Robbar

মাতৃভক্তির দেশে, মাকে ছেড়ে যাওয়ার আত্মকথন

Published by: Robbar Digital
  • Posted:September 15, 2025 8:20 pm
  • Updated:September 15, 2025 8:35 pm  

অসামান্য আত্মজীবনী লিখেছেন অরুন্ধতী। আমার তিনটে রাত্তির, হুইস্কি উদ্দীপ্ত তিন তিনটে রাত্তির, মুচড়ে ছিনিয়ে নিয়েছেন ঘুম থেকে। সকালে কালো কফি ছাড়া উপায় ছিল না, সারারাত অরুন্ধতী লাভাস্রোতে ভাসতে ভাসতে পান করার পরে। এরপর যে শরীর খারাপ হবে, জানা কথা। কিন্তু আত্মজীবনীর শুরুতেই যে অরুন্ধতী কান ধরে শিখিয়ে দিলেন, কী করে মায়ের মৃত্যু দিয়েও শুরু করা যায় নিজের জীবনী লেখা, যে মা একইসঙ্গে ছিলেন তাঁর লুঠেরা এবং আশ্রয়! মা তো নয়, যেন এক ঝঞ্ঝা!

রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

৫৯.

অরুন্ধতী রায়। যাঁর লেখায় বোধ আর ভাষার দীপিত দ্রুতি, প্রত্যয় আর সংশয়ের বিপ্রতীপ বৈদগ্ধ বিশ্বকে করেছে বন্দি, তিনি শেষ পর্যন্ত আছড়ে পড়েছেন কাঁটাতারের বেড়ায়। এবং তাঁর সদ্য প্রকাশিত আত্মজীবনীর একেবারে শুরুতে। আত্মজীবনীর নামেই হাই ভোল্টেজ কটাক্ষ– ‘মাদার মেরি কামস টু মি’!

কিন্তু দেশটার নাম ভারত। ‘মা’ বলতে সারা দেশের মানুষ অজ্ঞান। তবে প্রতি সংসারে, বিশেষ করে যে সংসারে মায়ের নেই অর্থের জোর, মা যে খুব আদর-যত্ন-সম্মানে থাকেন, তেমন তো নয়। তবু মাকে নিয়ে একটা অতিশয় আবেগের জায়গা ভারতীয় সংস্কৃতিতে আছেই, আছে। এবং এখানেই কাঁটাতারে পড়েছেন অরুন্ধতী। যা তাঁর আছে সত্য, সেটা লিখতে বা বলতে চিরদিনই পরোয়াহীন তিনি। এবং পাঞ্চ লাইন লেখায় তিনি তুলনাহীন। কিন্তু নিজের মা সম্বন্ধে যে সত্য কথাটা লিখতে চান তিনি, বলা কি উচিত, বলা কি যায়, মা বেঁচে থাকলে পারতেন তিনি, তাঁর প্রসঙ্গে এই শব্দগুলি প্রয়োগ করতে?

অরুন্ধতী রায় সিগারেট ধরালেন। সারা ঘর অন্ধকার। শুধু চারটি আলো জ্বলছে। টেবিল-ল্যাম্পের বাল্ব। ল্যাপটপের স্ক্রিন। সিগারেটের মুখ। আর তাঁর বোধের বিভা। আরও একটি আলোর অবদান প্রায়ই পিছলে যায় তাঁর মন থেকে। কোন লেখকই বা তেমনভাবে মনে রাখেন টেবিলের কাছে তাঁর ঋণের কথা? কোনও লেখক কি কখনও তাঁর একটি লেখাও উৎসর্গ করেছেন লেখার টেবিলকে? অরুন্ধতী সিগারেটে দীর্ঘ টান দেন। ধোঁয়া ছাড়েন নাক দিয়ে, ফুসফুসের মধ্যে কয়েক সেকেন্ড দৈত্যটাকে ধরে রাখার পর। আশ্চর্য এক কাণ্ড ঘটে অরুন্ধতীর চোখের সামনে। ধোঁয়ার অক্ষরে টেবিলের ওপর ফুটে ওঠে অরুন্ধতীর বুকের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসা ভয়ংকর সত্যি কথাটা: ‘In these pages, my mother, my gangster, shall live. She was my shelter and my storm.’

মায়ের সঙ্গে মেয়ে অরুন্ধতী রায়

অসামান্য আত্মজীবনী লিখেছেন অরুন্ধতী। আমার তিনটে রাত্তির, হুইস্কি উদ্দীপ্ত তিন তিনটে রাত্তির, মুচড়ে ছিনিয়ে নিয়েছেন ঘুম থেকে। সকালে কালো কফি ছাড়া উপায় ছিল না, সারারাত অরুন্ধতী লাভাস্রোতে ভাসতে ভাসতে পান করার পরে। এরপর যে শরীর খারাপ হবে, জানা কথা। কিন্তু আত্মজীবনীর শুরুতেই যে অরুন্ধতী কান ধরে শিখিয়ে দিলেন, কী করে মায়ের মৃত্যু দিয়েও শুরু করা যায় নিজের জীবনী লেখা, যে মা একইসঙ্গে ছিলেন তাঁর লুঠেরা এবং আশ্রয়! মা তো নয়, যেন এক ঝঞ্ঝা! আর সেই মা বিদায় নেওয়ার জন্য বেছে নিলেন এই সেপ্টেম্বর মাসকেই: ‘She chose September, that most excellent month, to make her move. The monsoon had receded, leaving Kerala gleaming like an emerald strip between the mountains and the sea.’

কী লেখা বলুন তো? ধরে নাকি কান পাকড়ে? ঈর্ষা কি কামড়ে ধরে না বুকের শিরা!

কী লাভ অরুন্ধতীকে ঈর্ষা করে? আমি অন্তত পারিনি, এ জন্মে পারব না অরুন্ধতী হতে! তাঁর বইয়ের মলাটে অরুন্ধতী সিগারেট ফুঁকছেন! ক’জন ভারতীয় লেখক এই ছবি বইয়ের প্রচ্ছদে দিতে সৎ, সাহসী হবেন? এই যুগে? যখন সিনেমায় উত্তমকুমার সিগারেট খেলেও লিখতে হয় স্ক্রিনের কোণে– ‘সিগারেট স্মোকিং ইজ ইনজুরিয়াস টু হেলথ, ইট কজেস ক্যান্সার’। তবে সাহস দেখিয়েছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দে’জ পাবলিশিং থেকে প্রকাশিত নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিত ‘আপনি তুমি রইল দূরে: সঙ্গ নিঃসঙ্গতা ও রথীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থের প্রচ্ছদে, তথাকথিত ভারতীয় রক্ষণশীলতার মুখে সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে, স্ত্রী প্রতিমাকে জানিয়ে, পরজায়া মীরাকে নিয়ে বিবাহ গ্রন্থিহীন সংসার পেতে। একেবারে এই যুগের অরুন্ধতী রায়ের পাশে আমার মনে পড়ে গেল প্রচ্ছদে উদ্ধত সিগারেট মুখে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই ছবি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমি পানপাত্র হাতে নিয়ে নিজের ছবি একটি বইয়ের মলাটে লেখক পরিচিতির সঙ্গে দিয়ে ছিলাম। সেই দুঃসাহসী প্রকাশক সেটি প্রকাশের সাহস দেখাননি। অথচ ক্রিস্টোফার হিচিন্স মদ খেতে খেতে ব্রিলিয়ান্ট ইন্টারভিউ দিচ্ছেন, সেই ইন্টারভিউ ভারত জুড়ে আমরা দেখেছি! এটাই আধুনিক ভারত!

আবার ফিরে যাচ্ছি অরুন্ধতী রায়ের অনন্য রঙিনতায়: ‘I left home, – stopped going home, or what passed as home, – after I turned eighteen. I had just entered my third year at the School of Architecture in Delhi.’
এই কাঁচা বয়সে কেন অরুন্ধতী ত্যাগ করলেন তাঁর মাকে, যে বয়সে মেয়ের সবথেকে প্রয়োজন হয়, অন্তত এদেশে, তার মাকেই? জানাচ্ছেন অরুন্ধতী অকপট ভাষায়। এতটুকু ন্যাকামি না করে। বলছেন, মাকে ছেড়ে চলে এলাম, তাঁকে ভালোবাসি না বলে নয়। তাঁকে ভালোবাসতে পারার জন্য ছেড়ে এলাম।
I left my mother not because I didn’t love her, but in order to be able to continue to love her.

মায়ের সঙ্গে বসবাস করে তাকে ভালোবাসা অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। একবার ছেড়ে চলে আসার ফলে তার সঙ্গে দেখা করিনি, কথা বলিনি বছরের পর বছর। মা-ও কখনও আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়নি। এমনকী, জানতেও চায়নি কখনও, কেন ছেড়ে গিয়েছি আমি। কোনও প্রয়োজন হয়নি। তাই জানতে চায়নি। আমরা দু’জনেই এটা জানতাম। আমরা দু’জনে এই মিথ্যের সঙ্গে মানিয়ে বাঁচতে লাগলাম। চমৎকার মিথ্যে। আমি এইভাবে আমার মিথ্যেটা তৈরি করলাম:
I crafted it–  ‘She loved me enough to let me go’. That’s what I said at the front of my first novel, The God of Small Things , which I dedicated to her.

জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মা কখনও জানতে চায়নি আমার কাছে, মাকে ছেড়ে সাতটা বছর কীভাবে আমি সবদিক সামলে কাটাতে পেরেছি। আমি কোথায় সাত বছর মাথাগোঁজার জায়গা, কীভাবে জোগাড় করেছিলাম, তাও জানতে চায়নি মা আমার কাছে। কীভাবে আমি লেখাপড়ার পুরো কোর্স শেষ করলাম, তাও জানতে চায়নি মা। আর কীভাবে সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ডিগ্রি পেলাম, মায়ের কোনও উৎসাহ ছিল না সে বিষয়ে। আমিও কোনও দিন মাকে বলিনি। ঠিকঠাক ম্যানেজ করে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। এই তো যথেষ্ট।
To the end of her days, she never asked me how I managed during those seven years when I was a runaway. She never asked where I lived, how I completed my course of study and took my degree. I never told her. I managed well enough.

এবার অরুন্ধতী রায়ের মাস্টারপিস, মায়ের প্রসঙ্গে। নিজের মাকে নিয়ে যে মেয়ে এই লাইনগুলি লিখতে পারেন, তাঁর লেখার টেবিলটা একবার অন্তত ছুঁতে চাই আমি, শুধু একটিবার প্রণত হতে চাই:
My mother conducted herself with the edginess of a gangster. I watched her unleash all of herself, – her genius, her eccentricity, her radical kindness, her militant courage, her ruthlessness her generosity her cruelty, her bullying, her head for business and her wild, unpredictable temper … It was nothing short of a miracle – a terror and a wonder to behold. … In these pages, my mother, my gangster, shall live. She was my shelter and my storm.

……………………..

রোববার.ইন-এ পড়ুন রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়-এর অন্যান্য লেখা

……………………..

শেষে একটি ছোট্ট কথা। যে টেবিলে বসে অরুন্ধতী লিখেছেন পেঙ্গুইন প্রকাশিত এই মাস্টারপিস, ‘মাদার মেরি কামস টু মি’, সেই টেবিলের কাছে এই অঙ্গীকার আমাদের করতেই হবে, আমাদের সব ব্যস্ততা সরিয়ে রেখে ৩৭২ পাতার এই মারাত্মক সৎ, সাহসী সমিদ্ধ আত্মজীবনীর সঙ্গে কয়েকটা দিন আমরা কাটাবই। নিবিড় বোধের আঁচ উপভোগ পাতার পর পাতায়, সে কী কম কথা?

…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব  ……………………

পর্ব ৫৮: চিঠিহীন এই যুগের শ্রেষ্ঠ প্রণয়লিপি

পর্ব ৫৭: লেখার টেবিল কি জানে, কবিতা কার দান– শয়তান না ঈশ্বরের?

পর্ব ৫৬: প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে, বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখার টেবিল জানে সেই নির্মম সত্য

পর্ব ৫৫: জুলিয়া রবার্টসকে হিন্দুধর্মে দীক্ষা দিয়েছিল একটি বই, একটি সিনেমা

পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?

পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে

পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!

পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?

পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি

পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল 

পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর

পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?

পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান

পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী

পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন

পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্‌-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক

পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন

পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে

পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা

পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে

পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?

পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী

পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!

পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি

পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল

পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা

পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই

পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না

পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা

পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ

পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?

পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!

পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল

পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো

পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়

পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!

পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে

পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে

পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি

পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল

পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল

পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল

পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে

পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে

পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা

পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল

পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে

পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?

পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব

পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি

পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল

পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি

পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে

পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল

পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা

পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা

পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে

পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল