই লেখা যায় না। কবিতা নিজেই নিজেকে লেখে! কবি নিমিত্ত মাত্র। কবিতা শেষ পর্যন্ত ব্যাখ্যার অতীত। এমনকী, কবি এইমাত্র যে কবিতা লিখল, সেই কবিতার সব সংকেত, সমস্ত ইঙ্গিত, সব প্রসার কিংবা গহনতা কি তার নাগালের মধ্যে? কবি কোনওদিন জানবে না এই প্রশ্নের উত্তর। হোমারের মনে পড়ে তাঁর অবৈধ কন্যাটির কথা। সেও তো চলে গেল সম্পূর্ণ তার হাতের বাইরে। গলায় আরও মদ ঢালতে ঢালতে মনে হয় কবিতার সঙ্গে হাতের বাইরে চলে যাওয়া অবৈধ সন্তানের কোথায় যেন সাদৃশ্য আছে। আছেই। কবিতা হল বখে যাওয়া এক জ্বলন্ত প্রাণ, যার বাপ-মায়ের ঠিক নেই!
এই কারণেই কি প্লেটো তাঁর রামরাজত্ব বা ইউটোপিয়া থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করলেন কবিদের? যে মানুষ কবিতা লেখে সে দেশ ও সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক। সুতরাং কবিদের কোনও স্থান নেই প্লেটোর স্বপ্নের দেশে। কেন কবিরা সমাজ-সংসারে সর্বনাশের মূল? জানতে গেলে পড়তে হবে প্লেটোর ‘রিপাবলিক’। কবিকে নিয়ে প্লেটোর মূল সমস্যা কবির ভাষা। কবিতার ভাষা হেঁয়ালিতে জটিল। নানারকম বিপজ্জনক বার্তা সমাজ-সংসারে ছড়িয়ে দিচ্ছেন কবিরা। যেগুলো রাজনীতিক এবং শাসকদের মাথার ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। তাছাড়া কবিতা যুবক-যুবতীদের মাথা খাচ্ছে। তাদের বেপথে নিয়ে গিয়ে সমাজের ক্ষতি করছে। এবার প্লেটোর ‘রিপাবলিক’ থেকে কবিদের সম্বন্ধে একটি উদ্ধৃতি দিচ্ছি: Poets utter great and wise things which they don’t themselves understand.
যে কথায় এবার আসছি, সেটা বিশেষ প্রয়োজনীয়। আমার মাস্টারমশাইরা, যাঁরা আমাদের পড়িয়ে ছিলেন প্লেটোর ‘রিপাবলিক’ এবং শেলির বিখ্যাত প্লেটো-বিরোধী লেখা, ‘ইন ডিফেন্স অফ পোয়েট্রি’, তাঁরা হয় জানতেন না, নয় চেপে গিয়েছিলেন দুটো প্রয়োজনীয় তথ্য। এক, প্লেটো নিজে কবিতা লিখতেন, কবিতা না লিখে পারতেন না বলে! দুই, প্লেটো কবিতা এবং কবি-বিরোধী যে সব কথা লিখছেন, সেগুলি সব তাঁর ‘রিপাবলিক’ গ্রন্থের সেই বিভাগে, যেখানে সবটাই রাজনীতি নিয়ে আলোচনা, সাহিত্যের নামগন্ধ নেই। অর্থাৎ, কবি ও কবিতা নিয়ে প্লেটোর আলোচনা মূলত রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, শাসকের মনন ও মূল্যবোধ অনুসারে। আমি প্রথম জানলাম প্লেটোর কবিতা, তাঁর কবিতার মতো গদ্য এবং তাঁর কাব্যিক প্রবণতার সঙ্গে তাঁর নিজের আজীবন কলহের কথা জে. ডব্লিউ. অ্যাটকিনস-এর বিখ্যাত বই ‘লিটারারি ক্রিটিসিজম ইন অ্যান্টিকুইটি’ পড়ে, কোভিডের লকডাউনের নিঃসঙ্গতায়।
অ্যাটকিনস লিখছেন, প্লেটো কবিতা লিখছেন এবং কবির বিরোধিতা করছেন একই টেবিলে বসে। তিনি মানুষের মঙ্গলের জন্যে কবিতাকে নির্বাসনে পাঠাচ্ছেন এবং নিভৃতে লিখছেন কবিতা, কবিতা না লেখার মানসিক যন্ত্রণা সামলাতে পারছেন না বলে। তারপর নিজের কাছে প্রতিশ্রুত হলেন, আর কবিতা লিখব না। লিখব শুধু বিশুদ্ধ গদ্য। কিন্তু লিখলেন বিশুদ্ধ কবির গদ্য। আরও একটা কথা আমার শিক্ষকরা বলেননি! যদিও প্লেটো কবিদের নির্বাসনে পাঠাচ্ছেন, তার আগে কিন্তু তাদের মাথায় পরিয়ে দিচ্ছেন ভিন্ন মহিমার মুকুট:
Plato banishes the poets, but before doing so he crowns them by other standards.
……………………….
ফলো করুন আমাদের ওয়েবসাইট: রোববার.ইন
……………………….
প্লেটোর প্রধান অভিযোগ: Poets compose their works under the power of non- rational inspiration. কিন্তু সব অনুপ্রেরণাকেই হতে হবে যুক্তিগ্রাহ্য, এমন মাথার দিব্যিই বা দেব কেন? কে কবে প্রেমে পড়েছে যুক্তিগ্রাহ্য নির্ভুল সমীকরণের প্রবল প্রাণনে? ঘাসের ওপর পড়ে থাকা রুমালের হঠাৎ বেড়াল হয়ে যাওয়াটা কি কোথাও না কোথাও ঘটছে না পৃথিবীতে? বা ঘটতেই পারে। সেটাই তো বেঁচে থাকার মজা!
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৫৬: প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে, বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখার টেবিল জানে সেই নির্মম সত্য
পর্ব ৫৫: জুলিয়া রবার্টসকে হিন্দুধর্মে দীক্ষা দিয়েছিল একটি বই, একটি সিনেমা
পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?
পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে
পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!
পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?
পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি
পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল
পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর
পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?
পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান
পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী
পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন
পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক
পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন
পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে
পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা
পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে
পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?
পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী
পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!
পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি
পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা
পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই
পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved