Robbar

প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে, বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখার টেবিল জানে সেই নির্মম সত্য

Published by: Robbar Digital
  • Posted:August 26, 2025 5:58 pm
  • Updated:August 26, 2025 6:53 pm  
Ranjan Bandyopadhyay on Bertrand Russell। Robbar

পুরুষ এবং নারীর স্বাভাবিক প্রবণতা বহুচারিতার দিকে। তাদের ভিতরের তাড়না বিয়ের বন্দিদশা মেনে নিতে পারে না। বিবাহিত পুরুষ যায় অন্য নারীতে। বিবাহিত নারী যায় অন্য পুরুষে। এবং এটাই স্বাভাবিক। ক্রমাগত একই মানুষের সঙ্গে একই রকম যৌন অভিজ্ঞতা ভোঁতা করে দেয় তাড়না ও আবেগ। বিয়ে ক্রমশ সেক্স্যুয়াল উত্তেজনা মেরে ফেলে। কিন্তু জীবন চায় ফিরে আসুক সেই পুরোনো উত্তেজনা। তখন বিবাহিত নরনারী, কেউ তাড়াতাড়ি, কেউ দেরিতে, সহ্যের শেষ বিন্দু পর্যন্ত অপেক্ষার পরে, গোপনে যায় অন্য সম্পর্কে। পা ফেলে বিয়ের বাইরে। বিয়ে যতদিন থাকবে সমাজে, দ্বিচারিতা তত দিন থাকবে।

রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

৫৬.

সারা পৃথিবীতে কত পুরুষ! কত নারী! এদের মধ্যে বেছে নিতে হবে মাত্র একজনকে! জীবনসঙ্গী বা সঙ্গিনী করে! আর এই মহৎ কাজটি করার পর ‘বিয়ে’ নামের সামাজিক সংস্থার সৌজন্যে, জগতের সকল নরনারীকে বিসর্জন দিতে হবে ঠান্ডা বিস্মৃতিতে, যেন তারা প্রেমের যোগ্যই নয়! এর মানে কী?

বুঝলেন না? মানেটা জলের মতো সোজা। বিয়ে করা মানে, অন্য নারী বা পুরুষের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পকে যাওয়া, সোহাগের পথ চিরদিনের জন্যে বন্ধ হয়ে গেল। এ তো দমবন্ধ হয়ে মরতে হবে! আমি বিয়ের এই শর্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারিনি। আমি তাই সাহস করে লিখলাম, ভিক্টোরিয়ান যুগের কপট রক্ষণশীলতার মধ্যে বসে, একজন অভিজাত ইংরেজ হয়েও, এই কথাগুলো:
There can be no doubt that to close one’s mind on marriage against all approaches of love from elsewhere is to diminish receptivity and sympathy and the opportunities of valuable human contacts.

বার্ট্রান্ড রাসেল

জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। সময় মধ্যরাত পেরিয়ে গেছে। বিপুল গণিতবিদ, গভীর দার্শনিক, সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী বার্ট্রান্ড রাসেল এই বাক্যটি লেখার পরে তাঁর পাইপ ধরান। তাকান তাঁর প্রাচীন লেখার টেবিলটার দিকে। তাঁর কত ভাবনার স্রোত এই টেবিল ধারণ করেছে তার বুকে। এমনকী গণিতের দার্শনিক হোয়াইটহেড-কে সঙ্গে নিয়ে লেখা তাঁর ‘প্রিনসিপিয়া ম্যাথেম্যাটিকা’, তিন খণ্ডে লেখা গণিতের উৎস, ভিত্তি ও ভাবনা প্রসঙ্গে লেখা গ্রন্থ, তাও তো রচিত হয়েছে এই টেবিলে। এই টেবিলকে আর ছাড়িয়ে নেওয়া যায় না তাঁর মনন ও প্রকাশের আলো থেকে।

টেবিলটার গায়ে স্নেহের হাত রাখেন লর্ড রাসেল। তারপর পাইপ মুখে উঠে যান কাচের বন্ধ জানলার কাছে। মধ্যরাতের জানলা তুষারপাতে ঝাপসা, প্রাণহীন, হিমশীতল। এই শহরের হাজার হাজার বিয়েও এমন প্রাণহীন, ঠান্ডা, তুষারে আচ্ছন্ন! ভাবেন রাসেল। তারপর ফিরে আসেন লেখার টেবিলটার কাছে। টেবিলের গায়ে স্পষ্ট অক্ষরে ফুটে উঠছে তাঁর মনের ভাবনা। তিনি কলম ঠেকান কাগজে:
প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে। বিয়ে আমাকে বলল, তোমাকে এই নারীকে সারা জীবন ভালোবেসে যেতে হবে। আর সঙ্গে সঙ্গে আমার মন আর শরীর বলে উঠল, অসম্ভব! বিয়ে আমাকে আবার বলল, এই নারীকে আজীবন ভালবাসা তোমার কর্তব্য। প্রেম কখনও ডিউটি হতে পারে না। আমার হৃদয় চিৎকার করে উঠল।

এরপর পরের লাইনটা লিখতেই হবে। মানুষকে জানাতে হবে তো, কেন বিয়ে সর্বদা হয়ে যায় প্রেমের মৃত্যুর নিশ্চিত কারণ। কী জন্যে বিয়ে থেকে ঝরে যায় প্রেম? রাসেল লেখেন সেই ভয়ংকর বাক্য:
পুরুষ এবং নারীর স্বাভাবিক প্রবণতা বহুচারিতার দিকে। তাদের ভিতরের তাড়না বিয়ের বন্দিদশা মেনে নিতে পারে না। বিবাহিত পুরুষ যায় অন্য নারীতে। বিবাহিত নারী যায় অন্য পুরুষে। এবং এটাই স্বাভাবিক। ক্রমাগত একই মানুষের সঙ্গে একই রকম যৌন অভিজ্ঞতা ভোঁতা করে দেয় তাড়না ও আবেগ। বিয়ে ক্রমশ সেক্স্যুয়াল উত্তেজনা মেরে ফেলে। কিন্তু জীবন চায় ফিরে আসুক সেই পুরোনো উত্তেজনা। তখন বিবাহিত নরনারী, কেউ তাড়াতাড়ি, কেউ দেরিতে, সহ্যের শেষ বিন্দু পর্যন্ত অপেক্ষার পরে, গোপনে যায় অন্য সম্পর্কে। পা ফেলে বিয়ের বাইরে। বিয়ে যতদিন থাকবে সমাজে, দ্বিচারিতা তত দিন থাকবে। সমাজে নারী পুরুষের মেলামেশার সুযোগ যত বাড়বে, তত মানুষ পা ফেলবে বিয়ের বাইরে। ‘The opportunity gives rise to the thought, the thought gives rise to the desire, and in the absence of religious scruples the desire gives rise to the act.’

এত থিওরি কেন? রক্তমাংসে নিজের কথা লেখো! বিয়ের সমস্যাগুলো রক্তমাংসের জীবন দিয়ে দ্যাখো। তবে তো মানুষ পড়বে। সত্যি কথা সত্য অভিজ্ঞতা থেকে লেখো। টেবিলটার কথা স্পষ্ট শুনতে পান লর্ড রাসেল। পাইপে আরও একবার তামাক ভরেন। আগুন লাগান। পাইপে টান দেন। তামাকের সুবাসে ভরে যায় তাঁর লেখার ঘর। মৌজের মধ্যে রাসেল লেখেন চমকে দেবার মতো স্বীকারোক্তি:
আমি কোনও সামাজিক বা ধর্মীয় বাধাকে দাঁড়াতে দিইনি আমার দ্বিচারিতার সামনে। আমি ধর্ম মানি না। একটা বই লিখেছি, ‘হোয়াই আই অ্যাম নট আ ক্রিশ্চান’। আমি কোনও ধর্মেই বিশ্বাস করি না। ঈশ্বরেও বিশ্বাস নেই। এবং বিয়ের বাইরে প্রেম আমার কাছে অতি স্বাভাবিক ঘটনা। কোনও পাপ বা অন্যায় নেই। সুতরাং, আমি মুক্ত কণ্ঠে জানাচ্ছি, বিয়ের পরে শুধু স্ত্রীর প্রতি, বা অন্য যে কোনও প্রেমের সম্পর্কে চিরদিন একনিষ্ঠ থাকতে আমি একান্ত অপারগ। যখন যে নারীর প্রেমে পড়ি, তখন কিন্তু পাগলের মতো ভালোবাসি। আমি একজন গণিতবিদ হয়েও ভেসে যেতে পারি আবেগের প্লাবনে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সকলের মতো আমারও মনে হয়, ‘sexual familiarity dulls the edge of passion.’ এই অবস্থায় অনেকেই নৈতিকতার দোহাই দিয়ে বিয়ে বা সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে যায়। আমি কিছুতেই এই তঞ্চকতার মধ্যে যেতে পারিনি। স্বীকার করছি, ‘it is, of course, possible to control this impulse in the interests of morality’, কিন্তু আমার মধ্যে প্রেম জাগলে নৈতিক বাধা তখন খড়কুটো। আমি বিশ্বাস করি, প্রেম বাঁচে শুধু স্বাধীনতার মধ্যে। প্রেম কর্তব্যে বন্দি হয়ে বাঁচে না। ‘Love can only flourish as long as it is free and spontaneous. And it tends to be killed by the thought that it is a duty.’

বিয়ের একটাই মারাত্মক আদেশ: তোমাকে আজীবন শুধুমাত্র একটি মানুষের সঙ্গে প্রেম চালিয়ে যেতে হবে। এদিক-সেদিক হেলতে পারবে না। এটা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। যেই আমাকে বলবে অমুক মানুষকে ভালোবাসা তোমার ডিউটি, অমনি তাকে আমি ঘেন্না করতে শুরু করব। ‘To say that it is your duty to love so- and- so is the surest way to cause you to hate him or her.’

ব্রিটিশ রোম্যান্টিক কবি শেলি প্রায় একই কথা বলেছেন বিয়ে ও প্রেম প্রসঙ্গে। তিনি জানাচ্ছেন, কিছুতেই তিনি সেই দলে ভিড়তে পারেননি, যাঁরা বলেন, বিয়ের পরে অন্য সবাইকে নির্বাসনে পাঠিয়ে শুধু একজনকে ক্রমাগত ভালোবেসে যেতে হবে।

শেলি কথাটা বলেছেন কবিতায়। আমি সেই কবিতাকে গদ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করলাম:
I was never attached to the great sect whose doctrine is that each one should select out of the crowd a mistress or a friend. And they should commend all the rest to cold oblivion, though wise and good.
অর্থাৎ, শেলি স্বীকার করছেন, আমি সেই দলের একজন হতে পারিনি, যাঁরা বলে এই ভিড় থেকে বেছে নাও মাত্র একজন সঙ্গিনী বা বন্ধুকে, এবং বাকিদের বর্জন করো শীতল বিস্মৃতিতে, যতই হোক না তারা প্রেমের যোগ্য।

শিল্পীর চোখে পিবি শেলি

রাসেলের লেখায় আবার ফিরে আসছি। সবথেকে জরুরি প্রশ্নটা হল– কেন তিনি বারবার প্রেমে পড়েছেন? কেন তিনি বহুচারী? কেন তিনি বিশ্বাস করেন না একচারিতায়? প্রেম তাঁকে কী দিয়েছে? কী দিয়েছে তাঁকে প্রেমের যন্ত্রণা? তাঁর অসাধারণ গদ্যে তারার মতো জ্বলজ্বল করছে সেই সত্য কথন:
I have sought love, first, because it brings ecstasy – ecstasy so great that I would often have sacrificed all the rest of life for a few hours of this joy. I have sought it, next, because it relieves loneliness – that terrible loneliness in which one shivering consciousness looks over the rim of the world into the cold unfathomable lifeless abyss. I have sought it, finally, because in the union of love I have seen, in a mystic miniature, the prefiguring vision of the heaven that saints and poets have imagined.

তিনটি কারণে রাসেল আজীবন প্রেমের সন্ধানী: তীব্র সুখ, ভয়াবহ একাকিত্ব থেকে মুক্তি, এবং প্রেমের মিলনে প্রত্যক্ষ হয়ে ওঠা স্বর্গের সেই নিগূঢ় প্রতিভাস, যা কল্পনা করেছেন সন্ত ও কবিরা।

বিয়ের সবথেকে বড় সমস্যা প্রেমকে বাঁচিয়ে রাখা। এই সমস্যা থেকে প্রেমকে মুক্ত করা যায় কী করে?

রাসেল প্রথমেই বলছেন, সহজ হাঙ্গামাহীন বিয়ে-বিচ্ছেদ। Easy divorce! তার পরেই রাসেলকে সম্ভবত ধাক্কা দিচ্ছে, তাঁর লেখার টেবিল। রাসেল মুহূর্তে লিখছেন, ‘I do not recognize in easy divorce a solution of the troubles of marriage.’ বিশেষ করে, যদি সন্তান থাকে। তবে, স্বামী স্ত্রীর যে কোনও একজনের প্রেম চলে গেলেই, বিয়ে ভাঙতে হবেই, প্রত্যহের যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে। এ কথা রাসেলের। তারপর এক অপূর্ব আধুনিকতা, সে ভাবনায় আমাদের ক’জন পৌঁছতে পারবে?

এই সেই মহাবাক্: I think that where a marriage is fruitful and both parties to it are reasonable and decent, the expectation ought to be that it will be lifelong, but not that it will exclude other sex- relations.

বিয়েটাকে মোটামুটি আজীবন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যে ভদ্র-শিক্ষিত-শিলিত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটা আধুনিক বোঝাপড়ার দরকার। সেটা হল, আমরা পরস্পরের, কিন্তু আমাদের বিয়েতে দু’জনের জন্যই খোলা থাকবে অন্য যৌন সম্পর্কের দরজা। তাহলে বিয়েতে বেঁচে থাকবে কিছু উত্তাপ, দূর হবে কিছু বুকচাপ রুদ্ধতা।

আরও একটা দরকারি কথা বলেছেন রাসেল: I should not hold it desirable that either a man or a woman should enter upon the serious business of a marriage without having a previous sexual experience.
অর্থাৎ যারা বিয়ে করতে যাচ্ছে, তারা যেন বিয়ের আগে সহবাস করে। কারণ, একান্তভাবে জানা প্রয়োজন, তাদের পারস্পরিক ‘sexual compatibility’, অর্থাৎ যৌন সঙ্গতি। এরপর ‘sexual compatibility’ বিয়ের আগে জানাটা কতটা জরুরি, এইভাবে বোঝাচ্ছেন রাসেল:
It seems absurd to ask people to enter upon a relation intended to be lifelong, without any previous knowledge as to their sexual compatibility. It is just as absurd as it would be if a man intending to buy a house were not allowed to view it until he had completed the purchase.

বাড়ি কেনার আগে যেমন বাড়িটা খুঁটিয়ে দেখতে হয়, তেমনি বিয়ের আগে পরস্পরের সঙ্গে শুতেও হবে! সঙ্গতি অসঙ্গতি-র ভূমিকা যেমন প্রত্যক্ষ জীবনে জরুরি, তেমনি বিছানাতেও। বিয়ে ব্যাপারটা সহজ নয় কিন্তু কোনও ভাবেই। বিয়েবন্দি হবেন না। খোলা যেন থাকে অন্য উত্তাপের পথ। তবেই বেঁচে থাকতে পারে বিয়ে। ১৯২৯-এ লিখেছিলেন রাসেল। কী আশ্চর্য, ১৯২৯-এ রবীন্দ্রনাথও লিখলেন, ‘পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি!’

…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব  ……………………

পর্ব ৫৫: জুলিয়া রবার্টসকে হিন্দুধর্মে দীক্ষা দিয়েছিল একটি বই, একটি সিনেমা

পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?

পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে

পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!

পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?

পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি

পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল 

পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর

পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?

পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান

পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী

পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন

পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্‌-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক

পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন

পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে

পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা

পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে

পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?

পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী

পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!

পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি

পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল

পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা

পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই

পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না

পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা

পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ

পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?

পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!

পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল

পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো

পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়

পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!

পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে

পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে

পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি

পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল

পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল

পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল

পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে

পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে

পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা

পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল

পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে

পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?

পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব

পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি

পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল

পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি

পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে

পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল

পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা

পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা

পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে

পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল