Robbar

একশো বছরের নৈরাজ্য ও একটি লেখার টেবিল

Published by: Robbar Digital
  • Posted:December 9, 2025 3:02 pm
  • Updated:December 9, 2025 3:07 pm  

আমি ইয়েন ম্যাকুইনের লেখার টেবিলটার কথা না ভেবে পারি না। কিছুতেই পারি না। যে উপন্যাস শুরু হচ্ছে আজ থেকে ১০০ বছর পরে। তারপর সময়ের পিপহোল দিয়ে সন্ধান করছে আমাদের এই সময়ে হারিয়ে যাওয়া একটি কবিতাকে। ১০০ বছর পরের সেই গবেষক হারানো কবিতার সূত্র ধরে খুঁজে পাচ্ছে এক মর্মান্তিক অপরাধ! এবং কবি ও কবিতার জীবন সন্ধান হয়ে উঠছে ‘কাব্যিক’ থ্রিলার!

রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

৭১.

আমি ফেসবুকে নেই। আরও অনেক কিছুতে নেই। আমি সমাজমাধ্যম থেকে, সম্ভবত সমাজ সংসার থেকেও নির্বাসিত যাপনে শান্তায়িত!

আমি লিখি, না লিখে বাঁচব না, তাই। আমি তো লিখি না, লেখে আমার মন। দূরছাই, আমার রক্তমাংসের ভেতরটা লেখে। ওই ভেতরটা লিখেছে ‘কাঠখোদাই’। এবার ব্যাপারটা হল গিয়ে, আপনারা ক’জন আমার ‘কাঠখোদাই’ পড়ছেন, কেমন লাগছে ‘কাঠখোদাই’, এই লেখার কাছ থেকে কী আপনাদের প্রত্যাশা এবং কোথায় আমি সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছি না, এইসব প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে মেঘলা। তাই হোক। আমার মন, আমার লেখক মন, আরাম পায় এই ঝাপসামির তাকিয়ায় ঠেস দিয়ে। কিন্তু কিছু কিছু টেলিফোন আমার মনের এই অলস আরামে গুঁতো পেরে প্রশ্ন করেছে:
আরে মশাই, আপনি যে বইটা রিভিউ করছেন, সেটা ভালো না খারাপ? তার সামারিটা কী? সেই বই প্রসঙ্গে আপনার মূল্যায়ন কী? এটা কি কালজয়ী সাহিত্য? এটা পড়ে আমি কী শিখব? এই বই থেকে কী পাব?

এই গুঁতো খেয়েই চলেছি। তবুও আপনারা ‘কাঠখোদাই’ পড়ছেন। আমার বাপের ভাগ্যি!

এবার ঝেড়ে কাশি। দয়া করে ‘কাঠখোদাই’-এ বইপত্তর নিয়ে যা লিখছি, সেগুলোকে বুক রিভিউ ভাববেন না। একাডেমিক গ্রন্থ সমালোচনার নাম-গন্ধ নেই এই সব লেখায়। এই লেখাগুলোর বুননে যে মৃদু ভাবনা ও প্রশ্ন মিশে আছে সেটা এই: লেখকদের কি নিজের লেখা পড়তে পড়তে কখনও আচমকা মনে হয় না, এই লেখা, এই বাক্য, এই শব্দবন্ধ কি আমি লিখেছি? না কি, অন্য কোনও প্রভাব, প্রতিভা, মায়া ভর করেছিল আমার ওপরে? বুদ্ধদেব বসু তাঁর ‘মায়াবী টেবিল’ কবিতায় এমন ভাবনার সুতোটা ধরিয়ে দিয়েছিলেন। যে টেবিলের বুকে আমরা আমাদের ভাবনা সাজিয়ে তুলি শব্দে, বাক্যে, ছন্দে– সেই টেবিলের কিছু দান কি থেকে যায় না আমাদের লেখায়?

মোদ্দা কথা, প্রত্যেক লেখকের সঙ্গে তার লেখার টেবিলের একটা মৃদু সম্পর্ক ও সংলাপ আছেই আছে। আমার এই লেখা সেই সম্পর্ক ও সংলাপের গায়ে স্বীকৃতির শিশিরবিন্দু। বাস্তববোধের তেজি রোদ্দুর তার ধাতে সইবে না।

ইয়েন ম্যাকুইন, যৌবনে, লেখার টেবিলে

পৃথিবীখ্যাত ব্রিটিশ লেখক ইয়েন ম্যাকুইন (Ian McEwan)-এর সদ্য প্রকাশিত উপন্যাস ‘হোয়াট উই ক্যান নো’-রও ধাতে সইবে না বাস্তবের ঝাঁঝালো রোদ। এই উপন্যাসের কেন্দ্রে এক কবি। এবং তার একটি কবিতা। কবির নাম– ফ্রান্সিস ব্লান্ডি। কবিতার নাম, ‘আ করোনা ফর ভিভিয়েন’। ভিভিয়েন কবির স্ত্রী। স্ত্রী-কে তার এই কবিতা কবি উৎসর্গ করে ২০১৪ সালে এক জন্মদিনের পার্টিতে। ২১১৯ সালে, অর্থাৎ ১০০ বছর পরে, যখন অর্ধেক ইংল্যান্ড সাগরে ডুবে গিয়েছে, সেই সময়ে, সাউথ ডাউনস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক স্কলার গবেষণায় মগ্ন এই হারিয়ে যাওয়া কবিতাটা নিয়ে। কারণ ১০০ বছর ধরে এই কবিতার খ্যাতি মুখে মুখে রটেছে। কবিতাটা ২১১৯ সালে ‘আ লেজেন্ডারি লস্ট পোয়েম’! যিনি রিসার্চ করছেন সেই স্কলারের নাম– টম মেটকাফ।

আমি ইয়েন ম্যাকুইনের লেখার মুগ্ধ পাঠক দু’টি বিশেষ কারণে। তাঁর ভাবনা। তাঁর ভাষা। এবং তাঁর লেখা পড়তে পড়তে আমার বারবার মনে হয়েছে, তিনি কী করে পা ফেলেন তাঁর প্রতিভার নাগালের বাইরে! কেমন করে লেখেন এমন লেখা! কে জোগায় এই বিস্তার, এই গভীরতা, এই মায়াবী আলো?

সদ্য প্রকাশিত ‘What We Can Know’ উপন্যাসের কথা ধরা যাক। এই উপন্যাসের মায়ালোক তো ১০০ বছর পরের পৃথিবী। কিন্তু ম্যাকুইন তাঁর উপন্যাস শুরু করছেন আমাদের সময়ে, ২০১৪ সালের এক পার্টিতে। যে পার্টিতে কবি ফ্রান্সিস স্ত্রী ভিভিয়েনের উদ্দেশে কবিতাটা পড়ছে। কিন্তু তার আগে কবি ঘ্রাণ নিচ্ছে তার কবিতার!

That morning I lifted parchment from the desk and brought it close to my nose. No smell of blood or flesh. Only the faint memory of a boarding- school inkwell sunk into a lifted desk of gouged obscenities. I felt the friendly weight of the skin in two hands. I don’t remember when I last felt so innocently, serenely, unambiguously pleased with myself.

উপন্যাসের শেষে এসে বোঝা যায়, এই লাইনগুলোর মধ্যে ধরা আছে চিরায়ত ম্যাজিক। প্রতিভার বাইরে পা না-ফেলে এই ম্যাজিকের নাগাল পাওয়া যায় না। আমার মনে হয়, এই লাইনগুলো লেখার আগে ম্যাকুইনের লেখার টেবিল মৃদু পরামর্শে তাঁকে বলে, কবি ফ্রান্সিসের সঙ্গে তার স্ত্রী ভিভিয়েনের আসল সম্পর্কের ছাঁচটার ছোট্ট ইঙ্গিত তুমি পাঠককে টুক করে দিয়ে যাও এইভাবে:
Francis would no longer drive, so she took him everywhere he wanted to go. She cooked, she cleared away, she washed the dishes while Blundy worked, read, talked or dozed. She topped up the drinks for him and his visitors. In her mid – sixties she was still mowing the lawn, in winter she brought in the logs. It was medieval serfdom and after a while you got used to it. Francis never stirred from his chair, never did a thing. He was, after all, a genius.

এবার ২০১৪, আমাদের সম সময়ের এই করুন বাস্তব থেকে ১০০ বছর পরে অর্থাৎ, ২১১৯ সালে এই মর্মান্তিক সত্যে পা রাখলেন ম্যাকুইন, ফ্রান্সিসের হারিয়ে যাওয়া কবিতার সূত্র ধরে: When Tom Metcalfe uncovers a clue that leads to the legendary lost poem, revelations of entangled love and a brutal crime emerge, destroying his assumptions about a story he thought he knew intimately.

এইখানে আমি ইয়েন ম্যাকুইনের লেখার টেবিলটার কথা না ভেবে পারি না। কিছুতেই পারি না। যে উপন্যাস শুরু হচ্ছে আজ থেকে ১০০ বছর পরে। তারপর সময়ের পিপহোল দিয়ে সন্ধান করছে আমাদের এই সময়ে হারিয়ে যাওয়া একটি কবিতাকে। ১০০ বছর পরের সেই গবেষক হারানো কবিতার সূত্র ধরে খুঁজে পাচ্ছে এক মর্মান্তিক অপরাধ! এবং কবি ও কবিতার জীবন সন্ধান হয়ে উঠছে ‘কাব্যিক’ থ্রিলার!

লেখার টেবিলের কি কোনও মন নেই? শুধুই শরীর? অসম্ভব। লেখার টেবিলের মন ছাড়া এমন থ্রিলার লেখা যায় না! এই থ্রিলার ১০০ বছর পিছিয়ে আমাদের এই সময়টাকে কীভাবে দেখছে দেখুন:
The post-2015 period: when social media were beginning to be drawn into the currency of private lives, when waves of fantastical or malevolent or silly rumor began to shape the nature not only of politics but of human understanding. Fascinating! It was as if credulous medieval masses had burst through into modernity, rushing into wrong theatre and onto the wrong stage set. In the stampede, grisly government secrets were spilled, childhood despoiled, honorable reputations trampled down and loud-mouth fools elevated.

লেখক যখন মগ্ন পাঠক: ইয়েন ম্যাকুইন

২০১৫ পর থেকে সমাজ ও রাজনীতির এই ছবি ১০০ বছর পরের গবেষকের চোখে: মধ্যযুগের কিছু মানুষ হইহুল্লোড় করে সভ্যতার মধ্যে ঢুকে পড়ল। তারা ধেই ধেই করতে লাগল ভুল রঙ্গমঞ্চে। সেই ভয়ানক ভিড় ও দাপাদাপির মধ্যে সরকারের ন্যক্কারজনক গোপন কথা উপচে পড়ল। শিশুদের শৈশব ও পবিত্রতা লুঠ হল। সম্মানিত ব্যক্তিদের সুনাম পদদলিত হল। কিছু গলা ফাটানো ভাঁড়দের বসানো হল সমাজ ও রাজনীতির মাথায়।

আর্নেস্ট হেমিংওয়ে

এই লেখা পড়ার পরে আমি মনে মনে যাই ইয়েন ম্যাকুইনের সেই নির্জন লেখার ঘরে। তিনি চুপ করে বসে আছেন লেখার টেবিলটার সামনে। শীতের সন্ধেবেলা। ফায়ারপ্লেসের লালচে হলকায়। এমন ফায়ার প্লেসের মধ্যেই তো হেমিংওয়ে ছুড়তেন কমলার খোসা। আর আগুনের মতো ফোঁটা ফোঁটা শব্দ ঝরে পড়ত তাঁর লেখার টেবিলে। তারপরে হেমিংওয়ে ভাবতেন, ‘কী করে কখন লিখলাম এমন শব্দ, শব্দবন্ধ, বাক্য? আমি? আমি লিখেছি! সত্যি?’

…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব  ……………………

পর্ব ৭০: আত্মজীবনী নয়, মার্গারেটের ব্রতভ্রষ্ট স্মৃতিকথা

পর্ব ৬৯: রুশদির ‘দ্য ইলেভেনথ আওয়ার’ শেষ প্রহরের, অনিবার্য অন্তিমের দ্যোতক

পর্ব ৬৮: মাংসও টেবিলের কাছে ঋণী

পর্ব ৬৭: ভ্রমণ-সাহিত্যকে লাজলো নিয়ে গেছেন নতুন পারমিতায়

পর্ব ৬৬: নরম পায়রার জন্ম

পর্ব ৬৫: যে বইয়ের যে কোনও পাতাই প্রথম পাতা  

পর্ব ৬৪: খেলা শেষ করার জন্য শেষ শব্দ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন জেফ্রি আর্চার

পর্ব ৬৩: সহজ ভাষার ম্যাজিক ও অবিকল্প মুরাকামি

পর্ব ৬২: জীবন তিক্ত এবং আশা করা ভুল, এই দর্শনই বিশ্বাস করেন ক্রাজনাহরকাই

পর্ব ৬১: লন্ডনে ফিরে এলেন অস্কার ওয়াইল্ড!

পর্ব ৬০: পাপ ও পুণ্যের যৌথ মাস্টারপিস

পর্ব ৫৯: মাতৃভক্তির দেশে, মাকে ছেড়ে যাওয়ার আত্মকথন

পর্ব ৫৮: চিঠিহীন এই যুগের শ্রেষ্ঠ প্রণয়লিপি

পর্ব ৫৭: লেখার টেবিল কি জানে, কবিতা কার দান– শয়তান না ঈশ্বরের?

পর্ব ৫৬: প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে, বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখার টেবিল জানে সেই নির্মম সত্য

পর্ব ৫৫: জুলিয়া রবার্টসকে হিন্দুধর্মে দীক্ষা দিয়েছিল একটি বই, একটি সিনেমা

পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?

পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে

পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!

পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?

পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি

পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল 

পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর

পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?

পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান

পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী

পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন

পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্‌-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক

পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন

পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে

পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা

পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে

পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?

পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী

পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!

পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি

পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল

পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা

পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই

পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না

পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা

পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ

পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?

পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!

পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল

পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো

পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়

পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!

পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে

পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে

পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি

পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল

পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল

পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল

পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে

পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে

পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা

পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল

পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে

পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?

পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব

পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি

পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল

পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি

পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে

পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল

পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা

পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা

পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে

পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল