Robbar

থিম কান্ট্রি আর্জেন্টিনা, কলকাতা বইমেলায় শ্রেষ্ঠাংশে তবে রবীন্দ্র-ওকাম্পো?

Published by: Robbar Digital
  • Posted:December 18, 2025 6:04 pm
  • Updated:December 18, 2025 6:09 pm  

১৯২৪-এর ১১ নভেম্বর থেকে ১৯২৫-এর ২ জানুয়ারি, রবীন্দ্রনাথকে একই বাড়িতে কাছে পাওয়ার বিরল সুযোগ হয়েছিল ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর। ভিক্টোরিয়াকে রবীন্দ্রনাথ সোহাগে ডাকতেন বিজয়া, কেননা এই নারীর আগমন রবীন্দ্র জীবনের শেষবেলায়। রবীন্দ্রনাথ বহুবার অনুরোধ করেছেন ভিক্টোরিয়াকে, শান্তিনিকেতনে চলে এসো বিজয়া। ২০২৬ বইমেলায় থিম কান্ট্রি আর্জেন্টিনা। রবীন্দ্র-ওকাম্পো সখ্য নিশ্চয়ই আলোচিত হবে। কিন্তু কতটুকু?

রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

৭২.

১৮৯০-এ জন্মানো আর্জেন্টিনীয় তরুণী ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো ১৯২৪-এ সবে ৩৪। দিশেহারা। তার চারপাশের আটপৌরে মেয়েদের থেকে সে একদম আলাদা। তার ইন্টেলেকচুয়াল জীবন এই মুহূর্তে প্রশ্নবিক্ষত। তার পারিবারিক জীবন পা ফেলেছে চেনা বৃত্তের বাইরে। সে ১৯২১ সালে স্বামী বারনাডো এস্ত্রদাকে ত্যাগ করেছে। এবং প্রেমিক মার্থিনেজের কাছ থেকে পাচ্ছে শরীরের সুখ। কিন্তু মনের তৃপ্তি?

ভিক্টোরিয়ার মনে একটি খুব জরুরি প্রশ্ন: একই নারী বা পুরুষের কাছে কী কখনও পাওয়া যায় শরীর ও মনের সুখ? সম্ভব? শুধু রূপকথাতেই তা সম্ভব, বাস্তবে নয়।
ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর মন সর্বদা চঞ্চল, অশান্ত, উতল। তার পুরনো প্রত্যয় চুরমার। নতুন বিশ্বাসের আশ্রয় সে চাইছে। কিন্তু পাওয়া কি সহজ?

যৌবনে ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো

ভিক্টোরিয়া তার ঘরে একা। সবে ডুবেছে সূর্য। যদিও তার উত্তররশ্মি মুছে যায়নি আকাশে। সে দুপুর কাটিয়েছে প্রেমিকের সঙ্গে। প্রেমিক নিংড়ে নিয়েছে দেহ। দেহ দিয়েছে যত, তার মন কি পেয়েছে তত?

ভিক্টোরিয়া তার লেখার টেবিলে বসে লেখে, টেবিলটা যেন তাকে বাধ্য করে লিখতে: আমি স্বামীর ঘর ত্যাগ করেছি। কিন্তু বিয়ে তো এখনও ভেঙে দিইনি। বিয়েটা জিইয়ে রেখেছি। আবার প্রেমিকের সঙ্গে সোহাগের সহবাস করছি। কেন এই রকম দুটো জীবন যাপন করছি? প্রধান কারণ, জীবন বেসিক্যালি বোরিং। তাই এমন দ্বিচারিতার মধ্যে যে উত্তেজনাটা পাই, সেটা জীবনের একঘেয়ে ভাবটা কাটায়। স্বামীকে ঠকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটানো, নিষিদ্ধ মিলনের উত্তেজনা, জীবনে এটা যে পায়নি, তাকে কী করে বোঝাই অবৈধ সম্পর্কের টান ও সুখ। কিন্তু একথাও জানি, আমার প্রেমিকের সঙ্গে সহবাস যদি কোনও দিন আইনসম্মত হয়ে যায়, সেদিন আমার সব উত্তেজনা যাবে নিভে! বিয়ের ফুঁ শরীর নিভিয়ে দেয়। যুগে যুগে ঘরে ঘরে তাই হয়েছে।

ভিক্টোরিয়া তার লেখার টেবিলটার দিকে অবাক হয়ে তাকায়। সেখানে নতুন ভাবনার আলো! ভিক্টোরিয়ার মন ছেয়ে ফেলে সদ্য পড়া একটা কবিতার বই। বইটার নাম, ‘কুড়িটি প্রেমের কবিতা আর একটি হতাশার গান’ (Twenty Love Poems and a Song of Despair)। লিখেছেন, পাবলো নেরুদা নামের চিলির এক অচেনা কবি। এমন শরীরী প্রেমের কবিতা আগে কি পড়েছি আমি? লেখে ভিক্টোরিয়া। তারপর লেখে, এ তো রোম্যান্টিক আদিখ্যেতা, কাতর প্রেমের ন্যাকামি নয়। ২০টা প্রেমের কবিতায় তো নিটোল নিরেট অবৈধ যৌনতার সেলিব্রেশন। তরল আগুন। একইসঙ্গে পোড়ায়, ভেজায়! আমি এসে দাঁড়িয়েছি এক যুগসন্ধিতে, লেখে ভিক্টোরিয়া। একটু ভাবে। তারপর লেখে টেবিলের আজ্ঞা অনুসারে: ক’বছর আগে ইউরোপে থেকে আর্জেন্টিনায় ফিরে এসেছেন বোর্হেস। তিনি ল্যাটিন আমেরিকান সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় আন্দোলন। এই আন্দোলন তৈরি করেছে বাস্তব পরিবেশ ও ঘটনার নতুন সংজ্ঞা। বোর্হেস বাস্তবকে পৌঁছে দিয়েছেন প্রজ্ঞাদীপ্ত সৌভিকতায়। এ এক অদ্ভুত মায়াবী বাস্তব। ম্যাজিক রিয়েলিটি!

স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী মারুজা মায়োর সঙ্গে কবি পাবলো নেরুদা

হঠাৎ ভিক্টোরিয়ার মনে উড়ে আসে স্প্যানিশ কবি হিমেনেথ-এর কবিতা। এবং এই কবি ও তাঁর স্ত্রীর প্রতি ভিক্টোরিয়া গভীরভাবে কৃতজ্ঞবোধ করে। তার চোখ ঝাপসা হয় কান্নায়। ১৯১৫ থেকে ১৯২২– সাত বছর। এই সাত বছরের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের অনেকগুলি বই স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদ করেছেন হিমেনেথ দম্পতি। এবং সবক’টি অনুবাদ ভিক্টোরিয়া পড়েছে। আবার টেবিলের আদেশ পালন করে ভিক্টোরিয়া। সে লেখে: আমি হিমেনেথ-দম্পতির অনুবাদে রবীন্দ্রনাথের ২২টা বই পড়েছি। আর ১৯১৩ সালে, রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পরেই, তাঁর নিজের অনুবাদে ‘গীতাঞ্জলি’ পড়লাম। কিন্তু আমি অনেক বেশি মুগ্ধ হয়েছি , আমি রবীন্দ্রনাথের প্রেমে পড়েছি, ‘গীতাঞ্জলি’র ফরাসি অনুবাদ পড়ে। অনুবাদ করেছেন স্বয়ং আন্দ্রে জিদ! কবে আসবেন রবীন্দ্রনাথ আমার কাছে? কবে দেখা পাব তাঁর। আমার জীবনের সমস্ত যন্ত্রণা, অপমান ও বেদনার মধ্যে, সমস্ত বিশ্বাস হারিয়ে ফেলার মধ্যে ‘গীতাঞ্জলি’ নিয়ে এসেছে রবীন্দ্রনাথের মধুর রস, তাঁর করুণা, তাঁর প্রত্যয়, তাঁর নির্বেদ। I am reading Tagore, thinking of Tagore, waiting for Tagore. রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আমার নোঙর ফেলার আর কোনও জায়গা নেই।

১৯২২ সাল। মার্সেল প্রুস্তু মারা গেলেন। তিনি সত্যি এসেছিলেন নতুন হওয়া নিয়ে। আমি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম প্রুস্তের সাহিত্য-সমুদ্রে। কিন্তু যা চাইছিলাম, পেলাম কই? গান্ধী অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন রাস্কিনের ‘আন্টু দিস লাস্ট’ (Unto This Last) পড়ে। কিন্তু এই বইও আমাকে দিশা দিল না। আমি ‘গীতাঞ্জলি’র লেখকের প্রেমে পড়ে থাকলাম। ‘গীতাঞ্জলি’ ছাড়া আর কোনও বই নেই আমার জীবনে। কেউ যদি দেখাতে পারে পথ, পারবে আমার পরমপুরুষ রবীন্দ্রনাথ। আর কেউ না। রবীন্দ্রনাথ, সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াচ্ছ। শুনেছি পেরু থেকে এসেছে তোমার আমন্ত্রণ। পথে পড়বে আর্জেন্টিনা। যদি আসতে? যদি একটিবার দেখা পেতাম। নিজেকে উৎসর্গ করতাম তোমাকেই। তুমি আমার বাবার বয়সী! তবু এক অসম আকর্ষণ বোধকরি তোমারই প্রতি। যত তোমার লেখা পড়ছি, তত তোমার প্রতি আমার প্রণয় হয়ে উঠছে অনিবার্য!

একদিন এই লেখার টেবিলে বসেই লিখলেন ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো: কী আশ্চর্য! আমার এত দিনের স্বপ্ন পূর্ণ হতে চলেছে। রবীন্দ্রনাথ শেষ পর্যন্ত আমার শহর সান ইসিদ্রোতে! আমার বাড়ির কাছেই একটা হোটেলে! কবি পেরুর পথে জাহাজে অসুস্থ হয়ে এখানে। তাকে আর ছাড়ছি না আমি। ঠিক করেছি অসুস্থ রবীন্দ্রনাথের সেবার সমস্ত দায়িত্ব আমি নেব। কবি নদী ভালোবাসে। তাই প্লাতা নদীর ধারে একটি বাগান বাড়ি ভাড়া করব। আমার হীরের নেকলেস বিক্রি করে বাড়ি ভাড়া নেব। সে চলে গেলে আমার কষ্ট। তাই যত দিন পারব, তাকে রেখে দেব আমার সেবায়, যত্নে, সান্নিধ্যে।
Rabindranath, nothing that is you can be taken way from me. While you stay here joy will be with me, when you will go, pain must come. But at the roots of my being nothing can be changed. Your staying or going can’t deprive me of you.

ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ

রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রথম দেখার মুহূর্তটি যেন লেখার টেবিল লিখে রাখল ভিক্টোরিয়ার মনে এই ভাষায়: কবির বয়েস আমার বাবার বয়েসের কাছাকাছি। অথচ নির্ভাজ কপাল। রেখা পড়েনি একটিও। কী শান্ত লাবণ্যময় তার সোনার বর্ণ শরীর। সাদা রেসমচিকন ঘন চুল নেমে এসেছে সুগঠিত গ্রীবা পর্যন্ত। দীর্ঘ দেহ। দীপ্ত মুখমণ্ডল। ঘন কালো চোখের পাতা। এই মানুষটির সান্নিধ্যে আমার সমস্ত শরীর অবশ। আমি বাক্যহীন!

১৯২৪-এর ৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, রবীন্দ্রনাথের জাহাজ ভিড়ল বুয়েনস আয়ার্সে। সেদিনই আমি দেখা করলাম রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। আর আমার লেখায় ধরে রাখলাম ছবির মতো মুহূর্তটি। আর ছয়দিনের মধ্যে বেশ বড় একটা বাড়ি ভাড়া করে ফেললাম আমাদের জন্য। বাড়ির নাম– ‘মিরালরিও’, মানে, নদী দেখা। ১৯২৪-এর ১১ নভেম্বর মিরালরিও-তে রবীন্দ্রনাথ আর আমার প্রথম দিন। ঠিক তিনদিন পরে রবীন্দ্রনাথ এই ভাষায় ও ভাবে আমাকে জানাল ভালোবাসা। এবং অনুবাদ করে বুঝিয়ে দিল অর্থ:

‘প্রবাসের দিন মোর পরিপূর্ণ করে দিলে নারী/ মাধুর্য সুধায়; কত সহজে করিলে আপনারি/ দূরদেশী পথিকেরে;’

আর আমি না লিখে পারিনি কিছুদিনের মধ্যেই এই খোলাখুলি চিঠি রবীন্দ্রনাথকে, তার কুণ্ঠা ও দ্বিধায় কষ্ট পেয়ে তাকে জানালাম আমার এই যন্ত্রণা বিনা দ্বিধায়:
Thus I came little by little, to know Tagore and his moods. Little by little he partly tamed the young animal, by turn wild and docile.

ওকাম্পোর রবীন্দ্রনাথ

একটু একটু করে আমার মতো এক বন্য জন্তুকে পোষ মানিয়ে ফেলল কবি! আমি তো রাত্রে কুকুরের মতো তার বন্ধ দরজার চৌকাঠে মাথা রেখে ঘুমোতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা করা যায় না বলেই করিনি। আমি যন্ত্রণা পেয়েছি রবীন্দ্রনাথ আমার নৈকট্যকে পাত্তা দেয়নি বলে, ‘I have gone through such sufferings because he ignored my nearness.’

১৯২৪-এর ১১ নভেম্বর থেকে ১৯২৫-এর ২ জানুয়ারি, রবীন্দ্রনাথকে একই বাড়িতে কাছে পাওয়ার বিরল সুযোগ হয়েছিল ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর। ভিক্টোরিয়াকে রবীন্দ্রনাথ সোহাগে ডাকতেন বিজয়া, কেননা এই নারীর আগমন রবীন্দ্র জীবনের শেষবেলায়। রবীন্দ্রনাথ বহুবার অনুরোধ করেছেন ভিক্টোরিয়াকে, শান্তিনিকেতনে চলে এসো বিজয়া। কিন্তু ভিক্টোরিয়া রবীন্দ্রনাথকে ইঙ্গিতে ইশারায় বলেছেন, তিনি আর এক নিবেদিতা হতে চান না, পারবেনও না। তারপর নিজেই পর্দা টেনে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর। রবীন্দ্রনাথ তাঁর কবিতায় ধরে রেখেছেন এই নির্মম সত্য। তাঁর লেখার টেবিল এই সত্য উচ্চারণ থেকে তাঁকে এতটুকু সরিয়ে নেয়নি:

‘দুঃখ এই যে এতে দুঃখ নেই তোমার মনে/ একদিন নিজেকে নূতন নূতন করে সৃষ্টি করেছিলে মায়াবিনী,/ আমারই ভালোবাসার রঙে রাঙিয়ে।/ আজ তারই উপর তুমি টেনে দিলে/ যুগান্তরের কালো যবনিকা/ বর্ণহীন, ভাষাবিহীন।’

রৌদ্রছায়ার সংকলন

যে সত্যটি রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো, পাছে রবীন্দ্রনাথ আরও বেদনা পান, সেই নির্মম সত্য হল, ভিক্টোরিয়ার জীবনে পিয়ের দ্রিউলা রোশেল নামের এক ফরাসি প্রেমিকের আবির্ভাব। এই প্রেমও বহু পুরুষের সঙ্গিনী ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর জীবনে শেষ হয় গভীর যন্ত্রণায়। ততদিনে রবীন্দ্রনাথ চলে গিয়েছেন। রেখে গিয়েছেন তাঁর লেখার টেবিলে এই অব্যর্থ সত্য:

‘চিত্ত ভরেছিলে নেশায়, হে আমার সাকি, / পাত্র উজাড় করে/ মধুর রসধারা আজ ঢেলে দিয়েছ ধুলায়।’

রবীন্দ্রনাথের প্রেমের কবিতায় ভালোবাসার নারীর প্রতি এমন তীব্র শ্লেষ ও দ্বেষ বিশেষ দেখা যায় না। সম্ভবত এই প্রথম লেখার টেবিল তাঁকে বাধা দেয়নি।

…………………….. পড়ুন কাঠখোদাই-এর অন্যান্য পর্ব  ……………………

পর্ব ৭১: একশো বছরের নৈরাজ্য ও একটি লেখার টেবিল

পর্ব ৭০: আত্মজীবনী নয়, মার্গারেটের ব্রতভ্রষ্ট স্মৃতিকথা

পর্ব ৬৯: রুশদির ‘দ্য ইলেভেনথ আওয়ার’ শেষ প্রহরের, অনিবার্য অন্তিমের দ্যোতক

পর্ব ৬৮: মাংসও টেবিলের কাছে ঋণী

পর্ব ৬৭: ভ্রমণ-সাহিত্যকে লাজলো নিয়ে গেছেন নতুন পারমিতায়

পর্ব ৬৬: নরম পায়রার জন্ম

পর্ব ৬৫: যে বইয়ের যে কোনও পাতাই প্রথম পাতা  

পর্ব ৬৪: খেলা শেষ করার জন্য শেষ শব্দ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন জেফ্রি আর্চার

পর্ব ৬৩: সহজ ভাষার ম্যাজিক ও অবিকল্প মুরাকামি

পর্ব ৬২: জীবন তিক্ত এবং আশা করা ভুল, এই দর্শনই বিশ্বাস করেন ক্রাজনাহরকাই

পর্ব ৬১: লন্ডনে ফিরে এলেন অস্কার ওয়াইল্ড!

পর্ব ৬০: পাপ ও পুণ্যের যৌথ মাস্টারপিস

পর্ব ৫৯: মাতৃভক্তির দেশে, মাকে ছেড়ে যাওয়ার আত্মকথন

পর্ব ৫৮: চিঠিহীন এই যুগের শ্রেষ্ঠ প্রণয়লিপি

পর্ব ৫৭: লেখার টেবিল কি জানে, কবিতা কার দান– শয়তান না ঈশ্বরের?

পর্ব ৫৬: প্রেমের নিশ্চিত বধ্যভূমি বিয়ে, বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখার টেবিল জানে সেই নির্মম সত্য

পর্ব ৫৫: জুলিয়া রবার্টসকে হিন্দুধর্মে দীক্ষা দিয়েছিল একটি বই, একটি সিনেমা

পর্ব ৫৪: আপনার লেখার টেবিল নেই কেন মানিকদা?

পর্ব ৫৩: পুরুষরা যে কতদূর অপদার্থ, ড্রেসিং টেবিলের দেখানো পথে মেয়েরা প্রমাণ করে দেবে

পর্ব ৫২: একটাও অরিজিনাল গল্প লেখেননি শেক্সপিয়র!

পর্ব ৫১: প্রমথ-ইন্দিরার মতো প্রেমের চিঠি-চালাচালি কি আজও হয়?

পর্ব ৫০: হাজার হাজার বছর আগের পুরুষের ভিক্ষা এখনও থামেনি

পর্ব ৪৯: কুকথার রাজনীতিতে অমরত্বের স্বাদ পেয়েছেন জর্জ অরওয়েল 

পর্ব ৪৮: টেবিলই ওকাম্পোর স্মৃতি, আত্মজীবনীর ছেঁড়া আদর

পর্ব ৪৭: শেষ বলে কিছু কি থাকতে পারে যদি না থাকে শুরু?

পর্ব ৪৬: যে টেবিলে দেবদূত আসে না, আসে শিল্পের অপূর্ব শয়তান

পর্ব ৪৫: ফ্রেডরিক ফোরসাইথকে ফকির থেকে রাজা করেছিল অপরাধের পৃথিবী

পর্ব ৪৪: আম-বাঙালি যেভাবে আমকে বোঝে, দুই আমেরিকান লেখিকা সেভাবেই বুঝতে চেয়েছেন

পর্ব ৪৩: দু’পায়ে দু’রকম জুতো পরে মা দৌড়ে বেরিয়ে গেল, ইবতিসম্‌-এর উপন্যাসের শুরু এমনই আকস্মিক

পর্ব ৪২: অন্ধকার ভারতে যে সিঁড়িটেবিলের সান্নিধ্যে রামমোহন রায় মুক্তিসূর্য দেখেছিলেন

পর্ব ৪১: বানু মুশতাকের টেবিল ল্যাম্পটির আলো পড়েছে মুসলমান মেয়েদের একাকিত্বের হৃদয়ে

পর্ব ৪০: গোয়েটের ভালোবাসার চিঠিই বাড়িয়ে দিয়েছিল ইউরোপের সুইসাইড প্রবণতা

পর্ব ৩৯: লেখার টেবিল বাঙালির লাজ ভেঙে পর্নোগ্রাফিও লিখিয়েছে

পর্ব ৩৮: বঙ্গীয় সমাজে বোভেয়ার ‘সেকেন্ড সেক্স’-এর ভাবনার বিচ্ছুরণ কতটুকু?

পর্ব ৩৭: ভক্তদের স্তাবকতাই পাশ্চাত্যে রবীন্দ্র-কীর্তি স্থায়ী হতে দেয়নি, মনে করতেন নীরদচন্দ্র চৌধুরী

পর্ব ৩৬: একাকিত্বের নিঃসঙ্গ জলসাঘরে মারিও ভার্গাস লোসা যেন ছবি বিশ্বাস!

পর্ব ৩৫: জীবনের বাইশ গজে যে নারী শচীনের পরম প্রাপ্তি

পর্ব ৩৪: যা যা লেখোনি আত্মজীবনীতেও, এইবার লেখো, রাস্কিন বন্ডকে বলেছিল লেখার টেবিল

পর্ব ৩৩: ফিওনার সেই লেখার টেবিল মুছে দিয়েছিল মেয়েদের যৌনতা উপভোগের লজ্জারেখা

পর্ব ৩২: বাঙালি নয়, আন্তর্জাতিক বাঙালির সংজ্ঞায় স্পিভাক এসে পড়বেনই

পর্ব ৩১: প্রতিভাপাগল একটি বই, যাকে দিনলিপি বলে সামান্য করব না

পর্ব ৩০: পতিতালয়ের সেই লেখার টেবিল জাগিয়ে তুলেছিল ইসাবেলের হৃদয়-চেতনা

পর্ব ২৯: পাথরে প্রাণ আনে যে টেবিলের স্পর্শ

পর্ব ২৮: নিজের টেবিলকে কটাক্ষ করি, কেন অ্যানে মাইকেলসের মতো লিখতে পারি না?

পর্ব ২৭: নারীর রাগ-মোচনের কৌশল জানে মিলান কুন্দেরার লেখার টেবিল!

পর্ব ২৬: ভালোবাসা প্রকাশের সমস্ত শব্দ পেরিয়ে গিয়েছিল এলিয়টের লেখার টেবিল

পর্ব ২৫: যে টেবিলে জন্ম নেয় নগ্নতা আর যৌনতার নতুন আলো

পর্ব ২৪: প্রেমের কবিতার ভূত জন ডানকে ধরেছিল তাঁর উন্মাদ টেবিলে, মোমবাতির আলোয়

পর্ব ২৩: যে টেবিল আসলে বৈদগ্ধ আর অশ্লীলতার আব্রুহীন আঁতুড়ঘর!

পর্ব ২২: মহাবিশ্বের রহস্য নেমে এসেছিল যে টেবিলে

পর্ব ২১: গাছ আমাদের পূর্বপুরুষ, লেখার টেবিল বলেছিল হোসে সারামাগোকে

পর্ব ২০: টেবিলের কথায় নিজের ‘হত্যার মঞ্চে’ ফিরেছিলেন সলমন রুশদি

পর্ব ১৯: প্রতিভা প্রশ্রয় দেয় অপরাধকে, দস্তয়েভস্কিকে শেখায় তাঁর লেখার টেবিল

পর্ব ১৮: বিবেকানন্দের মনের কথা বুঝতে পারে যে টেবিল

পর্ব ১৭: ‘গীতাঞ্জলি’ হয়ে উঠুক উভপ্রার্থনা ও উভকামনার গান, অঁদ্রে জিদকে বলেছিল তাঁর টেবিল

পর্ব ১৬: যে লেখার টেবিল ম্যাকিয়াভেলিকে নিয়ে গেছে শয়তানির অতল গভীরে

পর্ব ১৫: যে অপরাধবোধ লেখার টেবিলে টেনে এনেছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়কে

পর্ব ১৪: লেখার টেবিল গিলে নিচ্ছে ভার্জিনিয়া উলফের লেখা ও ভাবনা, বাঁচার একমাত্র উপায় আত্মহত্যা

পর্ব ১৩: হ্যামনেট ‘হ্যামলেট’ হয়ে বেঁচে থাকবে অনন্তকাল, জানে সেই লেখার টেবিল

পর্ব ১২: রবীন্দ্রনাথের লেখার টেবিল চিনতে চায় না তাঁর আঁকার টেবিলকে

পর্ব ১১: আর কোনও কাঠের টেবিলের গায়ে ফুটে উঠেছে কি এমন মৃত্যুর ছবি?

পর্ব ১০: অন্ধ বিনোদবিহারীর জীবনে টেবিলের দান অন্ধকারের নতুন রূপ ও বন্ধুত্ব

পর্ব ৯: বুড়ো টেবিল কিয়ের্কেগার্দকে দিয়েছিল নারীর মন জয়ের চাবিকাঠি

পর্ব ৮: অন্ধকারই হয়ে উঠলো মিল্টনের লেখার টেবিল

পর্ব ৭: কুন্দেরার টেবিলে বসে কুন্দেরাকে চিঠি

পর্ব ৬: মানব-মানবীর যৌন সম্পর্কের দাগ লেগে রয়েছে কুন্দেরার লেখার টেবিলে

পর্ব ৫: বিয়ের ও আত্মহত্যার চিঠি– রবীন্দ্রনাথকে যা দান করেছিল লেখার টেবিল

পর্ব ৪: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের টেবিল আর তারাপদ রায়ের খাট, দুই-ই ছিল থইথই বইভরা

পর্ব ৩: টেবিলের গায়ে খোদাই-করা এক মৃত্যুহীন প্রেমের কবিতা

পর্ব ২: লেখার টেবিল ভয় দেখিয়েছিল টি এস এলিয়টকে

পর্ব ১: একটি দুর্গ ও অনেক দিনের পুরনো নির্জন এক টেবিল