
মার্গারেট অ্যাটউড, যিনি প্রেম নিয়ে লিখেছেন এমন লেখা, তিনি একটি পুরুষের সঙ্গে থাকলেন আজীবন বিয়ে না করে, ২০১৯-এ সেই ভালোবাসার মানুষটির মৃত্যু পর্যন্ত। আর মৃত্যুর আগে সেই পুরুষ তাঁদের কন্যাকে বলে গেলেন, ‘তোমার মায়ের জীবনে আমি না থাকলেও সে ঠিক এমনই ভাবুক এবং লেখক হত। কিন্তু এমন মজার মানুষ হত না। মার্গারেটের সঙ্গে আমার জীবন উপভোগ করে গেলাম প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।’
৭০.
এবার ‘কাঠখোদাই’-এ মার্গারেট অ্যাটউড। তুমুল ব্রিটিশ সাহিত্যিক। মূলত ঔপন্যাসিক। এই বছর ৮৫-তে পড়েছেন। সাহিত্যে ও সংলাপে সমান দীপিত। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভক্ত-প্রার্থীদের কাছে, কোনও দিন আত্মজীবনী লিখবেন না। লাথিয়েছেন সেই সংকল্প!
এই প্রতিশ্রুতি-ধ্বংস আমাদের দিয়েছে রত্নসুড়ঙ্গ। মোটেও সংকল্প ভুলিনি। হইনি ব্রতভ্রষ্ট। বলেছেন মার্গারেট। তাঁর বক্তব্যের মর্ম: আমি আত্মজীবনী মোটেও লিখিনি। লিখেছি তো এক ধরনের স্মৃতিকথা। ইংরেজদের ধমকে বলেছেন, আত্মজীবনী আর মেমোয়ার-এর আকাশ-পাতাল কবে বুঝবে? নিজের ভাষাটা অন্তত শেখো। আত্মজীবনী হল, নিজের জীবনের যেসব কথা ভুলতে চেয়েও ভোলা যায় না। আর স্মৃতিকথা হল জীবনের সেই সব তুচ্ছ কথা, যা লেখার মধ্যে খটকা নেই।
মার্গারেট তাঁর স্মৃতিকথার নাম দিয়েছেন: Book of Lives : A Memoir of Sorts.

কারও-র জীবন তো নয় একটা জীবন। প্রত্যেকেই আমরা অনেকগুলো জীবনযাপন করি। আর সবক’টা জীবনেই আছে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা। সবটা জীবন নিয়ে একটা সম্পূর্ণ আত্মজীবনী কেউ কি লিখতে পেরেছে? রবীন্দ্রনাথ তিন-তিনটে আত্মজীবনী লিখেছেন। একটাতেও নিজের সম্বন্ধে সহজ কথা সহজ করে বলতে পারেননি। ভি. এস. নয়পল এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, দু’জনেই আত্মজীবনীকে ডেকেছেন ‘অর্ধেক জীবন’ বলে।
আমি আমার আত্মজীবনীর প্রথম খণ্ডের নাম রেখেছি, ‘রঙের তাস’। নিজেকে ঠাট্টা করেই এই নাম। আমার জীবনে সত্যি বলতে কোনও ট্রাম্প কার্ড নেই। কোনও ‘পিট’ তুলতে পারিনি। টোটাল নস্যাৎ। সর্ব ক্ষেত্রে। এবার আমার আরও একটা জীবনী লিখছি। আমার জীবনের সকল অন্যায়, পাপ, নিষ্ঠুরতা, ভ্রষ্টতা, নষ্টামি নিয়ে। তবে জানবেন, অবিশ্যি জানবেন, ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যে থাকবেই। কেন-না আমি কে, আমি নিজেই কি ছাই জানি? যে কোনও আত্মজীবনীতে, এক্সপেরিমেন্ট উইথ ট্রুথ, সত্যের সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সোনালি মিথ্যে। প্রতিটি জীবনের সারকথা ভাঙা থার্মোমিটারের পারা। কিছুতেই পাকড়ানো যায় না।

এবার পাকড়াই চলুন, মার্গারেট অ্যাটউড-এর ‘বুক অফ লাইভস: আ মেমোয়ার অফ সর্টস’। প্রথমেই বলি, দুর্ধর্ষ প্রচ্ছদ! ৮৫ বছরের মার্গারেটের হাতে টুকটুকে গ্লাভস। ঠোঁটে রগরগে লিপস্টিক। ডান হাতের টুকটুকে তর্জনী রাঙা ঠোঁটে এমন ভাবে ধরা, যেন বলছেন, চুপ! অর্থাৎ, এই বইয়ে বাঙ্ময় চুপকথাই বেশি। যা বলব, তার থেকে বলব না অনেক বেশি। পাঠক, বুঝে নিও, প্রচ্ছদের ছবিতে ঘোষিত এই ইশারা।

প্রথমেই জানতে পারি, মার্গারেটের অন্য এক জীবনের কথা। এখন জানলাম, তিনি বড় হয়েছেন কানাডায়। সেই দেশের সংস্কৃতিতে। তিনি কানাডিয়ান টোল-পড়া ইংরেজ। এই সত্যিটা তিনি উগরেছেন। এবং স্বীকার করেছেন এই প্যাথেটিক সত্য, ১৯৬০-এর দশক পর্যন্ত কানাডায় সাহিত্য-সংস্কৃতির কোনও বালাই ছিল না। ওরা বাণিজ্য বুঝেছে। উপন্যাস বোঝেনি। তাই তাঁর উপন্যাসে আসতে দেরি হয়ে গেল। এই যে নিজেকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করা, পায়ের নিচে নিজের সঠিক ক্ষেত্র ও পরিসরটি পাওয়া, এটা কিন্তু একটা বড় লড়াই। জীবনের অনেকটা সময় তাতেই খরচ হয়ে গিয়েছে। সেটা না হলে তাঁর উপন্যাসের সংখ্যা কিছু বেশি হত তো নিশ্চয়ই।
মার্গারেটের জগৎজোড়া নাম। সেই তুলনায় খুব কম লিখেছেন তিনি। উপন্যাসের সংখ্যা ৯-১০। তার মধ্যে চার-পাঁচটা পড়েছি। পড়তে বড্ড ভালো লাগে। পাতায় পাতায় ঝুঁটি ধরে নেড়ে নেওয়ার মতো উক্তি। বিশেষ করে তাঁর “Handmaid’s Tale” উপন্যাসে। তাঁর ‘বুক অফ লাইভস’ তো রয়েছে এই মুহূর্তে আমার সমস্তটা দখল করে।
একটা ব্যাপার বলে রাখি। তাঁর লেখায় ত্রাস, দুঃস্বপ্ন আর গ্রাস করা মনখারাপ, বিষণ্ণতা, অবসাদ খুব বেশি। আত্মস্মৃতিতে তো এসেছে-ই। হুবহু আমার যে-রকম হয়, ঠিক সেই রকম। তখন আলো ভালো লাগে না। সব পর্দায় ঢেকে দিতে হয়। তখন ভালো লাগে শুঁড়িখানার বিষণ্ণ কোণ। মদের আবছামি। তখন শুধু ভালো লাগে তরুণ নতুন কোনও বই নিয়ে এলে। আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে, নতুন লেখার ভাবনায় ডুবে গিয়ে। আমি মুহূর্তে লিখতে শুরু করি, শুঁড়িখানার পেপার ন্যাপকিনে। তখন আমার মনের অবস্থা ঠিক এই রকম। কী করে জানলেন আপনি, মার্গারেট অ্যাটউড? পাঠকের কাছে আমার প্রশ্ন, আপনাদের কি এই রকম অবসাদ, ডিপ্রেশন হয়?
If you knew everything that was going to happen next,– if you knew in advance the consequences of your actions, you’d be doomed. You’d be ruined as God. You’d be a stone. You’d never eat or drink or laugh or get out of bed in the morning. You’d never love again, ever again. You’d never dare to.

পরের মুহূর্তে যা যা ঘটবে, সব যদি আগেই জানতে পারো, যদি জানতে পারো কী হবে তোমার কর্মফল, জানবে তুমি ধ্বংস হলে। ভগবানের মতো ধ্বংস হলে তুমি। তুমি এবার পাথর হয়ে যাবে। তুমি আর খাবে না, পান করবে না, হাসবে না, সকালে বিছানা থেকে বেরবে না। এবং তুমি কখনও আবার ভালোবাসবে না, কোনও দিন না। তোমার সাহস হবে না আবার প্রেমে পড়ার।
মার্গারেট কী করে জানলেন, আমার কেমন মনখারাপ হয়! কী করে? না জানলে লিখলেন কী করে? আপনাদের সকলের কী ঠিক এমন মনখারাপ হয়? ঠিক এই রকম মনে হয় আপনাদেরও:
I don’t want to see anyone. I lie in the bedroom with the curtain down and nothingness washing over me like a sluggish wave. What ever is happening to me is my own fault. I have done something wrong, something so huge that’s drowning me. I am inadequate and stupid, without worth. I might as well be dead.
কারও সঙ্গে দেখা করতে চাই না। পর্দা ফেলে ঘরের মধ্যে শুয়ে থাকি। আর আমার ওপর দিয়ে বয়ে যায় শূন্যতা, ঘোলাটে অলস ঢেউয়ের মতো। যা কিছু ঘটছে আমার জীবনে, সব আমার দোষে, আমার কর্মফল। আমি অন্যায় করেছি। এত বড় অপরাধ যার সবটুকু দেখার বোঝার ক্ষমতাও আমার নেই। সেই কর্মফল আমাকে ডুবিয়ে দিচ্ছে। সামলানোর ক্ষমতা আমার নেই। আমার অস্তিত্বের কোনও মূল্যও নেই। এর থেকে মরে যাওয়া ভালো।
ঠিক এই সময় ফোন আসে এক চেনা সম্পাদকের।
–একটা লেখা দিতে পারবেন?
–বিষয়?
–শীতের রোদ্দুর।
ফোন বাজে আবার। এবার আর এক চেনা কণ্ঠ,
–একটা লেখা চাই।
–বিষয়?
–কেন আমি এত লেখা লিখেছি রবীন্দ্রনাথের প্রেমজীবন, সেক্সুয়ালিটি নিয়ে?

লেখা, একমাত্র লেখা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। না লিখলে আমি ভগবানের মতো পাথর হয়ে যাব, মনে হয় আমার। আমি লেখার টেবিলের দিকে রাতঘরে আলো জ্বেলে এগিয়ে যাই। মনে হয় লেখার টেবিলটা এক বুক ভাবনা নিয়ে অপেক্ষায়।
আমার মনে পড়ে প্রেম প্রসঙ্গে মার্গারেট অ্যাটউডের কী সহজ অথচ গভীর উচ্চারণ:
Love blurs your vision, but after it recedes, you can see more clearly than ever.
It’s like tide going, revealing whatever’s been thrown away and sunk: broken bottles, old gloves, rusting pop cans…
প্রেম আবছা করে দেয় দৃষ্টি। কিন্তু প্রেম ভাটার জলের মতো সরে গেলে ছুড়ে ফেলা, ডুবে যাওয়া বাস্তব আবার ভেসে ওঠে সামনে। মায়ার আচ্ছন্নতা কাটে। চোখে পড়ে কাদার মধ্যে ভাঙা বোতল, পুরনো দস্তানা, মরচে পড়া পপ ক্যান।

প্রেমের চলে যাওয়া আর ফেলে যাওয়া বাস্তব নিয়ে এমন লাইন লেখা কি যায় লেখার টেবিলের অবদান ছাড়া? অবাক হয়ে ভাবি, মার্গারেট অ্যাটউড, যিনি প্রেম নিয়ে লিখেছেন এমন লেখা, তিনি একটি পুরুষের সঙ্গে থাকলেন আজীবন বিয়ে না করে, ২০১৯-এ সেই ভালোবাসার মানুষটির মৃত্যু পর্যন্ত। আর মৃত্যুর আগে সেই পুরুষ তাঁদের কন্যাকে বলে গেলেন, ‘তোমার মায়ের জীবনে আমি না থাকলেও সে ঠিক এমনই ভাবুক এবং লেখক হত। কিন্তু এমন মজার মানুষ হত না। মার্গারেটের সঙ্গে আমার জীবন উপভোগ করে গেলাম প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।’
আর মার্গারেট? তাঁর ‘ডিয়ারলি’ নামের কবিতায় জীবনসঙ্গী বা পার্টনার গিবসনকে বললেন মেদুর মন কেমনে: Dearly beloved, we have gathered here in this forgotten photo album I came across recently. Fading now!
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৬৯: রুশদির ‘দ্য ইলেভেনথ আওয়ার’ শেষ প্রহরের, অনিবার্য অন্তিমের দ্যোতক
পর্ব ৬৮: মাংসও টেবিলের কাছে ঋণী
পর্ব ৬৭: ভ্রমণ-সাহিত্যকে লাজলো নিয়ে গেছেন নতুন পারমিতায়
পর্ব ৬৬: নরম পায়রার জন্ম
পর্ব ৬৫: যে বইয়ের যে কোনও পাতাই প্রথম পাতা
পর্ব ৬৪: খেলা শেষ করার জন্য শেষ শব্দ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন জেফ্রি আর্চার
পর্ব ৬৩: সহজ ভাষার ম্যাজিক ও অবিকল্প মুরাকামি
পর্ব ৬২: জীবন তিক্ত এবং আশা করা ভুল, এই দর্শনই বিশ্বাস করেন ক্রাজনাহরকাই
পর্ব ৬১: লন্ডনে ফিরে এলেন অস্কার ওয়াইল্ড!
পর্ব ৬০: পাপ ও পুণ্যের যৌথ মাস্টারপিস
পর্ব ৫৯: মাতৃভক্তির দেশে, মাকে ছেড়ে যাওয়ার আত্মকথন
পর্ব ৫৮: চিঠিহীন এই যুগের শ্রেষ্ঠ প্রণয়লিপি
পর্ব ৫৭: লেখার টেবিল কি জানে, কবিতা কার দান– শয়তান না ঈশ্বরের?
পর্ব ৫৬: প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে, বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখার টেবিল জানে সেই নির্মম সত্য
পর্ব ৫৫: জুলিয়া রবার্টসকে হিন্দুধর্মে দীক্ষা দিয়েছিল একটি বই, একটি সিনেমা
পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?
পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে
পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!
পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?
পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি
পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল
পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর
পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?
পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান
পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী
পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন
পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক
পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন
পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে
পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা
পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে
পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?
পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী
পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!
পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি
পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা
পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই
পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved