
উপন্যাসের নাম ‘ফ্লেশ’। এই শব্দ ওতপ্রোত জড়িয়ে আছে শরীরের সঙ্গে। ঘনঘোর শরীর এসেছে সারা উপন্যাস জুড়ে। ছবির নায়ক ইস্টভানের বয়েস যখন ১৫, তার সঙ্গে ৪২ বছরের বিবাহিত মহিলার সেক্স! তীব্র শরীরের খিদে ওই মহিলার। সে দেহের তেষ্টা মেটাতে কাজে লাগাচ্ছে ইস্টভানের তপ্ত কৈশোর। আর নিজের মাংস কিশোর ইস্টভানকে দিয়ে বলছে, আমার শরীর নিংড়ে নাও। এইভাবে ইস্টভানের নেশা ধরছে। সে ওই ৪২ বছরের নারীর বিছানায় পর্যাপ্ত শরীরের ডাইনি-ডাকে পাগল।
৬৮.
আমার মনের বুননে একটা মেঘলামি মিশে আছে। পুরোপুরি রোদালো হয় না কখনও। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধের দিকে মনে আসে ইলশেগুঁড়ি বিষণ্ণতা। বিপন্নতাও। একটু ঝিলমিল করে মন নির্ভার তারল্যে। ‘ইভনিং লিকুইডিটি’। আপনাদেরও কি এমন হয়?
আমার মনের এই সান্ধ্য-তারল্যের ঝিলমিল ইলশেগুঁড়ি বিষণ্ণতার মধ্যে, ম্লান আলোর নির্দিষ্ট কোণে, তরুণ এসে দাঁড়াল। বলল, ‘কলকাতার কোথাও পাবেন না। কলকাতায় আসা প্রথম কপিটা আপনাকে দিয়ে গেলাম।’ আমি কিন্তু জেনে গিয়েছি, আমার আগে আরও তিনজনকে ওই একই কথা বলে সেদিনই ডেভিড সোলয় (Szalay) সবে বুকার পুরস্কার পাওয়া ‘ফ্লেশ’ উপন্যাসটা তরুণ ইতিমধ্যে দিয়ে এসেছে। তার একটাই কারণ, আমার সান্ধ্য-তারল্যের ঝিলমিলে বিষাদে পৌঁছতে ওই তিনজনের কারও-র গার্হস্থ্য, কারও-র অফিসের ঠিকানা পেরিয়ে আসতে হয়েছে ওকে। এতদূর মুগ্ধ হয়েছি কিরণ দেশাইয়ের ‘দ্য লোনলিনেস অফ সোনিয়া অ্যান্ড সানি’ পড়ে, ভেবেছিলাম, কিরণই পাবেন বুকার, আরও একবার।

ব্রিটিশ হাঙ্গেরিয়ান লেখক বছর ৪০-এর ডেভিডের লেখার সঙ্গে আমি ইতিমধ্যে পরিচিত। ‘ফ্লেশ’ ওঁর ছ’ নম্বর উপন্যাস। আগেও একবার বুকার নমিনেশন পেয়েছেন। তবে এবার ৫০ হাজার পাউন্ডের বুকার ওঁর হাতে গেল। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বেস্টসেলার হওয়ার গ্যারান্টি। ডেভিড যতটা ব্রিটিশ, ততটাই হাঙ্গেরিয়ান। ডেভিডের বাবা হাঙ্গেরির মানুষ। ‘ফ্লেশ’ উপন্যাস প্রসঙ্গে ডেভিড নিজে বলেছেন:
“I knew I wanted to write a book with a Hungarian end and an English end, since I was living very much between the two countries at the time and felt that that needed to be reflected in my choice of subject. Even though my father is Hungarian, I never felt entirely at home in Hungary. I suppose, I’m always a bit of an outsider there, and living away from the UK and London for so many years I also had a similar feeling about London. So I really wanted to write a book that stretched between Hungary and London and involved a character who was not quite at home in either place.”
কিন্তু ‘ফ্লেশ’ এত সহজ উপন্যাস নয়। এবং এই প্রথম একজন লেখক স্বীকার করলেন, উপন্যাসটা নিজেই নিজেকে লিখেছে। অর্থাৎ, স্বীকার করলেন তাঁর লেখার টেবিলের কাছে এই উপন্যাসের ঋণ। জানাচ্ছেন ডেভিড, ‘Flesh sort of evolved into existence.’ অর্থাৎ, ‘আমার ফ্লেশ উপন্যাসটা ধীরে ধীরে নিজের মতো ডালপালা ছাড়িয়ে হয়ে উঠল, বিস্তারিত হল, আমার নিয়ন্ত্রণ ও শাসনের বাইরে গড়ে উঠল। ডেভিডের ভাষায়, ‘surprisingly propulsive novel capturing despairing fatalism at the heart of the modern life.’ আমার অন্তত মনে হয়েছে, প্রাণ এবং প্রণোদনা উৎসারিত হচ্ছে লেখার টেবিলের বুক থেকে।

মনে রাখতে হবে, উপন্যাসের নাম ‘ফ্লেশ’। এই শব্দ ওতপ্রোত জড়িয়ে আছে শরীরের সঙ্গে। ঘনঘোর শরীর এসেছে সারা উপন্যাস জুড়ে। ছবির নায়ক ইস্টভানের বয়েস যখন ১৫, তার সঙ্গে ৪২ বছরের বিবাহিত মহিলার সেক্স! তীব্র শরীরের খিদে ওই মহিলার। সে দেহের তেষ্টা মেটাতে কাজে লাগাচ্ছে ইস্টভানের তপ্ত কৈশোর। আর নিজের মাংস কিশোর ইস্টভানকে দিয়ে বলছে, আমার শরীর নিংড়ে নাও। এইভাবে ইস্টভানের নেশা ধরছে। সে ওই ৪২ বছরের নারীর বিছানায় পর্যাপ্ত শরীরের ডাইনি-ডাকে পাগল।
একদিন হঠাৎ শরীর সরিয়ে নিচ্ছে মহিলা। মহিলার স্বামীর সঙ্গে মারামারি লাগছে ইস্টভানের। ওই ঝাপটাঝাপটিতে মারা যাচ্ছে মহিলার স্বামী। ইস্টভান জেলে যাচ্ছে। জেল মুক্তির পরে সে ইরাকের যুদ্ধে। তবে এই উপন্যাস পড়ার আগে একটু ভেবে নেবেন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে। প্রশ্ন হল, এত সেক্স আপনাদের রাবীন্দ্রিক অমলতা সহ্য করতে পারবে তো? আমতা আমতা করে লাভ নেই। এই বছরের বুকার পাওয়া ‘ফ্লেশ’ কীভাবে শুরু হচ্ছে পড়ুন। বেশ একটা লম্বা উদ্ধৃতি। অসামান্য গদ্য ও স্বাধীন শরীরী ভাবনার স্বাদ নিন চেটেপুটে:
“When he is fifteen, he and his mother move to a new town and he starts at a new school. It’s not an easy age to do that– the social order of the school is already well established and he has some difficulty making friends. After a while he does make one friend, another solitary individual. They sometimes hang out together after school in the new Western-style shopping mall that has just opened in the town.
‘Have you ever done it?’ his friend asks him.
‘No’ Istvan says.”
ইস্টভান ঘাবড়ে যাচ্ছে না। কোনও রকম লজ্জা বা ন্যাকামি নেই। ‘ইট’ মানে এখানে যে সেক্স, বুঝতে এতটুকু অসুবিধে হচ্ছে না ইস্টভানের। সে বলছে, ‘না, করিনি।’ ইস্টভানের বন্ধু বলছে, ‘আমিও করিনি।’
‘Me neither’, his friend says, making the admission seem easy somehow. He has a simple and natural way of talking about sex.
পরক্ষণেই বন্ধুটি ইস্টভানকে বলছে, ক্লাসের কোন কোন মেয়েকে নিয়ে কেমন কেমন যৌন স্বপ্ন সে দ্যাখে। তারপর বলে, ‘আমাকে তো দিনে চার পাঁচবার হস্তমৈথুন করতে হয়।’ ইস্টভান বলে, “আমি একবার, বড়জোর দু’বার।” বন্ধু বলে, ‘তোমার তো দেখছি যৌন তাড়না দুর্বল।’
“He tells Istvan which girls at school he fantasies about doing to them. He says that he often masturbates four or five times a day, which makes Istvan feel inadequate, since he usually does it once or twice. When he admits that, his friend says, ‘You must have a weak sex drive’.”

এবার যাচ্ছি ‘ফ্লেশ’ উপন্যাসের আরও এক নিহিত স্তরে। পাতাল ছায়ায় এই স্তরের শরীর শায়িত।
এখানে ইস্টভানের গল্প অন্যরকম। এই মানুষটি তার শরীর এবং শরীরবাসনা থেকে বিচ্ছিন্ন। সে বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্যে যেতে যেতে ক্রমে ধনী হচ্ছে। হচ্ছে ক্রমাগত সামাজিকভাবে আরোহী। সে কখনও বাউন্সার। কখনও বড়লোকের ড্রাইভার। ইস্টভানকে দেখতে কেমন, তার তেমন কোনও বর্ণনা লেখক দেন না। ইচ্ছে করেই অনেক কিছু বলেন না। আমাদের কল্পনা করে নিতে হয়। সেই জন্য তাঁর বইয়ে অনেক সাদা ‘নিরক্ষর’ জায়গা ছেড়ে রেখেছেন লেখক। সেই সাদা পাতা আমাদের কল্পনার বিচরণ ভূমি।
এই উপন্যাসের সংলাপও মিনিমাল। ‘ওকে’, ‘ইয়া’– এই দু’টি শব্দ যতটুকু বলে, ততটুকু। কিন্তু ইস্টভানের শরীর কথা বলে। সেই শরীরের নিঃশব্দ ডাক নারী ঠিক শুনতে পায়। সে নারীকে ডাকে না। নারী তার শরীর নিজের নগ্নতায় না ডেকে পারে না। নারী উজাড় করে শরীর দেয় তাকে, লোভ সামলাতে পারে না বলে। মনে রাখতে হবে, ‘Istvan is a man who is remarkably detached from his body and desires. And he is regretfully followed by his past.’ অতীত থেকে মুক্তি নেই তার, যদিও সে দুরন্ত গতিতে সমাজে আরোহী। লন্ডনের বিপুল ধনীর ড্রাইভার হয়ে ঢোকে। তার শরীরে আকর্ষণে পড়ে ধনী মানুষের তরুণী বউ। শুরু হয় ইস্টভানের শরীরটাকে ‘সেক্স মেশিন’ করে ধনী স্ত্রীর বিছানার খেলা, বাসনাপূরণ। তার স্বামী ধীরে ধীরে সব বুঝতে পারে। এবং মৃত্যুর আগে তার সমস্ত সম্পত্তি স্ত্রীকে দিয়ে যায়। বলে, ‘নাও, এনজয় করো।’ ইস্টভান হয়ে যায় লন্ডনের প্রথম সারির ধনীদের একজন।

‘Flesh is a revelatory novel.’ কী প্রকাশ করে ফ্লেশ? মাংস? মাংসের খেলা। ‘This novel is about masculinity.’ এই উপন্যাসের বিষয়, সার কথা, পৌরুষ! এবং এই বিষয় আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? নিয়ে যাচ্ছে সেই বিশুদ্ধ অশ্লীলতায়, যা অনুচ্চারণীয়! ‘This novel takes us to what is fundamentally unsayable, that sits at the center of every life, hovering beyond the reach of the language.’ অবশ্য ইস্টভানের সৎ-ছেলে তাকে এই ভাবে গালি দিচ্ছে: ‘Yours is a primitive form of masculinity’, তোমার পৌরুষ আদিম কালের, একালে অচল। পাল্টা গালি দিয়ে ইস্টভান তার সৎ-ছেলেকে বলছে, ‘আর তোমার ওই ফুটন্ত যৌনতা, যাকে তুমি সব সময় নিজের মধ্যে পাকড়ে গোপনে রেখেছ’, কিন্তু গোপন কি থাকছে ওটা? ‘You are left absurdly exposed!’
‘ফ্লেশ’ আগাগোড়া মাংসের বই। আপনি কি নিরামিষ? তাহলে এত আঁশটে গন্ধ সহ্য করতে পারবেন কি? আরও একটা কথা, ‘ফ্লেশ ইজ আ ডার্ক নভেল’। অন্ধকার পাপের বই? পাপের স্বাদ কেমন লাগে আপনার? মাঝে মধ্যে আড়ালে-আবডালে বেশ লাগে, তাই তো?
তাহলে…
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৬৭: ভ্রমণ-সাহিত্যকে লাজলো নিয়ে গেছেন নতুন পারমিতায়
পর্ব ৬৬: নরম পায়রার জন্ম
পর্ব ৬৫: যে বইয়ের যে কোনও পাতাই প্রথম পাতা
পর্ব ৬৪: খেলা শেষ করার জন্য শেষ শব্দ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন জেফ্রি আর্চার
পর্ব ৬৩: সহজ ভাষার ম্যাজিক ও অবিকল্প মুরাকামি
পর্ব ৬২: জীবন তিক্ত এবং আশা করা ভুল, এই দর্শনই বিশ্বাস করেন ক্রাজনাহরকাই
পর্ব ৬১: লন্ডনে ফিরে এলেন অস্কার ওয়াইল্ড!
পর্ব ৬০: পাপ ও পুণ্যের যৌথ মাস্টারপিস
পর্ব ৫৯: মাতৃভক্তির দেশে, মাকে ছেড়ে যাওয়ার আত্মকথন
পর্ব ৫৮: চিঠিহীন এই যুগের শ্রেষ্ঠ প্রণয়লিপি
পর্ব ৫৭: লেখার টেবিল কি জানে, কবিতা কার দান– শয়তান না ঈশ্বরের?
পর্ব ৫৬: প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে, বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখার টেবিল জানে সেই নির্মম সত্য
পর্ব ৫৫: জুলিয়া রবার্টসকে হিন্দুধর্মে দীক্ষা দিয়েছিল একটি বই, একটি সিনেমা
পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?
পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে
পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!
পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?
পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি
পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল
পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর
পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?
পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান
পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী
পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন
পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক
পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন
পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে
পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা
পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে
পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?
পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী
পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!
পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি
পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা
পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই
পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved