Robbar

নরম পায়রার জন্ম

Published by: Robbar Digital
  • Posted:November 3, 2025 8:45 pm
  • Updated:November 3, 2025 8:45 pm  

সোনিয়ার মনে হল ওই মধ্যবয়সি চুলে পাক ধরা শিল্পীর হাতের তাপ লেগে তার বুক যেন ছোট্ট নরম একটা পায়রা হয়ে আবার জন্মাল। এই হল সেই লেখা যা মহাকাব্যের মতো আলো জ্বালাতে জ্বালাতে চলে শেষহীন সরণিতে।আমার মনে একটি প্রশ্ন, শেষ লাইনটা কি নয় লেখার টেবিলের দান? পৃথিবীতে এই প্রথম লেখা হলো এমন একটি বাক্য। প্রকাশিত হল এক কিশোরীর নব জন্মের নিগূঢ় বার্তা এই সময়ের এক প্রথম সারির লেখিকার ভাষায়!

রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

৬৬.

হুইস্কির বোতল কখন বিন্দুশূন্য হয়েছে, খেয়াল করিনি। আবার ঢালতে গিয়ে দেখি, নেই। বাড়িতেও নেই আর একফোঁটা। অনেক রাত। এই মাত্র শেষ করলাম ‘দ্য লোনলিনেস অফ সোনিয়া অ্যান্ড সানি’। কত বছর পরে কিরণ দেশাই লিখলেন আরও একটি উপন্যাস ! তাঁর ‘দ্য ইনহেরিটেন্স অফ লস’ দু’বার পড়েছিলাম। একবার এই বই ‘বুকার প্রাইজ’ পাওয়ার আগে। আরও একবার এই বই লিখে কিরণের বুকার প্রাপ্তির পরে। যে উপন্যাস এখনই শেষ করলাম, সোনিয়া এবং সানির নিঃসঙ্গতা, সেটিও ২০২৬-এর বুকারের জন্য শর্ট লিস্টেড হয়েছে! যতটুকু খবর পেয়েছি, ১০ নভেম্বর ঘোষিত হবে– কে পাচ্ছেন আগামী বছরের বুকার। পাবেন কি কিরণ? দু’বার বুকার পেয়েছেন এমন লেখকের সংখ্যা বেশি নয়। কিন্তু এই বছর ভারতীয় লেখক বানু মুস্তাক তো পেয়েছেন বুকার পুরস্কার তাঁর ‘হার্ট ল্যাম্প’ বইটার জন্য। তাই আগামী বছরেও আরও একজন ভারতীয় মহিলাকে বুকার প্রাইজ ব্রিটেন দেবে? একটা প্রশ্ন মনে জাগতে পারে, কিরণ দেশাই কি আক্ষরিক অর্থে ভারতীয়?

এবার বলি শুনুন। ব্যাপারটা একটু ঘোরালো। কিরণ জন্মেছেন দিল্লিতে। বম্বেতে প্রাথমিক লেখাপড়া। তিনি বিখ্যাত ভারতীয় লেখক অনিতা দেশাইয়ের কন্যা। ১৫ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন। এরপর আমেরিকায়। এখন থাকেন নিউ ইয়র্কে। পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট আমেরিকার। তবে তিনি এখনও ভারতীয় নাগরিক। তিনি বিজ্ঞান চর্চার জন্য প্রথমে ভর্তি হন আমেরিকার ভারমোন্ট-এ বেনিংটন কলেজে। কিছুদিনের মধ্যে তিনি বুঝতে পারেন, তিনি লেখক হতে চান। সৃজনশীল লেখক হওয়ার জন্য ভার্জিনিয়ার হলিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ের কোর্স শেষ করে ভর্তি হন নিউ ইয়র্ক সিটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবং সেখানে পান ‘মেডেল ফর এক্সেলেন্স’। প্রথম উপন্যাস ‘দ্য ইনহেরিটেন্স অফ লস’ লিখে পান সাহিত্যে সর্বোচ্চ ব্রিটিশ প্রাইজ বুকার। আর যে বইটি অনেক রাত্রে শেষ করে আমি মনকেমনে এবং নিঃসঙ্গতায় তৃষ্ণার্ত, সেই বই ২০২৬-এর বুকারের জন্য শর্ট লিস্টেড। চারদিন লেগেছে আমার এই উপন্যাস পড়তে। এখনও পেপারব্যাক সংস্করণ বেরয়নি। যেহেতু কিরণের লেখা, আমি লোভ সামলাতে পারিনি। কিনেছি ৬৭০ পৃষ্ঠার লাইব্রেরি বা হার্ড বাউন্ড সংস্করণ। এই বই, আমার মতে অন্তত, নোবেল প্রাইজ পাওয়ার যোগ্য। যাঁরা কিরণের লেখা পড়েছেন, তাঁরা অন্তত জানেন, কিরণ কত ভালো লেখেন। কত গভীর মননের মেয়ে তিনি। তিনি কীভাবে নিঃসঙ্গতা আর অতীত খুঁড়ে জাগিয়ে তুলতে পারেন রোম্যান্টিক বেদনা। এই যুগেও। কী যত্নে, আদরে, অপূর্ব অমোঘতায় প্রয়োগ করতে পারেন ইংরেজি ভাষা! সূক্ষ্ম ভাবনার দক্ষ কাজে কী অবিশ্বাস্য ঈশ্বরী তিনি! কী অব্যর্থ তাঁর প্রকাশের রূপটান! কী মায়াবি তাঁর নস্টালজিয়ার বিতান! কী স্পর্শময় তাঁর প্রেমের কোমলতা! কী জীবন্ত তাঁর যৌবন আর কৈশোরের সব ইচ্ছে!কী সহজ তাঁর শরীর! কী সাবলীল লজ্জাহীন তাঁর ঢাকনা হীনতা! এই কারণেই তিনি তুমুল বান্ধবী হতে পেরে ছিলেন নোবেল জয়ী টার্কিশ লেখক ওরহান পামুকের। এই কারণেই পামুক তাঁর আশ্চর্য আত্মজীবনী ‘দ্য মেমরিজ অফ ডিস্টেন্ট মাউন্টেনস’-এ লিখছেন আমার ভালো লাগে কিরণের সঙ্গে মাতাল হতে। ভালো লাগে তাঁর সঙ্গে সারারাত সংলাপ সরণি। ভালো লাগে তাকে দূর থেকে দেখতে সে যখন মগ্ন তার লেখার টেবিলে। ভালো লাগে, পাগলের মতো ভালো লাগে, তার সঙ্গে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে। মনে হয়, আমার পাশে, শরীরের খুব কাছে, সাঁতার কাটছে, এক জলদেবী। এক ভাসমান ভিনাস। এক তরল ফেনিল জীবন্ত যৌবনের ঢেউ। শরীরের ওঠানামার, ডুবে যাওয়া ভেসে ওঠার কী অবিরাম সাবলীল সাঁতার!

ওরহান পামুক ও কিরণ দেশাই

প্রেমিকা কিরণের সঙ্গে পামুকের এই স্বর্গ কোথায়? গোয়াতে। লিখছেন পামুক সাঁতারের পরে, Afternoon with Kiran. It’s hot. We are lying on the bed side by side. Chatting aimlessly, gossiping about this and that. Every one of these moments reminds me of the summer afternoons of my childhood, of those days when I would spend hours in the sea. Swimming with Kiran, this is how I see her among the waves. Kiran’s head, her hair, beside me.

কেমন কিরণের লেখার টেবিল, যে টেবিলে বসে লেখা যায় একটি প্রেমের উপন্যাস যার কেন্দ্রে দু’টি মানুষের নিঃসীম নিঃসঙ্গতা? পামুক নিজের হাতে এঁকেছেন কিরণের লেখার টেবিল। দূরে অনেক দূরে জানলার ভিতর দিয়ে দেখা যাচ্ছে লেখায় নিমগ্ন সেই মেয়ের শরীর রেখা। আর বাইরে রোদালো বাতাসে শুকচ্ছে সেই সাঁতারু সুন্দরীর অন্তর্বাস। তাও এঁকেছেন পামুক। আচ্ছা, এমন প্রেমও মরে যায়? পামুক একটি বাক্যে সেরেছেন ভালোবাসার মৃত্যু: দক্ষিণ আমেরিকায় হঠাৎ শেষ হল সম্পর্ক। কিরণ ছেড়ে গেল। আর কোনও দিন দেখা হয়নি। কোনও যোগাযোগ করিনি। আমি পাগলের মতো জীবন কাটিয়েছি। যতদিন না অ্যাশ এসেছে আমার জীবনে। পামুকের আত্মজীবনীতে পাতার পর পাতায় কিরণের কথা। কিন্তু এই বইয়ের উৎসর্গ পত্রে দু’টি শব্দ: To Ash। কিরণ কি একা? উত্তর কিরণের মুখ থেকেই শুনুন: I have never married. Isolation of writing has become a deep part of my personality and life.

কোথায় আমি পেলাম কিরণের লেখার আইসোলেশন পামুকের আঁকায়? আপনারা যাঁরা দেখেছেন বা পড়েছেন ওরহান পামুক– এর আত্মস্মৃতি তাঁরা জানেন যে, পামুকের পুরো পাণ্ডুলিপিটাই ইংরেজি অনুবাদ-সহ প্রকাশ করেছে পেঙ্গুইন এক অসামান্য কান্তিময় গ্রন্থাকারে যার পাতায় পাতায় পামুকের আঁকা রঙিন স্মৃতিপট। একটি ছবিতে উড়ছে এক নিঃসঙ্গ মেয়ের অন্তর্বাস। হয়তো তার শরীর আর অন্তরের উড়ানো ফুটে আছে এক ছবিতে বাসনা ও বেদনার ডানায়!
‘দ্য লোনলিনেস অফ সোনিয়া অ্যান্ড সানি’র মতো প্রেমের উপন্যাস যার কেন্দ্রে একাকিত্বের নিরন্তর বুনন, অথচ সেই রোম্যান্টিক মধুরিমা আমাদের টেনে রাখে সারাক্ষণ, আমি খুব বেশি পড়িনি। নিঃসঙ্গতার এই স্বাদ ও অনিবার্য বাস্তব উঠে এসেছে কিরণের জীবন থেকে।

The New Life (Vintage International) : Pamuk, Orhan, Gun, Guneli: Amazon.in: Books

সোনিয়ার একাকিত্বের অনেকটাই কিরণের কিশোরী অভিজ্ঞতা থেকে উৎসারিত। সোনিয়া কিরণের মতোই আমেরিকার ভারমোন্ট লেখা পড়া করছে। শীত পড়তেই স্থানীয় ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি চলে গেল। দু’টি ছেলে আর সোনিয়া একা কলেজ হোস্টেলে। সোনিয়া কিছু কাজ করার দায়িত্ব পেয়েছে লাইব্রেরিতে। কিন্তু যত শীত বাড়ছে, তুষারপাত আর বৃষ্টি। প্রাণের চিহ্ন মুছে যাচ্ছে পৃথিবী থেকে। কলেজে থেকে যাওয়া দু’টি ছেলের মধ্যে একজন গে, অর্থাৎ হোমোসেক্সুয়াল। কোনও মেয়ে থাকে আকৃষ্ট করে না। সে এড়িয়ে চলে সোনিয়াকে। বাড়ি থেকে ফোন আসে শুধু শুধু রবিবারে। সোনিয়া শুধু কাঁদে। তার নির্মম নিঃসঙ্গতার বেদনা কেউ বোঝে না। এই সেই নিঃসঙ্গতার নিগূঢ় বর্ণনা:
Sonia unlocked the door to the modern white cube of the library where she spent the day mostly alone; the only other person there over the winter term was Marie, who came in during the mornings and supervised Sonia….When it was dark , Sonia returned to the Gerstein Chen House and boiled ramen noodles atop an electric coil in a kitchen perpetually lit by fluorescence. After ramen , Sonia settled to writing stories for her senior thesis in literature and creative writing. Missing her family made her strongly conjure India. She began a childhood cable about a boy who climbed into a tree and lived like a monkey until he became one, a process complicated by his being mistaken for a holy hermit.

লেখার টেবিল কিরণ দেশাই

কিন্তু একটা সময় আসে যখন তুষার ঝড় শেষ হয়। বৃষ্টি কমে। তবু চারধার তুষারে ধবল। সোনিয়ার মনে একটা চুপিচুপি বন্ধুত্ব তৈরি হয় শীতের সঙ্গে। শীত তার আত্মীয়, মনে হয় সোনিয়ার। সে নিজে যেন বুড়ি ঠাকুমা। জানলার ধারে বসে সে বাইরে পড়ে থাকা সাদা পৃথিবীটাকে দেখে। সে তুষারের মতো উড়ে যায়। তার একা ভাবটা যেন কিছুটা কাটে।
এমন শীত দেখেছি দীর্ঘ সময় কানাডার ওয়াটারলুতে। এবং লন্ডনে। জেনেছি মাসের পর মাস শীতের নিঃসঙ্গতা কতদূর ভয়ংকর হতে পারে। আবার সেই তুষার-আচ্ছন্ন ঝোড়ো বাতাস, প্রাণহীন শৈত্য, ধবল পরিবহের মধ্যে আকস্মিক জ্বলে উঠেছে বন্ধুনি সঙ্গ । উষ্ণতা এনেছে শরীরী সংরাগ । দীপিত হয়েছে স্কচ। মনে হয়েছে, এই যে নতুন ভাবে পেলাম পুরনো বেঁচে থাকাকে, তা তো আমার জীবনে এই অজানা-অচেনা শীতের দান। এমন শীতেই নতুন করে পেলাম নারী এবং মদের স্বাদ। সোহাগের ওম। শীতকে নতুন করে বুঝলাম। জীবনকে পেলাম নতুন করে। প্রকৃতির মধ্যে সন্ধান পেলাম নতুন রোমান্সের। সেই শীত বাকি জীবনে আর হয়তো ফিরে আসবে না। সেই প্রাণের চিহ্নহীন ঝোড়ো বাতাসের ধবল শীত। আমার মন কেমন করে সেই শীতের জন্য। শুনতে পাই অপ্রত্যাশিত কলিং বেল। দেখতে পাই ওভার কোট পরে সেই বন্ধুনির হঠাৎ এসে পড়া। আর একই গ্লাস থেকে স্কচ খাওয়া। যেন ডবল স্কচ।

সোনিয়ার সঙ্গেও একদিন হঠাৎ বদলে গেল শীতের সম্পর্ক। কী সামান্য লিখেছেন কিরণ:
Then her mood might switch. She might switch by the window feeling as if she were lonely grandma and watch the flakes gathering speed again, flying by until she felt she were flying herself, drawn into the snow- salted wilderness. Eventually loneliness and snow became the same thing in her mind, lighter than air, made of nothing.

তারপর সোনিয়ার জীবনেও এল হঠাৎ প্রেম, আদর, জাপানি রেস্তোরাঁয় ভয়ংকর শীতের মধ্যে এক মধ্যবয়সি শিল্পীর সঙ্গে শরীরী ভালোলাগা, সামান্য মাতাল অবস্থায়, সাকে পান করতে করতে। তুষারপাতের মতোই নরম আদর। সোনিয়া বাধা দেয়না। তার বেশ লাগে মাঝবয়সি, চুলে পাকধরা শিল্পী তার দুই উরু পেরিয়ে আঙুল নিয়ে যায় আরও ভেতরে। কী মধুর গদ্য! পড়ুন :

They finished the bottle of sake, and Ilan reached under the table and placed one hand on each of Sonia’s knees. When she clamped her legs together, he smiled, and reached up and placed a hand into her shirt. Looking at their reflections in the window amidst the bamboo, feeling a hand about her breast, Sonia felt her life divide into two – her normal life and the reflection – and she felt her breast transform under his palm into a dove.

সোনিয়ার মনে হল ওই মধ্যবয়সি চুলে পাক ধরা শিল্পীর হাতের তাপ লেগে তার বুক যেন ছোট্ট নরম একটা পায়রা হয়ে আবার জন্মাল। এই হল সেই লেখা যা মহাকাব্যের মতো আলো জ্বালাতে জ্বালাতে চলে শেষহীন সরণিতে।

আমার মনে একটি প্রশ্ন, শেষ লাইনটা কি নয় লেখার টেবিলের দান? পৃথিবীতে এই প্রথম লেখা হলো এমন একটি বাক্য। প্রকাশিত হলো এক কিশোরীর নব জন্মের নিগূঢ় বার্তা এই সময়ের এক প্রথম সারির লেখিকার ভাষায়! টেবিলের গায়ে কি ফুটে ওঠেনি এই লাইন উসকে দিয়ে লেখিকারই ছাই-চাপা মনে পড়া ?

…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব  ……………………

পর্ব ৬৫: যে বইয়ের যে কোনও পাতাই প্রথম পাতা  

পর্ব ৬৪: খেলা শেষ করার জন্য শেষ শব্দ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন জেফ্রি আর্চার

পর্ব ৬৩: সহজ ভাষার ম্যাজিক ও অবিকল্প মুরাকামি

পর্ব ৬২: জীবন তিক্ত এবং আশা করা ভুল, এই দর্শনই বিশ্বাস করেন ক্রাজনাহরকাই

পর্ব ৬১: লন্ডনে ফিরে এলেন অস্কার ওয়াইল্ড!

পর্ব ৬০: পাপ ও পুণ্যের যৌথ মাস্টারপিস

পর্ব ৫৯: মাতৃভক্তির দেশে, মাকে ছেড়ে যাওয়ার আত্মকথন

পর্ব ৫৮: চিঠিহীন এই যুগের শ্রেষ্ঠ প্রণয়লিপি

পর্ব ৫৭: লেখার টেবিল কি জানে, কবিতা কার দান– শয়তান না ঈশ্বরের?

পর্ব ৫৬: প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে, বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখার টেবিল জানে সেই নির্মম সত্য

পর্ব ৫৫: জুলিয়া রবার্টসকে হিন্দুধর্মে দীক্ষা দিয়েছিল একটি বই, একটি সিনেমা

পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?

পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে

পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!

পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?

পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি

পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল 

পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর

পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?

পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান

পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী

পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন

পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্‌-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক

পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন

পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে

পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা

পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে

পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?

পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী

পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!

পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি

পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল

পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা

পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই

পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না

পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা

পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ

পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?

পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!

পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল

পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো

পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়

পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!

পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে

পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে

পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি

পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল

পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল

পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল

পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে

পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে

পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা

পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল

পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে

পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?

পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব

পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি

পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল

পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি

পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে

পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল

পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা

পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা

পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে

পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল