
যতবার পড়েছি আমি ফেলিসকে লেখা কাফকার প্রেমপত্র, ততবার আমি প্রেমকে ভয় পেয়েছি। আবার একথাও মনে হয়েছে, আমার চারপাশে এমন মানুষ অসংখ্য, যারা কাফকার প্রেমের চিঠি পড়েনি। তারা প্রেমেও পড়েনি কখনও, এমনই মনে হয়েছে আমার। তারা ভাবছে, প্রেম কাকে বলে তারা জেনেছে। অসম্ভব! ফেলিসকে লেখা কাফকার চিঠি না পড়লে, হাজারবার বিছানায় গিয়ে, উন্মত্ত আদরে জ্বলে-গলে-দহনে-সহনেও, আমরা কিছুতেই বুঝিনে প্রেমের ছায়াপথ, প্রেমের অলীক আলো, প্রেমের অকল্পনীয় দূরত্ব, প্রেমের সবটুকু গিলেফেলা ব্ল্যাকহোল।
৭৩.
১৯৬০ সালের অক্টোবর মাস। সময়টা দুর্গাপুজোর আগে কিংবা পরে। আমার জীবনে বিশ নম্বর শরৎকাল। তখন আমি ছাত্রজীবনের প্রান্তে। এবং প্রেম-জীবনের প্রারম্ভে। সেই সময়ে ৭৩ বছরের এক সংশয় ও প্রশ্নবিদ্ধ নারী শেষবার বসলেন তাঁর লেখার টেবিলে।
তিনি জানেন না, এই অক্টোবর তাঁর জীবনের শেষ অক্টোবর। ১৯ তারিখে তাঁর প্রেম ও প্রেমিক-বিক্ষত জীবন শেষ হবে। লেখার টেবিলটার গায়ে তিনি ভালোবাসা ও অভিমানের হাত রাখেন। তিনি লেখক নন। এই টেবিলে শুধু প্রেমপত্র ছাড়া আর কিছু কি লিখেছেন তিনি? সবই কি ভালোবাসার চিঠি? নেই কি বিরক্তি ও বিদ্বেষের চিঠি? পাঠাননি কি নির্মম নিস্পৃহতা কোনও কোনও পত্রে? হানেননি কি সচেতন আঘাত? যত তাঁর শরীর হচ্ছে দুর্বল, ঝাপসা হচ্ছে দৃষ্টি, ততই অন্য এক তীব্রতর অপরাধ বোধ আঁকড়ে ধরছে তাঁকে! তিনি কি গভীর অন্যায়, সত্যি বলতে আরও এক গভীর অন্যায়, যাকে বলা যায় বিশ্বাসঘাতকতা, করেননি প্রেমিকের প্রতি, তাঁর লেখা সমস্ত প্রেমপত্র পাঁচ বছর আগে বিক্রি করে দিয়ে? নষ্ট করেননি কি পত্রগুলির ব্যক্তিগত পবিত্রতা? সামান্য অর্থের জন্য? পৃথিবী, স্থূল অমার্জিত অশ্লীল এই পৃথিবী, জেনে যাবে তাদের তীব্র প্রেম, এই নিরন্তর দহন, শরীরী তাড়না! প্রেমপ্রসূত এই তিক্ততা ও ঘৃণা সবই এমন এক মানুষের যিনি হতে চেয়েছিলেন পৃথিবীর নিভৃততম চেতনা! নিবিড়তম দুঃখ! যিনি বন্ধুকে দিয়ে গিয়েছিলেন একটি মাত্র দায়িত্ব। তাঁর সব লেখা পুড়িয়ে ফেলার। সেই বন্ধুও কি করেনি বিশ্বাসঘাতকতা সব লেখা প্রকাশ করে? একটিও না পুড়িয়ে ফেলে?
ভাগ্যিস, এই বিশ্বাসঘাতকতা! তাই তো গত ৩৬ বছর ধরে তাঁর প্রেমিক, ১৮৮৩-তে মাত্র ৪১ বছর বয়সে চলে যাওয়া তাঁর প্রেমিক, আজ জগতের বৃহত্তম লেখকদের একজন! না না, ভুল! সমস্ত লেখকের আলোকবর্ষ দূরের সে এক রহস্যময় ছায়াপথ, যে দূরত্ব পার হওয়ার ক্ষমতা পৃথিবীর নাগালের বাইরে থেকে যাবে চিরকাল। সেই কারণেই তো তার কত বছর আগে লেখা, সেই সব কখনও উদ্বেল আনন্দের, কখনও রক্তাক্ত অন্ধকারের প্রেমপত্র বিক্রি হল প্রকাশের জন্য! এমন অবিশ্বাস্য মূল্যে! সবাই জেনে গেল, এই অশালীন, অমার্জিত, নিরন্তর বৈষয়িক পৃথিবীর আপামর জনতা জেনে গেল, তাঁর প্রেমিকের নাম কাফকা, ফ্রান্ৎস কাফকা!

তাঁর তো কোনও পরিচিতি ছিল না এতদিন। তিনি ছিলেন কাফকার জীবনে এক নামগোত্রহীন নিঃসঙ্গ ‘F’! সমস্ত পৃথিবী এখন কিন্তু জেনে যাবে সেই নারীর নাম: ফেলিস, ফেলিস বয়ের। আলোকবর্ষ দূরের কাফকা-ছায়াপথে এই রহস্যময়ী নারী কি নন এক ভয়ংকর কৃষ্ণগহ্বর?
আমরা কি কেউ শুধু একটিবার প্রেমে পড়ি? বারবার প্রেমে পড়ি। সব ভালোবাসা প্রকাশ করি না। আবার অন্য প্রেমের জন্য প্রেম ছিঁড়ে বেরিয়ে আসি। রক্ত পড়ে। রক্তাক্ত করি। ছিন্নভিন্ন হয়ে কিছুদিনের জন্য হয়তো নোঙর ফেলে ভাবি এই শেষ প্রেম। কিন্তু নদী যেমন ঘাট থেকে ঘাটে, আমরা তেমন ঘাট থেকে ঘাটে। প্রতি ঘাট নতুন নদীকে ছোঁয়। প্রতি প্রেম নতুন আমাদের পায়। কিন্তু যতবার পড়েছি আমি ফেলিসকে লেখা কাফকার প্রেমপত্র, ততবার আমি প্রেমকে ভয় পেয়েছি। আবার একথাও মনে হয়েছে, আমার চারপাশে এমন মানুষ অসংখ্য, যারা কাফকার প্রেমের চিঠি পড়েনি। তারা প্রেমেও পড়েনি কখনও, এমনই মনে হয়েছে আমার। তারা ভাবছে, প্রেম কাকে বলে তারা জেনেছে। অসম্ভব! ফেলিসকে লেখা কাফকার চিঠি না পড়লে, হাজারবার বিছানায় গিয়ে, উন্মত্ত আদরে জ্বলে-গলে-দহনে-সহনেও, আমরা কিছুতেই বুঝিনে প্রেমের ছায়াপথ, প্রেমের অলীক আলো, প্রেমের অকল্পনীয় দূরত্ব, প্রেমের সবটুকু গিলেফেলা ব্ল্যাকহোল। প্রেমের এই সব শুষে নেওয়া রূপ কি কখনও ফুটে উঠেছে, আমাদের কোনও প্রেমপত্রে? অথবা পেয়েছেন কি আপনারা কেউ এমন ভালোবাসার চিঠি কখনও, কারও কাছে?
ফেলিস আর কাফকা একদিন একসঙ্গে ছিলেন কিছুক্ষণ। হঠাৎ ফেলিসের দ্রুত প্রস্থান। ফেলিস চলে যাওয়ার জন্যে জুতো পরছেন। যেমন আমরা পরেছি কতবার ভালোবাসার মানুষকে দ্রুত কিংবা হঠাৎ ছেড়ে যাওয়ার আগে। পেয়েছি এমন চিঠি কখনও, এই জীবনে? বাংলার কোন্ কবি প্রেমের কাপে তুফান তোলেননি? কিন্তু লিখেছেন কি প্রেমের এমন ‘কৃষ্ণগহ্বর’? লিখছেন ফেলিসকে কাফকা তাঁর ১৬ নম্বর পত্রে: ‘I could not get over the speed with which you finally scurried out of the room and returned in your shoes.’

ফেলিস, আমার চোখের সামনে কী তাড়াতাড়ি তুমি জুতো পরতে লাগলে। জুতো পরার সেই দ্রুতির সঙ্গে আমার চোখের সামনে বদলাতে লাগল তোমার রূপ। তুমি হয়ে উঠতে লাগলে অন্য এক নারী। যাকে আমি এই প্রথম দেখলাম। তার সবটুকু কী করে পাব? আমার যে চাই তাকেও, তার সবটা। ‘The speed of your transformation impressed me.’ কেন জানো? আমি যে অত তাড়াতাড়ি পাল্টাতে পারি না! তুমি মুহূর্তে বদলে গেলে আমার চোখের সামনে! আমিও চাই অমন দ্রুত বদলাতে। পারি না। ভেতরটা ছটফট করছে। সেই তাণ্ডব তোমাকে গিলে ফেলার জন্যে। শুষে নেওয়ার জন্যে। তোমার বদলে যাওয়ার এই নতুন আলো, তারও পালানোর পথ নেই। তাকেও গিলে ফেলব। তোমার এই বদলে যাওয়ার প্রতিটি মোমেন্ট, ‘স্টেপ বাই স্টেপ’ আমার ভিতরে নিয়ে নিয়েছি। ‘নো এস্কেপ’! কেন বলতো? কারণ, ‘My kind of transformation is the opposite, almost always singularly slow process which I can construct and verify step by step with the thoroughness and precision of a mason building a house.’
কাফকার এই চিঠিটা পড়লে আমার মতো কারও কারও কাফকার ‘মেটামরফসিস’ গল্পটা মনে পড়তে পারে। এই গল্প সম্বন্ধে আর একটি কথাও নয়। সেই বেজন্মা কর্ম আমি করতে চাই না। যারা বোঝার তার দুরন্ত ধাক্কা খেয়েছেন ঠিক জায়গাতে। আর যাঁরা বোঝেননি, তাঁরা ঘুমন্ত থাকুন নিশ্চিন্তে যতক্ষণ না কাফকার গল্পের নায়ক গ্রেগরের মতো তাঁরাও সারা রাত ধরে বিশাল পতঙ্গে রূপান্তরিত হয়ে সকালে বাড়ির দেওয়ালে ঘুরে বেড়ায় সবাইকে আঁতকে দিয়ে, যতক্ষণ না বাপ এসে বলে ওটাকে মেরে ফেল, বাঁচিয়ে রেখে কোনও লাভ নেই, ওটার চাকরি থাকবে না, শুধু গিলবে। এই পৃথিবী বিখ্যাত গল্প সম্বন্ধে আর একটিও বাক্যও নয়। চলে যাই ফেলিসকে লেখা কাফকার প্রেমপত্রে: ‘There you were standing before me suddenly a woman in shoes, yet you had just scurried out of the room in slippers.’
আপনি জুতোয়। আপনি স্লিপারে। আপনি মহিলা কিংবা পুরুষ, আপনার বদলে যাওয়া সেক্স অ্যাপিল নিয়ে কোনও প্রেমপত্র পেয়েছেন কখনও? যদি পেয়ে থাকেন, প্রেমে পড়ুন সেই লেখকের। এবং বিহ্বল দোটানায় জ্বলে পুড়ে খাক হোন। আপনার সমস্ত জীবন এই ভাবেই হয়ে উঠবে এই প্যাশনের দোহিত রূপান্তর। যেমন ফেলিসের হয়েছিল।
ফেলিসের মনে পড়ে, ১৯২৪-এর ৩ জুন। কাফকার মৃত্যুদিন। মনে পড়ে, দ্বিতীয়বার কাফকা ভেঙে দিলেন তাঁদের এনগেজমেন্ট, বিয়ের প্রতিশ্রুতি। বলেছিলেন, যা করলাম সব তোমার মঙ্গলের জন্য। আমার লাঙ্গস থেকে এত হেমারেজ হচ্ছে আজকাল, এই অবস্থায় বিয়ে করা যায় না। মুখ দিয়ে ওই পরিমাণ ব্লিডিংয়ের পরে শরীরে কোনও শক্তি থাকে না।

কাফকার মৃত্যুর পরে নিজের বিয়ের কথা মনে পড়ে ফেলিসের। অসুস্থ কাফকার চিঠিতে ক্রমশ ঘন হচ্ছে বিতৃষ্ণা ও বিদ্বেষ। এবার দরজা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেন ফেলিস। বিয়ে করলেন ১৯১৯ সালে বার্লিনের এক ব্যবসায়ীকে। ফেলিসের বিয়ের পরে, পাঁচ বছর যক্ষ্মার সঙ্গে লড়াই করে ১৯২৪-এর ৩ জুন জুড়ালেন কাফকা। ১২ বছর পরে, নাৎসিদের হাত থেকে বাঁচার জন্যে নিউ ইয়র্ক পালালেন ফেলিস। এবং সেখানেই পৌঁছেছেন জীবনের শেষ অক্টোবরে। বেশ কিছুদিন ভুগছেন। স্ট্রোক হওয়ার পর চলাফেরা নড়বড় করছে। তবু খুলে দিলেন টেবিলের কাছেই রাতের জানলা। অক্টোবরের নিউ ইয়র্ক, ঘরে ঢুকে এল মৃত্যুর মতো হিম হওয়া। ফেলিস কোনও রকমে ফিরে এলেন লেখার টেবিলে। মনে হল তাঁর, মায়াবী টেবিলের ওপর ফুটে উঠছে আলোর অক্ষরে কাফকার প্রান্তিক পত্রের কয়েকটি লাইন: ‘My boat is fragile. I will never be well again.’
ফেলিস চোখের জল ধরে রাখতে পারেন না। তাঁর কান্নার ফোঁটা পড়ে টেবিলের ওপর, কাফকার লেখা আলোর অক্ষরে। ফেলিস জানেন না, তিনি পৌঁছবেন তাঁর সব যন্ত্রণার শেষে আর মাত্র কয়েকটা দিন পরে, ১৯৬০-এর ১৫ অক্টোবর।
তাঁর একমাত্র সান্ত্বনা, তিনি কাফকার চিঠিগুলি বিক্রি করেছেন এই শর্তে, সেগুলো প্রকাশিত হবে তাঁর মৃত্যুর পরে!
…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব ……………………
পর্ব ৭২: থিম কান্ট্রি আর্জেন্টিনা, কলকাতা বইমেলায় শ্রেষ্ঠাংশে তবে রবীন্দ্র-ওকাম্পো?
পর্ব ৭১: একশো বছরের নৈরাজ্য ও একটি লেখার টেবিল
পর্ব ৭০: আত্মজীবনী নয়, মার্গারেটের ব্রতভ্রষ্ট স্মৃতিকথা
পর্ব ৬৯: রুশদির ‘দ্য ইলেভেনথ আওয়ার’ শেষ প্রহরের, অনিবার্য অন্তিমের দ্যোতক
পর্ব ৬৮: মাংসও টেবিলের কাছে ঋণী
পর্ব ৬৭: ভ্রমণ-সাহিত্যকে লাজলো নিয়ে গেছেন নতুন পারমিতায়
পর্ব ৬৬: নরম পায়রার জন্ম
পর্ব ৬৫: যে বইয়ের যে কোনও পাতাই প্রথম পাতা
পর্ব ৬৪: খেলা শেষ করার জন্য শেষ শব্দ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন জেফ্রি আর্চার
পর্ব ৬৩: সহজ ভাষার ম্যাজিক ও অবিকল্প মুরাকামি
পর্ব ৬২: জীবন তিক্ত এবং আশা করা ভুল, এই দর্শনই বিশ্বাস করেন ক্রাজনাহরকাই
পর্ব ৬১: লন্ডনে ফিরে এলেন অস্কার ওয়াইল্ড!
পর্ব ৬০: পাপ ও পুণ্যের যৌথ মাস্টারপিস
পর্ব ৫৯: মাতৃভক্তির দেশে, মাকে ছেড়ে যাওয়ার আত্মকথন
পর্ব ৫৮: চিঠিহীন এই যুগের শ্রেষ্ঠ প্রণয়লিপি
পর্ব ৫৭: লেখার টেবিল কি জানে, কবিতা কার দান– শয়তান না ঈশ্বরের?
পর্ব ৫৬: প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে, বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখার টেবিল জানে সেই নির্মম সত্য
পর্ব ৫৫: জুলিয়া রবার্টসকে হিন্দুধর্মে দীক্ষা দিয়েছিল একটি বই, একটি সিনেমা
পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?
পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে
পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!
পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?
পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি
পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল
পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর
পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?
পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান
পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী
পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন
পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক
পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন
পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে
পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা
পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে
পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?
পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী
পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!
পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি
পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা
পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই
পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না
পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা
পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ
পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?
পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!
পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল
পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো
পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়
পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!
পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে
পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে
পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি
পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল
পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল
পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল
পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে
পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে
পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা
পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল
পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে
পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?
পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব
পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি
পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল
পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি
পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে
পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল
পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা
পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা
A Unit of: Sangbad Pratidin Digital Private Limited. All rights reserved