Robbar

খেলা শেষ করার জন্য শেষ শব্দ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন জেফ্রি আর্চার

Published by: Robbar Digital
  • Posted:October 20, 2025 7:47 pm
  • Updated:October 20, 2025 9:43 pm  

উইলিয়ামের জীবনযুদ্ধ কত বছর ধরে, আটটা উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে। উপন্যাসগুলি পরপর আমার চোখের সামনে: Nothing Ventured, Hidden in Plain Sight, Turn a Blind Eye, Over My Dead Body, Next in Line, Traitors Gate, An Eye for An Eye, End Game. যাঁরা পড়েছেন এই আটটা উপন্যাস, তাঁদের তো আর বলতে হবে না, কতদূর নাছোড়, আনপুটডাউনেবেল এদের কাহিনি !

রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

৬৪.
লর্ড জেফ্রি আর্চার। বিশ্ববিখ্যাত ব্রিটিশ বেস্টসেলার কাহিনিকার। তাঁর বই ১১৫টা দেশে, ৪৮টা ভাষায় অনূদিত হয়ে, ৩০০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। তাঁর লেখক জীবন তিনি কাটান কখনও লন্ডনে, কখনও কেমব্রিজে, কখনও স্পেনের দ্বীপপুঞ্জের ম্যালোরকায়। তাঁর প্রতিটি উপন্যাসের প্রথম খসড়া তিনি লেখেন ভূমধ্যসাগরের তীরে, ম্যালরকায় তাঁর ভাবনা ভবনে। প্রতিটি উপন্যাস তিনি শেষ করেন ১৪টা ড্রাফট লেখার পর। অবিশ্বাস্য প্রতিভা এবং পরিশ্রমের ফসল জেফ্রি আর্চার।

জেফ্রি আর্চার

এই বছর তিনি ৮৫ । সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নতুন থ্রিলার ‘এন্ড গেম’। ধরে নিচ্ছি, এটাই তাঁর উইলিয়াম ওয়ারউইক সিরিজের শেষ বই। আর্চার প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি সৎ, সাহসী, পরিশ্রমী, প্রবল বুদ্ধিমান উইলিয়াম ওয়ারউইককে বসাতে পেরেছেন লন্ডনের পুলিশ কমিশনারের চেয়ারে।

উইলিয়ামের জীবনযুদ্ধ কত বছর ধরে, আটটা উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে। উপন্যাসগুলি পরপর আমার চোখের সামনে: Nothing Ventured, Hidden in Plain Sight, Turn a Blind Eye, Over My Dead Body, Next in Line, Traitors Gate, An Eye for An Eye, End Game.
যাঁরা পড়েছেন এই আটটা উপন্যাস, তাঁদের তো আর বলতে হবে না, কতদূর নাছোড়,
আনপুটডাউনেবেল এদের কাহিনি ! এবং তাঁরা নিশ্চয়ই ভুলতে পারেননি উইলিয়ামের মতো একটি অকপট চরিত্রকে, ভুলতে পারেননি প্রথমে উইলিয়ামের প্রেমিকা, তারপর তার স্ত্রী বেথকে, উইলিয়ামের বাবা অভিজাত ব্যারিস্টার সার জুলিয়ানকে, আর ভুলতে পারেননি অবশ্যই আটটা উপন্যাসের ভয়ংকর ভিলেন মাইলস ফকনার আর তার ভয়াবহ উকিল বুথ ওয়াটসনকে। এরা প্রত্যেকে ফিরে এসেছে এই সিরিজের শেষ উপন্যাস ‘এন্ড গেম’-এর অতুলনীয় বুননে। আক্ষরিক অর্থে, আমাকে দু’রাত্তির জাগিয়ে রেখেছে এই উপন্যাস এর প্লট এবং সাব-প্লট। কী টেনশন! আর কী রুদ্ধশ্বাস গতি! কীভাবে লেখা যায় এমন লেখা? ব্যর্থ ঈর্ষায় বুকের মধ্যে জ্বালা ধরে।


‘এন্ড গেম’-এর গল্পটা গড়ে উঠেছে ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকের অন্তরালে একটি সম্ভাব্য সন্ত্রাসের গল্প নিয়ে। জেফ্রি আর্চার লিখছেন তাঁর অনবদ্য স্টাইলে উপন্যাসের শুরুতেই: In my novel, End Game, you will discover twenty-two incidents that took place during the London Olympics of 2012. Thirteen actually happened, which the public were never made aware of. Two of the incidents– which were prevented by the security forces–  would not only have ruined the Olympics, but destroyed Britain’s reputation around the world. Nine of the incidents are no more than figments of my imagination. However, I will leave you to decide which are fact and which are fiction.

আপনারাই বলুন, প্রথমেই এই রকম ‘অথর্স নোট’ পড়ার পড়ে, রাত্রে শুঁড়িখানায় পান করতে করতে এই বই শুরু করে বাড়ি ফিরে বাকি রাত এই বইয়ের দুর্বার টানেই ভেসে না গিয়ে পারা যায়? প্রথমেই বলি, বইয়ের গল্পটা কিন্তু বলব না। গোয়েন্দা কাহিনি বা থ্রিলারের গল্প বলে দেওয়া মানে গল্পটাকে মেরে ফেলা! জেফ্রি আর্চার কিন্তু গল্পটাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন ৩৬৭ পাতার গল্পের শেষ শব্দ পর্যন্ত।
প্রথমেই যাচ্ছি সাব-প্লটে। এবং মারাত্মক সাব- প্লট। উইলিয়ামের ছোট্ট সুন্দরী মেয়ে আর্টিমিসিয়াকে মনে আছে? যে নেক্সট ইন লাইন উপন্যাসে প্রিন্সেস ডায়ানাকে জিজ্ঞেস করছে, তুমি তো রাজকুমারী, তাহলে তোমার মাথায় মুকুট নেই কেন? সেই ছোট্ট মেয়ে এন্ড গেমের সাব-প্লটের নায়িকা। সে বাবা উইলিয়াম আর মা বেথ-কে জানিয়ে সহবাস করে রবার্টের সঙ্গে। আর সে ‘ডেইলি মেইল’ সংবাদপত্রের সাংবাদিক যে এক্সক্লুসিভ স্টোরি করল এই মর্মে:
In Moscow there is a state– funded programme that administers drugs to over a thousand athletes in every Olympic sport, from weightlifting to synchronized swimming . However, the largest number of athletes involved are in the track and field team. But why aren’t they caught?

বই শিকারের ভঙ্গিমায় লেখক

আর্টিমিসিয়া তার লেখায় জানাচ্ছে, কেন রাশিয়ানরা অলিম্পিকে ড্রাগস খেয়ে অংশ নিয়েও ইউরিন এবং ব্লাড টেস্টে ধরা পড়ে না:
Because Gregory Rodchenkov has invented a steroid cocktail, known as a Duchess, that if taken six weeks before any major competition, can mask any drug- taking. And he is the director of the anti-doping laboratory. And he sits in the stand watching the Games every day, and is the first on his feet applauding every time a Russian wins a medal.

এবার আপনাদের মনে নিশ্চয়ই একটিই জিজ্ঞাসা: এই ডাচেস ককটেল তার খেলাটা খেলে কীভাবে? এই প্রশ্নেরও উত্তর আছে আর্টির লেখায়:
So how does this Duchess cocktail work? You dissolve steroids in alcohol. Whisky for men, vermouth for women. You still it around in your mouth and then spit it out. You don’t even have to swallow it. Then by time you compete, you’re in the clear.

আর্টির লেখা শেষ হচ্ছে এইভাবে:
The Russians have a state-sponsored doping programme with the single purpose of winning as .any medals as possible, preferably gold.

মেয়ের এই লেখা পড়ে বাবা উইলিয়াম ভীষণ গর্বিত: She’d nailed the Russians far more convincingly than a thousand officials.

ঘরোয়া জেফ্রি আর্চার

এই লেখার সঙ্গে জড়িয়ে গেল এক প্রেমের গল্প , এক অনিবার্য ট্র্যাজেডি এবং এক মর্মান্তিক আত্মহত্যা। কেন? কী করে? বলছি না। বইটার সঙ্গে রাত জাগুন। এবার মেন প্লট। লন্ডনের অলিম্পিক ধ্বংস: লন্ডন অলিম্পিকের শেষ দিন। বাজির উৎসব আরম্ভ হতে চলেছে। উইলিয়াম সিকিউরিটির প্রধান। তার কাছে এই খবর এল:
Five deadly ampoules of the nerve agent, Sarin, will be released by a terrorist that will kill all those standing around within moments. However, the death of several members of the British team will only be a small part of what has been planned for London’s swansong. Once the liquid has vaporized it will quickly spread, either killing or debilitating almost everyone in its path. Those close will die within moments, while anyone nearby will suffer seizures and paralysis, which may not surface for weeks but will get them in the end. Prince Harry who is representing the Queen and the British Prime Minister, along with several heads of state, this is the last public function they are attending. Because nerve agents don’t discriminate.

উইলিয়ামের কাছে আরও তথ্য এসে পৌঁছয় একেবারে শেষ মুহূর্তে:
There is a terrorist out there among the Chinese athletes. She is wearing two tracksuits and a pair of Olympic shoes that aren’t exactly regulation. Just before the fireworks display begins, she is going to takeoff her national tracksuit beneath which she is wearing the official Great Britain Olympic team kit. She is then going to head towards the British team, and when she reaches them, where everyone is still distracted by the firework display, she will bend down and untie her shoelaces. She has got several ampoules of the nerve agent Sarin, hidden in her trainers and when she removes them to break the ampoules, the liquid will vaporize and release enough gas to obliterate most of the British team.

উইলিয়াম সিকিউরিটি রুমের টিভি স্ক্রিনে চোখ রাখে। সে দেখতে পায় একটি চাইনিজ মেয়ে ব্রিটিশ টিমের ট্র্যাকসুট পরে এগিয়ে যাচ্ছে ব্রিটিশ টিমের দিকে। ব্রিটিশ টিমের কাছেই বসে আছে তার স্ত্রী বেথ, মেয়ে আর্টি, ছেলে পিটার। সে কী করবে? এখুনি? এক মুহূর্ত দেরি না করে?

এই ঘটনা ঘটে ৩০৬ পাতায়। গল্পের ক্লাইম্যাক্স ৩৫৬ পাতায়। আর উপসংহার ৩৬৭ পাতায়। এর পরে আরও দু’টি পাতা: আপনাদের জন্য এক পরম বিস্ময়। খেলতে পারেন খেলাটা। তার আগে শুধু গতি আর টেনশন।

জেফ্রি আর্চার দেখিয়ে দিলেন, এতটুকু বুড়ো হননি। বুড়ো হয়নি তাঁর টেবিলও।

…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব  ……………………

পর্ব ৬৩: সহজ ভাষার ম্যাজিক ও অবিকল্প মুরাকামি

পর্ব ৬২: জীবন তিক্ত এবং আশা করা ভুল, এই দর্শনই বিশ্বাস করেন ক্রাজনাহরকাই

পর্ব ৬১: লন্ডনে ফিরে এলেন অস্কার ওয়াইল্ড!

পর্ব ৬০: পাপ ও পুণ্যের যৌথ মাস্টারপিস

পর্ব ৫৯: মাতৃভক্তির দেশে, মাকে ছেড়ে যাওয়ার আত্মকথন

পর্ব ৫৮: চিঠিহীন এই যুগের শ্রেষ্ঠ প্রণয়লিপি

পর্ব ৫৭: লেখার টেবিল কি জানে, কবিতা কার দান– শয়তান না ঈশ্বরের?

পর্ব ৫৬: প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে, বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখার টেবিল জানে সেই নির্মম সত্য

পর্ব ৫৫: জুলিয়া রবার্টসকে হিন্দুধর্মে দীক্ষা দিয়েছিল একটি বই, একটি সিনেমা

পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?

পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে

পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!

পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?

পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি

পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল 

পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর

পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?

পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান

পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী

পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন

পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্‌-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক

পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন

পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে

পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা

পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে

পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?

পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী

পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!

পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি

পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল

পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা

পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই

পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না

পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা

পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ

পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?

পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!

পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল

পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো

পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়

পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!

পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে

পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে

পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি

পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল

পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল

পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল

পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে

পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে

পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা

পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল

পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে

পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?

পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব

পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি

পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল

পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি

পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে

পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল

পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা

পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা

পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে

পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল